দুর্গল সামগ্রী কাকে বলে? দুর্গল সামগ্রী কত প্রকার ও কি কি? দুর্গল সামগ্রীর বৈশিষ্ট্য
নির্মাণ কাজে যেসব সামগ্রী অতি উচ্চতাপ, ক্ষয়কারী তরল পদার্থ এবং ধূলিবাহি তপ্ত গ্যাস প্রবাহে নরম বা বিগলিত না হয়ে দৃঢ়তার সাথে টিকে থাকতে পারে, তাঁকে দুর্গল সামগ্রী বা রিফ্রেটরি ম্যাটেরিয়ালস্ বলে। যেমন- সিলিকন, ম্যাগনেসাইট ইত্যাদি।
দুর্গল সামগ্রীর প্রকারভেদ
দুর্গল সামগ্রী তিন প্রকার। যথা–
১। অ্যাসিড দুর্গল সামগ্রী।
২। বেসিক দুর্গল সামগ্রী।
৩। নিরপেক্ষ দুর্গল সামগ্রী।
১. অ্যাসিড দুর্গল সামগ্রী : যে সব দুর্গল সামগ্রী সব সময় ক্ষারকীয় পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে তাকে অ্যাসিড দুর্গল সামগ্রী বলে। যেমন- সিলিকা, গ্যানিস্টার, কোয়ার্টজাইট ইত্যাদি।
২. বেসিক দুর্গল সামগ্রী : যে সব দুর্গল পদার্থ অ্যাসিড ধর্মীয় পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে, তাকে বেসিক দুর্গল সামগ্রী বলে। যেমন- ডলােমাইট, ম্যাগনেসাইট ইত্যাদি।
৩. নিরপেক্ষ দুর্গল সামগ্রী : যে সব দুর্গল সামগ্রী অ্যাসিড বা বেসিক কোনটির সাথেই বিক্রিয়া করে না, তাকে নিরপেক্ষ দুর্গল সামগ্রী বলে। যেমন- ক্রোমাইট, গ্রাফাইট, জিরকোনিয়া ইত্যাদি।
দুর্গল সামগ্রীর বৈশিষ্ট্য
দুর্গল সামগ্রীর বৈশিষ্ট্যগুলাে নিম্নরূপ–
- কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রায় ব্যবহৃত দুর্গল সামগ্রী কোন অবস্থাতেই নরম হবে না বা গলবে না।
- তাপমাত্রার আকস্মিক পরিবর্তন সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
- ব্যবহৃত চাপে ও উচ্চ তাপমাত্রায় এগুলাে জমে পিণ্ড হবে না বা এতে কোন চিড় ধরবে না।
- এর তাপীয় সংকোচন ও প্রসারণ অতি নিম্ন হতে হবে।
- ধাতু, খনিজমল ও ধাতুমলের সঙ্গে কোন প্রকার বিক্রিয়া করবে না।