Technology

সুপার অ্যাপ ক্যাটাগরিতে প্রবেশ করল ভাইবার

সুপার অ্যাপ ক্যাটাগরিতে প্রবেশ করল ভাইবার

রাকুতেন ভাইবারের নতুন প্রধান নির্বাহী ওফির এয়াল সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় অ্যাপটিকে ফিনটেকে সমন্বিত করছেন। এর মাধ্যমে সাধারণ মেসেজিং এবং কল করার সুবিধার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের জন্য আরো দারুণ কিছু উপহার দিয়ে একটি ‘সুপার অ্যাপ’ হওয়ার লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে ভাইবার।

ইন-অ্যাপ পেমেন্ট পরিষেবা চালুর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য নিজ প্ল্যাটফর্মেই একটি ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরির সুযোগ নিয়ে এসেছে ভাইবার। এই পেমেন্ট ওয়ালেট ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি ভিসা এবং মাস্টারকার্ডের সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে পণ্য কেনাকাটা ও বিল প্রদান সহ বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের কাজে ব্যবহার করা যাবে। প্রাথমিকভাবে পিয়ার-টু-পিয়ার ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই সেবাটি চালু করছে ভাইবার। প্রথম ধাপে চলমান গ্রীষ্মের (সামার) শেষ দিকে জার্মানি এবং গ্রীসে এই পরিষেবাটি চালু হবে। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ও মতামত সংগ্রহ করে তার প্রেক্ষিতে আরও উন্নত পরিসরে ইন-অ্যাপ পেমেন্ট পরিষেবাটি ক্রমান্বয়ে এশিয়া এবং অন্যান্য মার্কেটে নিয়ে আসবে ভাইবার।

“আসন্ন নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনে রাকুতেন ভাইবারের কর্মঠ দলের নেতৃত্ব দিতে পেরে এবং সিইও হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এবং এর ধারাবাহিকতায় একটি সুপার অ্যাপ হয়ে উঠতে আমরা ভাইবারের উন্নত সেবা এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা ধরে রাখতে চাই। ভাইবারকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসার পেছনে ভাইবারের প্রত্যেক কর্মীর অবদান রয়েছে, এবং তাদের সকলের প্রতি আমি সবসময় কৃতজ্ঞ”, বলেন এয়াল।

“প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবহারকারীদেরকে উন্নত সেবা প্রদানে নিজ ভূমিকা এবং লক্ষ্যের প্রসঙ্গে আমার অবস্থান স্পষ্ট। এই যাত্রাটি চ্যালেঞ্জিং হলেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিজ প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতে ভাইবার এবং আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ”।

রাকুতেন ভাইবারের সাথে দীর্ঘ সাত বছরের বেশি সময়ের যাত্রার অংশ হিসেবে গত বছরের আগস্টে ওফির এয়াল প্রধান নির্বাহীর ভূমিকায় নিয়োজিত হয়েছেন। ভাইবারকে ব্যবহারকারীদের আরো কাছাকাছি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ইতোপূর্বে তিনি রাকুতেন ভাইবারের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে এবং তার আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ প্রোডাক্ট পদে নিয়োজিত হয়েছেন, এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, কাস্টমার সাকসেস, কন্টেন্ট এবং লোকালাইজেশান সহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন।

ভাইবারের সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন অগ্রগতি ব্যবহারকারীদের একে অপরের সাথে যোগাযোগে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ব্যবসা এবং বিনোদন উভয় ক্ষেত্রেই উন্নততর অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছে। ভাইবারের শীর্ষ কর্মকর্তা ওফির এয়াল প্রতিষ্ঠানটির পণ্য উন্নয়ন এবং বাজার সম্প্রসারণ প্রচেষ্টার বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধান করেন। পাশাপাশি তিনি ভাইবারকে ইন্ডাস্ট্রি লিডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে নতুন ব্যবসায় সম্ভাবনার অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল (এপিএসি) বর্তমানে ভাইবারের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধিশীল অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম, যার বাৎসরিক বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশেরও বেশি। সেই সাথে এই অঞ্চলে রয়েছে অনন্য সব অংশীদারিত্ব এবং উদ্ভাবনী প্রকল্পের সুযোগ। ভাইবার এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে, এবং আরও নির্দিষ্ট দেশভিত্তিক অংশীদারিত্ব, স্থানীয়করণ কৌশল ও অফার তৈরি করে এবং ব্যবহারকারীদের আরও সুবিধা প্রদান করে ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

নির্ভরযোগ্যতা ও ব্যবহারকারীদের পছন্দের বিচারে মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ভাইবার শীর্ষ নামগুলোর একটি। ভাইবার এর মূল ফিচারগুলোর মাধ্যমে ব্যবসায়ের ক্ষমতায়ন এবং চ্যানেলের মতো নতুন বৈশিষ্ট্যগুলোর বিকাশে সাধারণ চর্চা ছাড়াও, ব্যবহারকারীদের আগ্রহ ও পছন্দের দিকগুলো মাথায় রেখে তাদের বিনোদন প্রদানের লক্ষ্য রাখে। সম্প্রতি ৭০টিরও বেশি হাইপারক্যাজুয়াল গেম সহ “এমগেমস” চ্যাটবট চালু করেছে ভাইবার, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত লবি তৈরি করে তাদের বন্ধুদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেতে উঠতে পারবেন এবং লিডারবোর্ডের সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্ক অর্জন করতে পারবেন। এটি সম্প্রতি বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশে চালু হয়েছে। তা ছাড়াও বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা ৮ লক্ষেরও বেশি সদস্যের “ক্রিকেট ভাইবস” চ্যানেল থেকে ক্রিকেট আপডেট পেতে পারবেন। বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী সম্ভাবনাময় দেশ, যেখানে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার সাথে তাল রেখে প্রতিদিন আরও বেশি সংখ্যক মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছেন। ভাইবারের লক্ষ্য এই যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে থাকা এবং জাতির ডিজিটাল রূপান্তরের অংশীদার হওয়া।

সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ভাইবারের পরবর্তী ধাপ অর্জনে প্রধান নির্বাহী এয়ালের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠানটির পণ্য ও সেবা উন্নয়নে এবং বাজার সম্প্রসারণে সহায়তা করবে, এবং বিশ্বের মেসেজিং ও অ্যাপ্লিকেশনের বাজারে এক উদ্ভাবনী সত্ত্বা হিসেবে ভাইবারকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button