কম্পিউটারের ইতিহাস- The History of Computer Part 05
ইন্টারনেট
ইন্টারনেট আসলে একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। একটি কম্পিউটারের সঙ্গে অন্য কম্পিউটারের সংযােগ সাধন করা সম্ভব হয় বলেই এ নেটওয়ার্কে অস্তিত্ব আছে। টেলিয়ােগাযােগ ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি কম্পিউটারকে অন্যটির সাথে যুক্ত করা হয়। ওই যােগাযােগ সম্ভব হয় সাধারণ কিছু নিয়ম বা রীতি প্রতিপাদনের ফলে। ওই সাধারণ নিয়ম বা রীতির নাম প্রটোকল ।
এই প্রটোকলগুলাে সফটওয়ার নির্ভর। তবে তার সঙ্গে হার্ডওয়ারের সংযােগ আছে। টিসিপি/আইপি এরকম একটি প্রটোকলের নাম। এই শব্দ দুটির প্রথমটিতে যােগাযােগ এবং দ্বিতীয়টিতে ইন্টারনেট পরিচালনার সূত্র নিহিত। টিসিপি মানে ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল এবং আইপি মানে ইন্টারনেট প্রটোকল’। অন্য অনেক উচ্চতর প্রযুক্তির মতাে ইন্টারনেটের সূত্রপাতও সামরিক উদ্দেশ্য থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ তথ্য প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে যথেষ্ট পৃষ্ঠপােষকতা রয়েছে। যুদ্ধ সরঞ্জামে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে এ
প্রযুক্ত সহায়তা পেয়েছে অনেক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের মাধ্যমে ইন্টারনেটের উদ্ভব হলেও তার উপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিয়ন্ত্রণ রাখা হয় নি । ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই প্রযুক্তির উন্নয়নের দায়িত্ব বেসরকারি খাত, সরকার এবং বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর অর্পণ করে। ওয়েব বা ইন্টারনেটের উপর কার্যত এখন কারাে নিয়ন্ত্রণ নেই। ওয়েব এর বিষয়াদি দেখাশুনা করে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে একটি কনসােটিয়াম (কয়েকটি সংস্থার সম্মিলিত সংগঠন সংক্ষেপে ওয়েব থ্রি সি)।
এ কনসাের্টিয়াম একটি অলাভজনক সংস্থা। ওয়েবের বিভিন্ন মান বা কীভাবে তা পরিচালিত হবে তা তারাই ঠিক করে । ইন্টারনেট বলতে অনেক সময় আমরা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বুঝিয়ে থাকি। টেক্সট, গ্রাপিকস, হাইপারটেক্সট ও মালিমিডিয়া এ সব কিছুর সমন্বয়ে এটি গঠিত। ওয়েব ব্রাউজার প্রােগ্রামের সাহায্যে ওয়েব পেজ খুঁজে বের করতে হয়। তবে ইন্টারনেট মানে শুধু ওয়েব নয়। ওয়েবের আর্বিভাবের পূর্বেই গােফার, এফটিপি’র মাধ্যমে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা পরস্পরের মধ্যে সংযােগ রক্ষা করতেন।
তবে আজকের দিনের ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তার মূলে যে ওয়েব তা নিয়ে বােধ করি সন্দেহের কোনাে অবকাশ নেই। ওয়েব যে কি প্রভাব বিস্তার করছে বিশ্বের কম্পিউটার মনস্ক ব্যক্তিদের মাঝে তার তুলনা পাওয়া কঠিন। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই ওয়েব পেজের সংখ্যা ০ থেকে কোটি কোটিতে পরিণত হয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জুন ১৯৯৯ নাগাদ সারা বিশ্বে ইন্টারনেই ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ১৭৯ মিলিয়ন বা ১৭ কোটি ৯০ লক্ষ। তার মধ্যে ১০২ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ২০ লক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্রে ও কানাডায়। ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপাচ্য ও অনুন্নত দেশগুলােতে ছিল মাত্র ৮ লক্ষ। এ থেকে অবশ্য বােঝা যায়, ইন্টারনেটের যে বিস্ফোরণের কথা আমরা বলছি, তা মূলত উন্নত বিশ্বের গুটি কতক দেশেই সীমাবদ্ধ।
ওয়েব পেজ ডােমেইন নামে রেজিস্ট্রেশন বা তালিকাভূক্তির দায়িত্ব পালন করে নেটওয়ার্ক সলিউশন নামক যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান। ডট কম, ডট নেট ইত্যাদি নাম তারাই তালিকাভুক্ত করে। তাদের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া শীর্ষ দশটি দেশের তালিকায় আছে, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইডেন, স্পেন, ইটালি, চীন, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত।
দুটি উন্নয়নশীল দেশ এর মধ্যে ঢুকে পড়েছে। ৭৩ শতাংশ ওয়েব পেজের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের। বাকি ২৭ শতাংশ আছে ওই দশটি সহ অন্যান্য সব দেশের আয়ত্তে। ইন্টারনেট ভরে আছে বিভিন্ন ধরনের সম্পদে। এগুলাে আছে বিভিন্ন সাইটে পৃথক পৃথক ফাইলরূপে। ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী এগুলাে ওয়েব পেজে লােভ হয়। তাছাড়া, ওয়েব পেজে থাকে বিভিন্ন হাইপারলিংক। যখন যেখানেই তিনি থাকুক না কেন, একটা লিংকে ক্লিক করলেই ব্যবহারকারী চলে যান ভিন্ন একটি স্থানে, বা ভিন্ন একটি পাতায়। এভাবে তিনি বিভিন্ন ধরনের সাইটের সন্ধান লাভ করেন।
এই কাজগুলাে নির্বিঘ্নে সমাধা করা হয় এইচটিটিপি প্রটোকল ব্যবহার করে। ওয়েবের হাইপারটেক্সট ফাইল স্থানান্তরের রীতিটির নাম হাইপারটেক্সই ট্রান্সফার প্রােটোকল বা এইচটিটিপি। হাইপারটেক্সট এমন এক ধরনের পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনাে ডকুমেন্টকে বিভিন্ন লিংক সহ বিন্যস্ত করা যায়। ইন্টারনেট সংযােগ সাধারণের কী কাজে লাগে? কী করা যায় তাতে? ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সম্পদগুলােকে ব্যবহার করা যায়। ওয়েব সাইটে গিয়ে করার কাছে অনেক কিছু।
সকল শ্রেণীর সকল লােকের জন্যই ওয়েব পেজে কিছু না কিছু আছে। এক একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রথমেই তথ্য সংগ্রহ করার কথা মনে আসে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েব পেজ থেকে সাম্প্রতিক তথ্য সংগ্রহ করা যায়। যারা বিনােদনের জন্য উৎসুক, তারা সংগীতও সংগ্রহ করতে পারেন ।
ওয়েবে পাওয়া যায় বহু সফটওয়্যার। সেগুলাে সহজেই ডাউনলােড করা যায়। সাম্প্রতিক সংবাদ সংগ্রহের জন্যও ওয়েব আকর্ষণীয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে নতুন বন্ধুও যােগাড় করা যায়। আলাপ করা যায় তাদের সাথে। পাঠানাে যায় জন্মদিনে বা অন্য কোনাে বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা কার্ড । বিভিন্ন সফটওয়ার পরিচালনায় সমস্যা হলে তার সমাধানও পাওয়া যায়। নামী দামি বহু পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন থেকে নির্বাচিত নিবন্ধ কপি করে নেওয়া যায়। চাকরি বাকরির প্রয়ােজন থাকলে তার অনুসন্ধানও ওয়েব থেকে করা যায়।
যারা উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে ইহুক, তারা ইন্টানেটের মাধ্যমেই আবেদনপত্র জমা দিতে পারে। যে কোনাে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজেদের ওয়েব পেজে পণ্যের বা ব্যবসার প্রচার করতে পারে। তার ফলে সম্ভাব্য ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে পারে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রাপ্ত সুবিধাগুলাে ব্যবহার করে আরাে বহু কাজ করা যায়। ইন্টারনেট ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বহু ধরনের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। আগামিতে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেই কোনাে না কোনােভাবে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযােগ রাখতেই হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ই বাণিজ্য এবং ই-ব্যবসার প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ব্যাপকহারে। মানুষ অনেক কিছু কেনা-কাটার জন্য ইন্টারনেটের ওপরই নির্ভর করছে। ইন্টারনেট আরাে নানাভাবে প্রাত্যহিক জীবনকে বদলে দিচ্ছে। তার প্রতিক্রিয়া মানুষের ব্যক্তিগত জীবন-যাপনের ওপরে পড়তে পারে। এমন কি, বাসাবাড়ির খবরদারিও কম্পিউটারের উপর ছেড়ে দেওয়া যায়। ইন্টারনেট সংযােগের জন্য মডেম লাগে।
আগে টেলিফোন সংযােগ। বিশ্বের বহু দেশে টেলিযােগাযােগ কাঠামাে খুবই উন্নত। এতে ব্যবহৃত হচ্ছে স্যাটেলাইট বা ফাইবার অপটিক সংযােগ। বহু দেশ একে অপরের সাথে ফাইবার অপটিক সংযােগের সুবিধা নিতে পারে নি। এ জন্য বাংলাদেশকে প্রথমে এমন কোনাে দেশের সাথে যুক্ত হতে হয়, সেখানে তেমন সংযােগ আছে। এ কারণে ভিস্যাট ব্যবহার করে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমাদের ইন্টারনেট সুবিধা নিতে হয়। এ সেবা দেয় আইএসপি বা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রােভাইডার’ প্রতিষ্ঠানগুলাে।
ই-মেইল E Mail
১৯৬০’র দশকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ এডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি নেটওয়ার্ক (আরপানেট) নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার ব্যবহার করে পত্র যােগাযােগের জন্য রেমন্ড ইমলিসন একটি প্রােগ্রাম লেখেন। তার ফলে ইমেলের সূত্রপাত হয়। ইমেল নেটওয়ার্ক সংযােগের একটি প্রােগ্রাম। বিভিন্ন কম্পিউটারে টেক্সট ডাটা আদান-প্রদানের জন্য একটি কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড বা মানমাত্রা অনুসরণ করে এটি তৈরি করা হয়েছে। ই মেল তৈরি করা হয় প্রথাগত চিঠির মতাে করে।
যেমন : ]
১. প্রথমে কোনাে চিঠি লিখতে হয় ।
২. তারপর ইলেক্ট্রনিক খামে সেটিকে রাখতে হয়।
৩. তারপর সেটিকে পাঠানাে হয় ইলেক্ট্রনিক পােস্ট অফিসে। আসলে এই পােস্ট অফিসটি একটি মেল সার্ভার বা শক্তিশালী কম্পিউটার। এর কাজ হচ্ছে মেইলটিকে নির্দিষ্ট ঠিকানায় প্রেরণ করা। তা করতে গিয়ে ঠিকানাটি ডিকোড করতে হয়, দেখতে হয় সেটি কোথায় যাচ্ছে। এভাবে প্রাপকের মেইল সার্ভারে মেইলটি প্রেরণের দিকটি নিশ্চিত করা হয়।
৪, তারপর প্রাপকের সার্ভার সেটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদি কোনাে কারণে সেটি পাঠানাে না যায় (ভুল ঠিকানা, প্রাপকের মেইল সার্ভারের অস্তিত্ব না থাকা ইত্যাদি কারণে), তাহলে প্রেরককে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মেইলটি পাঠানাে সম্ভব হয় নি। ইমেল ঠিকানাকে চিহ্ন দিয়ে দু ভাগ করা হয়। এর প্রথম অংশে থাকা ব্যবহারকারীর পরিচয়, দ্বিতীয় অংশে থাকে কম্পিউটারের নাম (আসলে এটিও একটি সংখ্যা, সংখ্যাটিকে ভাষায় রূপান্তর করা হয়েছে)। ইমেল পাঠানাের জন্য পৃথক সফটওয়ারও আছে। একটি ইমেল একই সাথে অনেকের কাছেও পাঠানাে যায়। ইমেল দ্রুত ও অত্যন্ত স্বল্প ব্যয়ে যােগাযােগের সুবিধা দেয়। ইমেল যতই সুবিধার হােক না কেন, তা অনেক সময় যন্ত্রণারও কারণ হতে পারে।
অন্যের ইমেল ঠিকানা জানার বিভিন্ন উপায় ইন্টারনেটে আছে। এভাবে ব্যবসার বিজ্ঞাপন বা নিছক ঝামেলা সৃষ্টির জন্য কেউ কেউ অন্যদের রাশি রাশি ইমেল পাঠাতে পারে। এভাবে অবাঞ্ছিত ইমেল এসে ব্যবহারকারীর মেলবক্স ভরে ফেলতে পারে । এগুলােকে ভরে স্প্যাম । এগুলাে ফিল্টার করে বাদ দেওয়ার সুবিধা কোনাে কোনাে ইমেল সফটওয়্যারে থাকে। স্প্যাম’ শুধু কোনাে ব্যবহারকারীর জন্য নয়, আইএসপির জন্যও ঝামেলা সৃষ্টি করে থাকে।
ওয়েব পেজ। Web Page
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ শব্দটি প্রথমে ব্যবহার করেছিলেন টিম বার্নাস লি নামের এক বিজ্ঞানী। তিনি কাজ করতেন ইউরােপীয় পার্টিকল রিসার্চ সেন্টারে। ওয়েব ডকুমেন্টের ভিত্তি হচ্ছে এইচটিএমএল ভাষায় তৈরি ডকুমেন্ট। প্রতিটি ওয়েব পেজের নির্দিষ্ট ঠিকানা আছে। যার নাম ইউআরএল । ব্রাউজার এই ঠিকানা খুঁজে বের করতে পারে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব-এ আছে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট। এক একটি ওয়েব সাইটে একটি বা বহু ওয়েব পেজ থাকে। ওয়েব পেজকে ‘হােম পেজও বলে। ওয়েব পেজের আড়ালে আছে :
১. টেক্সই ফাইল বা তার কোড।
২, গ্রাফিক ফাইলের কোড।
৩. লিংক যার মাধ্যমে এক পাতা থেকে অন্য পাতায় কিংবা অন্য সাইটে যাওয়া যায়। ব্রাউজার এগুলাে থেকেই জেনে নেয় কিভাবে পৃষ্ঠাটি সাজাতে হবে, কী কী দেখাতে হবে। ইন্টারনেট সার্ভার থেকে টেক্সট ফাইলটি প্রথমে পাঠানাে হয়। তারপর গ্রাফিকস ফাইলটি পাঠানাে হতে থাকে। ইন্টারেনেটের মাধ্যমে অডিও বা ভিড়িও ফাইল অনেকেই দেখতে চান ? চলচ্চিত্র বা সংগীত থাকলে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। পুরাে ফাইল পাঠাতে অনেক সময় লেগে যায়। স্বভাবতই একজন সার্ভারের ধৈর্য হারিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া, ইন্টারেনেটে ব্যয়িত সময়ের মূল্যও কম নয়। তাই স্ট্রিমিং অডিও ভিডিও ব্যবহার করে এ সীমাবদ্ধতাকে কাটানাে হয় । শকওয়েভ (ম্যাক্রোমিডিয়ার তৈরি সফটওয়ার) বা রিয়েল অডিওর সাহায্যে এসব ফাইল ডাউনলােড করা যায়। তার ফলে ফাইল সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।
ডাউনলােড শুরু হওয়া সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলাে চলতে শুরু করে। ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে পৃথিবীতে ওয়েব পেজের সংখ্যা ছিল ৩২০ মিলিয়ন বা ৩২ কোটি। ২০০৮ এর শেষে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩০০ মিলিয়ন বা ১৩০ কোটি। একে রীতিমত বিস্ফোরণ বললেও কম বলা হয়। এ বিস্ফোরণের একটি অসুবিধার দিকও আছে। ওয়েব পেজের জন্য কোনাে প্রতিষ্ঠা বা পরিচিতি দরকার হয় না। যে কেউ ইচ্ছা করলে ওয়েব পেজ চালু করতে পারে। আবার আইএসপির কাছেও নিখরচায় অনেক সময় ওয়েব স্পেস পাওয়া যায়। এর ফলে ওয়েবে গুরুত্বহীন জিনিস আছে অনেক। গুণগত দিক থেকে খুবই নিম্নমানের জিনিসও আছে। এজন্যে গবেষকরা অনেক সময় এফটিপি বা গােফারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতে মনােযােগী হন। যা হােক, এত বেশি সাইট থাকার মানে হচ্ছে ব্যবহারকারীর আছে অনেক অপশন। অনেকের কাছে ইন্টারনেটে একটি প্রিয় কাজ হচ্ছে সার্ফিং করা। তার মানে হচ্ছে এক সাইট থেকে আরেক সাইটে যাওয়া ।