সাগর পরিষ্কার করবে রেজরের তৈরি নতুন স্মার্ট রোবট
বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারন গুলোর মধ্যে একটি হলো সমুদ্র বা মহাসাগর দূষণ
বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারন গুলোর মধ্যে একটি হলো সমুদ্র বা মহাসাগর দূষণ। আর এই মহাসাগর বা সমুদ্র দূষণ এর সবচেয়ে বড় কারণ হল প্লাস্টিক বর্জ্য পদার্থগুলো মহাসাগরে নিক্ষেপ করা। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবছর সারা বিশ্বজুড়ে মহাসাগর এবং সমুদ্রগুলিতে ১১ মিলিয়ন টনেরও বেশি প্লাস্টিকের বর্জ্য নিক্ষেপ করা হয়। এর ফলে সমুদ্র তো দূষিত হচ্ছেই, সাথে সামুদ্রিক জীব গুলি প্লাস্টিকের সংস্পর্শে আসছে এবং পরবর্তীতে মানুষ সামুদ্রিক প্রাণী গুলোকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করায় বিভিন্ন জটিল ও ভয়াবহ রোগ দেখা দিচ্ছে।
তবে সম্প্রতি জানা গেছে জনপ্রিয় গেমিং ইন্ডাস্ট্রি “রেজর” প্রথমবারের মতো মহাসাগর দূষণ রোধ করতে ক্লিয়ারবট নামের এক সংস্থার সহায়তায় সৌর বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত ওয়াটার ড্রোন তৈরিতে কাজ করছে। ওয়াটার ড্রোনটি মহাসাগর থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য সংগ্রহ এবং বর্জ্য গুলি পুনর্ব্যবহারের জন্য কাজ করবে। আরো জানা যাচ্ছে, সংস্থাদুটি ২০২২ সালের মধ্যে মহাসাগর থেকে ১০০ টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। রেজার সম্প্রতি বিশ্ব মহাসাগর দিবস উদযাপনে ঘোষণা করে যে গত কয়েক মাস ধরে সংস্থাদুটি সমুদ্রগুলো পরিষ্কার করার জন্যেও একটি বিশেষ জলের ড্রোন তৈরির জন্য কাজ করছে। ক্লেয়ারবট জানিয়েছে, সাগর-পরিষ্কারের রোবটটি নিয়ে আপাতত জলাশয়ে পরিক্ষা করা হচ্ছে। তারা জানায় রোবটিতে ট্র্যাশ শনাক্ত করতে একটি অনবোর্ড ক্যামেরা সেন্সর এবং ভিশন এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
বর্জ্য পদার্থ গুলি সনাক্তকরণের পরে, রোবটটি আবর্জনা সংগ্রহ করবে এবং এটিকে তীরে আনবে। এবং রেজার, সংগ্রহ করা বর্জ্য পদার্থগুলো পুনর্ব্যবহারের জন্য কিছু পুনর্ব্যবহারকারী সংস্থার সাথেও কাজ করবে। আরো জানা গেছে, রেজার এক্স ক্লেয়ারবট রোবটটি ১০০০ গিগাবাইট পর্যন্ত ডেটা সংগ্রহ করতে পারবে এবং সমুদ্রের মধ্য দিয়ে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেই নেভিগেট করতে সক্ষম হবে, যার ফলে রোবটটি সাগর থেকে বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি মহাসাগরের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রেও কাজ করবে। তাই বলাই চলে, সংস্থা দুটি যে বিশাল লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে কাজ তা সত্যিই প্রশংসনীয়।