Smartphone News

রিফারবিশড ফোন মানে কি ?

Refurbished phone কেনাটা কি ভালো হবে ?

এখনের সময়ে আপনারা যদি online shopping site গুলোতে গিয়ে দেখেন তাহলে প্রায় প্রত্যেক বড় মোবাইল কোম্পানি গুলোর refurbished phones আপনারা পেয়ে যাবেন।

এমনিতে, এই ধরণের মোবাইলের দাম অরিজিনাল দাম থেকে কম থাকলেও সে কেবল কিছুটা কম থাকে।

তবে, দাম কম হলেও অনেকেই বুঝতেই পারেননা যে আসলে রিফারবিশড কি বা রিফারবিশড ফোন বলতে কি বুঝায়, আর যার জন্য কেনার ইচ্ছা থাকলেও তারা মোবাইলটি কিনতে পারেননা।

তাই চলুন, রিফারবিশড মানে কি সেটা আগে জেনেনেই।

Refurbished meaning in Bengali । রিফারবিশড মানে কি

এমনিতে refurbished শব্দের মানে হলো পুনর্নির্মাণ করা।

মানে, একটি জিনিস বা প্রডাক্ট কে যাচাই করে সেটাকে আবার নতুন হিসেবে ঠিক ঠাক করে পুনর্নির্মাণ করা।

এখন যদি মোবাইলের ক্ষেত্রে বলা হয় তাহলে অনেক সহজ ভাবে আপনাকে রিফারবিশড এর মানে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

যখন আমরা কোনো online বা offline market থেকে mobile কিনে থাকি তখন প্রত্যেক মোবাইলের একটি warranty period থাকে।

এবং, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যদি নতুন মোবাইল কেনার ১ সপ্তাহের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে আমরা সেই মোবাইল দোকানে / সার্ভিস সেন্টারে ঘুরিয়ে দিতে পারি।

এবার, এইযে ঠিক করতে না পারা মোবাইলটি দোকান বা সার্ভিস সেন্টার মোবাইলের আসল কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে দিবে।

এর পর, কোম্পানি সেই খারাপ মোবাইলের সম্পূর্ণ যাচাই করে ঠিক ঠাক করে সেটাকে আবার নতুন হিসেবে তৈরি করবেন।

মোবাইলটি ঠিক করার পর company আবার সেটাকে বাজারে বিক্রির জন্য ছাড়বে।

তবে এবার মোবাইল টিকে নতুন হিসেবে নয় তবে refurbished / renewed mobile হিসেবে ছাড়া হবে।

তাহলে সোজা ভাবে বললে,

নতুন মোবাইল গুলোকে কোনো Charging, heating, displaydefect, hardware & software issues বা problems এর জন্যে যখন গ্রাহক দ্বারা return করা হয় তখন সেগুলোকে কোম্পানির দ্বারা আবার নতুনের মতোই ভালো ভাবে ঠিক ঠাক করে আবার বাজারে ছাড়া হয়।

এই ধরণে কোম্পানির দ্বারা renew করা মোবাইল গুলোকেই বলা হয় refurbished mobiles.

তাহলে আশা করছি refurbished Bengali meaning আপনারা হয়তো সম্পূর্ণ ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন।

 Refurbished মোবাইল এর প্রকার

এখন, অনেকেই হয়তো জানেননা যে refurbished আবার দুই ধরণের হতে পারে।

একটি হলো, Brand certified refurbished এবং আরেকটি হলো কেবল refurbished.

এখন এই দুই ধরণের রিফারবিশড এর প্রকারের মধ্যে কি পার্থক্য রয়েছে সেটা জেনে রাখাটা অনেক জরুরি।

Brand certified refurbished: এই ধরণের রিফারবিশড মোবাইলের ক্ষেত্রে যখন মোবাইলে কোনো সমস্যার জন্য সেটাকে গ্রাহক দ্বারা return করা হয় তখন মোবাইলের অরিজিনাল ম্যানুফ্যাকচারার দ্বারা official ভাবে মোবাইলটি ভালো করে ঠিক করা হয়।

Refurbished: এই ধরণের কেবল রিফারবিশড মোবাইল গুলোকে খারাপ হওয়ার পর কোনো local engineer বা third party repair centre থেকে ঠিক করানো হয়।

তবে, যদি আপনি একটি রিফারবিশড মোবাইল কেনার কথা ভাবছেন, তাহলে আমার পরামর্শ থাকবে brand certified refurbished mobile কিনুন।

কারণ, এক্ষেতের আপনি official warranty এবং service পেয়ে থাকবেন এবং কোম্পানির ভরসা অবশই থাকছে।

রিফারবিশড ফোন এর দাম কেন কম থাকে ?

যদি আপনি ওপরে ভালো করে বিষয় গুলো পড়েছেন তাহলে অবশই বুঝতে পারবেন যে কেন refurbished মোবাইল গুলোর দাম কম হয়।

দেখুন, কোম্পানির দ্বারা ঠিক ঠাক করে দিলেও এই ধরণের মোবাইল গুলোকে কোনো সমস্যার জন্য রিটার্ন (return) করা হয়েছে।

এবং এবার সেই সমস্যা গুলোকে খুঁজে সেগুলোকে repair করে তারপর মোবাইল গুলো বিক্রি করা হয়।

এখন, হতে পারে রিফারবিশড মোবাইল গুলো কোম্পানির দ্বারা একেবারেই নতুন ভাবে ভালো করে দেওয়া হয়, কিন্তু তা বলে মোবাইল গুলোকে একেবারে নতুন বলা যাবেনা।

আর যদি refurbished mobile price এবং new mobile price সমান রাখা হয়, তাহলে অবশই প্রত্যেকেই কেবল new mobile phones কিনবেন।

এটাই কারণ যার জন্যে রিফারবিশড ফোন গুলোর দাম কিছুটা কম রাখা হয় যাতে গ্রাহকেরা কম বাজেট সহ মোবাইল এর মডেল গুলো কিনতে পারেন।

Refurbished smartphones আপনারা অনলাইনে Flipkart, amazon এবং প্রায় বেশিরভাগ e-commerce website গুলোতেই পাবেন।

Refurbished Grading মানে কি ?

যেকোনো mobile company তার brand এর নাম জনসাধারণের মধ্যে ভালো রাখার জন্য কখনো গ্রাহক কে ঠকাবেন বা ভুল প্রোডাক্ট বিক্রি করবেননা।

আর তাই, Refurbished করা প্রত্যেক আলাদা আলাদা মোবাইলের মধ্যে কতটুকু সমস্যা ছিল সেটার ওপরে নির্ভর করে মোবাইল গুলোকে Refurbished Grading দেওয়া হয়।

যত ভালো গ্রেড থাকবে ততটাই সাধারণ সমস্যা সেই মোবাইলে ছিল বলে আপনারা ভাবতে পারবেন।

Grade A: এটা সব থেকে ভালো গ্রেড এবং এই ধরণের গ্রেড এর মধ্যে রাখা মোবাইল গুলোতে অনেক সামান্য রকমের কিছু সাধারণ defect বা minor scratches থাকার কারণে সেগুলোকে refurbished করানো হয়। এমনিতে মোবাইল অনেক ভালো এবং নতুন কন্ডিশনে থাকে।

Grade B: এই grade এর মধ্যে রাখা মোবাইল গুলোতে কিছুটা physical damage থাকে যার কারণে এগুলোকে ভালো করে refurbished মোবাইলের লিস্টে রাখা হয়।

Grade C: এই ধরণের রিফারবিশড ফোন গুলো কোম্পানি দ্বারা বিক্রি করা হয়না। এগুলো, কোনো গ্রাহকের ব্যবহার করা ফোন যেগুলোকে কোনো seller দ্বারা repair করে আবার বিক্রি করা হয়। এই ধরণের পুরোনো ফোন গুলোকে দেখেই বুঝা যেতে পারে।

Grade D: এগুলো সব থেকে low grade এর refurbished mobile phone যেগুলোর মধ্যে অধিক বেশি discount পাবেন। কারণ, এগুলো কোনো গ্রাহকের ব্যবহার করা মোবাইল যেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে second hand হয়ে থাকে।

Refurbished phone কেনাটা কি ভালো হবে ?

দেখুন refurbished মোবাইল অনেকেই কিনেন এবং এই ধরণের মোবাইল কেনাটা যে খারাপ হবে সেটা একেবারেই সঠিক বলে বলা যেতে পারেনা।

কারণ, যদি আপনি অল্প ভালো করে যাচাই করে কিছু সাধারণ বিষয় গুলোর ওপরে নজর দিয়ে মোবাইল কিনে থাকেন,

তাহলে অবশই আপনি একটি ভালো, নতুন এবং কম্পানির ওয়ারেন্টির সাথে refurbished মোবাইল কিনে নিতে পারবেন সেটাও original price থেকেও কম দামে।

তাই, যদি আপনি মোবাইল ভালো করে দেখে শুনে নিচ্ছেননা, তাহলে হতে পারে আপনি রিফারবিশড হিসেবে খারাপ মোবাইল নিচ্ছেন।

এবং, এই ক্ষেত্রে হতে আপনি বলবেন যে রিফারবিশড মোবাইল কেনাটা খারাপ।

কিন্তু, আমি বলবো যে নজর দিয়ে রিফারবিশড মোবাইল কিনলে আপনি একটি ভালো মোবাইল অনেক কম দামে কিনে নিতে পারবেন।

কেন refurbished মোবাইল লোকেরা কিনেন ?

  • Testing: Defected phones গুলোকে company যখন repair করে সেগুলোকে refurbished হিসেবে তৈরি করে তখন একটি নতুন মোবাইলের মতোই সেগুলোকেও ভালো করে testing করা হয়। মোবাইলের প্রত্যেকটি অংশের সঠিক ভাবে যাচাই করার পর সেগুলোকে refurbished হিসেবে বাজারে বিক্রি করা হয়।
  • Return policy: প্রায় প্রত্যেক কোম্পানির একটি Return policy থাকে যেখানে যদি customer এর ধরে দেওয়া দিনের (১০ দিন) ভেতরে product টিকে return করতে হয় তাহলে mobile return করে টাকা ফেরত নিতে পারবেন। তাই, refurbished mobile কেনার সময় এই বিষয়ে যাচাই অবশই করবেন।
  • Warranty: অবশই একটি কোম্পানির দ্বারা বিক্রি করা মোবাইল এর মধ্যে কোম্পানির তরফ থেকে warranty আপনারা পাবেন। মূলত ৬ মাসের ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়। তাই, এই সময়ের ভেতরে মোবাইলে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আপনারা mobile service centre এর থেকে ফ্রীতে মোবাইল repair করিয়ে নিতে পারবেন। তাই, মোবাইল কেনার সময় অবশই আগে দেখে নিবেন যে কোম্পানির থেকে ওয়ারেন্টি দেওয়া হচ্ছে তো।
  •  Accessories: আপনাকে মোবাইলের সাথে original mobile accessories দেওয়া হবে কি না সেটাও দেখে নিবেন।

রিফারবিশড ফোন কেনার লাভ গুলো

এবার আমরা রিফারবিশড ফোন কেনার কিছু লাভ গুলোর বিষয়ে জেনেনিব।

  • দেখুন এই ধরণের মোবাইল কেনার সব থেকে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ লাভ হলো, মোবাইল অনেক কম দামেই পাবেন। প্রায় ২০% থেকে ৬০% discount আপনারা পেতে পারবেন।
  • আপনি একটি ভালো mobile brand এর দামি মডেল কিনে নিতে চাইছেন তবে আপনার budget কম, এক্ষেত্রেও অনেকেই কম টাকা দিয়ে ভালো ব্র্যান্ড এর দামি মোবাইল কেনার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
  • যা আমি ওপরেই বললাম, রিফারবিশড ফোন গুলোর একটি return policy থাকে যার জন্যে কিছুদিন ব্যবহার করার পর ধরে দেওয়া সময়ের মধ্যে যদি মোবাইল রিটার্ন করতে চান তাহলে সেটাও সম্ভব। তাই, return policy দেখে মোবাইল কিনবেন।
  • অবশই, brand new mobile এর মতোই refurbished mobile এর ক্ষেত্রেও কম্পানি warranty দিয়ে থাকে।
  • একটি ভালো grade এর রিফারবিশড ফোন কিনলে একেবারে নতুন এর মতোই দেখতে মোবাইল পাবেন।
  • কোনো সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কেনার থেকে রিফারবিশড মোবাইল ফোন অনেক ভালো।

রিফারবিশড ফোন কিনলে কি কি ক্ষতি হতে পারে ?

  • এই ধরণের মোবাইলের সাথে অনেক সময় original charger বা headphones ইত্যাদি দেওয়া হয়না।
  • নতুন মোবাইলের তুলনায় ওয়ারেন্টি কিন্তু অনেক কম দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৬ মাসের warranty দেওয়া হয়। কিন্তু নতুন মোবাইলে ১ বছরের ওয়ারেন্টি থাকে।
  • অনেক সময় packing নতুন মোবাইলের মতো নাও থাকতে পারে।
  • Defect থাকা মোবাইল গুলোকে repair করে এই ধরণের মোবাইল গুলোকে বাজারে বিক্রি করা হয়। তাই, কপাল খারাপ থাকলে সেই সমস্যা আবার দেখা দিতেও পারে।

আজকে আমরা কি শিখলাম ?

তাহলে বন্ধুরা, আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানলাম রিফারবিশড কি (refurbished Bangla meaning) এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন বলতে কি বুঝায়

What is refurbished mobile নিয়ে লিখা আমাদের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে,

তাহলে আর্টিকেলটি অবশই শেয়ার করবেন এবং কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্ট করতে পারবেন।

বন্ধুরা, যদি আপনাদের budget অনেক কম তবে একটি ভালো মোবাইল কিনে নিতে চাইছেন, তাহলেই ভালো grade এর একটি রিফারবিশড ফোন দেখতে পারেন।

তবে, যদি দামের মধ্যে কেবল ২ থেকে ৩ হাজারের পার্থক্য রয়েছে তাহলে আমি পরামর্শ দিবো নতুন মোবাইল কেনার।

অনেকেই রিফারবিশড মোবাইল ব্যবহার করেছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকের মোবাইল অনেক ভালো ভাবে কাজ করছে।

তাই, যেটাই কিনবেন ভালো করে যাচাই করে সবটা দেখেই কিনবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button