কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে?
নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে বিভিন্ন শক্তিস্তর বা কক্ষপথে ইলেকট্রনিকগুলো আবর্তিত হয়। কোন একটি ইলেকট্রন কোন শক্তিস্তরে আছে, শক্তিস্তরটি বৃত্তাকার না উপবৃত্তাকার এবং ইলেকট্রনটি নিজ অক্ষের চতুর্দিকে ঘড়ির কাঁটার দিকে না বিপরীত দিকে আবর্তন করে, এসব বিষয় প্রকাশের জন্য কয়েকটি সংখ্যার অবতারণা করা হয়। এ সংখ্যাসমূহই কোয়ান্টাম সংখ্যা নামে পরিচিত। অর্থাৎ পরমাণুতে অবস্থিত ইলেকট্রনের শক্তিস্তরের আকার, আকৃতি, শক্তিস্তরের বিন্যাস প্রকরণ এবং নিজ অক্ষের চতুর্দিকে আবর্তনের দিক প্রকাশক সংখ্যাসমূহকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। পরমাণুতে একটি ইলেকট্রনের অবস্থান সম্পূর্নরূপে তুলে ধরার জন্য চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার প্রয়োজন হয়। যথাঃ
১) প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা (Principal quantum number)
২) সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা (Subsidiary quantum number)
৩) ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা (Magnetic quantum number)
৪) স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা (Spin quantum number)
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা
বোরের মতবাদ অনুসারে পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে তার চতুর্দিকে কতকগুলো নির্দিষ্ট বৃত্তাকার শক্তিস্তরে ঘূর্ণায়মান। কোন একটি ইলেকট্রন কোন প্রধান শক্তিস্তর থেকে নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে আবর্তনশীল তা যে কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্যে প্রকাশ করা হয়, তাকে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। অর্থাৎ কক্ষপথ বা শক্তিস্তরের আকার প্রকাশ করা হয় যে কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্যে তাই প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা নামে পরিচিত।
প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যাকে ‘n’ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। n-এর মান 1, 2, 3, 4, 5 প্রভৃতি হতে পারে। n = 1 হলে ১ম শক্তিস্তর বা K-শেল বুঝায়। আবার n = 2 হলে দ্বিতীয় প্রধান শক্তিস্তর বা L-শেল বুঝায়। একইভাবে n = 3, 4, 5, 6 ইত্যাদি হলে ৩য়, ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ প্রধান শক্তিস্তর বা শেল বুঝায়। এগুলিকে যথাক্রমে M, N, O, P দ্বারা সূচিত করা হয়।
এখানে যা শিখলাম–