পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২২)
প্রশ্ন-১। স্বাভাবিক তাপমাত্রা বা আদর্শ তাপমাত্রা কাকে বলে?
উত্তরঃ অন্যান্য ভৌত অবস্থা পরিবর্তিত থাকলে স্বাভাবিক চাপে যে তাপমাত্রায় বরফ গলতে শুরু করে বা পানি বরফ হতে শুরু করে সেই তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বা আদর্শ তাপমাত্রা বলে। অতএব, 0°C বা 273K হলো আদর্শ তাপমাত্রা।
প্রশ্ন-২। পিছট ত্রুটি কী? এই ত্রুটি কিভাবে পরিহার করা যায়?
উত্তরঃ দীর্ঘদিন ব্যবহার করার ফলে স্ক্রু গজের স্ক্রু কিছুটা ঢিলে হয়ে পড়ে। ফলে স্কুকে উভয় দিকে একই পরিমাণ ঘুরালে সমান দূরত্ব যায় না। একে পিছট ত্রুটি বলে। পাঠ নেওয়ার সময় স্ক্রুকে একই দিকে ঘুরিয়ে এই ত্রুটি পরিহার করা যায়।
প্রশ্ন-৩। বর্ণালী কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো মাধ্যমে প্রতিসরণের ফলে যৌগিক আলোর বিচ্ছুরণের জন্য মূল রঙের যে পট্টি পাওয়া যায় তাকে বর্ণালী বলে।
প্রশ্ন-৪। ক্যাথেটার কাকে বলে?
উত্তরঃ এনজিওগ্রাফি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত সরু ও নমনীয় নলকে ক্যাথেটার বলে।
প্রশ্ন-৫। গলন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো তরল পদার্থের কঠিন অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়াকে গলন বলে।
প্রশ্ন-৬। বিগ ব্যাং কাকে বলে?
উত্তরঃ বিজ্ঞানীদের ধারণা, সুদূর অতীতে এক মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি হয়েছিল। এ ঘটনাকে বিগব্যাং বলে।
প্রশ্ন-৭। যান্ত্রিক শক্তির নিত্যতার সূত্র কি?
উত্তরঃ যান্ত্রিক শক্তির নিত্যতার সূত্রটি হলো : কোনো সংরক্ষণশীল ব্যবস্থায় (সংরক্ষণশীল বলের ক্ষেত্রে) গতিশক্তি ও বিভবশক্তির সমষ্টি ধ্রুবক অর্থাৎ মোট শক্তি ধ্রুবক।
প্রশ্ন-৮। এক ফ্যারাড কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো পরিবাহীর বিভব এক ভোল্ট বৃদ্ধি করতে যদি এক কুলম্ব চার্জের প্রয়োজন হয়, তবে ঐ পরিবাহীর ধারকত্বকে এক ফ্যারাড বলে।
প্রশ্ন-৯। হল বিভব পার্থক্য কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন তড়িৎবাহী পরিবাহককে চৌম্বক ক্ষেত্রে স্থাপন করলে তড়িৎপ্রবাহ ও চৌম্বকক্ষেত্র উভয়ের সাথে লম্ব বরাবর যে বিভব পার্থক্যের সৃষ্টি হয় তাকে হল বিভব পার্থক্য বলে।
প্রশ্ন-১০। অস্থায়ী চৌম্বক কি?
উত্তরঃ কিছু চৌম্বক পদার্থ আছে যাদেরকে চৌম্বকক্ষেত্রে আনলে তা চুম্বকে পরিণত হয় আবার চৌম্বক ক্ষেত্র অপসারণ করলে চৌম্বক ধর্ম বিলুপ্ত হয় এই ধরনের চুম্বকই অস্থায়ী চুম্বক।
প্রশ্ন-১১। মুক্তিবেগ কাকে বলে?
উত্তরঃ সর্বনিম্ন যে বেগে কোনো বস্তুকে খাড়া উপরের দিকে নিক্ষেপ করলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না সেই বেগকে মুক্তিবেগ বলে।
প্রশ্ন-১২। পোস্ট অফিস বক্স কী? এই যন্ত্রটিকে পোস্ট অফিস বক্স বলা হয় কেন?
উত্তরঃ পোস্ট অফিস বক্স হুইটস্টোন ব্রিজের নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরী একটি রোধ মাপক যন্ত্র। পোস্ট অফিসে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফের তারের রোধ নির্ণয়ে এক সময় এই যন্ত্র ব্যবহৃত হতো বলে একে পোস্ট অফিস বক্স বলা হয়।
প্রশ্ন-১৩। স্থিরাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর তাপমাত্রা সঠিকভাবে নির্দেশ করার জন্য তাপমাত্রার একটি স্কেল প্রয়োজন। তাপমাত্রার স্কেল তৈরির জন্য দুটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রাকে স্থির ধরে নেওয়া হয়। এই তাপমাত্রা দুটিকে স্থিরাঙ্ক বলে।
প্রশ্ন-১৪। অবাস্তব প্রতিবিম্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বিন্দু হতে নিঃসৃত আলোক রশ্মিগুচ্ছ কোনো তলে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবার পর যদি দ্বিতীয় কোনো বিন্দু হতে অপসারিত হচ্ছে বলে মনে হয়, তবে ঐ দ্বিতীয় বিন্দুটিকে প্রথম বিন্দুর অবাস্তব প্রতিবিম্ব বলে।
প্রশ্ন-১৫। নক্ষত্র কখন কৃষ্ণগহ্বর হয়?
উত্তরঃ কোনো নক্ষত্রের ভর যখন পাঁচ সৌর ভরের চেয়ে বেশি হয় তখন সুপার নোভা বিস্ফোরণের পর নক্ষত্রের ভর যদি খুব বেশি হয় তখন এর অন্তর্বস্তু অনির্দিষ্টভাবে সংকুচিত হতে থাকে। এভাবে যে বস্তু তৈরি হয় তাকে কৃষ্ণগহ্বর বলে।
প্রশ্ন-১৬। এক্স-রে কি?
উত্তরঃ এক্স-রে হল ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এক ধরনের তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ। এর অপর নাম রঞ্জন রশ্মি। দ্রুতগতি সম্পন্ন ইলেকট্রন কোনাে ধাতুকে আঘাত করলে তা থেকে অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যের এবং উচ্চ ভেদনক্ষমতা সম্পন্ন অজানা প্রকৃতির এক প্রকার বিকিরণ উৎপন্ন হয়। এ বিকিরণকে এক্সরে বলে।
প্রশ্ন-১৭। ডায়নামো কি?
উত্তরঃ ডায়নামো এক ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র যা যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রুপান্তরিত করে। ডায়নামো প্রধানত দুই প্রকার। যথা : এ. সি. ডায়নামো ও ডি. সি. ডায়নামো।
প্রশ্ন-১৮। সুপারনোভা কাকে বলে?
উত্তরঃ সূর্যের ভরের তুলনায় অনেক ভারী নক্ষত্রগুলো জ্বালানী শেষ হলে এর ভিতর সংকোচন অত্যন্ত তীব্র হয় এবং মূল অংশের ঘনত্ব এত বেড়ে যায় যে, প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়ে এরা মৃত্যুবরণ করে। এই প্রচণ্ড বিস্ফোরণকে সুপার নোভা বলে।
প্রশ্ন-১৯। এ মহাবিশ্বের মোট সম্মিলিত চার্জ কি শূন্য?
উত্তরঃ এ মহাবিশ্বের সম্মিলিত মোট চার্জ শূন্য কিনা-তা এখনো বলা সম্ভব হয় নি। তবে মহাবিশ্বের মোট ধনাত্মক চার্জ এবং মোট ঋণাত্মক চার্জের সাংখ্যিক মানের পার্থক্য সর্বদাই ধ্রুব।
প্রশ্ন-২০। আলোকের বিচ্ছুরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ সাদা আলোক রশ্মি প্রিজমের মধ্য দিয়ে প্রতিসরণের ফলে সাতটি মূল বর্ণের আলোতে বিভক্ত হওয়াকে আলোকের বিচ্ছুরণ বলে।