Digital Marketing

মার্কেটিং প্লান কাকে বলে? মার্কেটিং করার ৮টি প্লান

মার্কেটিং প্লান কাকে বলে?

বিজনেস শব্দটি মাথায় আসার পর যে জিনিসটা মাথায় আসে, সেটা হলো মার্কেটিং। আর এই মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্লানের। এখন প্রশ্ন আসতে পারে মার্কেটিং প্লান কাকে বলে?

একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, কোন কিছু অর্জন করতে চাইলে, কোন মাধ্যমে সে জিনিসটি অর্জন করতে হয়, তা জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই জিনিসটা চলে আসবে মার্কেটিং প্লানের মাধ্যমে। এখন কিভাবে একটি মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করতে হয় তা জানার পূর্বে আপনাকে একটি রোডম্যাপ তৈরি করে রাখতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি যে কোন পথে গেলে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।

একটি মার্কেটিং প্ল্যান মূলত খুব বেশি বড় কিংবা খুব বেশি জটিল হওয়া উচিত নয়। বরং বেশিরভাগ মার্কেটিং প্ল্যান হয়ে থাকে খুব বেশি সাধারণ এবং সহজ প্রকৃতির। তাই একটি মূল পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে। যাই হোক আজকের এই লেখায় আমরা মার্কেটিং প্লান কাকে বলে, এবং কীভাবে এই মার্কেটিং প্লান করবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করবো। 

মার্কেটিং প্লান কাকে বলে?

যেকোনো ধরনের মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করার আগে আমাদের সবার আগে জানতে হবে যে, মার্কেটিং প্লান কাকে বলে? মূলত কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্যকে গ্রাহকদের সামনে পরিচিতির মাধ্যম, কোম্পানির টার্গেট রিচ করতে, যে বিশেষ ধরনের পরিকল্পনা করা হয়, সেই পরিকল্পনাকে মূলত মার্কেটিং পরিকল্পনা বলা হয়।

একটি কোম্পানির পণ্য প্রচারণা থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন, পিআর সকল কিছু আলোচনা করা হল মার্কেটিং প্ল্যানিংয়ে। মূলত একটি কোম্পানির মার্কেটিং পরিকল্পনায় মার্কেটিং প্ল্যান হিসেবে সর্বজনীন স্বীকৃত।

কোন প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং প্ল্যান থাকা কি খুব জরুরি!

বিশ্বের যেকোনো ছোট কিংবা বড় ধরণের কোম্পানির ক্ষেত্রে একটি মার্কেটিং পরিকল্পনা থাকা খুব বেশি জরুরি। SME (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) মূলত একটি ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত হলে ভবিষ্যতের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের একটি মার্কেটিং প্ল্যান থাকা জরুরি। 

সাম্প্রতিক সময়ে, একটি জরিপ চালিয়ে অনুসন্ধানে পাওয়া গিয়েছে যে, শতকরা ৫০ ভাগ SME প্রতিষ্ঠিত হবার ক্ষেত্রে, মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করে না। শুধুমাত্র এই জিনিসটার ঘাটতির কারণে যেকোনো কোম্পানির সেলস টার্গেটের ক্ষেত্রে একটি মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। 

কেন কোন SME এর ক্ষেত্রে মার্কেটিং পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে সেই সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। এটি মূলত মার্কেটিং প্ল্যানের কারণে হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে একটি মার্কেটিং প্ল্যান পুরো ১০০ পৃষ্ঠার অধিক হয়ে থাকে। এটি মূলত সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের কর্তারা কাস্টমারের ডিমান্ডের পাশাপাশি তাদের চাহিদাকে অনুসরণ করে থাকে। 

এই পথটা সহজ নয়। মার্কেটিং প্ল্যান হতে হবে সাধারণ। এই নিয়ে এলেন ডিপ তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে, মার্কেটিং প্ল্যানের ক্ষেত্রে 64/4 নিয়ম সবসময় অনুসরণ করা উচিত।

মার্কেটিং প্ল্যানের উদ্দেশ্য কি?

একটি মার্কেটিং প্ল্যান, যেকোনো কোম্পানির মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিকে গুছিয়ে রেখে, কোম্পানির লক্ষ্য পূরণে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। প্রখ্যাত লেখক শ্যালি ডেব্বি এবং লিন্ডন সিংকিং তাদের বইয়ে লিখেছে,

মার্কেটিং মূলত ধারণা এবং সমন্বয়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত। মার্কেটিং প্ল্যানিং মূলত একটি সিস্টেমেটিক প্ল্যানিং, যা মার্কেটিং এসেসমেন্ট এবং নতুন নতুন ক্ষেত্রে তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

গ্রাহকদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে মার্কেটিং প্ল্যান তিন ধরনের ক্ষেত্রে উপর প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। 

  • গ্রাহক পণ্য কেনার পূর্বে।
  • পণ্য কেনার সময়ে। 
  • আপনার গ্রাহক পণ্য কিনে ক্রেতা হবার পর।

মার্কেটিং প্লান বনাম মার্কেটিং স্ট্রাটেজি
মার্কেটিং প্লান বনাম মার্কেটিং স্ট্রাটেজি

একই মুহূর্তে আপনার ব্যবসায়ের উপর ভিত্তি করে আপনাকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে:

  • আপনি কোথায় পৌঁছাতে চান? (টার্গেট অর্ডিয়েন্স)
  • আপনার ধারণা কি?(টার্গেট অর্ডিয়েন্সকে উল্লেখ করে আপনার বার্তা )
  • আপনি কোথায় পৌঁছাতে চান?(এর অর্থ হল আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্স সম্পর্কে)
  • আপনি তাদের আগ্রহের ক্ষেত্রে দখল করতে চান?(আপনার সম্মুখবর্তী ধারণ ক্ষমতা)
  • কিভাবে আপনি বিশ্ব সেরা সুযোগ প্রদান করবেন?
  • কিভাবে আপনি গ্রাহকদের চাহিদার শীর্ষে পৌঁছতে পারবেন?

অনেক ক্রিটিকাল আর কঠিন কঠিন কথা বলে ফেল্লাম নাকি! আচ্ছা, আপাতত রিলেক্স হন। এখন কথা হলো, আপনি যদি এক পেইজ মার্কেটিং প্ল্যান আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে চান তাহলে, আপনাকে ধাপে ধাপে নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে। 

স্টেপ ১: টার্গেট কাস্টমার খুঁজে বের করা

যেকোনো বিজনেস সফল হবার পেছনে, তার কিছু কাস্টমারের ভূমিকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ব্যবসায় তাদের ক্লায়েন্টকে ঠিকমতো জানতে হবে। ক্লায়েন্টদের অবস্থা, পছন্দ এবং চাহিদা-ভেদে আপনাকে তাদের সেবার উদ্দেশ্যে, পণ্যসমূহ তৈরি করতে হবে। 

প্রথাগত ধারার মার্কেটিংয়ের কোন ধরণের অস্তিত্ব এখন আর নেই। সরাসরি গ্রাহকদের কাছে, পণ্যসমূহ বিক্রি করার ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহক হারাচ্ছে। প্রত্যেক গ্রাহককে এক ধরণের জিনিস মানাবে, তা ধারণা করা নেহাত বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। 

দিনশেষে আপনি ধীরে ধীরে, যদি অল্প সংখ্যক গ্রাহককে আকর্ষণ করতে পারেন, তাহলে সময়ের সাথে সাথে আপনি এক বিরাট সংখ্যক গ্রাহকদের নিজের দিকে টেনে নিতে পারবেন। আপনি যদি আপনার টার্গেট কাস্টমারকে আকর্ষণ করতে চান তাহলে আপনাকে জার্নালিজম এবং রিসার্চের 5W +1H মডেল অনুসরণ করতে হবে 

  • আপনার ক্লায়েন্ট কে?
  • আপনার ক্লায়েন্টের কি ধরণের চাহিদা রয়েছে?
  • আপনার ক্লায়েন্ট কি ধরণের দামের মধ্যে পনি খুঁজে থাকে। তাদের কি ধরণের কোয়ালিটি পছন্দ?
  • তাদের কি ব্যক্তিগত কোন ধরণের চাহিদা বিদ্যমান রয়েছে?
  • তারা কখনো পণ্য কেনাকাটা করে?
  • তারা কি সচরাচর পণ্য কেনাকাটা করে?
  • তারা কি কোন পরিকল্পনা করে পণ্য কেনাকাটা করে থাকে? 
  • আমারদের গ্রাহকরা কোথায়? তারা কি ধরনের সাইট ভিজিট করে থাকে?
  • তারা কেন কেনাকাটা করে? তাদের কি ধরণের চাহিদা বিদ্যমান রয়েছে? কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে তারা আপনার পণ্য কিনবে?
  • কেন তারা আপনার পণ্য কিনবে অথবা আপনার সার্ভিস গ্রহণ করবে? তারা কি বেশি সংখ্যক পণ্য কেনাকাটা করবে কিংবা কম করবে? 
  • তারা কি অনলাইনে কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে কিংবা কোন ধরণের শপে গিয়ে সশরীরে পণ্য কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে? তারা কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে টাকা প্রদানে কোন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে?

উপরোক্ত প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আপনি একাধিক ক্লায়েন্ট ডেভেলপ করতে পারবেন। এইটাই আপনার মার্কেটিং প্ল্যানের প্রথম ধাপ হিসেবে গণ্য হবে।

স্টেপ ২: মার্কেটিং ম্যাসেজ তৈরি করুন

আপনার প্রতিষ্ঠানের সামনের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে, আপনাকে একটি ম্যাসেজ তুলে ধরতে হবে। এর মাধ্যমে, আপনার কাঙ্ঘিত গ্রাহকগণের সাথে, ম্যাসেজ বিনিময় করতে পারবেন। তাদের আপনি আপনার দোকানে আসার দাওয়াত দিতে পারবেন, ফর্ম পূরণ করতে উৎসাহিত করতে পারবেন। এতে আপনার ব্যবসা কিংবা কোম্পানির প্রচার বাড়বে। মার্কেটিং করার কৌশল

একদম একই ধরণের উপায়ে আপনি আপনার আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্সকে রিচ করতে পারবেন।

উদাহরণ-স্বরূপ বলা যায় যে, “ডোমিনোজ পিজা ৩০ মিনিটে এ ডেলিভারি দিবে” এমন একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং বার্তা পৌঁছে দিয়েছে তাদের গ্রাহকদের কাছে।

 

খেয়াল করলে দেখাবেন যে, তারা যদি হোম ডেলিভারি বিজ্ঞাপন প্রচার করতেন, তা মানুষকে এতো বেশি আকর্ষণ করতো না। কিন্তু যেহেতু তারা ৩০ মিনিটে ডেলিভারি দেওয়ার বার্তা পৌঁছে দিয়েছে, তা গ্রাহকদের মাঝে অনেক সাড়া ফেলেছে। তাই আপনাকে এমন একটি ভিন্ন রকম বার্তা, বানাতে হবে যা গ্রাহকদের মাঝে বেশি সাড়া ফেলবে।

স্টেপ ৩: মিডিয়া চ্যানেল নির্বাচন করুন

আপনি আপনার গ্রাহকদের থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি যেমন নাম, মোবাইল নাম্বার, লোকেশন এবং আরও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্ৰহ করে, তাদের কাছে পৌঁছাতে মার্কেটিং চ্যানেলের সাহায্য নিতে হবে। তথ্য সংগ্রহ করে, পরিকল্পনার মাধ্যমে, আপনি তাদের নিকট পুনরায় পৌঁছাতে হবে। 

এজন্য আপনাকে 4px মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করতে হবে। যথা:

  • Price – দাম
  • Product – পণ্য
  • Promotion – প্রচার
  • Place – স্থান

চ্যানেল এবং পরিকল্পনা সাজাতে চাইলে আপনার মার্কেটিং প্ল্যানের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ অনুসরণ করা জরুরি:

অনলাইন মার্কেটিং চ্যানেল ও পরিকল্পনা

২০১৯ সালে প্রকাশিত স্মল মার্কেটিং ট্রেড রিপোর্ট অনুসারে, তিন ধরণের চ্যানেলে SME পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সাহায্য নিয়ে থাকে, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিংয়। এইখানে মূল চ্যানেলগুলো হল:

  • ব্লগ: কন্টেন্ট মার্কেটিং। কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের বিস্তারিত
  • সার্চ ইঞ্জিন: এসইও এবং সার্চ ইঞ্জিন বিজ্ঞাপন।
  • গুগল অ্যাডওয়ার্ডাস ও অন্যান্য: ডিসপ্লে মার্কেটিং ও এফিলিয়েট মার্কেটিং। 
  • ইমেইল: ইমেইল মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া: কন্টেন্ট মার্কেটিং ও সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন। ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব?

অফলাইন বিজ্ঞাপন চ্যানেল ও পরিকল্পনা

অন্য এক গবেষণায় আউট-বন্ড ইঞ্জিন তথ্য দেয় যে, প্রায় ১১,৬৭ ভাগ SME চ্যানেল বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, অনেক সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাই অফলাইন বিজ্ঞাপন চ্যানেল সম্পর্কে তুলে ধরা হল:

  • ট্রেডিশোনাম মিডিয়া: এডভার্টাইজিং এবং সংবাদমাধ্যম, টেলিভিশন এবং লোকাল রেডিও মাধ্যম।
  • ষ্টেশনারী: ব্রাঞ্চেস, গাইড, অন্যান্য পাবলিকেশন।
  • ট্র্যাডিশনাল বিজ্ঞাপন সহায়তা: বিলবোর্ড ইত্যাদি।
  • ফেয়ার এবং ইভেন্ট: বিভিন্ন ধরণের মেলা কিংবা অনুষ্ঠান অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

স্টেপ ৪: ধারণ ক্ষমতা প্রকাশের মাধ্যম

 

মার্কেটিং প্লান কাকে বলে

ক্রিসমেরিস ডেমোনেস্ট্রেটরের ভাষ্যমতে, ৯৬ এর বেশি গ্রাহক যারা আপনার পেইজে নিয়মিত ভিজিট করে থাকে। তারা আপনার পণ্য কেনার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ প্রকাশ করে না। মাস-শেষে, কিংবা বছর শেষে কেনাকাটা করবে, এমন একটি পরিকল্পনা থাকে তাদের মধ্যে। কিন্তু তাই বলে আপনি যদি আপনার প্রচারণা বন্ধ রাখেন তাহলে, আপনি আপনার গ্রাহককে হারিয়ে ফেলতে পারেন। 

যদি আপনার চ্যানেলের সাথে একটি সরাসরি যোগসূত্র থাকে, আপনি তাদের সাথে বার্তা আদান প্রদান করতে পারেন সেল সম্পর্কে। শুধুমাত্র এই কারণে এলেন ডিব বলেছেন যে,

আপনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেল সেবার চেষ্টা করবেন না। বরং বিজ্ঞাপন হতে হবে, একটি লিংক যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি কাস্টমারের সাথে একটি কন্টাক্ট প্রতিস্থাপন করতে পারবেন। 

এমন অনেক ধরণের লিড মেগনেট রয়েছে, যায় মাধ্যমে আপনি পটাশিয়াল কাস্টমারদের থেকে কন্ট্রাক্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও, আপনি এখন থেকে অন্যান্য উদাহরণ নিতে পারেন। 

  • বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে ফ্রি ট্রায়ালের সুবিধা। 
  • কোন কনসালটেশন ফার্ম থেকে বিনামূল্যে কোন ধরনের পরামর্শ গ্রহণ করা। 
  • বিভিন্ন ধরণের সার্ভে করে রিপোর্ট তৈরি করা। 
  • ই বুক, গাইড, ভিডিও সিরিজ।
  • কুপন/ডিসকাউন্ট। 
  • সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

স্টেপ ৫: লিড বাড়াতে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো

আপনি আপনার লিড এবং গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহক সংখ্যা বাড়াতে চান? তাহলে, তাদের তথ্যাদি সংরক্ষণ করবেন, তখন ঠিক তাদের জন্যই সম্পর্ক প্রতিস্থাপনের স্বার্থে আপনাকে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।

লিড পরিচালনা মূলত, আপনার ক্রেতাসমূহকে আপনার পণ্যের ব্যাপারে অবহিত করে, আপনার পণ্যসমূহ সম্পর্কে কেনার ব্যাপারে উৎসাহিত করে তুলতে হবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপনি আপনার পণ্যসমূহ উপস্থাপন করে, আপনার পণ্যসমূহ কারো নিকট বিক্রি করতেই হবে।

আর আপনি যদি এমনটা করে থাকেন, তাহলে আপনাকে আপনার লিড কাস্টমার হারাতে হবে, সেই সাথে আপনার দেওয়া ইমেইল চলে যাবে তাদের স্প্যাম কিংবা ট্র্যাশ ফোল্ডারে।

স্টেপ ৬: আপনার কনফার্মেশন স্টোরি বর্ণনা করুন

একটি গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্টের উপর ভিত্তি করে আপনার গ্রাহকদের সাথে আপনার যোগাযোগ রক্ষা করা উচিত। কারণ যারা আপনার পটাশিয়াল কাস্টমার তারাই কখনো না কখনো আপনার থেকে পণ্য কিনতে উৎসাহিত করতে হবে। বিশ্বাস অর্জনের জন্য এবং কোম্পানির প্রচারের জন্য আপনাকে গ্রাহকদের সাথে কথা বলতেও হবে। 

এই মাধ্যমটির মাধ্যমে, আপনি আপনার গ্রাহকদের ভরসা অর্জন করতে পারবেন এবং সেই সাথে আপনি আপনার লিডিং সিস্টেমকে উন্নতির শীর্ষে পৌঁছাতে পারবেন। এই পদ্ধতি যেকোনো কাস্টমারকে আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য কেনার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে। মূলত একেক জনের কাছে অনলাইন বিজনেসের ধারণা এক এক রকম। যদি কোন গ্রাহকের আপনার প্রতিষ্ঠান পছন্দ না হয় আপনার কথোপকথন বেশিদূর চলবেনা।

স্টেপ ৭: সেরা সার্ভিস উপহার দিন

তৃতীয় পর্যায়ে এসে, পটেনশিয়াল কাস্টমারকে গ্রাহকে পরিণত করে, আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনার গ্রাহক আপনার ব্র্যান্ডের ফ্যান হয়ে গেছে। যার ফলে তারা আপনার রেগুলার কাস্টমার হয়ে উঠবে এবং আপনার পণ্যসমূহ নিয়মিত কেনার প্রতি আগ্রহ পোষণ করবে। 

এপলের দিকে চোখ রাখলে দেখতে পাবেন যে, তাদের ব্যাঞ্চমার্ক তাদের কোম্পানির মার্কেটিংয়ের অন্যতম একটি ধরণ। যখন তারা নতুন কোন পণ্য বাজারে ছাড়ে কিংবা কোন পণ্য কেনাকাটা করে থাকে তারা চেষ্টা করে, তারা যেন সেই প্রোডাক্টটি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়ে থাকে। 

তাহলে এপল কিভাবে এই কাজটি করতে সক্ষম হয়েছে? কিভাবে তারা গ্রাহক পর্যায়ের পৌঁছে গিয়েছে? চলুন জেনে নেই-

গ্রাহকদের চাহিদা এবং প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে পণ্য বিক্রি করুন।

ধরুন আপনি একটি সুরক্ষিত ব্যাগ তৈরি করলেন কিন্তু গ্রাহকের প্রয়োজন একটি সাধারণ ব্যাগ। তাহলে গ্রাহক কি করবে? আপনার পণ্য কিনবে নাকি তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছাবে?

একটি সৃষ্টিশীল আইডিয়ার উপর ভিত্তি করে পণ্য কেনাবেচা করুন।

কোন কিছু তৈরি করা সৃষ্টি করা বলা হয় না। বরং আপনি একটি সাধারণ পণ্যকে সৃষ্টিশীল আকারে কোন একটি নতুন উপায় বের করে আপনি তুলে ধরবেন আপনার গ্রাহকদের সামনে।

স্টেপ ৮: গ্রাহকদের নিকট আপনার ভ্যালু বৃদ্ধি করুন

কষ্টরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং গাইড অনুসারে, কোন প্রতিষ্ঠান যদি গ্রাহকদের বিশ্বাসের জায়গা তুলে ধরতে পারেন, তাহলে গ্রাহকরা আপনার কাস্টমার হতে বাধ্য হবে। 

পেরে-টো প্রিন্সিপাল যা 80/20 রুলার অনুসারে, আপনার প্রতিষ্ঠানের ৮০ ভাগ যায় আসে, আপনার পূর্বের ২০ ভাগ কাস্টমার থেকে। কিন্তু এই পার্সেন্টিজ কখনোই আগের মতো হয় না, ইহা মূলত গ্রাহকদের উপর নির্ভর করে। 

তারা বারবার আপনার প্রতিষ্ঠানকে জানতে, আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য কেনার ব্যাপারে উৎসাহিত হবে। আপনি প্রতিষ্ঠানের ভ্যালু বৃদ্ধি করার জন্য নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে পারেন:

দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে: এমন হয়েছে কখন যে, আপনি আপনার পণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন? বরং যদি তা প্রথমেই শুরু হয়ে থাকে যে, যদি আপনি আপনার অফারে ভ্যালু যুক্ত করতে চান, তাহলে আপনি তার দাম সামান্য পরিমাণে বৃদ্ধি করতে পারেন। বেশিরভাগ গ্রাহকের কাছে তা কোন চিন্তার কারণ হবে না। যদি আপনি তাদের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি পরিপূর্ণ কারণ দিতে থাকেন এই ক্ষেত্রে।

সেলিং পরিকল্পনা অনুসরণ করে: মূলত সেলিং পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে আপনি অনেক দামি দামি পণ্যসমূহ কেনাকাটা করতে পারবেন। অনেক সময়ে এটি অনেক সুবিধা বয়ে নিয়ে আসে যেখানে গ্রাহকরা তাদের পছন্দের দামে তাদের পণ্য কেনাকাটা করতে পারে।

গ্রাহকদের পণ্য কেনার ব্যাপারে উৎসাহিত করা: যারা সচরাচর আপনার থেকে পণ্য কিনে থাকে তারা আপনার আদর্শ কাস্টমার। অনেক সময় দামের ঊর্ধ্বগতি কিংবা ভিন্ন কারণে হয়তো বা আপনার থেকে পণ্য কিনতে চায় না। কিন্তু আপনি যদি, এমন অফার দিয়ে থাকেন যে যারা আপনার থেকে ১ মাস পণ্য কিনবে আপনি তাদের জন্য যদি একটি গিফট এর ব্যবস্থা করেন তাহলে দেখবেন একই সাথে নতুন কিংবা পুরাতন সব কাস্টমার আপনার কাছে চলে আসবে।

মার্কেটিং প্লান কাকে বলে এবং কিভাবে মার্কেটিং প্লান করবেন

আপনার পারফরমেন্স গণনা করুন: আপনার পারফর্মেন্স আপনি ৪ ভাবে মূল্যায়ন করুন:

  • গ্রাহকের সংখ্যা।
  • কথোপকথন মূল্যায়ন। 
  • আপনার অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ। 
  • আপনার ব্রেক পয়েন্ট।

আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন: আপনি নিজে যখন মার্কেটিং করবেন তখন তা যেকোনো মার্কেটিং পন্থা থেকে সবচেয়ে বেশি কাজে দিবে। মূলত যখন আপনি আপনার বন্ধু, পরিবার সবার কাছে, যেভাবে মার্কেটিং করতে পারবেন। পণ্য প্রচার করতে পারবেন তা অন্য কেউ পারবেন না।

তাই আপনি একটি কি ধরণের মার্কেটিং পরিকল্পনা করছেন, আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য করবেন এবং আপনি আপনার মেধা এবং মনন দিয়ে করবেন তা শুধুমাত্র কোম্পানির স্বার্থে। মনে রাখবেন, আপনার মার্কেটিং পরিকল্পনা মূলত বর্তমান বাজারের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করে তৈরি করবেন। তবেই, আপনার মার্কেটিং পরিকল্পনা আপনার ব্যবসার সুফল বয়ে আনতে পারবে।

উপসংহার

আশা করি এই লেখার মাধ্যমে মার্কেটিং প্লান কাকে বলে এবং মার্কেটিং প্লান কিভাবে করবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পেরেছি। তারপরেও যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে প্রশ্ন করতে পারেন। মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button