কম্পিউটার আজ আমাদের প্রত্যেকের ঘরে এবং দপ্তরে রয়েছে এবং কম্পিউটার ছাড়া আজ কিছুই কল্পনা করাটা অসম্ভব।
সেটা আপনার কাজ হোক, পড়াশোনা, এন্টারটেইনমেন্ট বা গবেষণা, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই কম্পিউটার জরুরি।
চলুন, নিচে আমরা সরাসরি কম্পিউটার এর রচনাটি দেখেনেই।
কম্পিউটার রচনা – সূচনা:
আধুনিক সভ্যতায় বিজ্ঞানের অনেক গুলো অবদানের মধ্যে একটি হল কম্পিউটার।
এই যন্ত্রের আবিষ্কার মানুষের জীবনকে করে তুলেছে, অনেক সহজ ও দ্রুততর।
মূলত, কম্পিউটার বা গণকযন্ত্র বলতে প্রথমেই আমাদের মনে আসে একটি মনিটর, একটি কীবোর্ড, একটি মাউস ও একটি সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ।
কম্পিউটার যন্ত্র মূলত কাজ করে ইনপুট, প্রসেসিং ও আউটপুট পদ্ধতির মাধ্যমে।
অর্থাৎ, কীবোর্ড বা মাউসের মাধ্যমে আমরা কোনো নির্দেশ কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটে পাঠাই মনিটরের দ্বারা। সেই নির্দেশ গ্রহণ করে, বিশ্লেষণ করে সিপিইউ।
এই বিশ্লেষণ হয়ে যাওয়ার পর, সিপিইউ মনিটরের মাধ্যমে সেই নির্দেশের উত্তর আমাদেরকে প্রদান করে থাকে।
আর এই সমস্ত পদ্ধতিটি সম্পন্ন করতে কম্পিউটারের লাগে মাত্র কয়েক মাইক্রোসেকেন্ড।
তাই, মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভগ্নাংশে একটি গণকযন্ত্র কত সহজেই আমাদের কতরকমের কাজ করে দিতে সক্ষম।
আর, আজকে আমাদের এই রচনার বিষয় হল কম্পিউটার, তার সুবিধা-অসুবিধা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার।
গণকযন্ত্র ব্যবহার করে আমরা অনলাইন বাণিজ্য, অনলাইন ব্যাঙ্কিং, ও নানা ধরণের প্রয়োজনীয় কাজ করে থাকি।
আগে একটা কম্পিউটারের আকার ছিল একটা ঘরের সমান আর এখন আমাদের মুঠোফোন বা এন্ড্রোইড ফোনই হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান যুগের ছোট কম্পিউটার।
এই সময়ে একটা ডেস্কটপ ব্যবহার করে যেসব কাজ করতে পারি, তা আরও সহজেই করে নিতে পারি মুঠফোন ব্যবহার করে।
এখন দেখা যাক, কম্পিউটার ব্যবহার করে আমরা কি কি সুবিধা ও অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকি –
কম্পিউটারের সুবিধা এবং অসুবিধা
মানবজাতির কল্যাণসাধনে এই কম্পিউটার প্রযুক্তির জুড়ি মেলাভার।
তা সত্ত্বেও, এই যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কতকগুলো সুবিধা ও অসুবিধা।
প্রথমে জানা যাক এই যন্ত্রের সুবিধাগুলো সম্পর্কে।
১. বিশাল আকারের তথ্যভান্ডার:
সারা বিশ্বের কোটি কোটি তথ্য এক নিমেষেই খুঁজে পাওয়া যায় ঘরে বসেই, যদি থাকে একটি গণকযন্ত্র ও ইন্টারনেট পরিষেবা।
এছাড়াও, বর্তমান সময়ের কম্পিউটার গুলোতে তথ্য সঞ্চিত রাখার জন্যে অনেক মেমরি স্টোর করা থাকে।
যাতে, আপনি সহজেই আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহে রাখতে পারেন এবং তার জন্যে আপনাকে বাস্তবে কোনোরকম কোনো স্থানের ব্যবহারও করতে হবে না।
শুধু ভার্চুয়ালি আপনার সমস্ত তথ্য থেকে যাবে কম্পিউটারে।
২. ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবহার:
ইন্টারনেট মাধ্যমের ব্যবহার কেবলমাত্র কম্পিউটারের মতো কোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমেই করা সম্ভব।
আর এই ইন্টারনেট মাধ্যম হল অফুরন্ত ডাটা বা তথ্যভান্ডারের চাবিকাঠি।
যা খুলে দিতে পারে অসীম জ্ঞান ও তথ্যের দরজা।
ইন্টারনেট প্রযুক্তির সাহায্যেই মানুষ অনলাইন বা ভার্চুয়ালি যেকোনো কাজ করতে সক্ষম।
চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়া থেকে ফেসবুকে নতুন বন্ধু খুঁজে পাওয়া সবটাই নির্ভর করে আছে এই কম্পিউটার বা ইন্টারনেট প্রযুক্তির উপর।
৩. অনুসন্ধানের কাজে:
একটি গণকযন্ত্র মানেই, তা সহজে হিসাব-নিকাশ করতে সক্ষম।
আর এই যন্ত্রের আবিষ্কারের পিছনে মূল উদ্দেশ্যই ছিল সহজ ও দ্রুত ক্যালকুলেশন।
যাই হোক, এই যন্ত্রের প্রকৃত সুবিধা হল অত্যন্ত সহজেই তথ্য সঞ্চয়ের পদ্ধতি ও দ্রুত সার্চ রেজাল্ট পেয়ে যাওয়া।
আর ঠিক এই কারণেই, নানা ধরণের অনুসন্ধানের কাজে, যেকোনো বিষয়ের গবেষকেরা কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে থাকেন।
৪. মাল্টিমিডিয়া বা মাল্টিটাস্কিং-এর সুবিধা:
একটি কম্পিউটার একসাথে অনেকগুলো কাজ করতে সক্ষম।
এখনকার কম্পিউটারগুলোতে দ্রুততর প্রসেসর থাকে, যার সাহায্যে গণকযন্ত্র চোখের নিমেষে একাধিক কাজ করতে ও তার ফলপ্রকাশ করতে সক্ষম।
শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার ব্যবহার করে আপনি গান শুনতে পারেন, হিসাব-নিকাশ করতে পারেন আবার সোশ্যাল মিডিয়াও ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও, এই যন্ত্রগুলোতে থাকে নানান ধরণের সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন।
এইগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই গান শোনা, ভিডিও গেম খেলা কিংবা সিনেমা দেখা যায়।
কম্পিউটারের অসুবিধা এবং অপকার
এবার আমরা জানি, কম্পিউটারের কিছু কিছু অসুবিধা সম্পর্কে।
১. আসক্তি:
বিশ্বের বহু মানুষ এই কম্পিউটার ব্যবহারের নেশায় আটকে পড়ে যায়।
এর ফলে, তারা তাদের নিত্য-নৈমিত্তিক জীবনযাপনে প্রবল অনীহাতে ভোগে।
এই আসক্তির ফলে বহু মানুষের সাধারণ জীবনযাপনে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।
সর্বোতভাবে, তা শরীর ও মনের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব বিস্তার করছে।
২. শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি:
কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকার ফলে, চোখে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এতে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসে। এছাড়াও, দিনে ৭-৮ ঘন্টার বেশি কম্পিউটার যন্ত্রের ব্যবহার স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
এই ধরণের যন্ত্র থেকে নানান ধরণের ক্ষতিকর রশ্মির সৃষ্টি হয়।
যা আমাদের শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
এছাড়াও, একটানা কম্পিউটার যন্ত্র ব্যবহার করলে মাথা, ঘাড় ও পিঠে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. কম্পিউটার প্রযুক্তির অপব্যবহার:
প্রযুক্তির সুব্যবহার যেমন আছে, তেমনিই আছে প্রযুক্তির কুব্যবহার।
এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা নিজের স্বার্থের জন্যে কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করে অন্যের ক্ষতিসাধন করেন।
কম্পিউটার ও ইন্টারনেট মাধ্যমের সবথেকে ক্ষতিকারক দিক হল সাইবার বুলিং, সাইবার ক্রাইম, ও আরও অন্যান্য দিক।
শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটার এর গুরুত্ব
এই যন্ত্রনির্ভর বর্তমান সভ্যতায় শিক্ষা ক্ষেত্রেও কম্পিউটারের বহুল ব্যবহার প্রচলিত রয়েছে।
পৃথিবীর প্রায় সমস্ত দেশেই শিশুদের স্কুলজীবন থেকেই কম্পিউটার ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করা হয়ে থাকে।
যাতে ভবিষ্যতে তারা কম্পিউটার যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে সম্যক ধারণার অধিকারী হয়।
কোভিড পরিস্থিতিতে বর্তমানে সমস্ত শিক্ষাব্যবস্থাই যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিই দাঁড়িয়ে প্রায় সমস্ত বিদ্যার্থীরাই অনলাইন মাধ্যমে তাদের স্কুল ও কলেজের ক্লাস করে চলছে।
তাই, সর্বোপরি বলাই যায়, শিক্ষা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনস্বীকার্য।
শিক্ষা জগতে কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহারে নানান ক্ষেত্রে উন্নতি সাধিত হয়েছে,
সেগুলো হল-
১. সহজভাবে শিক্ষা প্রদান:
ডিজিটাল স্কুলিং-এর চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটেছে কেবলমাত্র কম্পিউটার প্রযুক্তির সর্বাঙ্গীন উন্নতির ফলেই।
ছোট বাচ্চাদের কার্টুনচিত্রের দ্বারা শিক্ষাদান থেকে শুরু করে প্রাপ্ত-মনস্ক বিদ্যার্থীদের কম্পিউটার এসিস্টেড লার্নিং (CAL) প্রদ্ধতির মাধ্যমে ইতিহাস, ভূগোল ও নানা বিষয় সম্বন্ধে দৃশ্য-শ্রাব্য মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে।
সনাতন শিক্ষা পদ্ধতির তুলনায় এই পদ্ধতিতে ছাত্র-ছাত্রীরা অধ্যায়ন করতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
এই পদ্ধতির ব্যবহারে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনেক প্রাসঙ্গিকভাবে শিক্ষাদান করতে সক্ষম হন।
অন্যদিকে, পড়ুয়াদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতেও এই পদ্ধতি বেশ উপকারী।
২. শিক্ষার্থীর শিক্ষাবিষয়ক মূল্যায়ন:
কম্পিউটার ম্যানেজড ইন্সট্রাকশন পদ্ধতির সাহায্যে শিক্ষকরা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মূল্যায়ন খুব সহজেই করতে পারছেন।
এছাড়াও, এই পদ্ধতিতে তাদের তথ্য সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করাও অনেক সহজ হয়ে উঠেছে।
CMI-এর সাহায্যে পাঠ্যক্রম নির্ধারণকারী ও প্রণয়নকারীরা খুব সহজেই তাদের কার্য পরিচালনা করতে পারেন।
কম্পিউটার-বেসড ইন্সট্রাকশনের মাধ্যমে বিদ্যার্থীরা কোনোরকম অসুবিধা ছাড়াই নিজেদের পাঠ্যসূচি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়ে যাচ্ছে।
৩. উচ্চ শিক্ষায় কম্পিউটার প্রযুক্তি:
চিকিৎসা, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি ও অন্যান্য উচ্চশিক্ষার প্রসারে নানা ধরণের প্রযুক্তির ব্যবহার করে ব্যবহারিক শিক্ষার দ্রুত প্রসার ঘটানো হচ্ছে।
ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, অটো ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং-এর মতো অত্যাধুনিক বিষয়গুলো ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক বেশি যুক্তিসঙ্গতভাবে এই সব উচ্চ শিক্ষার সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞানলাভ করতে সক্ষম হচ্ছে।
৪. শিক্ষামূলক গবেষণার ক্ষেত্রে কম্পিউটার প্রযুক্তি:
ভারতের মতো বিভিন্ন দেশে কৃষি, রাজনীতি, অর্থনীতি ও অন্যান্য বিষয়ে অনেক শিক্ষামূলক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণার ক্ষেত্রে নানান ধরণের তথ্যের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
আর, এখানেই কম্পিউটার প্রযুক্তির সাহায্যে গবেষণারত ছাত্র-ছাত্রীরা সাধারণ ডাটাবেস বা তথ্যভান্ডার থেকে সারা বিশ্বের গবেষণামূলক প্রকাশনার খোঁজ খুব সহজেই পেয়ে থাকে।
এছাড়াও, বিভিন্ন কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করে অধ্যাপকেরা নানাধরণের প্রানোচ্ছল উপস্থাপনা করে থাকেন, যা তাদের শিক্ষাপ্রদানের ক্ষেত্রে এক অন্যমাত্রার সৃষ্টি করতে পারে।
৫. পরীক্ষার সার্বিক মূল্যায়ন ও প্রগতিপত্র নির্মাণ:
এই প্রজন্মে অনলাইন বা ইন্টারনেট মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারটা বেশ প্রচলিত হয়েছে।
প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতির ফলে, যন্ত্রের সাহায্যে সহজেই পরীক্ষা নেওয়া থেকে শুরু করে, উত্তর মেলানো, নম্বরদান সম্পূর্ণটাই নির্ভুলভাবে হয়ে চলেছে।
ভারতের মতো দেশে সরকারি-বেসরকারি অনেক পরীক্ষাই অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নেওয়া হয়ে থাকে।
এছাড়াও, রেজাল্ট ঘোষণার সময়ও তা কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্রদানের সফটওয়্যার ব্যবহার করে, মানুষের সাহায্য ছাড়াই কম্পিউটার সঠিক রেজাল্ট পেশ করতে সক্ষম।
পরীক্ষার নম্বর নির্ধারণের ক্ষেত্রে বহুল জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হল অপটিক্যাল মার্ক রিডার (OMR)।
৬. তথ্য সংরক্ষণ, প্রশাসনিক পরিচালনা ও লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা:
শিক্ষাক্ষেত্রের প্রায় সমস্ত ব্যবস্থাটাই যেহেতু অনলাইন মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, তাই কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছাত্রী-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে সমস্ত স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠানের সব রেকর্ড অনলাইন ডাটাবেসে নথিভুক্ত থাকছে।
যেহেতু, কম্পিউটার প্রযুক্তিতে তথ্যভান্ডার তথাকথিতভাবে সীমাবদ্ধ নয়।
সেই কারণেই, এখানে তথ্য সঞ্চয় ও পরিচালনা শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনেক পরিশীলিত ও সুপরিকল্পিত করে তুলেছে।
নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই কম্পিউটার যন্ত্র ব্যবহার করে সমস্ত তথ্যাবলী, ও কার্যাবলী একত্রে নথিভুক্ত করে রাখে।
এছাড়াও, এই কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করে বিদ্যার্থীদের রেকর্ড, তাদের প্রদেয় বেতনের হিসেবের পাশাপাশি, শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মীদের বেতনের হিসেবে খুব সহজেই রাখা যায়।
অন্যদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিগুলোতে বইয়ের সংখ্যা, বইয়ের দেওয়া-নেওয়ার হিসেবে সমস্ত কিছুটাই কম্পিউটার যন্ত্রের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
উপসংহার:
বিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে, গণকযন্ত্র ব্যতীত জীবন পরিকল্পনা করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
আর এই যন্ত্রের অস্তিত্ব না থাকলে, মানুষের জীবনযাত্রা জটিল ও মন্থর হয়ে তো পড়তোই, উল্টে সভ্যতার এত দ্রুত উন্নতিও হয়তো সম্ভবপর হতো না।
এখন কম্পিউটার প্রযুক্তি এসে দাঁড়িয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপর।
পরীক্ষামূলকভাবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ইতিমধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুরুও হয়ে গেছে।
তার কারণ, এরপর মানুষ ধীরে ধীরে অনেকটাই যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়বে, যেখানে মানুষ যন্ত্রের উপর নির্ভর করে নিজেদের নিত্য-নৈমিত্তিক কার্য সম্পন্ন করবে, সেই সব দিন আসতেও আর খুব বেশি দেরি নেই।
আমাদের আজকের কম্পিউটার বাংলা রচনাটি (computer essay in Bengali) এখানেই শেষ হল।
অনুচ্ছেদ কম্পিউটার রচনাটি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যেম জানাবেন।