NewsTechnology

ফাইভজি টাওয়ার কি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর

নেটওয়ার্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে বর্তমানে ফাইভজির প্রসার ঘটছে

সেলফোনের নেটওয়ার্ক সরবরাহে টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলো অঞ্চলভেদে টাওয়ার বসায়। টাওয়ারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সরবরাহের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আগে থেকেই আলোচনা-সমালোচনা চলে আসছিল। নেটওয়ার্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে বর্তমানে ফাইভজির প্রসার ঘটছে। আর এ ফাইভজি নেটওয়ার্কের টাওয়ার মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কিনা সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

মেলবোর্নের একদল গবেষক শহরের বিভিন্ন টাওয়ার থেকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গপ্রবাহের মাত্রা তদারক ও পর্যালোচনা শেষে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে সেলুলার নেটওয়ার্কের উন্নতি মানবদেহে ক্ষতিকর কোনো প্রভাব ফেলে না। এবিসি নিউজ এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দেশটিতে ফাইভজি নেটওয়ার্কের প্রসার নিয়ে যে মিথ বা কুসংস্কার রয়েছে সেটি প্রতিহতে কাজ করছে অস্ট্রেলিয়ার রেডিয়েশন প্রটেকশন অ্যান্ড নিউক্লিয়ার সেফটি এজেন্সি (আরপানসা বা এআরপিএএনএসএ)।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অস্ট্রেলিয়ায় পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সেলুলার নেটওয়ার্ক চালুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রধান শহরে আন্দোলন চলে আসছে। সমালোচকদের দাবি, এ প্রযুক্তি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি।

আরপানসার দলটি অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বে হার্স্টব্রিজ থেকে পশ্চিমে হপারস ক্রসিং এবং ফ্রাঙ্কস্টনের কাছাকাছি স্কাই পর্যন্ত ৫০টির বেশি টাওয়ারের তরঙ্গপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করেছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় ফাইভজি নেটওয়ার্কের আউটপুট পরীক্ষা করল। রেডিও তরঙ্গের আউটপুট ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে পরিবর্তিত হলেও আন্তর্জাতিক কমিশনের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় আলাদা নিয়ম করা হয়েছে। সে হিসেবে তরঙ্গপ্রবাহ প্রতি বর্গমিটারে ২ থেকে ১০ ওয়াটের মধ্যে থাকবে। ডান্ডেনং পাহাড়ে থাকা টাওয়ার থেকে সবচেয়ে বেশি নির্গমনের তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ড. হেন্ডারসন বলেন, আমাদের জরিপের তথ্যানুযায়ী যেখানে সবচেয়ে বেশি তরঙ্গপ্রবাহ পাওয়া গিয়েছে সেটিও অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে ৭০০ ভাগ নিচে। সেই সঙ্গে এ তরঙ্গপ্রবাহ রেডিও ব্রডকাস্টিং টাওয়ার থেকে আসছিল। তার তথ্যানুযায়ী, শহরের অন্যান্য অংশ থেকে তরঙ্গ নির্গমনের মাত্রা নির্ধারিত সীমার তুলনায় দুই হাজার ভাগ কম। এবিসি নিউজের তথ্যানুযায়ী, একটি সাধারণ মাইক্রোওয়েব এক হাজার ওয়াট ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শক্তি ব্যবহার করে, যেখানে সেলফোনে দুই ওয়াটেরও কম শক্তি ব্যবহূত হয় এবং এটি ধারাবাহিকও নয়।

ড. হেন্ডারসন আশা প্রকাশ করে বলেন, চলতি বছরের শেষে ভোটের ফল প্রকাশ করা হলেও সেটি ফাইভজি নিয়ে কম জানাশোনা ব্যক্তিদেরও উপকার করবে। ফাইভজি ও রেডিও তরঙ্গের বিষয়ে দেশে নানা ধরনের গুজব ও কুসংস্কার ছড়ানো হচ্ছে। এ জরিপ পরিচালনার পর এগুলো ভিত্তিহীন হয়ে পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রে একই বিষয়ে আলোচনা শুরু হলে সিভিল এভিয়েশন সেফটি অথরিটি জানুয়ারিতে ফাইভজি টাওয়ারের কারণে রেডিও আল্টিমিটারে কোনো ক্ষতি হলে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পাইলটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button