আর্টিকেল
খাদ্য বিষক্রিয়া কী? খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিবিধান।
যে খাদ্য বা পানীয় গ্রহণের ফলে খাদ্যনালির ও পাকস্থলির অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু দ্বারা বিষাক্ত হয় তাই খাদ্য বিষক্রিয়া নামে পরিচিত।
খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ
সাধারণত ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) দ্বারা সংক্রমিত অথবা টক্সিন (Toxin) বা বিশেষ ধরনের জৈববিষ দ্বারা খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ব্যাকটেরিয়া, নানাভাবে প্রবেশ করে। যেমন : খাবার তৈরি করে অনেকক্ষণ রেখে দেওয়া, খাবার তৈরির আগে, তৈরির সময় এবং পরে বাজার থেকে সংক্রমিত খাদ্যদ্রব্য ক্রয়ের সময়, ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গের সংস্পর্শে প্রভৃতি বিভিন্নভাবে খাদ্য বিষাক্ত হতে পারে। এছাড়া বিষাক্ত জীবজন্তুর মাংস, বিষাক্ত জীব-জন্তুর সাথে নির্গত রোগজীবাণু দ্বারা সংক্রমিত খাদ্য, অপরিষ্কার হাত দিয়ে তৈরি খাদ্য, বিষক্রিয়ার আক্রান্ত হাঁস মুরগির মাংস, প্রভৃতিও খাদ্যে বিষক্রিয়ার অন্যতম কারণ।
খাদ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ
ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষিত খাবার থেকে পাকস্থলীর অন্ত্রে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। ফলে বমি বমি ভাব, বমি, তলপেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা এবং পানিশূন্য হয়ে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। আর টক্সিনজাত বিষাক্ত খাদ্য শরীরের জন্যে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করে। বমি, কোষ্ঠবদ্ধতা, দৃষ্টিশক্তির বিকৃতি, স্নায়ুর পক্ষাঘাত, দুর্বলতা প্রভৃতি উপসর্গ প্রকাশ পায়। এ ধরনের ফুড পয়জনিংকে বটিউলিজম বলা হয়। এরূপ বিষক্রিয়ার লক্ষণ খাদ্য গ্রহণের ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পরে দেখা যায়। যথাসময়ে চিকিৎসা গ্রহণ না করলে রোগী কয়েক দিনের মধ্যে মারা যায়।
খাদ্যে বিষক্রিয়ার প্রতিবিধান
খাদ্য প্রস্তুত করার পূর্বে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
সংক্রমণ থেকে খাদ্যকে সুরক্ষিত করার জন্যে খাদ্যের প্রস্তুতি, সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নিরাপদ দূষণমুক্ত পানি পান করতে হবে।
কাঁচা তরিতরকারি, মাছ-মাংস যাতে রান্না করা খাবারের সংস্পর্শে না থাকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
রান্না করা খাবার নির্ধারিত তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রান্নার কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে হবে।