একটা স্মার্টফোন কেনার ডিসেন্ট বাজেট হিসেবে ১৫ হাজার টাকা কিন্তু অনেকটাই।
আর, এখনকার প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটে, দিনদিন বহু স্মার্টফোন কোম্পানিই দিব্যি তাদের স্মার্টফোনে লঞ্চ করছে এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলোর সাথেও সমানে-সমানে টক্কর দিয়ে মার্কেটে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে।
তাই, ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে, আপনি যদি ১৫,০০০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন পেতে চান, তাহলে আপনি পেয়ে যেতে পারেন অংসখ্য অপশন।
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আপনার সুবিধার জন্যে, আমরা ১৫ হাজার টাকার মধ্যে এখনকার সেরা কতগুলো স্মার্টফোন নিয়ে আলোচনা করেছি।
এই ফোনগুলো যেমন আপনার বাজেটে একদম ফিট হয়ে যাবে, ঠিক তেমনই ভাবে এগুলো অনেক দীর্ঘ সময় ধরে সার্ভিসও দেবে।
১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ফোনগুলোর তালিকা:
চলুন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক, ১৫,০০০ টাকার মধ্যে সেরা ১০টি স্মার্টফোন সম্পর্কে।
১. Xiaomi Redmi Note 11 4G:
যদি মাল্টিটাস্কিং ফোন খুঁজে থাকেন, তাহলে নিঃসন্দেহে Xiaomi Redmi Note 11 4G মডেলটি হল আপনার জন্যে একদম সেরা একটা ফোন।
এই ডিভাইসের গোরিলা গ্লাস প্রোটেকশন, এর স্ক্রিনকে সবথেকে ভালো সুরক্ষা দেয়।
যাতে, আপনার ফোনের ডিসপ্লেটি টুকটাক দুর্ঘটনাতেও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
আর, এর ইন্টারনাল স্টোরেজটি ব্যাপকভাবে এক্সপ্যান্ডেবল।
মূল্য: আনুমানিক ১২,৯৯৯ টাকা।
ফিচার:
– ডুয়াল স্পিকার
– ৮ জিবি পর্যন্ত RAM বুস্টার
– সাইডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
– ১ টিবি পর্যন্ত এক্সপ্যান্ডেবল ইন্টারনাল স্টোরেজ
– ফাস্ট চার্জিং সিস্টেমসহ ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারী
– দ্রুত ও পাওয়ার-সেভিং উইএসএফ ২.২ ইন্টারফেস
– ৪ জিবি RAM ও কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৮০ চিপসেট
কেন কিনবেন ?
এই মডেলে ফুল-এইচডি ৬.৪৩ ইঞ্চি ডিসপ্লের সাহায্যে আপনি দারুণ ভিডিও দেখতে পাবেন।
৯০Hz রিফ্রেশ রেটের কারণে যেকোনো গেম বা ভিডিওই কোনোরকমের ল্যাগ ছাড়াই চলবে।
এর প্রাথমিক ক্যামেরা ৫০ এমপি, এছাড়াও, এটিতে একটা ২ এমপি ম্যাক্রো, ২ এমপি ডেপ্থ ক্যামেরা ও ৮ এমপি আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স রয়েছে।
এর অক্টাকোর প্রসেসরটি মাল্টিটাস্কিং-এর জন্যে সেরা।
২. Real Me 9 5G:
5G কানেক্টিভিটির কারণে এই Real Me 9 5G মডেলটি বেশ চাহিদাতে রয়েছে।
এর ৪ জিবি RAM ও অক্টাকোর প্রসেসরের জন্যে ফোনটি যথেষ্ট মসৃনভাবে ও দ্রুত রান করে।
আর, আপনি একসাথে অনেকগুলো অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন এই ফোনে।
পাঞ্চহোল টপ স্ক্রিনের উপর এর সেল্ফি ক্যামেরা বসানো থাকায়, এটিকে দেখতে বেশ স্টাইলিশও লাগে।
মূল্য: আনুমানিক ১৪,৯৯০ টাকা।
ফিচার:
– ৪ জিবি RAM
– সাইডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
– ব্যাক সাইডে ৩টে ক্যামেরা
– 5G কানেক্টিভিটি সাপোর্টেড
– এক্সপ্যান্ডেবল ইন্টারনাল স্টোরেজ
– ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারীসহ ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম
কেন কিনবেন ?
এর বিশাল এক্সপ্যান্ডবেল মেমোরির জন্যে এই ফোনটি এক কথায় সেরা।
এছাড়াও, 5G কানেক্টিভিটি এই মডেলটিকে এই বাজেটের মধ্যে বেশ একটা ভালো অপশন হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে।
এই ফোনের নিজস্ব ৬৪ জিবি ইন্টারনাল মেমোরি রয়েছে, যা বিশাল পরিমাণ মিডিয়া স্টোর করতে সক্ষম।
এই ফোনটিতে ৪৮, ২ ও ২ এমপি ব্যাক ক্যামেরার সাথে ১৬ এমপি ফিক্সড ফোকাসের একটা সেলফি শুটিং লেন্সও আছে।
৩. Micromax IN Note 2:
অ্যান্ড্রয়েড v11 ভার্শনের অপারেটিং সিস্টেম ইন্টারফেসটি Micromax IN Note 2 মডেলটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তোলে।
এর ফলে, আপনি ল্যাগ-ফ্রিভাবে মাল্টিটাস্কিং করতে পারবেন।
এই মোবাইলটি বিনোদন ও গেম খেলার জন্যে অন্যতম সেরা একটা মডেল।
এমোলেড ধরণের ফ্রন্ট স্ক্রিন আপনাকে ভিডিওগুলো ভালো কোয়ালিটিতে এনজয় করতে দেয়।
মূল্য: আনুমানিক ১৩,৮৯৯ টাকা।
ফিচার:
– গ্লাস ব্যাক ফিনিশ
– ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
– কোড রিয়ার ক্যামেরা
– গোরিলা গ্লাস প্রোটেকশন
– ন্যানো ডুয়াল সিম সাপোর্ট
– ৪ জিবি RAM ও হেলিও চিপসেট
– ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারী ও ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম
কেন কিনবেন ?
এই মোবাইলের গোরিলা স্ক্রিন গ্লাস, এর ডিসপ্লেটিকে অসামান্যভাবে সুরক্ষা দেয়।
যার ফলে, আপনার ফোন যদি দুর্ঘটনাবশত পড়েও যায়, তাহলেও আপনার মোবাইলের স্ক্রিনের কোনো ক্ষতি হবে না।
এই মডেলের ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ স্পেস রয়েছে।
এর অক্টাকোর প্রসেসর ও ও ৪ জিবি RAM ফোনটিকে স্মুথভাবে চলতে সাহায্য করে।
এই মডেলের ৪৮ এমপি প্রাইমারি ক্যামেরা এবং ৫ এমপি আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ২ এমপি ম্যাক্রো ও ২ এমপি ডেপ্থ ক্যামেরা রয়েছে।
৪. Realme 9i:
এই স্লিম Realme 9i মডেলটি আপনাকে সহজে ওয়ান-হ্যান্ড অপারেশন করতে দেয়।
ডার্ট চার্জিং সিস্টেম এই ফোনটিকে দ্রুতভাবে চার্জ করতে সাহায্য করে।
এর সুপারফাস্ট প্রসেসর মডেলটিকে মাল্টিটাস্কিং-এর জন্যে আদর্শ করে তোলে।
৬.৬ ইঞ্চির IPS LCD স্ক্রিনটি ভিডিও কনটেন্ট দেখার জন্যে এই মোবাইলটিকে একদম পারফেক্ট করে তুলেছে।
মূল্য: আনুমানিক ১৩,৪৯৯ টাকা।
ফিচার:
– ফাইভ লেভেল ফ্রেশ রেট
– কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর
– ৪ জিবি ভার্চুয়াল RAM ক্যাপাসিটি
– ৫০০০ এমএএইচ শক্তিশালী ব্যাটারী
– সাইডে সুপারফাস্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
কেন কিনবেন ?
বেজেললেস ডিসপ্লে আপনাকে ব্যাপক সিনেম্যাটিক ভিউইং এক্সপেরিয়েন্স দিতে সক্ষম।
এর ট্রিপল ক্যামেরা আপনাকে দারুণ পরিষ্কার সেল্ফি, ছবি ও ভিডিও তুলতে সাহায্য করে।
এই মোবাইলের ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারী অনেকক্ষণ ধরে চার্জ ধরে রাখতে সক্ষম।
আর, এই মডেলটির ডার্ট চার্জিং সিস্টেমটি ব্যাটারীকে খুব দ্রুত চার্জ করে দিতে পারে।
পাঞ্চহোল সেটআপের সাহায্যে এই মোবাইলে সেল্ফি তোলাও খুব সহজ হয়ে ওঠে।
৫. Poco M4 Pro 5G:
Poco M4 Pro 5G মডেলটির ডিজাইনটি বেশ স্টাইলিশ ও স্লিম।
এই মোবাইলের 5G কানেক্টিভিটি, ১৫ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে একে যথেষ্ট জনপ্রিয় করে তুলেছে।
এর অক্টাকোর প্রসেসরের কারণে আপনি সুন্দরভাবে, বিনা বাধায় যত খুশি গেম খেলতে এবং মাল্টিটাস্কিংও করতে পারবেন।
এই মডেলের স্প্ল্যাশপ্রুফ প্রোটেকশন আপনাকে বৃষ্টি-বাদলার হাত থেকে মোবাইলকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
মূল্য: আনুমানিক ১২,৯৯৯ টাকা।
ফিচার:
– 5G কানেক্টিভিটি
– স্প্লাস্প্রুফ ডিসাইন
– ৯০Hz স্ক্রিন রিফ্রেশ রেট
– সাইডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
– ৬.৬ ইঞ্চি IPS LCD ডিসপ্লে
– ৫০+৮ এমপি রিয়ার ক্যামেরা
– ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম
– শক্তিশালী ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারী
কেন কিনবেন ?
ইউএসবি C-টাইপ চার্জিং ব্যবস্থা মডেলটিকে দ্রুত চার্জ করতে সাহায্য করে।
৯০Hz স্ক্রিন রিফ্রেশ রেট আপনাকে ল্যাগ-ফ্রীভাবে গেম খেলতে সাহায্য করে।
গোরিলা গ্লাস প্রোটেকশনের কারণে আপনার মোবাইলটি টুকটাক পড়ে গেলেও, স্ক্রিনের বিশেষ কোনো ক্ষতি হবে না।
এর ন্যানো ডুয়াল সিম স্লট আপনাকে একসাথে ২টো সিম কার্ড ব্যবহার করতে দেয়।
এই মোবাইলের সাইড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর খুব দ্রুত স্ক্রিন আনলক করতে সাহায্য করে।
৬. Realme Narzo 50:
Realme Narzo 50-এর ক্যামেরাগুলো খুবই উন্নতমানের।
আপনি এর সাহায্যে বেস্ট কোয়ালিটির ছবি, ভিডিও ও সেল্ফি ক্যাপচার করতে পারবেন।
এর ১২০Hz স্ক্রিন রিফ্রেশ রেট ফোনটিকে স্মুথভাবে পারফর্ম করতে সাহায্য করে থাকে।
এই ডিভাইসের সাইডে থাকা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি আপনাকে নিমেষের মধ্যে স্ক্রিন খুলতে সাহায্য করে।
এর ৫০+২+২ এমপি ব্যাক এবং ১৬ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা আপনার সমস্ত ফটোগ্রফির ডিমান্ড পূরণ করে দিতে পারে।
মূল্য: আনুমানিক ১২,৯৯৯ টাকা।
ফিচার:
– ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা
– ১৬ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
– ১২০Hz স্ক্রিন রিফ্রেশ রেট
– শক্তিশালী হেলিও চিপসেট
– ৩৩ ওয়াট ডার্ট চার্জিং সিস্টেম
– এক্সপ্যান্ডেবল ইন্টারনাল স্টোরেজ
– সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
কেন কিনবেন ?
এই মোবাইলের ৪ জিবি RAM-এর সাহায্যে অপারেশন খুবই দ্রুত ও মসৃণ হয়ে ওঠে।
এর শক্তিশালী ব্যাটারী এই মডেলটিকে অনেকটাই দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে।
এই ডিভাইসের 4G VoLTE কানেক্টিভিটি আপনাকে বাধাহীনভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
এই মডেলের আধুনিক গ্রাফিক কার্ড, আপনার গেমিং এক্সপেরিএন্সকে আরও উন্নত করে তোলে।
তাই, আপনি এই ফোনে খুব ভালোভাবেই মাল্টিটাস্কিং করতে পারেন।
৭. Samsung Galaxy A13:
সমসাঙের মতো ব্র্যান্ডেড মোবাইল কোম্পানির এই Samsung Galaxy A13 মডেলটি ১৫ হাজার টাকার মধ্যে অন্যতম সেরা একটা মোবাইল।
এর ৬৪ জিবি ইন্টারনাল মেমরি স্টোরেজ আপনাকে অসংখ্য মিডিয়া ফাইল স্টোর করতে সাহায্য করে।
৪ জিবি RAM-এর মাধ্যমে এই ডিভাইসটি আপনাকে দারুণভাবে মাল্টিটাস্কিং করতে দেয়।
এর একটি হাই-কোয়ালিটি রিয়ার ৫০ এমপি ক্যামেরা রয়েছে, যেটি অসাধারণ কোয়ালিটির ছবি তুলতে পারে।
মূল্য: আনুমানিক ১৪,৯৯৯ টাকা।
ফিচার:
– ৬.৬ ইঞ্চি ফুল-এইচডি স্ক্রিন
– ২.২ GHz অক্টাকোর প্রসেসর
– ইউএসবি C-টাইপ চার্জিং সিস্টেম
– অ্যান্ড্রয়েড ১২.০ অপারেটিং সিস্টেম
– ৫০০০ এমএএইচ লং-লাস্টিং ব্যাটারী
– ৫০ এমপি রিয়ার ক্যামেরা ও ৮ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
কেন কিনবেন ?
৬.৬ ইঞ্চি এলসিডি স্ক্রিনের সাহায্যে এই মোবাইলটি একদম ঝকঝকে ছবি ও ভিডিও দেখাতে সক্ষম।
৫০০০ এমএএইচ লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারী খুব দ্রুত চার্জ হয় ও অনেকক্ষণ চার্জ ধরতে রাখতেও পারে।
৪ জিবি RAM ও অক্টাকোর প্রসেসর এই মোবাইলটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তোলে।
আর, ইউএসবি C-টাইপ চার্জিং-এর সাথে এই মোবাইলটি খুব সহজেই চার্জ হয়ে যায়।
৮. Motorola Moto G52:
দীর্ঘক্ষণ ধরে মোবাইল ব্যবহার করতে চাইলে, Motorola Moto G52 মডেলটি হতে পারে, আপনার কাছে সেরা একটা অপশন।
এর ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি আপনাকে অনেকক্ষণ ধরে বিনা চার্জ ছাড়াই মোবাইলটি ব্যবহার করতে দেয়।
পি-ওলেড টাইপ মাল্টি-টাচ ডিসপ্লে আপনার মুভি দেখার এক্সপেরিয়েন্সটিও খাসা করে তোলে।
মূল্য: আনুমানিক ১৪,৪৯৯ টাকা।
ফিচার:
– 4G VoLTE কানেক্টিভিটি
– ১৬ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
– ট্রিপল ব্যাক ক্যামেরা মডিউল
– কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট
– অ্যান্ড্রয়েড ১২ অপারেটিং সিস্টেম
– ১ টিবি পর্যন্ত এক্সপ্যান্ডেবল ইন্টারনাল স্টোরেজ
– ৫০০০ এমএএইচ টার্বো পাওয়ার চার্জিং ব্যাটারী
কেন কিনবেন ?
১৬ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা ও ৫০+৮+২ এমপি রিয়ার ক্যামেরা একে সেল্ফি-লাভারদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় করে তুলেছে।
অক্টাকোর হওয়ার জন্যে এর প্রসেসরটি কোনোরকমের ল্যাগ ছাড়াই মাল্টিটাস্কিং করতে সক্ষম।
কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট, এই মোবাইলটিকে এন্টারটেইনমেন্ট ও গেমিংয়ের জন্যে একেবারে সেরা একটা অপশনে পরিণত করেছে।
৯. Vivo T1 44W:
Vivo T1 44W মডেলটির আধুনিক ও স্লীক ডিসাইন, একে অনেকটাই আকর্ষণীয় মডেলে পরিণত করেছে।
এর ডিসপ্লের মধ্যেই রয়েছে স্ক্রিন আনলক করার স্মার্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর।
যাতে, আপনি সহজেই নিজের ফোন আনলক করে নিতে পারবেন।
এর ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ স্পেস আপনাকে একাধিক বড় সাইজের মিডিয়া আরামসে সেভ করতে দেবে।
মূল্য: আনুমানিক ১৪,৪৯৯ টাকা।
ফিচার:
– ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
– ৬.৬ ইঞ্চি ফুল-এইচডি+ ডিসপ্লে
– অ্যান্ড্রয়েড ১২ অপারেটিং সিস্টেম
– ৫০+২+২ এমপি রিয়ার ও ১৬ এমপি ক্যামেরা
– ৪ জিবি RAM ও কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট
– ৪৪ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জসহ ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারী
কেন কিনবেন ?
ফুল-এইচডি ও এমোলেড ডিসপ্লে আপনাকে সব অ্যাঙ্গেল থেকেই দুর্দান্ত পরিষ্কার ছবি দেখায়।
১৬ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা, আপনাকে ব্যাপক সেল্ফি তুলতে সাহায্য করে।
১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ স্পেস আপনাকে বিনা বাধায় যত খুশি মিডিয়া স্টোর করতে দেয়।
এই মোবাইলটি ফাস্ট চার্জিং সিস্টেমের সাহায্যে ২৮ মিনিটের মধ্যে ৫০% চার্জ করতে সক্ষম।
৪ জিবি RAM-এর সাহায্যে আপনি যত ইচ্ছে মাল্টিটাস্কিং করে ফেলুন।
১০. iQOO Z6 5G:
iQOO Z6 5G মডেলটি লেটেস্ট 5G ইন্টারনেট টেকনোলজি সাপোর্ট করে।
এই মডেলটির সাথে আসে ইউএসবি C-টাইপ ডাটা কেবিল, যাতে আপনি খুব দ্রুত চার্জ করে নিতে পারেন আপনার ডিভাইসটিকে।
এই ডিভাইসটির ৫০+২+২ এমপি রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে, এর ফলে আপনি খুব ভালোভাবেই ভিডিও ও ছবি তুলতে পারবেন।
১২০hz স্ক্রিন রেট এই মডেলটিকে খুবই দ্রুত ও মসৃণভাবে পারফর্ম করতে সাহায্য করে।
মূল্য: আনুমানিক ১৩,৯৯৯ টাকা।
ফিচার:
– স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর
– ১২০hz ফুল-এইচডি ডিসপ্লে
– ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ
– ৫০, ২ ও ২ এমপি রিয়ার ক্যামেরা
– ৫০০০ এমএএইচ শক্তিশালী ব্যাটারী
– ৪ জিবি সুপারফাস্ট এক্সটেন্ডেড RAM
কেন কিনবেন ?
এই মডেলটির স্লিম ও স্টাইলিশ ডিজাইনটি বেশ নজরকাড়া।
এর স্ন্যাপড্রাগন 5G প্রসেসর একে যথেষ্ট স্মুথ ও ব্যবহাকারী-বান্ধব ফোন রূপান্তরিত করেছে।
এই মোবাইলের ৫০ এমপি অটো ফোকাস ক্যামেরা আপনাকে প্রফেশনাল কোয়ালিটির ছবি তুলতে সাহায্য করে।
পরিশেষে:
উপরিউক্ত সব মডেলগুলোরই মূল্য সময় বিশেষে ওঠানামা করলেও, এদের মূল্য ১৫,০০০ হাজার টাকার মধ্যেই থাকে।
আপনি আপনার পছন্দমতো যেকোনো একটা মডেল নির্বাচন করতেই পারেন।
১৫ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ফোন নিয়ে লেখা তালিকাটি (List of best android mobile phones under 15,000) এখানেই শেষ হল।
তালিকাটি থেকে কোন ফোনটি আপনাদের কাছে সেরা মনে হয়েছে, সেটা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।