৫ হাজার টাকায় ব্যবসা করা যাবে ? যদি হে, তাহলে এতটা কম টাকা লাগিয়ে কি কি ব্যবসা আপনি করতে পারবেন ? বা কম পুঁজিতে করতে পারবেন এমন কিছু স্মল বিজনেস আইডিয়া (small business ideas in Bengali) গুলো কি, এই নিয়েই রয়েছে আমাদের আজকের আর্টিকেল।
ব্যবসা শুরু করতে গেলে তিনটি জিনিস অতি প্রয়োজনীয় – সময়, ধৈর্য্য আর মূলধন।
বর্তমানে, আমাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সবাই কম-বেশি নিজে রোজগার করার মতো পরিকল্পনা করে চলেছেন।
কেউ ৯-টু-৫ চাকরি করছেন আর কেউ বা করছেন নিজের ব্যবসা।
অনেক মানুষেরই বিভিন্ন কারণে প্রচুর মূলধনের বিনিময়ে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
অনেকেই অভিজ্ঞতা না থাকার ভয়ে কিংবা ব্যবসার সার্থকতা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করে অনেক সময়েই ব্যবসা শুরু করতে চান না।
আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো, এমন বেশ কয়েক ধরণের ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে, যাতে আপনি খুব কম মূলধন ব্যবহার করেই নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
যদি আপনাদের মূলধন ৫০০০ হাজার টাকার নিচে থাকে, তাহলে আপনি যে ধরণের ব্যবসা স্টার্ট করতে পারবেন, সেই বিষয়েই আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো –
৫ হাজার টাকায় এই ব্যবসা গুলো শুরু করুন
চলুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক, ৫০০০ টাকায় কি কি ধরণের ব্যবসা করা যায় ?
একটা ছোট স্টার্ট-আপ বা ব্যবসা শুরু করতে গেলে ৫০০০ টাকাই যথেষ্ট।
এই ছোট ব্যবসা থেকে কম মূলধন বিনিয়োগ করলেও এর থেকে যথেষ্ট লাভই করা যেতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক প্রসারের ফলে আজকালকার দিনে ব্যবসা শুরু করা অনেকটাই সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একজন উদ্যোক্তা খুব কম বিনিয়োগের মাধ্যমেই সফলভাবে ব্যবসা করতে সক্ষম।
আর, এই ধরণের কয়েকটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া গুলো হল –
১. ব্রেড বা পাঁউরুটি তৈরী করা বা হোম-গ্রোন বেকারি:
সারা পৃথিবী তথা ভারতের অন্যতম সেরা ব্রেকফাস্ট গুলোর মধ্যে কিংবা ইভনিং স্ন্যাকসের মধ্যে একটি হল এই পাউরুটি।
তাই, আপনি যদি পাউরুটি বা কুকি বেকিং-এর ব্যবসা শুরু করেন, তবে খুব কম মূলধনের দ্বারাই ছোট মাত্রা থেকেই আপনি এই বিজনেস শুরু করতে পারেন।
আর, এই ব্যবসা আপনি বাড়ি থেকে বসেই অপারেট করতে পারবেন।
২. পারফিউম তৈরী ব্যবসা:
বাজারে নিত্যনতুন পারফিউমের চাহিদা সবসময়ই রয়েছে।
সব মানুষই কম-বেশি শৌখিন ও পারফিউম বা সুগন্ধীর ব্যাপারে বেশ খুঁতখুঁতে।
তাই, ৫০০০ হাজার টাকার নিচে একটু অন্যরকম ব্যবসা করতে চাইলে পারফিউম তৈরীর ব্যবসা কিন্তু বেশ মজাদার এবং এইগুলো তৈরী করাও বেশ সহজ।
আর, ইনস্টাগ্রাম বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ব্যবহার করে আপনি আরামসে আপনার পারফিউম প্রোডাক্ট গুলোকে লঞ্চ করে সেগুলোর মার্কেটিং এবং সেলিং করতে পারবেন।
৩. আয়রনিং পরিষেবার ব্যবসা:
আজকালকার দ্রুত জীবনযাত্রায় মানুষ নিজেদের জামাকাপড় ইস্ত্রি করার সুযোগ পায় না,
আবার কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডের ক্ষেত্রে ড্রেসকোড একটা স্ট্রিক্ট পলিসিও বটে।
সেক্ষেত্রে মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী আপনি ৫ হাজার টাকার মধ্যে এই আয়রনিং বা ইস্ত্রি পরিষেবার ব্যবসাও শুরু করার কথা ভাবতে পারেন।
এর জন্যে কেবলমাত্র দরকার কয়েকটি ইলেকট্রিক আইরন, আইরনিং বোর্ড আর খুব দরকার পড়লে একজন বা দুজন সহকারী।
৪. পরিবেশ-বান্ধব কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা:
যেহেতু ভারতীয় সরকার একবার-ব্যবহার্য প্লাষ্টিক তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে,
সেই কারণে অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কাপড় কিংবা কাগজের তৈরী ব্যাগের ব্যবহারকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
এই সময়ে, লাভদায়ী ব্যবসা হিসেবে আপনি ৫০০০ হাজার টাকার মধ্যে শক্তপোক্ত কাগজের ব্যাগ তৈরী করে মার্কেটে বিক্রি করতে পারলে যথেষ্ট লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনি আপনার পরিবেশ-বান্ধব ব্যাগগুলো সরাসরি ক্রেতাদের বা কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে বিক্রি করে অনেক মুনাফা লাভ করতে পারেন।
৫. পর্দা সেলাইয়ের ব্যবসা:
সেলাই করা আপনার নেশা হয়ে থাকলে, সেটাকে আপনার পেশা ও ব্যবসার কাজে লাগিয়ে ফেলুন।
এমনকি, আপনি বাড়ি বসেই ঘরের পর্দা সেলাই করতে পারেন।
আর, এই ব্যবসা খুবই লাভজনক ও কম খরচের ব্যবসা।
আর, পর্দা হল এমন এক ঘর সাজসজ্জার অঙ্গ যা প্রতিটি ঘরেই প্রয়োজনীয়।
সেই কারণেই, সেলাইয়ের সরঞ্জামের পিছনে খুব অল্প টাকা ব্যয় করে আপনি খুব সময়ে পর্দা সেলাইয়ের ব্যবসা করতে পারেন।
৬. সাশ্রয়ী দোকান:
ই-বে বা ওএলক্স সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সবাই শুনেছি।
এই ধরণের ওয়েবসাইট বা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো বিভিন্ন মানুষকে তাদের ব্যবহার্য জিনিস ভালো মূল্যে বিক্রি করার সুযোগ দেয়।
ঠিক তেমনই, আপনি এই ধরণের ওয়েবসাইট বা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে নিজের সাশ্রয়ী দোকান বা থ্রিফট শপ খুলতে পারেন।
এতে আপনাকে ৫০০০ হাজার টাকার আশেপাশে খরচ করলেই এই ব্যবসাকে দাঁড় করানো সম্ভব।
এই ব্যবসায় আপনি আপনার ব্যবহারের জামাকাপড় থেকে শুরু করে মোটরগাড়ি, ক্যামেরা, ফ্রিজ আরও অন্যান্য পণ্যও বিক্রি করতে পারেন।
৭. পেইং গেস্টে ব্যবসা:
যদি আপনার ঘরে পর্যাপ্ত জায়গা ও আতিথেয়তার ব্যবস্থা থাকে, তবে কোনো কিছু না ভেবে আপনার বাড়িকে আপনার ব্যবসার কাজে লাগান।
অর্থাৎ, মাসিক ভাড়ার বিনিময়ে পেইং গেস্টের ব্যবস্থা করুন।
খুব কম খরচেই এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।
আর, এতে আপনি রোজগারের পাশাপাশি বিভিন্ন মানুষের সঙ্গও পাবেন।
কোনো স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, অফিসার কর্মী আপনার এই পেইং গেস্ট ব্যবসার সম্ভাব্য ক্রেতা হতে পারেন।
৮. পেস্ট কন্ট্রোলের ব্যবসা:
বর্তমানে, পেস্ট কন্ট্রোলিং-এর চাহিদা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই পেশা এতটাই প্রফেশনাল হয়ে উঠেছে, যে রীতিমতো এই ব্যবসা চালাতে গেলে নানা ধরণের বিশেষ যন্ত্রপাতির ব্যবহার করতে হয়।
অথচ, আপনি খুব কম খরচেই এইসব যন্ত্রপাতি কিনে এই ব্যবসা শুরু করতেই পারেন।
নানান উন্নত যন্ত্রপাতি ও একদল দক্ষ কর্মীর সাথে আপনি সহজেই এই ব্যবসার সূচনা করতে পারেন।
৯. ঘর সজ্জার ব্যবসা:
ঘর সজ্জার বা হোম অর্গানাইজিং বিজনেস শুরুর জন্যে আপনার প্রয়োজন ক্রিয়েটিভিটি বা সৃজনশীলতা এবং হোম অর্গানাইজিং সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা।
বর্তমানে, মানুষ নানা ধরণের অনুষ্ঠানের আগে নিজেদের ঘর সাজানোর জন্যে বিভিন্ন হোম অর্গানাইজারদের সাথে যোগাযোগ করেন।
তাই, এই ধরণের ব্যবসা এখনকার সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ছোট অনুষ্ঠানের কন্ট্রাক্ট থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বড় অনুষ্ঠানের কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী আপনি আপনার দলে সহকারীর সংখ্যা বাড়াতে পারেন।
এক্ষেত্রে, আপনি আপনার কাজের প্রচার করার জন্যে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোকেও ব্যবহার করতে পারেন।
১০. পেট-সিটিং-এর ব্যবসা:
যারা পশুপ্রেমী তাদের জন্যে এই ব্যবসার আইডিয়াটি সবথেকে সেরা।
এখানে অর্থ বিনিয়োগের সেরকম বিশেষ প্রয়োজন হয় না।
আপনি টাকার বিনিময়ে কোনো অন্য ব্যক্তির পোষ্যকে কিছু সময়ের জন্যে দেখলেন কিংবা নিয়মিত তাদের ওয়াকে নিয়ে গেলেন,
এর মাধ্যমেও কিন্তু আপনি টাকা রোজগার করতে পারেন।
আপনি, আপনার বাড়িতেও ছোট-খাটোভাবে পোষ্যদের জন্যে ক্রেশ করতে পারেন।
এই ব্যবস্থাটি করার জন্যে আপনাকে পেট ফুড, পেট টয়েস আর পেট মেডিসিনের জোগাড় রাখতে হবে।
১১. আয়ুর্বেদিক ওষুধের ব্যবসা:
ভারতীয় সরকারের ‘আয়ুষ’ মন্ত্রকের অধীনে আপনি ৫০০০ হাজার টাকার মধ্যে আয়ুর্বেদ ওষুধ তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ভারতে আয়ুর্বেদ পণ্যের মার্কেট চাহিদা অনুযায়ী জোগান সবসময় সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।
তাই, আয়ুর্বেদিক ওষুধ বা অন্যান্য আয়ুর্বেদিক পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী আপনি সহজেই এই ব্যবসার সাথে যুক্ত হতে পারেন।
১২. হ্যান্ডিক্রাফ্টের দোকান:
আমাদের দেশে হ্যান্ডিক্রাফট বা হস্তশিল্পজাত পণ্যের চাহিদা কম-বেশি রয়েছেই।
এমনকি, বর্তমানে বহু মানুষ তাদের হাতে তৈরী জিনিস বিক্রির মাধ্যমেই টাকা রোজগার করে চলেছেন।
তাই, আপনি যদি সুন্দর, অনন্য ও অন্যরকম হস্তশিল্পের কাজ তৈরী করে থাকেন, তবে অবশ্যই তার থেকে আপনি ব্যবসা শুরু করতেই পারেন।
এবং এভাবে নিজের বাড়িতে বসেই সারা দেশ জুড়ে আপনার ব্যবসা চালাতে পারেন।
১৩. বায়ো-ফার্টিলাইজরের ব্যবসা:
একটু অন্য ধরণের ব্যবসা শুরু করতে চাইলে, আপনি ৫০০০ হাজার টাকার মধ্যে ছোট মাপের একটি বায়ো-ফার্টিলাইজর বা সার তৈরি করার ব্যবসা করতে পারেন।
এই বায়ো-ফার্টিলাইজার তৈরী করতে গেলে আপনি বিভিন্ন সরকারি সাহায্যও লাভ করতে পারেন।
আপনি অর্গানিক ওয়েস্ট বা জৈব বর্জ থেকে সহজেই সার তৈরি করতে পারেন।
এর জন্যে আপনার একটা খোলামেলা জায়গা, বর্জ জমানোর জন্যে বড় পাত্র ও আরও কিছু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম লাগবে।
১৪. আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে পরিষেবা দেওয়া:
ফিন্যান্স বা আর্থিক দিক থেকে আপনি জ্ঞানী হলে অবশ্যই এই ব্যবসা আপনার জন্যে উপযোগী।
আপনি স্বাস্থ্য বীমা, শেয়ার ইনভেস্টমেন্ট, ব্যাঙ্কিং-এর মতো বিষয়গুলোতে লোকদের পরামর্শ দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
তবে, এই ব্যবসার জন্যে আপনার কাছে বেশ কতগুলো জরুরি বৈধ আর্থিক উপদেষ্টা হওয়ার লাইসেন্স থাকতে হবে এবং একটা বড় অফিস থাকতে হবে।
১৫. কম্পিউটার ক্লাসের ব্যবসা:
কম্পিউটার ক্লাসের উপযোগিতা সবসময়ই থাকে।
তাই, নিজের পাড়ার মধ্যে একটা কম্পিউটার ট্রেনিং ক্লাসের ব্যবসা শুরু করলে আপনার ব্যবসা বেশ লাভজনকই হবে।
ভারত সরকারের স্কিল ইন্ডিয়া স্কিমের সহযোগীতাতে আপনি সহজেই বিশেষ স্কিলস শেখানোর জন্যে কম্পিউটার ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারেন।
১৬. আঁকা, নাচ ও গানের ক্লাস:
আপনি যদি আঁকা, সঙ্গীত বা নৃত্যে দক্ষ হন তবে আপনি এই আর্ট ফর্মগুলোকে শিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের শেখানোর প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন।
আর, একজন প্রাইভেট টিউটর হতে গেলে খুব বেশি অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে না এবং তার বদলে আপনার লাভের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে।
আপনি একাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে যৌথ ক্লাস নিতে পারেন কিংবা দিনে দুই বা তার বেশি ব্যাচ হিসেবেও শিক্ষাদান করতে পারেন।
আর, এই ব্যবসা থেকে লাভের পরিমাণ সর্বাধিক হয়।
১৭. ফ্রিল্যান্স কপিরাইটার এবং সম্পাদক হিসেবে কাজ করা:
আপনার যদি সৃজনশীল লেখার দক্ষতা থাকে তবে আপনি একটি ফ্রিল্যান্সিং স্টার্ট আপ শুরু করতে পারেন।
কেবলমাত্র, ভালো ইন্টারনেট সংযোগ, একটা কম্পিউটার এবং আপনার নিজস্ব দক্ষতার সাহায্যে আপনি সৃজনশীল বিষয়বস্তু লেখা ও সম্পাদনা করতে পারেন কোনো কোম্পানি, মিডিয়া, বিজ্ঞাপন ঘর এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হয়ে।
আপনি আপনার নিজের সময় অনুযায়ী এটি করতে পারেন এবং আপনার প্রচেষ্টা এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং-এর ক্ষেত্রে আপনি আপনার কাজের সময় আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করতেও পারেন।
পরিশেষে:
ব্যবসা বাছা ও ধরে রাখার সবথেকে ভালো উপায় হল আপনার পছন্দের কাজটিকে আগে বেছে নেওয়া।
আপনি নিজের প্যাশনকে যদি ব্যবসাতে পরিণত করতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার সফলতা আর কেউ আটকাতে পারবেন না।
আমাদের আজকের ৫ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসার করার আইডিয়া নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল।
৫ হাজার টাকায় ব্যবসা করতে হলে এমনিতে আরো প্রচুর ব্যবসা গুলো রয়েছে।