Basic TechnologyTechnology

ইন্টারনেট এর ব্যবহার এবং সুবিধা গুলো কি কি ?

ইন্টারনেট কি কি কাজে ব্যবহার হয়?

বর্তমান যুগে ইন্টারনেট এর ব্যবহার করেনা এরকম মানুষের সংখ্যা কম বললেই চলে।

কিছু বছর আগের কথা বললে, ইন্টারনেট এর বিষয় টি নিয়ে আমাদের এমন কোনো রুচি অবশই ছিলোনা।

তবে বর্তমান সময়ে, শিক্ষা (online e-learning) থেকে শুরু করে ব্যবসা সবটাই করা হচ্ছে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে।

আমরা প্রত্যেকেই জানি যে, আজ শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার বর্তমান সময়ে সব থেকে অধিক পরিমানে করা হচ্ছে।

আগের সময়ে, টেলিফোন, ফ্যাক্স মেশিন ইত্যাদি যোগাযোগের কেবল কিছু সীমিত মাধ্যম আমাদের কাছে ছিল।

কিন্তু আজ, ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আমরা দেশ বিদেশের যেকোনো জায়গার থেকে যেকোনো জায়গাতে “video call“, “voice call” বা “online chatting” করতে পারি।

তাই, ইন্টারনেট এর ব্যবহার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে বললে আমি ভুল হবোনা।

আবার, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেকগুণ বেশি বেড়ে গিয়েছে।

ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটা পর্যায়ে ব্যবহৃত হচ্ছে।

সুতরাং ইন্টারনেটের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার নিয়ে আমাদের উৎসুক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি।

তাই, আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো যে, “ইন্টারনেটের মূল ব্যবহার গুলো কি কি” এবং ইন্টারনেটের মুল ১৩ টি ব্যবহার নিয়ে বিশদে জেনে নেব।

Post Contents

ইন্টারনেট এর ব্যবহার এবং সুবিধা গুলো কি কি ?

নিচে আমি সরাসরি কিছু ব্যবহার এর বিষয়ে বলে দিচ্ছি যেগুলোর ক্ষেত্রে বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রচুর পরিমানে হয়ে থাকে।

এমনিতে, official, non-official, entertainment, gaming, online communicating, online information ইত্যাদি প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের ব্যবহার এর গুরুত্ব অনেকটাই বেশি।

তবে, নিচে আমি কিছু মূল ব্যবহার গুলোর বিষয়ে বলে দিচ্ছি।

13 uses of Internet in Bangla

নিচে দেওয়া পয়েন্ট / ব্যবহার গুলো এক এক করে দেখেনিন।

১. সার্চ করতে ইন্টারনেট

বর্তমানে ইন্টারনেটে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন গুলোর সংখ্যাটাও কিন্তু নেহাত কম নয়।

একদিকে যেমন রয়েছে ইয়াহু অন্যদিকে রয়েছে বাইডু সার্চ ইঞ্জিন।

কিন্তু সবকিছু ছাড়িয়ে গিয়ে ইন্টারনেটের বেশিরভাগটায় জুড়ে রয়েছে গুগল সার্চ ইঙ্গিন।

যেকোনো সার্চ query র জন্য আমরা বেশিরভাগ সময় ব্রাউসার খুলে সার্চ করে ফেলি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে।

বর্তমানে কোনো কিছু না জানলে “Google.com“,এই শব্দটার সাথে আমরা এত পরিচিত হয়ে গেছি যে ইন্টারনেট ও গুগলের মাধ্যমে আমরা যা যা জানতে পারি সেটাকেই সত্য মনে করি।

আমরা আমাদের মনের প্রশ্ন বা সমস্যা গুলোকে ইন্টারনেটে থাকা Google সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে পেয়ে যেতে পারি।

এবং, এই search engine গুলোর ফলে, আমাদের সার্চ করা যেকোনো প্রশ্ন বা সমস্যার সাথে প্রাসঙ্গিকতা থাকা সমাধান বা উত্তর ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা পেয়ে থাকি।

২. অনলাইনে ব্যবসায় ইন্টারনেট

Online business, e-commerce business এবং online income হলো ইন্টারনেটের অন্যতম ব্যবহার যেটা নিয়ে আপনিও অবশই আমার সাথে একমত হবেন।

ই-কমার্স ব্যাবসা ইন্টারনেট জগতের পরিচিত এক রুপ ।

শারীরিকভাবে কাজ না করেও বিভিন্ন পরিষেবা পেতে আমরা নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির সাহায্য নিচ্ছি।

আমরা যেকোনো অনলাইন শপিং এর জন্য অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, ইবে, স্ন্যাপডিল প্রভৃতি ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো এমনকি তাদের অ্যাপ গুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাবহার করে চলেছি।

এছাড়া তাদের বিভিন্ন ছাড়ের কারণে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কেনাকাটা করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি।

তাছাড়া, আমরা যাতায়াতের কাজে ওলা, উবের ইত্যাদি অ্যাপ ব্যবহার করছি গাড়ি বুক করার জন্য ।

হোটেল বুকিং এর জন্য OYO একটি গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি হিসাবে পরিচিত হয়েছে।

এভাবেই, আজ প্রত্যেকটি নতুন ও আধুনিক ব্যবসার সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেটের কারণে।

বিভিন্ন লোকেরা কোনো টাকা না লাগিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে YouTube channel এবং blog তৈরি করে আজ মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।

আমি নিজেই, অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্লগিং ব্যবসা করছি।

তাই, ব্যবসা (business) এর ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার কিন্তু দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

৩. ইমেল ভিত্তিক কাজে ইন্টারনেট

বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে ইমেল করাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ইমেল এর মাধ্যমে আমরা instant যেকোনো ডকুমেন্ট ,ছবি, ভিডিও, file ইত্যাদি খুব সহজে পাঠিয়ে দিতে পারি শুধুমাত্র একটি ইমেল আইডি দিয়ে।

ফটো ভিডিও এই ধরনের ফাইল ট্রান্সফারের জন্য whatsapp, telegram ছাড়াও আরও অনেক পদ্ধতি থাকলেও কোনোটায় ইমেলকে replace করতে পারেনি।

আজও অফিসিয়াল কাজে ইমেল সর্বাধিক priority দেওয়া হয়ে থাকে।

কেননা, যেকোনো ধরণের ইমেইল পাঠানোর পর সেটা একটি রেকর্ড হিসেবে চিরকাল থেকে যায়।

তাই,  প্রত্যেক কার্যালয়ে যেকোনো ধরণের official conversation এই internet এর দ্বারা email এর মাধ্যমেই করা হয়।

৪. Social networking এর ক্ষেত্রে ইন্টারনেট

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট হিসাবে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস্যাপ খুবই জনপ্রিয় ও বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

ফেসবুকে ছবি পোস্ট করা থেকে শুরু করে ম্যাসেজ করা কিংবা হোয়াটস্যাপে চ্যাট করা, স্ট্যাটাস দেওয়া থেকে টুইটারে টুইট করা পর্যন্ত ইন্টারনেট আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী।

বর্তমানে ইন্টারনেটের বেশিরভাগটায় জুড়ে রয়েছে সোশ্যাল সাইটগুলি।

Social networking website গুলো ব্যবহার করে আমরা দেশ বিদেশে যেকোনো জায়গায় থাকা যেকোনো লোকেদের সাথে কথা বলতে পারি বা তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারি একেবারে বিনা মূল্যে।

তাছাড়া, বর্তমানে সময় হলো fast internet connection এর যেখানে আমরা মূলত video calling এর মাধ্যমেই যোগাযোগ করতে পছন্দ করি।

তাই, যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং সুবিধার কোনো তুলনা নেই বলেই আমি মনে করি।

৫. রিসার্চের কাজে ইন্টারনেট

নাসা ছাড়াও আমাদের বিভিন্ন দেশীয় প্রতিষ্ঠান DRDO ,ISRO প্রতিররক্ষার কাজে ও নতুন মিসাইল তৈরিতে বা অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরিতে ইন্টারনেট ব্যবহার অবশই হয়ে চলেছে।

এছাড়াও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করা হছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

ফিজিক্স ছাড়াও কেমিস্ট্রিতে কোনো molecule এর structure analysis করার জন্য NMR Spectroscopy , Mass Spectroscopy প্রভৃতিতে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে।

এছাড়া জীবজগতের সমস্ত শারীরবৃত্তীয় তথ্য জমা করতে PUBMED, DNA Databank, Protein Databank তৈরি হয়েছে ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে এবং Bioinformatics এর মতো বিষয় চর্চার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটের সাথে এই ধরনের ডাটাবেসগুলো যুক্ত করার ফলে যেকোনো তথ্য পাওয়া সহজ হয়ে গেছে। যা রিসার্চে অনেক উন্নতি ঘটাচ্ছে।

এমিটে, ব্যক্তিগত ভাবে যেকোনো বিষয়ের ওপরে research বা analysis করার ক্ষেত্রে আমি বা আপনি জেকেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য গ্রহণ করতে পারি।

বা সোজা ভাবে বললে ব্যক্তিগত রিসার্চ করার ক্ষেত্রেও আমরা ইন্টারনেটের ব্যবহার করতেই পারি।

৬. ক্লাউড স্টোরেজের ব্যবহারে ইন্টারনেট

আগে যেকোনো ফটো, ভিডিও সহ বিভিন্ন ফাইল রাখার জন্য আমরা মোবাইলেই বা কম্পিউটারের মেমোরির উপর নির্ভরশীল ছিলাম।

আমরা অনেকেই এখনো এই ধরনের অভ্যাসের সাথে বা ফোনের মেমোরিতে সবকিছু রাখার ব্যাপারে আগ্রহি।

কিন্তু, ক্লাউড বেসড সার্ভিস এখনকার যুগের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আমরা ছবি রাখতে google photoes, ডকুমেন্টস রাখতে google drive প্রভৃতি ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করে চলেছি।

যার ফলে, এখন আমাদের  হার্ড ডিস্ক বা মেমোরি কার্ড থেকে ছবি বা ডকুমেন্ট হারিয়ে যাওয়ার বা নষ্ট হওয়ার ভয় থাকেনা বললেই চলে।

এভাবে, ইন্টারনেটের cloud storage platform গুলোতে ছবি বা ফাইল রাখার ফলে অনেক সহজেই যেকোনো জায়গার থেকে সেই file গুলোকে access করা সম্ভব।

আপনার mobile হারিয়ে গেলে বা খারাপ হয়ে গেলেও কোনো ভয় থাকছেনা।

কেননা, আপনার ছবি, ফাইল বা ডকুমেন্ট গুলো ইন্টারনেটের সেই cloud storage এর মধ্যেই save থাকছে।

৭ . অনলাইন ইনকাম

হ্যাঁ , ঠিক শুনেছেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইন ইনকাম করে চলেছেন বিভিন্ন মানুষ।

অনলাইন ইনকামের জন্য তারা বিভিন্ন পথ অবলম্বন করছে ।

ইউটিউবে চ্যানেল বানিয়ে এবং ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করার মাধ্যমে যেমন অনেকে উপার্জন করছে,

তেমনই ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্লগিং করে বহু মানুষ ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করছেন।

এছাড়া এই সমস্ত কিছু ছাড়িয়ে গিয়ে মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মতো পেশাকে সঙ্গী করে তুলেছে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে।

আজকাল তো এমন অনেক applications, websites ইত্যাদি এসেগিয়েছে যেগুলোর ব্যবহার করে অনলাইন ইনকাম করা সম্ভব।

৮. শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার

শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার কম কিছু নয়। কারন করোনা পরবর্তী সময়ে অনলাইন এডুকেশন (e-learning) আমাদের মুল ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমরা প্রথম অবস্থায় zoom video service এর ব্যবহার করলেও পরে আমরা অনলাইনে ক্লাস করার জন্য গুগল মিট, Teamlink অ্যাপগুলো ব্যবহার করছি।

এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি গুলোতে আন্তর্জাতিক সেমিনার এর মতো ব্যাপারে ইন্টারনেটের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আজ আপনি যেকোনো জিনিস শিখতে চাইলে আপনার বেশি কিছু ভাবতে হয়না।

YouTube বা বিভিন্ন e-learning website গুলোর মাধ্যমে আপনারা যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান নিয়ে নিতে পারবেন বা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।

তাই, শিক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার এর গুরুত্ব অনেকটাই বেশি।

৯. ক্যাশলেস অনলাইন ব্যাংকিং-এ ইন্টারনেট

আজকালকার যুগে দাঁড়িয়ে অফলাইন ব্যাংক এর বিভিন্ন পরিষেবা অনেক উন্নত হলেও আমরা অনলাইন ব্যাংকিং পরিষেবাগুলোকে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্দ্য অঙ্গ করে নিয়েছি।

অনলাইনে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে নেট ব্যাংকিং পরিষেবা ব্যবহার করে টাকা পাঠানো সহজ হয়েছে।

এছাড়াও হাতের কাছে ব্যাংকিং পরিষেবা পেতে অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং, e-banking ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় যেটা ইন্টারনেটের ফলেই সম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিভিন্ন UPI gateway ব্যবহার করে বিভিন্ন অ্যাপস যেমন- Paytm, Google Pay,Phone Pe এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেন, মোবাইল রিচার্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো খুব সহজে হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া ইলেকট্রিক বিল পেমেন্ট ও যেকোনো দোকানে QR code স্ক্যান করে অনলাইন পেমেন্ট খুব সহজেই হয়ে যাচ্ছে।

তাই, বর্তমানের এই ইন্টারনেটের জগতে online payment এবং e-banking এর মতো আধুনিক সুবিধে গুলো সম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেটের ফলেই।

১০. ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইন কোর্স

আজকাল ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনি যেকোনো কিছু শিখতে পারেন।

হ্যাকিং শেখার জন্য যেমন কোর্স রয়েছে তেমনই মার্কেটিং শেখার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের উপযুক্ত কোর্স ইন্টারনেটে রয়েছে।

ইন্টারনেট  ব্যবহার করে কোর্স করার ফলে যে যে সুবিধাগুলো হয়েছে সেগুলো হলো-

  • যে কোনো ছোট বিষয়ের জন্য উপযুক্ত কোর্স রয়েছে।
  • প্রত্যেক বিষয়ের জন্য দক্ষ শিক্ষকের সহজলভ্যতা রয়েছে।
  • অনলাইন কোর্স এর খরচ অনেক কমে গেছে।
  • শারীরিক ভাবে উপস্থিতির কোনো প্রয়োজন পড়ছেনা।
  • যাতায়তের প্রয়োজন পড়ছেনা।
  • নতুন ও আধুনিক শিক্ষার মাধমের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ থাকছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইউনিভার্সিটি যেমন – অক্সফোর্ড ,কেমব্রিজ থেকেও ভালো ভালো কোর্স গুলো করা যাচ্ছে এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

তবে, পিছিয়ে থাকছেনা আমাদের দেশের top class institute গুলিও।

যেমন – Indian institute of technology (IIT), Indian institute of Science(IISc, Bangalore), Indian Institue of Science Education and Research (IISER), National Institute of Technology (NIT) মিলে যৌথভাবে  NPTEL Portal এর মাধ্যমে কম খরচে বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স প্রদান করে চলেছে।

১১. চাকরি ব্যাপারে ইন্টারনেটের ব্যবহার

আজকাল সবাই চাকরির বিষয়টি নিয়ে অনেক চিন্তিত হয়ে রয়েছে।

তবে সেটা যদি কোথাও না গিয়ে বাড়িতে বসে পাওয়া যায় তাহলে আর ভাবনা কি !

চাকরির খবরাখবর জানার ব্যাপারেও কিন্তু ইন্টারনেট পিছিয়ে নেই।

ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অফিসিয়াল নোটিস গুলো ঘরে বসেই পাওয়া যাচ্ছে।

পিছিয়ে নেই বেসরকারি কোম্পানি গুলিও ,তারাও তাদের ভ্যাকেন্সি অনুযায়ী ইন্টারনেটের মাধ্যমেই চাকরির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।

যার ফলে, যোগ্য ব্যাক্তি খুব সহজে আবেদন করতে পারছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

এছাড়া আপনার জন্য দূর কোন শহরে কোন কলেজটি ভালো, কোন কোর্সটি সেখানে ভালো পড়ানো হয় এই সব কিছুই জানা যাছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় আবেদন কিভাবে করতে হবে, রেজাল্ট কবে বের হবে সবটাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেন নিতে পারবেন।

সরাসরি বললে, আপনি নিজের ঘরে বসে গুগলে সার্চ দিলেই বর্তমানের বিভিন্ন চাকরির খবর গুলো জেনেনিতে পারবেন।

চাকরির খবর জানার জন্যে ইন্টারনেটে বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন –

  • indeed.com  
  • monsterindia.com
  • linkedin.com
  • theladders.com

ইত্যাদি আরো অনেক ধরণের ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে পাবেন যেগুলোর মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে জব খুঁজতে পারবেন।

১২. নিউজ এবং মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট

মানুষ সর্বদায় নিজেকে আপডেট রাখতে চায়। তাই যে সময়ের খবর সেই সময়ের খবরটি সেই মুহূর্তে পেতেই মানুষ বেশি আগ্রহী।

বর্তমানে টেলিভিশনের যুগে অফলাইন “বাসি খবরের কারণে ” নিউজপেপার গুলো ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলো।

কিন্তু এখন ই -নিউজ পেপার চালু হওয়ার কারণে মানুষ অনলাইনে নিউজ পড়তে অনেক বেশি আগ্রহী হচ্ছে।

এক্ষেত্রে, কাগজের পিছনে তাদের বাড়তি কোনো খরচ করতে হচ্ছেনা।

সুতরাং কিভাবে সাশ্রয়ী উপায়ে সঠিক নিউজটি অনলাইনে পাওয়া যায় মানুষ সেই ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছে।

একটি অ্যাপের মাধ্যমেই তারা অনেকগুলো ই-নিউজপেপার পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।

নিউজ এর সাথেই মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার কিন্তু অধিক পরিমানে হয়ে থাকে।

অনলাইনে ভিডিও দেখা, online multiplayer games খেলা, ছবি স্ট্রিম করা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে আমরা অনলাইনে সক্রিয় থাকি।

তাই, latest news পাওয়ার সাথে সাথে entertainmaint এর ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট এর ব্যবহার অনেক বেশি পরিমানে হয়ে থাকে।

১৩. অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার

অজানা কোনো রাস্তা বা জায়গা চেনার ক্ষেত্রে বা জিপিএস (GPS) লোকেশন ব্যবহার করে কোনো জায়গায় যেতে আমরা গুগল ম্যাপের ব্যবহার করে থাকি।

বিভিন্ন কাজের জন্য যোগ্যতা দেখাতে resume বা cv তৈরি করতে আমরা গুগল ফর্মের বা অন্য কোনো ওয়েবসাইটের সাহায্য নিয়ে চলেছি।

আমরা গুগল ফর্ম ব্যবহার করে অনেক ব্যাক্তির তথ্য একসাথে পেতে পারছি খুব সহজে।

Zomato, Swiggy প্রভৃতি food delivery company র অ্যাপ ব্যবহার করে আমরা নিকটবর্তী রেস্টুরেন্ট থেকে খাবারের অর্ডার করতে পারছি।

এছাড়া, আরো ভালো করে দেখলে internet এর সাহায্যে আমরা আরো অনেক ধরণের কাজ করে নিতে পারছি।

ইন্টারনেট এর সুবিধা নিয়ে যতটাই বেশি বলে থাকি সেটা অবশই কম।

আমাদের শেষ কথা,,

আজ আপনি জানলেন ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ে কিছু তথ্য।

ইন্টারনেট নিজেই যতটা সুবিশাল ততটায় সুবিশাল তার ব্যাবহার । এবং সত্যি বললে এক অবদান হিসেবে আমাদের জীবনে চলে এসেছে ইন্টারনেট।

আজকে আমি আপনাদের ইন্টারনেটের গুরুত্ব ও অধিক ব্যবহৃত ১৩ টি ব্যবহার নিয়ে জানালাম।

কিন্ত এর বাইরেও ইন্টারনেটের অনেক বেশি ব্যবহার রয়েছে যার তালিকা এত কম শব্দে সম্পূর্ণ করা যাবে বলে আমার মনে হয়না।

তাই, যদি uses of internet in Bengali নিয়ে আপনার মনে কোনো পরামর্শ থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

তাছাড়া, আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে শেয়ার অবশই করবেন।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button