Google

গুগল ট্রেন্ডস : কি এবং কেন ব্যাবহার করবেন?

গুগল ট্রেন্ডস কেন দরকার?

আপনি যদি একজন অনলাইন পাবলিশার বা ব্লগার কিংবা অনলাইন অ্যাডভার্টাইজার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি অবশ্যই গুগল ট্রেন্ডস নামটি অনেকবার শুনেছেন। কিন্তু আপনি যদি এখনো গুগল ট্রেন্ডস সম্পর্কে সবকিছু না জেনে থাকেন এবং গুগল ট্রেন্ডস আপনার কেন দরকার হতে পারে সে ব্যাপারে আপনার কোন ধারণা না থেকে থাকে, তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্যই। আজকে গুগল ট্রেন্ডস কি এবং কি কাজে দরকার হতে পারে সে ব্যাপারে আলোচনা করতে চলেছি।

এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সমূহ

গুগল ট্রেন্ডস কি?

গুগল ট্রেন্ডস অবশ্যই গুগলের অধীনস্থ আরেকটি ওয়েবসাইট। একেবারে বেসিক ফিচার বলতে গেলে, এই ওয়েবসাইটটি জাস্ট কোনো একটি সার্চ টার্ম গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কতবার বা কত বেশিবার ইন্টার করা হয়েছে তার একটি ভিজুয়্যাল ইনফরমেশন দেখায়। ফর স্টার্টারস, আপনি যদি গুগল ট্রেন্ডস ওয়েবসাইটে গিয়ে wirebd লিখে এটির সার্চ ভলিউম চেক করেন, তাহলে গুগল আপনাকে দেখাবে যে আপনার ইন্টার করা সার্চ টার্মটি প্রত্যেক মাসে কতবার তাদের সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করা হয়।

আবার আপনি চাইলে শুধুমাত্র প্রতিমাসের সার্চ ভলিউম না দেখে গত ১ বছর বা গত কয়েক বছরের রেজাল্ট কিংবা আপনার নিজের ডিফাইন করা টাইম পিরিয়ডের মধ্যে কতবার আপনার দেওয়া সার্চ টার্মটি গুগলে সার্চ করা হয়েছে তা দেখতে পারবেন। গুগল ট্রেন্ডেসের প্রধান কাজ এটা হলেও গুগল ট্রেন্ডসের ইউজেবলিটি লিমিটলেস। গুগল ট্রেন্ডসে এমন অনেক ফিচারস এবং ইনফরমেশনস আপনি পাবেন যেগুলোকে আপনি নিজের বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যাবহার করতে পারবেন।

গুগল ট্রেন্ডস কেন দরকার?

কি কাজে আপনি গুগল ট্রেন্ড ব্যাবহার করতে পারেন, তা সঠিকভাবে বলার উপায় নেই। মূলত আপনার প্রোফেশন যদি অনলাইন পাবলিশিং অথবা মার্কেটিং কিংবা অ্যাডভার্টাইজিং বেজড হয়ে থাকে, তাহলে আপনি নিশ্চিতভাবেই ধরে রাখতে পারেন যে গুগল ট্রেন্ডস আপনার দরকার হবেই এবং কোন না কোন সময় আপনাকে গুগল ট্রেন্ডস ব্যাবহার করতে হবে এবং আপনাকে জানতেও হবে যে, গুগল ট্রেন্ডস থেকে কিভাবে আপনি আপনার দরকারী ডাটাগুলো বের করতে পারেন। আপনি যদি অনলাইন পাবলিশার বা ব্লগার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কাজ করার জন্য পারফেক্ট নিশ কিংবা পারফেক্ট মাইক্রোনিশ খুঁজে বের করার জন্য আপনার দরকার হবে গুগল ট্রেন্ডস।

আপনি যদি মার্কেটার হয়ে থাকেন, তাহলে কোন কিওয়ার্ডে আপনার ক্লায়েন্টের অ্যাডস প্লেস করতে পারলে আপনি সবথেকে বেশি পটেনশিয়াল কাস্টোমার এনে দিতে পারবেন তা রিসার্চ করার জন্যও আপনার দরকার হবে গুগল ট্রেন্ডস। এছাড়া আপনি যদি পার্সোনাল ই-কমার্স সাইট কিংবা স্টার্টআপ শুরু করার কথাও ভাবেন, কোন ধরনের প্রোডাক্টগুলো সেল করলে আপনি সবথেকে বেশি কাস্টোমার পাবেন এবং কোন প্রবলেমটা সল্ভ করতে পারলে আপনার স্টার্টআপ সফল হতে পারে, সে ব্যাপারে রিসার্চ করার জন্যও আপনার কাছে বেস্ট ফ্রি সল্যুশন হচ্ছে গুগল ট্রেন্ডস। গুগল ট্রেন্ডস একটি এসেনশিয়াল মার্কেটিং টুলস যা সঠিকভাবে ব্যাবহার করতে জানলে আপনার অনলাইন বিজনেসে সফল হওয়া আপনার জন্য অনেকটাই সহজ হবে।

কিভাবে ব্যাবহার করবেন?

গুগল ট্রেন্ডস ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে জাস্ট trends.google.com এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে হবে। ওয়েবসাইটির শুরুতেই আপনাকে দেখানো হবে যে এই মুহূর্তে গুগলে সবথেকে বেশি সার্চ হওয়া বিষয়গুলো কি কি যার ফলে প্রথমেই আপনি জানতে পারবেন যে এই মুহূর্তে সবথেকে জনপ্রিয় টপিকগুলো কি কি। তবে, আপনি যদি গ্লোবাল রেজাল্ট না দেখে শুধুমাত্র আপনার নিজের দেশের পপুলার সার্চ টপিকগুলোর ব্যাপারে জানতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে গুগল ট্রেন্ডসের কান্ট্রি বা রিজিয়ন চেঞ্জ করে নিতে হবে।

# রিয়ালটাইম রেজাল্ট

স্ক্রিনের ওপরের দিকে রাইট সাইডে থাকা রিজিয়ন সিলেক্টরটি ব্যাবহার করেই আপনি আপনার কাঙ্খিত দেশ সিলেক্ট করতে পারবেন। রিজিয়ন সিলেক্ট করার পরে শুধুমাত্র ওই দেশের লোকজন এই মুহুর্তে গুগলে সবথেকে বেশি কোন টপিকে সার্চ করছেন, সেই টপিকগুলো দেখতে পারবেন।

তবে হ্যা, আপনি প্রত্যেকদিনের ট্রেন্ডিং সার্চ প্রত্যেকদিন দেখতে চাইলে বা রিয়ালটাইম ট্রেন্ডিং সার্চ টপিকগুলো দেখতে চাইলে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে এখনো পর্যন্ত অনেক দেশের জন্যই ডেইলি রেজাল্ট এবং রিয়ালটাইম রেজাল্ট এভেইলেবল নেই। যেমন- এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য ডেইলি রেজাল্ট এবং রিয়ালটাইম রেজাল্ট এভেইলেবল নেই। এগুলো দেখার জন্য আপনাকে গ্লোবাল রেজাল্টস দেখতে হবে অথবা এমন কোনো দেশের রেজাল্ট দেখতে হবে যেখানে রিয়ালটাইম রেজাল্ট এভেইলেবল আছে।

# গ্রাফ ডাটা

গুগল ট্রেন্ডের আরেকটি ভালো ফিচার হচ্ছে এর ডাটা ভিজুয়ালাইজেশন। আপনি যখন গুগল ট্রেন্ডে আপনার কাঙ্খিত একটি সার্চ টার্ম ইন্টার করে সেটির সার্চ ভলিউম জানতে চাইবেন, তখন আপনাকে রেজাল্টে সার্চ ভলিউমের নাম্বারের পাশাপাশি একটি গ্রাফ ডাটাও দেখানো হবে যেখান থেকে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার কাঙ্খিত সার্চ টার্মটির জনপ্রিয়তা কোন সময়ে সবথেকে বেশি ছিলো বা কখন সবথেকে কম ছিলো।

এই গ্রাফের সাহায্যে আপনার কোন একটি নিশ নিয়ে কখন কাজ করা উচিত হবে বা কখন কাজ করা উচিত হবে না সে ব্যাপারে কিছুটা ধারণা পেতে পারেন। কোন ধরনের টপিকগুলোর জনপ্রিয়তা সবসময়ই স্ট্যাবল থাকে এবং সময়ের ওপরে ডিপেন্ড করে জনপ্রিয়তা কমে বা বাড়ে না সেই ধরনের টপিকগুলো খুঁজে বের করার জন্য গুগল ট্রেন্ডসের এই গ্রাফ ডাটা খুবই কাজের। আবার আপনি যদি সিজনাল টপিক নিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে বছরের কোন সময় কোন টপিকের জনপ্রিয়তা থাকে তা জানার জন্যও আপনার এই গ্রাফ দরকার হতে পারে।

# কিওয়ার্ড কম্প্যারিজন

এটাই খুব সম্ভবত গুগল ট্রেন্ডের সবথেকে হাইলাইটেড একটি ফিচার যা মার্কেটারদের এবং অনলাইন বিজনেসগুলোর একটি এসেনশিয়াল টুল। আপনি যদি একজন অনলাইন অ্যাডভার্টাইজার হতে চান, তাহলে আপনাকে অনেকসময়ই দুটি কিওয়ার্ড একটির সাথে আরেকটি কম্পেয়ার করার দরকার পড়বে। আপনাকে রিসার্চ করতে হবে যে আপনার ক্লায়েন্টের অ্যাডটি ঠিক কোন কিওয়ার্ডের সার্চ রেজাল্টে প্লেস করতে পারলে সবথেকে বেশি টার্গেটেড কাস্টোমার পাবেন আপনি। এক্ষেত্রে আপনি যা করতে পারেন, দুটি কিওয়ার্ডই গুগল ট্রেন্ডসের কিওয়ার্ড কম্প্যারিজন টুলে ইন্টার করে দুটি কিওয়ার্ডের ভিজিটর ভলিউম, গ্রাফ ডাটা এবং অন্যান্য সব ইনফরমেশনগুলোর সাইড বাই সাইড কম্প্যারিজন করতে পারেন।

কোন কিওয়ার্ডের ট্র্যাফিক ভলিউম হিস্টোরি বেশি স্ট্যাবল ছিলো, কোন কিওয়ার্ড আপনার কাঙ্খিত রিজিয়ন থেকে বেশি ভিজিটর পাচ্ছে এবং কোন কিওয়ার্ডে আপনার টার্গেটেড কাস্টোমাররা বেশি ভিজিট করছে এই ইনফোগুলো পাশাপাশি কম্পেয়ার করলে আপনার জন্য ডিসাইড করা সহজ হবে যে কোন কিওয়ার্ডে অ্যাড প্লেস করা আপনার জন্য বেটার হবে। আবার এই কম্প্যারিজন টুল আপনি অনলাইন পাবলিশিং এর ক্ষেত্রেও ব্যাবহার করতে পারেন আপনার কন্টেন্টে এসইওর ক্ষেত্রে আপনার আপনার কন্টেন্টের ফোকাস কিওয়ার্ড খুঁজে পাওয়ার জন্য।

আবার আপনি যদি অনলাইন অ্যাডভার্টাইজার হয়ে থাকেন, কোন কিওয়ার্ডের গ্রাফ দেখেই আপনি ধারণা করতে পারবেন যে বছরের কোন সময় সেই কিওয়ার্ডের কস্ট পার ক্লিক রেট বেশি থাকে এবং কোন সময় কস্ট পার ক্লিক কম থাকে। এর ফলে আপনি মার্কেট প্রেডিক্ট করে আপনার অ্যাড ক্যাম্পেইন সেট করতে পারবেন। প্রোফিটেবল অ্যাড প্লেস করার জন্য গুগল ট্রেন্ডসের কিওয়ার্ড রিসার্চ এবং কম্প্যারিজন টুলসগুলো খুবই কাজের। আর হ্যা, শুধু দুটি কিওয়ার্ডই নয়, আপনি চাইলে ৩-৪ টা কিওয়ার্ডও সাইড বাই সাইড কম্পেয়ার করতে পারবেন আপনার কিওয়ার্ড কোয়ালিটি সম্পর্কে ডিটেইলড ইনসাইটস পাওয়ার জন্য।


এখানে গুগল ট্রেন্ডস সম্পর্কে শুধুমাত্র একটি বেসিক ধারণা দেওয়া হয়েছে, যারা গুগল ট্রেন্ড সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না তাদের জন্য। গুগল ট্রেন্ডস টুলে শুধুমাত্র এই তিনটি ফিচার আছে, এমনটা নয়। গুগল ট্রেন্ডসে আরও অনেক ফিচার এবং টুলস রয়েছে যেগুলো আপনার অনলাইন বিজনেসকে গ্রো করবে কিংবা আপনার অনলাইন প্রোফেশনকে আরও সহজ করতে বিভিন্নভাবে হেল্প করতে পারে। আশা করি এই তিনটি টুল সম্পর্কে জানলে গুগল ট্রেন্ডসের বাকি ইউজেস এবং ফিচার খুঁজে বের করতে আপনার আর তেমন কোন অসুবিধা হবে না!

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button