মৃত্যু ভয় কেন হয় | মৃত্যু ভয় দূর করার উপায় গুলো জেনেনিন
আসুন জেনেনি মৃত্যুভয় কেন আসে ?
মধুসূদনের এই উদ্ধৃত কবিতাটি থেকে আমরা জানতে পারি জন্ম যেমন আছে মৃত্যুও আছে।
কিন্তু তবুও আমরা মৃত্যুকে সর্বদা ভয় পেয়ে থাকি। আর মৃত্যুভয় আমাদের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়।
আচ্ছা, মৃত্যু কি! মৃত্যু কেন আসে? এসব প্রশ্ন আমাদের মনে সর্বদাই আসে। কিন্তু আমরা ভেবে দেখি না, মৃত্যু কখনো আমাদের হাতে নেই।
সেভাবে জন্মও কখনো আমাদের হাতে নেই।
একটু ভেবে দেখুন তো, আপনি যখন জন্মেছিলেন আপনি কি জানতেন আপনি সেই সময় সেই দিনে জন্মাবেন! কখনোই জানতেন না।
ঠিক তেমনি মৃত্যুও কখন কিভাবে আসবে আমরা জানি না।
মৃত্যু – জন্ম এগুলো আমাদের হাতে থাকে না। তবুও আমরা ভয়ে মরি। মৃত্যু চিন্তা করি।
মৃত্যুচিন্তা শুধুমাত্র যে বয়স্ক মানুষেরাই করে তা কিন্তু নয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মৃত্যুচিন্তা কিন্তু যুব সমাজ থেকে শুরু করে আপামর জনসাধারণ এবং বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সবাই করে থাকে।
আসলে এই মৃত্যুভয় সকলকে তাড়া করে বেড়ায়। ডিপ্রেশন শুধুমাত্র যুব সমাজ কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে তা কিন্তু নয়।
আর ডিপ্রেশনের কারণেই যে শুধু মৃত্যুভয় আসে তাও কিন্তু নয়। মৃত্যুভয় আসে নানান কারণে।
আসুন জেনেনি মৃত্যুভয় কেন আসে ?
যা কিছুকে আপনি অতিরিক্ত ভালোবাসেন তা যখন আপনার হাতছাড়া হয়ে যায় তখন আপনার মৃত্যু ভয় অবধারিত এসে যায়।
কখনো বা আপনি কোন চিন্তার মধ্যে রয়েছেন এবং রাস্তাঘাটে আস্তে আস্তে হাঁটতে হাঁটতে যখন দেখলেন উল্টোদিকে কোন বড় যানবাহন আসছে আপনার কাছে হঠাৎই তখনই আপনার মৃত্যু ভয় আসতে পারে।
অথচ আমরা ভেবে দেখি না আমরা যে তালজ্ঞান হীন ভাবে রাস্তা হাঁটছি সেটাই আমাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী।
মৃত্যু ভয় নামক ভয়ানক রোগ রয়েছে, যেখানে সর্বদাই পেশেন্টের মনে হতে থাকে এইই বুঝি আমার মৃত্যু হবে কিংবা এই বুঝি আমাকে ছাদ থেকে ঝাঁপ মারতে হবে কিংবা আমাকে মরে যেতে হবে।
সেটা অবশ্যই তার মানসিক অবসাদ থেকে আসতে পারে কিংবা অন্য কোন শারীরিক অসুস্থতার কারণে।
সেটা সম্পূর্ণ আলাদা কথা, সাধারনত হয়।
আপনি যদি সবসময় মৃত্যু ভয় পেতে থাকেন তবে কিন্তু তা সাধারণ নয়।
আপনি যদি অতীতে কোনো খারাপ কাজ করে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে এই কারণে আপনার মৃত্যুভয় আর থাকার কারণ আসতে পারে।
যারা ঘুরতে বেড়াতে ভালোবাসেন তাদের তো অবশ্যই মৃত্যু ভয় থাকবেই।
আসুন জেনে নিই মৃত্যু ভয় কেন হয় ?
মৃত্যুর ভয় হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, হটাৎ কোনো কম বয়েসের ব্যক্তিকে কোনো কারণে মরতে দেখে সাংঘাতিক মৃত্যুর ভয় হতে পারে, কারো এক্সিডেন্ট এর ফলে হওয়া মৃত্যু বা নিজের পরিবারের মধ্যে কারো মৃত্যু দেখে আপনার মৃত্যু ভয় হতে পারে।
আবার কারো কারো কিছু মানসিক দুর্বলতার কারণেই এই ভয় সবসময় হয়ে থাকতে পারে।
কোনো কাজ কর্ম ছাড়া, উদ্দেশ্যহীন জীবন এবং অধিক সময় ধরে একাকীত্ব (loneliness) জীবন কাটানোর ফলেও এই মৃত্যু ভয়ের চিন্তা মাথায় এসে পড়তে পারে।
মানুষ জন্মালে তাকে একদিন হলেও মরতে হবে, এই চরম সত্যটাকে যেই ব্যক্তি মেনেনিতে পারেননা সেই ব্যক্তির মৃত্যুর ভয় হওয়াটা স্বাভাবিক।
রামকৃষ্ণদেব একবার এক জায়গায় বলেছিলেন, যদি তোমার বাসনা থাকে, কামনা থাকে তবে তোমাকে আবার এই পৃথিবীতে জন্ম নিতে হবে।
যদি তোমার মনে এই লোভ থাকে তোমার রসগোল্লা খাওয়া হয়নি তাহলে তুমি সেই রসগোল্লার জন্য আবার এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করবে।
এই সমস্ত গুণী মানুষদের, পরমহংসদেবের কথাবার্তা শোনার পরেও আমরা আমাদের কামনা-বাসনা কিন্তু কখনো ত্যাগ করতে পারি না।
উল্টে জীবন যুদ্ধের দুঃখকে নিয়ে কান্নাকাটি করে জীবনকে উপভোগ করতে ভুলে যাই।
জীবনে যা কিছু পেয়েছি তাকে নিয়ে চিন্তা করতে ভুলে যাই।
জীবনে যা কিছু আছে সেটাকে সুখ হিসাবে গ্রহণ করতেও ভয় পাই। আর এটাই আমাদের জীবনে মৃত্যু ভয়কে ডেকে নিয়ে আসে।
তাই, জীবনে যেটা আছে যেভাবে আছে সেটাকে নিয়ে সুখী থাকার চেষ্টা করতে হবে।
মৃত্যু ভয় দূর করার উপায় গুলো কি কি ?
আসুন জেনে নিই আমরা কিভাবে জীবনে মৃত্যুভয় কে দূর করতে পারবঃ
১) ঈশ্বরের সান্নিধ্যে থাকার চেষ্টা করুন সব সময়ঃ
ঈশ্বরের সান্নিধ্য আমাদের সবসময় নিজেদের মনকে পজেটিভ রাখতে চেষ্টা করে। আর পজিটিভিটি জীবনে খুবই প্রয়োজন।
সকাল-সন্ধ্যায় ভগবানের নামজপ, তার উদ্দেশ্যে নিজের জীবনের কিছুটা সময় তাকে দিয়ে দেওয়া, গীতা কিংবা কোরান কিংবা বাইবেল পাঠ, ধর্মীয় দর্শন স্থান ঘোরা, তীর্থে যাওয়া মানব জীবনের অপরিহার্য জিনিস।
কোন কারনে আপনি ধর্মীয় স্থানে যেতে না পারলে বা আপনার সাধ্যের মধ্যে না থাকলে নিজের বাড়িকেই বানিয়ে নিন মন্দির।
যেখানে সবসময় ঈশ্বরের চিন্তা হয়, যেখানে সব সময় মানুষের উপকার করা হয়, মানুষের ভালো করা এবং কর্তব্যনিষ্ঠা -জ্ঞান -দায়িত্ব পূরণ করার চেষ্টা করা হয়।
নিজের কাছে নিজেকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে আপনাকে, যে ভাল থাকবেন এবং ঈশ্বর আপনার সহায় আছে।
তাহলে মৃত্যু ভয় আপনার কাছ থেকে অনেক অনেক দূরে থাকবে।
মনে রাখবেন, মৃত্যুর ভয় হওয়ার মূল কারণ হতে পারে একাকীত্ব জীবন বা জীবনধারা।
তাই, যদি আপনার পাশে কেও নেই তাহলে ঈশ্বর কেই মনের কাছে রাখুন দেখবেন মনের জোর বাড়বে এবং ভয় দূর হবে।
২) সব সময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করুনঃ
জীবনে পজিটিভ থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। আপনি যত কাজের মধ্যেই থাকুন না কেন নিজের জন্য কিছুটা সময় নিজের মধ্যে রেখে দিন।
ভালো কিছু কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন এবং সবসময় মানুষের জনসমাজের হিত করার চেষ্টা করুন। দেখবেন সব সময় পজিটিভ থাকবেন।
আসলে আমরা সব সময় পজিটিভ থাকার কথা ভাবলেও নেগেটিভিটির চারপাশে থাকার কারণে আমাদের মন ও মস্তিষ্ক নেগেটিভ চিন্তাভাবনাকে গ্রাস করে এবং তার কারণেই আমরা সবসময় নেগেটিভ থাকি ও মৃত্যুকে নিয়ে চিন্তা করি।
আসলে তা করা উচিত নয়।
নিজের কথা না ভেবে জনসাধারণের কথা ভাবলে বা জনসমাজের কথা ভাবলে প্রকৃতির কথা সমাজের কথা ইত্যাদি চিন্তা করলে মন-মস্তিষ্ক সবসময় পজেটিভ থাকে আর এই পজিটিভিটি আপনাকে এগিয়ে দেবে জীবনের উদ্দেশ্যে।
সোজা কথায় নিজেকে ভালো এবং উচিত কাজে কর্মে ব্যস্ত রাখলে এই ধরণের ভয় মন থেকে চলে যাবে।
৩) কিছুটা সময় রাখুন নিজেকে মোটিভেট করার জন্যঃ
পর্যাপ্ত ঘুম এবং খাওয়া-দাওয়া যেমন দরকার তেমনি দিনের কিছুটা সময় নিজেকে দেওয়া উচিত নিজেকে মোটিভেট করার জন্য বা ধ্যান করার জন্য।
ঈশ্বরের দিকে তাকিয়ে থাকুন 10 থেকে 15 মিনিট। মন থেকে ডাকলেন তাকে। দেখুন সবকিছু হারানোর চিন্তা দূর হবে।
তার মাধ্যমে দেখুন আপনার আগামীকালের কি কাজ বাকি এবং আজকে কতটা কি কাজ শেষ করতে পেরেছেন।
এই চিন্তা দায়িত্ব ভাবনাই আপনার ভয় মুক্তির পথ এবং এই পথ যদি আপনার জীবনে আপনি সর্বদা ঠিক ভাবে মেইনটেইন করতে পারেন তাহলে আপনাকে কেউ মৃত্যুভয়ে ঠেলে দিতে পারবে না।
৪) অনলাইনে থাকুন তবে সর্বক্ষণ নয়:
আমাদের জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই কেড়ে নিয়েছে ইন্টারনেট।
অনলাইনে তৈরি হওয়া বন্ধু হয়তো আপনার জীবনের সঠিক বন্ধু নাও হতে পারে।
তাই অনলাইনে বেশি সময় না দিয়ে নিজের চারপাশে থাকা মানুষজনকে বেশি সময় দিন।
নিজের পরিবারকে বেশি সময় দিন এবং তাদেরকে নিয়ে সুখে জীবনযাত্রা অনুভব করার চেষ্টা করুন।
অনলাইনে বেশিক্ষণ সময় দিয়ে যদি আপনি মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন তাহলে জানবেন আপনার পাশাপাশি থাকা যে মানুষগুলো রয়েছে তারা আপনার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হচ্ছে এবং সেই কারণে অনেক সময় তারা আপনার প্রতি খারাপ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।
তাই চেষ্টা করুন সবসময় অনলাইন কে অ্যাভয়েড করে নিজের চারপাশে থাকা মানুষ গুলোকে দেখে, তাদের ভালো করতে, আনন্দ দিতে এবং তাদের সাথে মেলামেশা করাতে।
৫) কথায় বলে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশঃ
আপনি যদি সবসময় সেই সব মানুষের সাথে মেলামেশা করে যারা পরচর্চা পরনিন্দায় মত্ত থাকে কিংবা লোকের দোষ-গুণ ছুটি নিয়ে আলোচনা করতে ভালোবাসে তাহলে কিন্তু আলটিমেটলি দিনের শেষে আপনার কিছু লাভ হবে না বরং ক্ষতি হবে।
রামকৃষ্ণদেব কিংবা আপনার যিনি সৎগুরু রয়েছেন তার চিন্তায় ব্যস্ত থাকুন। তার নাম জপ শুনুন।
দরকার হলে ইন্টারনেটে, ইউটিউবে কিছু ভগবানের গান দিয়ে সারা দিন শোনার চেষ্টা করুন।
নিজেকে নিজের জগতে তৈরি করুন। নিজেকে নিজের জগতে বাঁচুন। এবং সর্বদা ভালো কথা ভাবুন।
দেখবেন আপনাকে মৃত্যুভয় কোনদিন ভয়ে ভীত করতে পারবে না।
৬) ভুল ভাবনা ত্যাগ করুনঃ
মৃত্যুকে জিততে, মৃত্যু ভয় কেটে দেওয়ার একমাত্র পন্থা আছে আপনার হাতেই। আপনি পারেন তাকে মুক্তি দিতে বা তাকে জয়ী করতে পারেন।
এটা সম্পূর্ণই আপনার নিজের হাতে।
জীবনে জয় যেমন আছে তেমন পরাজয়ও আছে। আনন্দ যেমন আছে তেমন দুঃখ আছে। আলো যেমন আছে তেমন অন্ধকারও আছে।
ঠিক তেমনই জন্ম যেমন আছে মৃত্যু ও আছে। যদি আপনি জন্ম কে ভালবাসেন তবে মৃত্যুকে ভালবাসতে শিখুন।
মৃত্যুকে ভালবাসলে তাকে ভয় কিসের? আসলে মৃত্যুভয় বলে কোন ভয় হয় না।
জন্মে ছিলেন যখন তখন কোন ভয় ছিল ? মৃত্যু থাকলে মৃত্যুর ভয় থাকে না। আমরা শুধু চিন্তা করি মাত্র।
আপনার কি হবে না হবে তা ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিন।
আপনি শুধু সঠিক কর্ম করে যান মাত্র। দেখবেন অজান্তে আপনার সবকিছু ভালই হচ্ছে আর ঈশ্বর আমাদের সহায় হলে আমাদের কোন উদ্বেগের কারণ থাকে না।
৭) অযথা চিন্তা বর্জন করুনঃ
এই অযথা চিন্তা আমাদের কাল স্বরূপ। চিন্তায় বশবর্তী হয়েই ডিপ্রেশন আসে। মানুষ কম বয়সেই বুড়িয়ে যায়।
অকালবার্ধক্য আসে জীবনে। যে চিন্তা আপনার জন্য ভালো নয়, তাকে কেন আপনার জীবনে স্থান দেবেন!
তাই, নিজেকে ভালো কাজে ব্যস্ত রাখুন, নানান জায়গায় ঘুরতে বেড়িয়ে যান. নতুন নতুন জিনিস শিখুন, জীবনে এতটাই ব্যস্ত থাকো যে অন্য অপ্রয়োজনীয় চিন্তা গুলো আপনার মাথায় আসতেই না পারে।
৮) যা আমার নয়, তা ছাড়তে শিখুনঃ
যা আপনার নয় তাকে পাবার আকুল চেষ্টা বন্ধ করুন।
এতে সময় নষ্ট, সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধি। আপনি নিজেরটা তৈরি করার চেষ্টা করুন, পরাজিত হলেও করুন।
হাল ছাড়বেন না। যদি নিজেকে বিচার করে দেখলেন এটা আপনারই নয় তখন তাকে হাসি মুখে বিদায় দিয়ে ভুলে যান।
৯) গুরুজনদের শ্রদ্ধা করুনঃ
গুরুজনদের আশীর্বাদ আমাদের জীবনে পাথেয়। মা বাবা বয়স্ক মানুষদের শ্রদ্ধা করে আপনি নিজের পূণ্য তো বটেই আধ্যাত্মিক চেতনার বিকাশ ঘটাতে সক্ষম। আর তা হলে মৃত্যুভয় কেন ?
১০) অতীত ভুলে যানঃ
অতীতের চিন্তাই মানুষকে মৃত্যুভয়ে ঠেলে দেয়। ভুল করেছিলেন, ঠিকাছে কিন্তু সেটা যে ভুল ছিল সেটা নিজে স্বীকার করাও অনেক বড় কথা।
আর এমন ভবিষ্যতে করবেন না, নিজেকে প্রতিজ্ঞা করুন।
অতীতের সব কিছু ভুলে যান। দেখুন কী হয়!
১১) খারাপ কিছু ঘটনাকে নিজের মনে রাখবেন না
অনেক সময় কোনো দুর্ঘটনা বা কারো মৃত্যু হওয়া নিজের চোখে দেখার ফলে মৃত্যুর ভয় মনে চলে আসে এবং সেই ভয় সব সময় আমাদের মনে থেকে যায়। তাই, এই ধরণের কোনো দুর্ঘটনা বা মৃত্যু যদি আপনিও দেখেছেন যেটাকে ভুলতে পারছেননা, তাহলে সেটাকে ভুলতে হবে।
একা অনেক কম সময় কাটান, নিজের কাজে কর্মে সময় দিতে হবে, ফ্রি টাইম পেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন কিংবা ঘুরতে বেরিয়ে যান।
এছাড়া, নিয়মিত ধ্যান করুন, ঈশ্বরের নাম নিন এবং সত্যিটাকে মানতে চেষ্টা করুন, দেখবেন মনে পসিটিভিটি আসবে এবং যেকোনো ভয় আর থাকবেনা।
এইগুলি মেনে চলুন। জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে। মৃত্যুভয়ে কোনোদিন ভীত হবেন না। ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখুন সর্বদাই।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা মৃত্যু ভয় কেন হয় এবং মৃত্যু ভয় দূর করার উপায় গুলো কি কি এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি আমাদের আর্টিকেল আপনাদের অবশই পছন্দ হয়েছে।
মৃত্যু ভয় কাটানোর উপায় গুলো নিয়ে লিখা আমাদের আর্টিকেল যদি আপনাদের পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।