Business Guide

নতুন করে ব্যবসা করার কৌশল এবং নিয়ম গুলো জেনেনিন

চাকরির তুলনায় ব্যবসা করাটা কেন লাভজনক ?

বর্তমানে যুবসমাজে যে বেকারত্বের সৃষ্টি হয়েছে তা অনেকাংশে কম হতে পারে যদি যুবসমাজের একাংশ চাকরিজীবী মনোভাব ছেড়ে ব্যবসায়িক মনোভাব পোষন করে।

অনেকেই ভাবেন যে ব্যবসার থেকে চাকরিতে স্থিরতা অনেক বেশি, কিন্তু ব্যবসাতে যে আর্থিক স্বাধীনতা পাওয়া যায় তা কল্পনাতীত।

প্রথম প্রথম হয়তো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটিকে দাঁড় করাতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে, লাভ প্রথম দিকে কম হবে, প্রতিযোগীতা থাকবে এবং নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে।

তবে এই সকল বাধা কাটিয়ে উঠে ব্যবসাটিকে সফল ভাবে দাঁড় করাতে পারলে তা চাকরির থেকে বহুলাংশে লাভজনক এবং চিরস্থায়ী।

চাকরির ক্ষেত্রে অর্থ উপার্জনের পথ সীমিত কিন্তু ব্যবসায় তা নয়।

 

তাই হিসাব করে দেখতে গেলে ব্যবসার নিজস্ব কিছু সুবিধা আছে, যা চাকরিতে নেই। কি কি এই সুবিধা একবার দেখে নেওয়া যাক।

চাকরির তুলনায় ব্যবসা করাটা কেন লাভজনক ?

আমি কখনোই বলছিনা যে চাকরি করবেননা বা চাকরি করাটা খারাপ, তো যদি চাকরি এবং ব্যবসার মধ্যে কোনটা ভালো এই প্রশ্ন করা হয়, তাহলে অবশই আমি বলবো ব্যবসাতে সুবিধা এবং লাভ সাংঘাতিক বেশি।

চাকরিতেও প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব, তবে চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি সময় দিতে হবে ভালো একটি পদে কাজ করার ক্ষেত্রে।

চলুন, এখন নিচে আমরা জেনেনেই কেন চাকরির তুলনায় ব্যবসা অধিক সুবিধাজনক এবং সাথে লাভজনক।

  • নিজের ব্যবসায় আপনি মালিক। তাই এক্ষেত্রে সতন্ত্রতা থাকবে যা চাকরিতে নেই। চাকরিতে কর্মচারীকে মালিক বা বসের কথা শুনে চলতে হবে। নিজস্ব চিন্তাধারা প্রতিফলন করার কোনো সুযোগ নেই।
  • অর্থনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে ব্যবসাতে লাভ চাকরির থেকে বেশি।
  • নিজস্ব ব্যবসা হলে পরবর্তী প্রজন্ম বা উত্তরপুরুষের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হতে হবে না। ব্যবসাতে চিরস্থায়ী উত্তরাধিকার থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম ওই ব্যবসায় যুক্ত থেকে আরও বৃদ্ধি করতে পারবে।
  • সামাজিক সম্মান ব্যবসাতে চাকরির থেকে কোনও অংশে কম নয়। আজকের দিনে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বা শিল্পপতিদের যথেষ্ট সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে।
  • বেকারত্ব দূরীকরণে ব্যবসা দ্রুত কার্যকারী। নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাতে অন্য যুবকদের চাকরী দিয়ে ব্যবসার যেমন বৃদ্ধি ঘটবে তেমনি সমাজের বেকারত্ব দূর হবে।

তবে একটি ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে ব্যবসা সম্পর্কে কিছু জরুরি বিষয় গুলো অবশই জানা প্রয়োজন।

ব্যবসা কয় প্রকার, একটি ব্যবসার জন্য কী কী প্রয়োজন, সঠিক ভাবে ব্যবসার প্রচার কতটা জরুরি, কিভাবে একটি ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠা করা যায়, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কোন ব্যবসাটিতে সহজে লাভবান হওয়ার যায়, কোনটিতে অপেক্ষাকৃত কম মূলধন লাগে, ইত্যাদি।

এই লেখাটি পড়লে আশা করছি উল্লিখিত প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর পাবেন।

মূলত ব্যবসাগুলিকে মূলধন, শ্রমিক সংখ্যা এবং উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১) স্বল্প মূলধনের ব্যবসা

২) অধিক মূলধনের ব্যবসা। 

আজকের দিনে স্বল্প মূলধনের ব্যবসার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ব্যবসাতে লাভ অধিক না হলেও স্বল্প মূলধনে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা যায়, নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি করা যায়।

উদাহরন দিয়ে বলতে গেলে এই জাতীয় ব্যবসা হল কফি সপ, স্ট্রীট ফুড, ক্যাফে, জামা কাপড়ের ব্যবসা, কসমেটিক প্রোডাকশনের ব্যবসা, হোম ডেলিভারির ব্যবসা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বা ইন্টেরিয়র ডিজাইনের ব্যবসা।

অধিক মূলধনের ব্যবসা হল হাউজিং কমপ্লেক্স এর ব্যবসা, গাড়ির ব্যবসা, ক্ষুদ্র শিল্পের ব্যবসা, পাবলিশিং এর ব্যবসা ইত্যাদি।

তবে সে ব্যবসা স্বল্প মূলধনের হোক বা অধিক মূলধনের কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো দুটি ক্ষেত্রেই সমান গুরুত্বপূর্ণ।

বা আমরা বলতে পারি যে, দুধরণের ব্যবসার ক্ষেত্রেই নিচে বলা ব্যবসার কৌশল বা নিয়ম গুলো মেনেই কাজ শুরু করতে হবে।

সেই বিষয়গুলিই এবার দেখে নেওয়া যাক।

নতুন করে ব্যবসা করার কৌশল এবং নিয়ম গুলো

নিচে দেওয়া কৌশল গুলো নতুন বা পুরোনো প্রত্যেক ব্যবসা বা ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে জরুরি। যদি প্রত্যেকটি বিষয়ে নজর দিয়ে সঠিক পরিকল্পনার সাথে ব্যবসা শুরু করে থাকেন, তাহলে অবশই নিজের ব্যবসা জীবনে সফলতা লাভ করতে পারবেন।

চলুন, ব্যবসা শুরু করার আগে আগে কি কি জানা দরকার সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করে নেই।

১. ব্যবসায়ী মনোভাব এবং উদ্যোগ

ব্যবসাতে নামতে হলে যে জিনিসটি প্রথম আবশ্যক তা হল ব্যবসায়ী মনোভাব এবং উদ্যোগের চেষ্টা।

কোনো একটি মানুষ প্রথম যে ব্যবসা টি আরম্ভ করল সে হয়তো নাও সফল হতে পারে তবে হেরে গিয়ে পিছিয়ে গেলে চলবে না। আবার নতুন করে একটি ব্যবসা আরম্ভ করতে হবে।

বা কোনো একটি ব্যবসায় হঠাৎ লোকসান হল তাই বলে ভেঙে পড়লে চলবে না। কীভাবে ব্যবসাটিতে লাভ করা যায় তাই ভাবতে হবে।

কোনো উদ্যোগপতি একদিনে শিল্পপতি হননি। ব্যবসায় ওঠাপড়া লেগেই থাকবে। মাথা ঠান্ডা করে এগিয়ে যেতে পারবে।

সব ক্রেতা ভালো ব্যবহার করবে না, কেউ কেউ অপমান ও করবে তবে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে।

তাই একটি ব্যবসাকে দাঁড় করাতে ব্যবসায়ী মনোভাব এবং উদ্যোগ হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।

২. মূলধন

যে কোনো ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের অন্যতম উপাদান হচ্ছে মূলধন। আপনার উপর নির্ভর করছে আপনি আপনার ব্যবসায় কত মূলধন বিনিয়োগ করবেন।

স্বল্প মূলধনেও ব্যবসা করতে পারেন। যেমন ধরুন অনলাইন হোম ডেলিভারির ব্যবসা ইত্যাদি।

এক্ষেত্রে ঘরে তৈরি সুস্বাদু খাবার আপনি সরবরাহ করতে পারেন, বিভিন্ন অফিসে, সংস্থায়, সেমিনারে।

আপনি আপনার প্রচার বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে করতে পারেন।

বিভিন্ন অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমেও আপনি খাবার পৌছে দিতে পারেন।

এই ব্যবসাটিতে মূলধন যথেষ্ঠ কম লাগে। অনলাইন বেকারি শিল্পেও মূলধন যথেষ্ঠ কম লাগে। কেক, পেস্ট্রি, মাফিন ইত্যাদির দৈনন্দিন চাহিদা আছে সাথে বিভিন্ন উৎসব এবং অনুষ্ঠানেও এগুলি প্রয়োজনীয়।

কফি শপের ব্যবসাতেও তুলনামূলক ভাবে মূলধন কম লাগে, আবার আপনি চাইলে কম্পিউটার ক্যাফের ব্যবসাও করতে পারেন।

তবে, এক্ষেত্রে মূলধন প্রয়োজন।

একটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার, হাইস্পীড ইন্টারনেট, প্রিন্ট পেপার, প্রিন্টের কালি, জেরক্স মেশিন, জায়গা। তবে এই ব্যবসা বেশ লাভজনক।

বর্তমানে কলেজে ভর্তি থেকে স্কলারশীপ, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ডের অ্যাপ্লিকেশন সবই এখন অনলাইনে হচ্ছে। বিভিন্ন বিল পেমেন্ট ও এখন অনলাইনে উপলব্ধ আছে। তাই এই ব্যবসাটি বেশ লাভজনক হয়ে উঠেছে।

আবার এমন কিছু কিছু ব্যবসা আছে যেগুলিতে মূলধন প্রায় লাগেই না বললেই চলে যেমন গৃহশিক্ষকতা, পৌরোহিত্য, সংগীত, অঙ্কন, নৃত্য শিক্ষকতা, লেখালেখি এই ব্যবসা গুলিতে জ্ঞান, অধ্যয়ন এবং অনুশীলন হল মূলধন।

বর্তমানে বহু মানুষ উপরিউল্লিখিত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এই ব্যবসা গুলি একাধারে লাভজনক এবং সম্মানীয়।

তাই, শেষে এটাই বলার যে আপনি যেই ব্যবসা করার কথা ভাবছেন, তাতে কতটা মূলধন (investment) এর প্রয়োজন হবে সেই পরিকল্পনা আগের থেকেই করে রাখতে হবে এবং সেই হিসেবে টাকা তৈরি রাখতে হবে।

৩. ব্যবসার স্থান

ব্যবসার স্থান হল আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে অনেক ব্যবসা নিজের ঘর থেকে পরিচালনা করা যাচ্ছে। যেমন ধরুন অনলাইন ফুড ডেলিভারির ব্যবসা, অনলাইন বেকারির ব্যবসা বা কসমেটিক এবং জামা কাপড়ের ব্যবসা।

তবে কিছু ব্যবসা আছে যেক্ষেত্রে দোকানের প্রয়োজন আছে।

যদি ব্যবসাটি ঘরে থেকে পরিচালিত হয় তাহলে তার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঘর রাখা আবশ্যক। দেখতে হবে ঘরটি যাতে বড়ো হয়। ঘরটি যদি পাকা রাস্তার ধারে বা বাজারের কাছাকাছি হয় তাহলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়।

যদি আপনার ঘরটি পাকা রাস্তা সংলগ্ন হয় তাহলে সেটিকে দোকানের হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।

তবে পাকার রাস্তা থেকে খুব দূরে হলে বা যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হলে তা ব্যবসাতে প্রভাব ফেলতে পারে।

কম্পিউটার ক্যাফের ব্যবসা স্কুল কলেজ অফিসের কাছাকাছি  লাভজনক হয়।

তাই যেকোনো ব্যবসায় নামার আগে কোন স্থানে ব্যবসাটি লাভজনক হবে তা ভেবে নিতে হবে।

ব্যবসার সঠিক স্থান ব্যবসায় হওয়া লাভ এবং লোকসান এর ওপরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে থাকে।

৪. ব্যবসার চাহিদা

ব্যবসাতে মূলধন বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে বাজারে ব্যবসাটির চাহিদা কতটা। বাজার চাহিদার ওপর নির্ভর করে লাভ ক্ষতি।

কিছু কিছু ব্যবসা আছে যেগুলি বিশেষ একটি সময়ে লাভজনক কিছু বছরের বাকি সময় তা লাভজনক নয়।

যেমন ধরা যাক মোয়া বা আতসবাজীর ব্যবসা- এগুলি একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে লাভজনক।

তবে লকডাউনের সময় থেকে অনলাইন শপিং, হোম ডেলিভারি, অনলাইন বেকারির ব্যবসা লাভজনক হয়েছে।

লকডাউনে গৃহবন্দী মানুষের বাজার, মুদীখানা এইসব পর্যন্ত হোম ডেলিভারি হয়েছে।

বাজারের থেকে কিছুটা বেশি দামে বা কখনো কখনো বাজারের দামে মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস পেয়েছিলেন তাদের ঘরে।

শুধু হোম ডেলিভারি নয়, ইন্ডিয়ান পোস্ট, ক্যুরিয়ার, ও অন্যান্য ডেলিভারি মাধ্যম গুলিও এই সময়ে বেশ লাভবান হয়েছে।

বৃহৎ ব্যবসা যেমন সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, স্যানিটাইজার, ফিনাইল, মাস্ক কোম্পানি গুলোই এইসময় বেশ লাভবান হয়েছে।

তাই ব্যবসাটি লাভজনক হবে কিনা তা বলে দেবে বাজারে ব্যবসার চাহিদা।

৫. শ্রম ও সময়

যেকোনো ব্যবসার উন্নতি কেবল তার স্থান, চাহিদা বা মূলধনের ওপর নির্ভর করে না। নির্ভর করে ব্যবসায়িকের শ্রম এবং তার ওপর দেওয়া সময়ের ওপর। না খেটে সফলতা আসে না। তাই শ্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মালিক এবং তার অন্যান্য কর্মীদের যৌথ শ্রমের ওপর নির্ভর করেই ব্যবসা উন্নতি লাভ করে।

ধরা যাক কোনো একটি বস্তু যেমন হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বাজার চাহিদা আছে কিন্তু উপযুক্ত কর্মচারীর অভাবে বাজারে তা সরবরাহ করা গেল না তখন ব্যবসাতে ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে।

তাই মালিক এবং কর্মচারী উভয়কেই যথেষ্ঠ শ্রম এবং সময় দিতে হবে ব্যবসাতে।

৬. প্রচার

ব্যবসার পরিধি এবং প্রোডাক্টের বিক্রি বৃদ্ধি করতে হলে চাই প্রচার এবং লক্ষ্য রাখতে হবে সেই প্রচার যেন কার্যকারী হয়।

বর্তমানে অনলাইনের যুগে অনলাইন পদ্ধতি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ব্যবসায়িক প্রচারের পদ্ধতিটি অনেক সহজ এবং কার্যকর হয়েছে।

আপনি চাইলে আপনার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটির একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন।

আপনার পরিচিত এবং ফেসবুক ফ্রেন্ডদের পেজটিতে যুক্ত করে নিজের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।

এটি আপনার ব্যবসায় বেশ সাহায্য করবে।

উদাহরণ দিয়ে বলা যায় ধরুন আপনার বইয়ের দোকান। আপনার স্টকে বেশ কিছু ভালো ভালো বই আছে। আপনি কোনো একটি বহুল পরিচিত পাঠকদের গ্রুপে আপনার  স্টকের ছবি দিলেন।

এতে বহু পাঠক আপনার পোস্টটি দেখতে পেল এবং আগ্রহ প্রকাশ করল।

তাই, বর্তমান সময়ে যেকোনো ব্যবসার প্রচার নিমিষের মধ্যে করতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার করাটা অনেক জরুরি।

যেকোনো ব্যবসার তাড়াতাড়ি প্রচার বা মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ইউটিউব মার্কেটিং আজ প্রায় প্রত্যেক ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছেন।

৭. সরকারী সাহায্য

বর্তমানে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার যুবক-যুবতীদের ব্যবসায়িক মনোভাব বৃদ্ধি করতে এবং নতুন ব্যবসাতে মূলধন দিয়ে সাহায্য করছে।

সরকারের বিভিন্ন কোর্স আছে যেগুলি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিনামূল্যে।

এই কোর্সগুলি যেমন ব্যবসাটি সম্পর্কে অবগত করছে উন্নত যন্ত্রপাতি পরিচালনা, সঠিক প্রচার পদ্ধতি সম্পর্কেও অবগত করছে।

সরকারী সাহায্যে বেশ কিছু মানুষ নতুন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

সরকারী উদ্যোগে যে গ্রামীন হস্ত শিল্পের মেলা গুলি হয় তা বহু ব্যবসাকে লাভের পথ দেখিয়েছে।

এই সময় অনেকেই নিজের চাকরীর সঙ্গে সঙ্গেও নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আপনিও পারেন নিজের ব্যবসার মাধ্যমে সফল হতে।

৮. আইনগত সাবধানতা অবলম্বন করা

ব্যবসাটি যাতে কোনো ভাবে আইনগত জটিলতার মধ্যে না পড়ে যায় তাই ব্যবসাটির একটি ট্রেড লাইসেন্সের মাধ্যমে ব্যবসায়িক অনুমতি পত্র নিয়ে রাখা যেতে পারে।

প্রতি বছর আয়-ব্যয়ের হিসাবের অডিট করে রাখা প্রয়োজন।

ইনকাম ট্যাক্স, জিএসটি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন নইলে ব্যবসাটিকে আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়।

যেটি অনেক সময় ব্যবসাটির আর্থিক ক্ষতির কারন হয়ে ওঠে।

একজন ব্যবসায়ীকে এই দিকটির দিকেও সমান নজর রাখা প্রয়োজন।

আপনার দেশে, শহর বা গ্রামে ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে যেগুলি নিয়ম কানুন গুলো রয়েছে সেগুলো ভালো করে মেনে ব্যবসা শুরু করতে হবে।

এতে, ভবিষ্যতে আপনি কোনো অসুবিধে ছাড়া নিজের ব্যবসাতে মন দিতে পারবেন।

 

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা, যদি আপনারা নতুন করে একটি ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন, তাহলে আগেই এই ব্যবসা করার কৌশল এবং নিয়ম গুলো জেনে রাখুন এবং সেই হিসেবেই কাজ করুন।

আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা নতুন কিছু শিখতে পেরেছেন এবং তাই, যদি আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে অবশই শেয়ার করবেন।

এছাড়া, ব্যবসার নিয়ম এবং কৌশল গুলো নিয়ে লিখা আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button