মাদকদ্রব্য কাকে বলে? ঔষধ ও মাদকদ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য কী?
যে দ্রব্য গ্রহণের ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে এবং ঔ দ্রব্যের প্রতি নির্ভরশীলতা সৃষ্টির পাশাপাশি দ্রব্যটি গ্রহণের পরিমাণ ক্রমশই বাড়তে থাকে এমন দ্রব্যকে মাদকদ্রব্য বলে। যেমন : গাঁজা, হেরোইন ইত্যাদি।
যারা মাদকসেবী তারা বিভিন্ন পদ্ধতি ও মাধ্যমে মাদকদ্রব্য সেবন করে। যেমন : ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো, ট্যাবলেট, পাউডার বা সিরাপ হিসেবে খাওয়া, পানীয় হিসেবে পান করা, ধূমপানের মাধ্যমে গ্রহণ করা।
তামাক ও মাদকদ্রব্য সেবনের কুফল
- মাদকদ্রব্য মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
- মাদকসেবী পরিবারের সদস্যদের সাথে উগ্র আচরণ করে, পরিবারের শান্তি বিনষ্ট করে।
- মাদকদ্রব্য সেবন মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষকে ধ্বংস করে, খাদ্যাভাস নষ্ট করে, চোখের দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয়।
- কিছু কিছু মাদক এইচআইভি ও হেপাটাইটিস বি-এর সংক্রমণের আশংকা বাড়িয়ে দেয়। খাদ্যনালি ও ফুসফুসের ক্যান্সার, কিডনির রোগ, রক্তচাপ প্রভৃতি বহুবিধ রোগের সৃষ্টি করে।
- নেশার টাকা জোগাতে গিয়ে মাদকসেবীরা সংসারে অভাব ও অশান্তির সৃষ্টি করে।
ঔষধ ও মাদকদ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য কী?
ঔষধ ও মাদকদ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ—
১। ঔষধ সেবন করলে রােগমুক্তি ঘটে, মাদক সেবনে শরীরের নানা রােগের সৃষ্টি হয়।
২। ঔষধ গ্রহণের মাত্রা নির্ধারিত থাকে, মাদকের মাত্রা নির্ধারিত থাকে না।
৩। অসুখ সেরে গেলে ঔষধ খাওয়ার প্রয়ােজন হয় না, কিন্তু মাদকে আসক্ত হলে সহজে ছাড়া যায় না।