ইন্টারনেট (internet) এবং প্রযুক্তির (technology) প্রচুর ব্যবহার আজ প্রত্যেকেই করছেন।
বিভিন্ন electronic device এবং ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকেই প্রায় প্রত্যেক দিন বিভিন্ন রকমের ডাটা গুলোর আদান-প্রদান বা শেয়ার করে থাকি।
এক্ষেত্রে, প্রচুর ধরণের সাইবার অপরাধ (সাইবার ক্রাইম) হওয়ার কথা আপনারা হয়তো অবশই শুনেছেন যেখানে একটি network বা internet এবং একটি electronic device এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ গুলোকে করা হয়।
কিছু সাধারণ সাইবার অপরাধ গুলো যেমন,
- কম্পিউটার বা ডিভাইস হ্যাক করা।
- ডাটা চুরি করা।
- নেটওয়ার্ক হ্যাক করা।
- অবৈধ ভাবে সিস্টেমে প্রবেশ করে ডাটা নষ্ট করা।
- Unauthorized System Access.
- Social Network Fraud
- Identity Theft
- Servers hack বা destroy করা।
- বিভিন্ন অন্যান্য malicious attacks.
- Virus & Ransomware ছড়ানো ইত্যাদি।
এগুলোর বাইরেও প্রচুর অন্যান্য ধরণের cyber crime রয়েছে যেগুলো ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হচ্ছে।
এখন cyber security হলো, সেই প্রক্রিয়াটি যেখানে, computers এবং servers, mobile devices, electronic systems, networks এবং data ইত্যাদি গুলোকে malicious attacks থেকে প্রতিরক্ষা (defend) করা হয়।
সরাসরি বললে, সাইবার সিকিউরিটি হলো সেই কার্যকলাপ যেগুলোর মাধ্যমে একটি computer, server, device বা network ইত্যাদিকে cyber crime বা cyber attack গুলোর থেকে সুরক্ষা দেওয়া হয়।
চলুন, Cyber security কি, বিষয়টা নিচে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
সাইবার সিকিউরিটি কি ? (What is cyber security in Bangla)
সাইবার সিকিউরিটি বা সাইবার সুরক্ষা হলো এমন কিছু প্রযুক্তি, প্রক্রিয়া এবং অনুশীলন এর ভাগ যেগুলোকে ব্যবহার করা হয় networks, devices, programs এবং data গুলিকে সুরক্ষা প্রদান করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সাইবার আক্রমণ, ডাটা চুরি, ক্ষতি এবং অবৈধ এক্সেস থেকে।
Cyber security কে আবার information technology security বা Computer security বলেও বলা যেতে পারে।
বর্তমান সময়ে প্রায় প্রত্যেক সরকারি ও বেসরকারি সংগঠন, কোম্পানি ইত্যাদি গুলো বিভিন্ন রকমের জরুরি ডাটা গুলো তাদের কম্পিউটার ডিভাইস (computer device) এর মধ্যে সেভ করে রাখেন।
যেমন, ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক বিবরন বা তথ্য, গোপন তথ্য, গোপন ফাইল এবং ডকুমেন্ট ইত্যাদি এই ধরণের বিভিন্ন তথ্য (information) বা ডাটা একটি কম্পিউটারে থাকতেই পারে।
আর, যখন সেই কম্পিউটার ডিভাইস এর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় তখন তাকে একটি বিশাল নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত হতে হয়।
আর এই নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমেই কোনো হ্যাকার (hacker) বিভিন্ন মাধ্যমে কম্পিউটারে প্রবেশ করে সেখানে থাকা জরুরি data ও file গুলো চুরি করে নেওয়ার বা সেগুলো নষ্ট করে দেওয়ার সম্ভাবনা অবশই থেকে যায়।
সাইবার সিকিউরিটির (cyber security) মানে হলো, ইন্টারনেট এর মধ্যে আপনার ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক টিকে সুরক্ষা প্রদান করার একটি প্রক্রিয়া।
যখন আমরা ইন্টারনেটের ব্যবহার করে থাকি বা যেকোনো নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকি তখন বিভিন্ন রকমের বিপদ হওয়ার ভয় অবশই থেকে যায়।
কারণ যা আমি আগেই বললাম, hackers বা cyber crime এর সাথে সংযুক্ত থাকা ব্যক্তিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের সিস্টেম এর মধ্যে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে আমাদের ব্যক্তিগত ডাটা (personal data) গুলোর অবৈধ বা ভুল ব্যবহার করতে পারে।
আর এই ধরণের বিপদ গুলোকে বাধা দিয়ে একটি computer device, network, server ইত্যাদি কে সুরক্ষা প্রদান করার জন্য সাইবার সিকিউরিটি বা সাইবার সুরক্ষার ব্যবহার করা হয়।
আশা করছি, সাইবার সিকিউরিটি মানে কি বিষয়টা ভালো করে বুঝতে পেরেছেন।
সাইবার সিকিউরিটি কিভাবে কাজ করে ?
যা আমি আগেই বলেছি, cybersecurity হলো সেই প্রক্রিয়াটি যেখানে networks, devices বা programs গুলোকে যেকোনো ধরণের cyberattack থেকে রক্ষা (protect) বা পুনরুদ্ধার (recover) করা হয়।
Cybersecurity সেবা প্রদান করার জন্য Cyber Security expert দের একটি সংগঠন বা দল থাকেন যারা বিভিন্ন ধরণের programs, software বা hardware ইত্যাদি ব্যবহার করে আমাদের computer, device, network ইত্যাদির মধ্যে কিছু layers of protection যোগ করেন।
এই layers of protection (সুরক্ষা) গুলো যোগ করার ফলে আমাদের Network, Computer System, program, data বা server ইত্যাদি গুলো সুরক্ষিত থাকে এবং হ্যাকার রা কোনো ধরণের ক্ষতি সাধন করতে পারেনা।
এই প্রক্রিয়াতে একটি কম্পিউটার সিস্টেম এর সমস্যা এবং দুর্বলতা গুলোকে খুঁজে বের করা হয় এবং security violations থেকে system টিকে রক্ষা (protect) করা হয়।
Cyber security কেন জরুরি ?
- আমাদের কম্পিউটারে থাকা file, data, information ইত্যাদি গুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য cybersecurity জরুরি।
- বর্তমান সময়ে hackers এবং cyber criminals দের সংখ্যা প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের মাধ্যমে digital environment এর মধ্যে প্রচুর অপরাধ হয়েই থাকে। তাই, সাইবার সিকিউরিটির দ্বারা এই ধরণের hackers দের থেকে দূরে ও সুরক্ষিত থাকা যাবে।
- Banking এবং financial data গুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য Cyber Security অনেক জরুরি। কেনান, বর্তমানে প্রায় প্রচুর ঘটনা হয়ে থাকে যেখানে অবৈধ ভাবে ব্যক্তির bank account থেকে digitally টাকা চুরি করা হয়।
- National security এবং দেশের defense system সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে Cyber Security অনেক জরুরি।
- বর্তমানে বেশিরভাগ সরকারি এবং বেসরকারি দপ্তরে যেকোনো কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমেই করা হয়। এক্ষেত্রে, দপ্তরের সিস্টেম গুলোতে থাকা জরুরি information এবং data গুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য Cyber Security অতি প্রয়োজন। কোনো সরকারি দপ্তরের গোপনীয় ডাটা চুরি হয়ে যাওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার।
সাইবার সিকিউরিটির প্রকার গুলো কি কি ?
সাইবার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে ইউসারকে বিভিন্ন আলাদা আলাদা digital environment এর মধ্যে আলাদা আলাদা রকমের security issues এর ওপরে ভিক্তি করে সুরক্ষা প্রদান করা হয়।
বিভিন্ন ধরণের সাইবার ক্রাইম বা সাইবার অপরাধ গুলোকে বাধা দেওয়ার জন্য ৬ টি মূল সাইবার সিকিউরিটির প্রকার ব্যবহার হয়ে থাকে যেগুলো হলো –
Network & gateway security
এটাকে নেটওয়ার্ক সুরক্ষার প্রথম স্তর (layer) হিসেবে ধরা হয় যেখানে নেটওয়ার্ক এর incoming এবং outgoing traffic এর ওপরে নজর রাখা হয় এবং নেটওয়ার্ক এর মধ্যে চলে আসা যেকোনো ধরণের attack এবং threats গুলোকে বাধা দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে firewall security system এর ব্যবহার করা হয় যেটা এমন একটি ওয়াল (wall) তৈরি করে রাখে যেটার মধ্যে দিয়ে কেবল সুরক্ষিত request বা traffic প্রবেশ করতে পারবে।
এবং, অসুরক্ষিত threats গুলোকে এই wall টি প্রবেশ হতে দিবেনা।
Application security
এর মাধ্যমে, Network এর মধ্যে ব্যবহার করা application গুলোকে একটি সুরক্ষা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে পার হতে হবে।
এতে, যদি সেই application এর মধ্যে কোনো security issues দেখা দিয়ে থাকে বা এপ্লিকেশন টি অসুরক্ষিত হয়ে থাকে, তাহলে সেটাকে নেটওয়ার্ক থেকে বার করে দেওয়া হবে।
Data loss prevention (DLP)
এই প্রক্রিয়াটি করা হয় ডাটা (data) গুলোর সুরক্ষা বৃদ্ধি করানোর জন্য।
এই প্রক্রিয়াতে user এর প্রত্যেক data গুলোকে সম্পূর্ণ ভাবে encode করে দেওয়া হয় যেখানে মূলত SSL (Secure Sockets Layer) এর ব্যবহার করা হয়।
এর ফলে, data চুরি হওয়া বা লিক হওয়ার কোনো ভয় থাকেনা।
Email Security
Email এর মাধ্যমে হতে পারা ক্ষতি গুলোকে থামানোর জন্য ইমেইল সিকিউরিটির মাধ্যম গুলোকে ব্যবহার করা হয়।
আপনারা অনেক সময় দেখেছেন হয়তো জিমেইল এর মধ্যে অনেক সময় অনেক ইমেইল গুলো সরাসরি spam folder এর মধ্যে চলে আসে।
এটা হওয়ার কারণ হলো network এর মধ্যে email security বজায় রাখার জন্য Spam Filters লাগানো হয় যার মাধ্যমে ক্ষতিকারক ইমেইল গুলোকে উজার (user) থেকে দূরে রাখা যেতে পারে।
Network access control (NAC)
এই security process এর মাধ্যমে Unauthorized user এবং device গুলোকে network থেকে বাইরে রাখা হয় এবং user এর হিসেবে policy তৈরি করে নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত হওয়ার অধিকার প্রচুর সীমিত করে রাখা হয়।
কেবল অনুমোদিত (authorized) ইউসার বা ডিভাইস গুলো এই নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত হতে পারবে।
Antivirus Security
আমরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের কম্পিউটার সিস্টেম এর মধ্যে antivirus software এর ব্যবহার করে থাকি।
Antivirus software এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ভাইরাস গুলোর থেকে নিজের কম্পিউটার সিস্টেম টিকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারি।
প্রত্যেকের কম্পিউটারে একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার থাকা অনেক জরুরি।
এর মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষতিকারক কম্পিউটার ভাইরাস গুলো যেমন adware, trojan, ransomware এবং অন্যান্য malware গুলোর থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।
মনে রাখবেন, আমাদের কম্পিউটার গুলোতে প্রচুর জরুরি ডাটা এবং তথ্য গুলো থাকে।
তাই, একটি কম্পিউটারকে অবশই secure করে রাখা দরকার।
সাইবার সিকিউরিটির লাভ ও সুবিধা গুলো কি ?
- যেকোনো device এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের threats গুলো আক্রমণ করতে পারে যেমন, virus, spyware, worms, ransomware, adware, malware ইত্যাদি। এই ধরণের virus এবং malware গুলোর থেকে হতেপারা ক্ষতির থেকে বাঁচতে পারবেন।
- জরুরি ডাটা এবং তথ্য গুলো চুরি হওয়ার থেকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।
- Network এর মধ্যে সুরক্ষা প্রদান করা হয় এবং unauthorized user বা threats গুলোকে নেটওয়ার্ক এর মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়না।
- Online transaction গুলোকে সুরক্ষিত ভাবে করা সম্ভব।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা আশা করছি আপনারা সাইবার সিকিউরিটির বিষয়ে (about cybersecurity) সম্পূর্ণটা ভালো করে বুঝতে পেরেছেন।
ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকা অবস্থায় আমাদের প্রচুর সুরক্ষিত থাকা দরকার এবং অনেক ভেবে চিন্তে কার্যকলাপ গুলো করতে হয়।
নিজের online accounts গুলোতে শক্তিশালী (strong) password গুলোর ব্যবহার করতে হয় এবং কোনো ধরণের অবিস্বাসী ওয়েবসাইট এর মধ্যে প্রবেশ করে কোনো লিংক ক্লিক করতে হয়না।
কোনো অবিস্বাসী ওয়েবসাইট থেকে কোনো ধরণের ফাইল ভুলেও নিজের কম্পিউটারে ডাউনলোড ও ইনস্টল করবেননা।
তাহলে, সাইবার সিকিউরিটি কাকে বলে, বিষয়ে লিখা আমাদের এই আর্টিকেল ভালো লেগে থাকলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।