ই-গভর্নেন্স কি? What is E-governance in Bengali?
ই-গভর্নেন্স বা ইলেকট্রনিক গভর্নেন্স একটি ডিজিটাল ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি। ই-গভর্নেন্স অফিসের কাজকর্মকে আরও সহজ ও নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে কম সময়ে অফিসের জটিল কাজের সমাধান করা যায়। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অফিসের সব জটিল কাজের নিয়ন্ত্রণে ই-গভর্নেন্স প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবন আরও সহজ হয়ে উঠেছে।
সাধারণত তিনটি স্তরে বা পর্যায়ে এই ই-গভর্নেন্স সেবা পাওয়া যায়–
১. সরকার থেকে সেবা গ্রহীতা (ব্যক্তি)
২. সরকার থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য
৩. সরকার থেকে সরকার।
বাংলাদেশে ই-গভর্নেন্স (E- governance in Bangladesh)
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০৯ সালে ঘোষিত ভিশন-২০২১ এর প্রধান লক্ষ্যই হল সরকারি সেবা ও শাসনব্যবস্থাকে ডিজিটাল করা। সরকারি সেবা জনগণের দ্বারে পৌঁছে দেবার জন্য স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদে একটি ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র বা ডিজিটাল সেন্টার চালু করেছে। তাছাড়া সরকারি সকল কার্যালয় থেকে দ্রুত তথ্য পাওয়ার জন্য একজন করে তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। দ্রুত তথ্য পাওয়ার জন্য প্রত্যেকটি সরকারি কার্যালয়ের মৌলিক কিছু তথ্য ওয়েবসাইটে অন্তর্ভূক্তকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ই-গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠিত হলে সর্বাগ্রে প্রাধান্য পাবে সাধারণ নাগরিক। এটি চার ধরনের কাজ করে যার কেন্দ্রে থাকে নাগরিক সেবা।
একাজগুলো হচ্ছে ব্যক্তিকে অবগতকরণ, ব্যক্তিকে প্রতিনিধিত্বকরণ, ব্যক্তিকে পরামর্শ প্রদান এবং ব্যক্তিকে অন্তর্ভুকরণ।
ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রযুক্তিকে সমাজের বৃহত্তর কল্যাণে ব্যবহার করা। কিন্তু, মনে রাখা দরকার যে, প্রযুক্তিকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার না করলে এটি সমাজের কল্যাণের চেয়ে অমঙ্গলই ডেকে আনে। এর অপব্যবহার প্রতিরোধ করার জন্য সব দেশের সরকারই বিভিন্ন ধরনের আইন প্রণয়ন করে থাকে।