আর্টিকেল

অহংকার কি ? অহংকার পতনের মূল কেন বলা হয়

অহংকারী ব্যক্তিদের লক্ষণ গুলো কি কি ?

অহংকার শব্দটির সাধারন অর্থ হল নিজেকে বড়ো ভাবা। দর্শন শাস্ত্রে অহংকারকে নিজের ব্যক্তিত্ত্ব জ্ঞানের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

এই শব্দটির ব্যুৎপত্তি হল অহম্ -কৃ+অ। এটি একটি বিশেষণ পদ।

অহংকারকে দাম্ভিকতা এবং ঔদ্ধত্য বলা হয়ে থাকে।

তবে যদি এর প্রকৃত সংজ্ঞা চাওয়া হয়, তাহলে সেটি এই রূপ – “যখন কোনো ব্যক্তি নিজেকে  শ্রেষ্ঠ বা উত্তম মনে করেন এবং বাকিদের হেয় জ্ঞান করে নিজেই আনন্দিত হন এবং গর্ব অনুভব করেন, তখন সেই বৈশিষ্ট্যটিকে অহংকার বলা হয়।”

এটি একটি ব্যাধি। তবে কম বেশি সব মানুষই অহংকারী। এখন দেখে নেওয়া যাক অহংকারী ব্যক্তির লক্ষণ গুলি কি কি ?

Post Contents

অহংকারী ব্যক্তিদের লক্ষণ গুলো কি কি ?

আপনিও কি অহংকারী ? বা আপনার আশেপাশে থাকা কোনো ব্যক্তি কি আপনার হিসেবে অনেক অহংকারী ? কিভাবে বুঝবেন সে অহংকারী কি না ?

চিন্তা করবেননা, নিচে বলা অহংকারী ব্যক্তির লক্ষন গুলো ভালো করে দেখে নিলেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

১) নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করা,

এটি হল অহংকারের মূল লক্ষণ। আমি শ্রেষ্ঠ। আমার থেকে আর কেউ শ্রেষ্ঠ নয়। এরূপ আচরণ একজন অহংকারীর লক্ষণ।

২) আমি ভিন্ন অপরকে ছোটো করা, হেয় করা,

একজন অহংকারী ব্যক্তি কখনোই কাউকে সম্মান করেন না।

তার সব সময় মনে হয় অন্য কেউ শ্রেষ্ঠ হতে পারেন না। তাই তিনি সকলকে নীচ নজরে, হেয় জ্ঞান করেন।

৩) নিজের নামের প্রচার, 

একজন অহংকারী ব্যক্তি সর্বদাই নিজের প্রচার করতে ভালোবাসেন এবং শুধু তাই নয় অন্য কেউ তার নামের প্রচার করলে তিনি খুশী হন।

৪) অন্যের নামে কুৎসা রটানো,

অহংকারী ব্যক্তি কেবল নিজের প্রশংসা করতে বা নিজের প্রশংসা শুনতে যেমন পছন্দ করেন তেমনি তিনি অন্যের নিন্দা করতে এবং অন্যের নামে কুৎসা রটাতেও পছন্দ করেন।

এতে তিনি অন্যকে ছোটো দেখিয়ে নিজের মহত্ত্ব জাহির করেন।

৫) অন্যকে সম্মান প্রদর্শন না করা,

একজন অহংকারী কখনোই অন্যকে সম্মান প্রদর্শন করেন না। এতে তার শ্রেষ্ঠত্ব নষ্ট হয় তাই অহংকারী ব্যক্তিরা আমি প্রধান, আমি শ্রেষ্ঠ এই জাতীয় ভাব নিয়ে সমাজে ঘোরা ফেরা করেন।

৬) অহংকারী ব্যক্তি কারোর সাথে নম্র ভাবে কথা বলতে পারেন না। 

৭) অহংকারী ব্যক্তি নিজেকে সর্বজ্ঞানী মনে করেন। তিনি সব বিষয়েই অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করতে পছন্দ করেন। 

৮) নিজ ভিন্ন অপরের উন্নতি সহ্য করতে পারেন না।

 ৯) সকলকেই তিনি হিংসা করেন এবং নিজের প্রতিদ্বন্দী মনে করেন।

হয়তো মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, এই অহংকারের উৎপত্তি কিভাবে বা অহংকার কেন আসে ? যখন মনের ওপর বুদ্ধির প্রতিফলন ঘটে তখন অহংকার সৃষ্টি হয়।

যেমন সূর্যের আলো চাঁদে প্রতিফলিত হয়ে রাতে পৃথিবীতে আসে। চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। এখন যদি চাঁদ মনে করে যে আমার আলোতেই পৃথিবী আলোকিত হচ্ছে, এইটি হল অহংকার।

মনে যখন জ্ঞান বা বুদ্ধির প্রতিফলন ঘটে  তখন মন ভাবে আমি বাকিদের থেকে আলাদা, আমি শ্রেষ্ঠ।

অহংকার কি কি বিষয়ের ওপর হতে পারে ?

১) নিজের দৈহিক শক্তি এবং দৈহিক সৌন্দর্যের ওপর।

২) নিজের জ্ঞানের ওপর

৩) অর্থের ওপর

৪) নিজের পরিচিতির ওপর

অহংকারের প্রকার গুলো কি কি ?

ওপরে বলা বিষয়গুলির ওপর ভিত্তি করে অহংকার কে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়, যথা –

ক) রূপের অহংকার

এই সম্পর্কে একটি গল্প বলে কথা আপনার সামনে রাখা ভাল।

একটি হরিণ ছিল। তার ছিল দুটি সুন্দর শিং। তার সেই শিং নিয়ে ছিল ভীষন অহংকার।

সব সময় সে শিং নেড়ে ঘুরে বেরাত। একদিন বনে এক শিকারী এল, শিকারী হরিণ টিকে দেখতে তাড়া করল।

হরিণটি ছুটতে ছুটতে হঠাৎ তার শিংটি আটকে গেল গাছের ডালে এবং সে ধরা পড়ে গেল। তাই রূপের অহংকার ঠিক নয় বলে বলাই যেতে পারে।

এই ধরণের রূপের অহংকার প্রচুর লোকেদের থেকে থাকে যার দেখতে অনেক সুন্দর হয়ে থাকে।

খ) অর্থ এবং সম্পত্তির অহংকার

এই সম্পর্কে বলি রাজা ও বামনের বিখ্যাত গল্পটি আপনাদের বলি।

রাজা বলি একটি যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। সে যজ্ঞে বিষ্ণু বামন রূপ ধারন করে আসেন।

রাজা বামন কে তার যা প্রয়োজন তাই  রাজার থেকে চেয়ে নিতে বলেন এবং রাজা অহংকারের সাথে বলেন যে তাঁর ভান্ডারে কোনো কিছুর অভাব নেই।

তখন বামন তিন পা রাখার মতো জমি চেয়েছিলেন।

বামন এক পা জমি স্বর্গে, দ্বিতীয় পা মর্ত্যে রেখেছিলেন এবং তৃতীয় পা রাজা নিজের মস্তকে ধারন করেন এবং পাতালে প্রবেশ করেন।

তাই বিষয় সম্পত্তির অহংকার ভালো নয়।

এই ধরণের অহংকারের ক্ষেত্রে ব্যক্তির নিজের টাকা সম্পত্তি এবং জমি নিয়ে প্রচুর অহংকার থেকে থাকে যেটা একেবারে ভালো নয়।

৩) জ্ঞানের অহংকার

জ্ঞানের অহংকার সবথেকে ক্ষতিকর। নিজের প্রচার করা বা নিজের প্রশংসা শুনতে সবারই ভালো লাগে এবং যিনি জ্ঞানী তিনি অপরকে নিজের জ্ঞানের পরিমান জানাতে খুবই পছন্দ করেন।

এক্ষেত্রে সক্রেটিসের একটি গল্প আলোচনা করা প্রয়োজন।

সক্রেটিস ছিলেন গ্রিসের সবথেকে জ্ঞানী পন্ডিত।

একদিন দেবী এথেনা তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে বললেন সক্রেটিস তুমি সবথেকে জ্ঞানী ব্যক্তি।

সক্রেটিস শুনে বললেন দেবী, ” আই নো (know) ওয়ান থিঙ্ক দ্যাট আই নো(know) নাথিং”, মানে, আমি একটি জিনিস জানি, যে আমি কিছুই জানি না। এই ছিল তাঁর উক্তি।

অহংকার পতনের মূল, কেন বলা হয় ?

অহংকার পতনের মূল কারন। এই বাক্যটি কম বেশি সকলের জানা। কেননা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে, যখন কোনো ব্যক্তি নিজেকে নিয়ে অধিক অহংকার দেখিয়ে থাকে, তখন তার সেই অহংকার তার জন্য বিপদ নিয়ে আসে।

বা অনেক সময় ব্যক্তির মধ্যে থাকা অধিক অহকারের ফলে তার পতন হওয়া দেখা যায়।

ইশপের গল্প থেকে একটি উদাহরণ দেখে নেওয়া যাক।

একটি কাকের ছিল খুব অহংকার। তার না ছিল রূপ, না ছিল গলার স্বর। একদিন সে বনে ঘুরতে ঘুরতে কয়েকটি ময়ূরের পালক পেয়েছিল।

এবার সেই ময়ূর পুচ্ছ নিজের ডানায় বেঁধে কাকটি নিজেকে ময়ূর ভাবতে আরম্ভ করল।

বাকী কাকেদের থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে সে এসে হাজির হল ময়ূরের দলে। ময়ূরেরা তার পালক দেখে ভাবলো কাকটি সত্যি সত্যি ময়ূর।

এই ভাবে সে ময়ূরদের দলে নিজের জায়গা পাকা করে নেয়।

দিন যায় মাস যায় কাক ময়ূরদের দলেই থাকে। এক বর্ষার দিনে ময়ূরেরা পেখম মেলে নাচতে আরম্ভ করেছে।

কাকও তাদের সাথে নাচছে। হঠাৎ ময়ূরেরা ডাকতে আরম্ভ করলেন এবং কাকও ভুলবসত ডেকে ফেলে।

এদিকে ময়ূরেরা তখন বুঝতে পেরে যায় যে কাক তাদের দলে ময়ূর সেজে আছে, তখন তারা ঠোঁট উচিঁয়ে কাকের শরীর থেকে ময়ূরের পেখম খুলে ফেলে দিল, এবং তাকে ঠোকরাতে আরম্ভ করল।

প্রাণ বাঁচাতে কাক আবার নিজের দলে ফিরে এল। কিন্তু পুরানো কাকের দল আর তাকে ঠাঁই দিল না।

শুধু ইশপের গল্পেই নয় গ্রিসের উপকথাতেও একটি সুন্দর গল্প আছে।

হাজার হাজার বছর আগে গ্রিসে নার্সিসাস নামের একটি ছেলে জন্মগ্রহণ করে।

নার্সিসাস কিছুটা বড়ো হতে তার মা তাকে একটি সাধুর কাছে নিয়ে যায় যাতে নার্সিসাস ভবিষ্যতে ভালো মানুষ হয়ে উঠবে কিনা জানার জন্য।

সাধু বললেন “পারবে, যদি সে নিজেকে কোনোদিন চিনতে না পারে,” কিন্তু নার্সিসাসের মা র কথাটির অর্থ বুঝতে পারলেন না।

ধীরে ধীরে নার্সিসাস বড়ো হয়ে উঠল। একদিন নার্সিসাস বনে গিয়েছিল শিকার করতে, সারাদিন অভুক্ত থাকার জন্য সে ক্ষুধার্ত এবং তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছিল।

হাঁটতে হাঁটতে সে একটি নদীর ধারে এসে পৌছাল এবং নদীর জলে নিজের প্রতিবিম্ব দেখে সে অবাক হয়ে গিয়েছিল।

নিজেকে এই প্রথম সে দেখল। এবং বুঝতে পারল সে সত্যই রূপবান।

নিজের প্রতিচ্ছবি দেখতে দেখতে সে ভাবল “আমি কত সুন্দর” এইভাবে সে তার প্রতিচ্ছবি কে ভালোবেসে ফেলল।

খাওয়া দাওয়া ভুলে গিয়ে সে দিন রাত নদীর ধারে বসে থাকত। এইভাবে না খেয়ে না ঘুমিয়ে একদিন সে মারা গেল।

তাই এখনো কেউ যখন নিজের প্রশংসাতে পঞ্চমুখ হয়ে ওঠে তখন এই প্রবৃত্তিকে নার্সিসাস কমপ্লেক্স বলে।

গৌতম বুদ্ধের বাণীতেও অহংকার ত্যাগের কথা জানা যায়।

প্রাচীন আর্যদের উপনিষদেও অহংকার ত্যাগের কথা বলা আছে। অহংকার  বিচার বুদ্ধি নষ্ট করে দেয়। ঠিক ভুলের তফাৎ  বুঝতে দেয় না।

ভুল পথটিকেই ঠিক বলে মনে হয়। তাই অহংকার পতনের মূল কারণ।

এখন অহংকার দূর কিভাবে করা যাবে ?

মানুষ ভাবে আমি কর্তা, আমি ভোক্তা, এই চিন্তা যতক্ষন থাকবে ততক্ষন অহংকার নাশ হবে না।

আমি নিমিত্ত মাত্র, এই বোধ আনতে হবে।

নিজের জ্ঞান বা রূপের চিন্তা ত্যাগ করতে হবে, মনের একাগ্রতা বৃদ্ধি করতে হবে, মনঃসংযম বৃদ্ধি করতে হবে।

তবেই অহংকার দূর হবে।

মুনী ঋষিরা বলতেন,”আমি কেউ নয়, তিনিই সব”।

রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বলতেন “অহংকার মায়া, নিজের প্রকৃত স্বরূপ দেখতে দেয় না। “

কিসের অহংকার, আজ যে রাজা দেখা যাবে কাল সে ফকির, আবার আজ যিনি পরম সুন্দরী কাল কোনো মারণ রোগ তার সব সৌন্দর্য নষ্ট করে দিয়েছে। তাই জীবনে কখনোই অহংকার করা ঠিক নয়।

কেননা জীবনে কোনো জিনিস স্থায়ী নয়, তবে আপনার ব্যবহার এবং কর্মের মাধ্যমেই লোকেরা চির জীবন আপনাকে মনে রাখবেন।

অহংকার থেকে বাঁচার উপায় গুলো কি কি ?

যেকোনো ব্যক্তির মধ্যে অহংকার কম বেশি পরিমানে থেকেই থাকে, তবে যখন সেই অহংকার এতটা বেড়ে যায় যে সে তার অহংকারে পাশের ব্যক্তিকে চিনতেই পারছেনা বা তাকে অপমানিত করছেন, তাহলে সেই অহংকার এর পরিমান অনেকটা বেশি।

তাই, যদি আপনিও নিজের মধ্যে তেমনটাই অহংকার চলে আসা বলে মনে করছেন বা ভবিষ্যতে অধিক অহংকারী ব্যক্তি হওয়ার থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইছেন, তাহলে নিচে বলা বিষয় গুলোর ওপরে নজর অবশই দিতে হবে।

১. টাকা পয়সার লোভ

সবচেয়ে আগেই আপনাকে নিজের মধ্যে থাকা টাকা পয়সার লোভ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

অবশই, টাকা পয়সা কমানোর স্বপ্ন বা চাহিদা থাকাটা ভালো তবে অত্যাধিক টাকার লোভ আপনাকে ভিতর থেকে প্রচুর অহংকারী বানিয়ে দিতে পারে।

যেই ব্যক্তিদের কাছে টাকা পয়সা অনেক কম বা অভাবে জীবন কাটাচ্ছেন তাদের পাশে গিয়ে দেখুন তারা এই টাকার জন্য কতটা কষ্ট করছেন।

আপনাকে এই সত্যটা মানতেই হবে যে টাকা পয়সা ধন সম্পত্তি আজকে আছে যদি কাল নেই, এগুলো স্থায়ী কখনোই না।

আপনাকে বুঝতে হবে যে, আপনার অত্যাধিক অহংকার আপনাকে অন্যদের থেকে বা আপনার প্রিয়জনের থেকে আপনাকে প্রচুর দূরে নিয়ে যাবে।

তাই, যখন আপনার কাছে সেই টাকা পয়সা আর থাকবেনা তখন কিন্তু কাওকে পাশে পাবেননা।

তাই, টাকা পয়সার অহংকার নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন এবং এটা বুঝতে চেষ্টা করুন যে, টাকা পয়সা দিয়ে আপনি সত্যিকারের আদর ভালোবাসা কিন্তু কিনতে পারবেননা। সেটা আপনি আপনার ব্যবহার এবং কর্মফলেই পাবেন।

২. শিক্ষা এবং জ্ঞান

যদি আপনি অধিক জ্ঞানী বা একজন শিক্ষিত ব্যক্তি, তাহলে কখনোই নিজের শিক্ষা বা জ্ঞান নিয়ে অহংকার করবেননা, তবে সেগুলোকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্র জোর দিন।

আপনাকে দেখতে হবে, আপনার জ্ঞান এবং শিক্ষার মাধ্যমে আপনি সমাজের মধ্যে ভালো কাজ কিভাবে করবেন।

অন্যান্য ব্যক্তিদের শিক্ষিত করুন, এভাবে নিজের জ্ঞান এবং শিক্ষা নিয়ে আপনি অহংকার না করে নিজের ওপরে গর্বিত অনুভব করার সুযোগ পারেন।

বিশ্বাস করুন, নিজের ওপরে গর্বিত অনুভব করার সুযোগ প্রত্যেকে কিন্তু পায়না।

৩. রূপ সুন্দর্য্য

সুন্দর লাগতে এবং নিজেকে সুন্দর দেখাতে আমরা প্রত্যেকেই ভালো পেয়ে থাকি।

তবে যখন নিজের সুন্দর্য্য নিয়ে মনের মধ্যে এতটা অহংকার জায়গা করে নেয় যে অন্যান্য ব্যক্তিদের ছোট বলে মনে করা হয়, তখন এটা একেবারেই খারাপ কথা।

আপনাকে বুঝতে হবে যে, মানুষের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো তার চরিত্র, ব্যবহার এবং কর্ম।

দারুন সুন্দর ব্যক্তি কিন্তু তার চরিত্র, কর্ম বা ব্যবহার সবটাই খারাপ, কেও কি সেই ব্যক্তির সাথে থাকবেন ?

যতই সুন্দর হোক আপকি কি থাকবেন এমন এক ব্যক্তির সাথে ?

তাই, মানুষের মনের সুন্দর্য হলো আসল সুন্দর্য এই বিষয়টা বুঝতে পারলে নিজের রূপ এবং সুন্দর্য নিয়ে অহংকার আপনার হবেনা।

বয়েসের সাথে সাথে আপনার রূপ এবং সন্দর্য কখন নাই হয়ে যাবে আপনি বুঝতেই পারবেননা, তবে আপনার ভালো কর্ম এবং ভালো চরিত্র চিরকাল আপনার ভালো পরিচয় বজায় রাখবে।

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানলাম, অহংকার কি ? অহংকার পতনের মূল, কেন বলা হয় এবং অহংকার থেকে বাঁচার উপায় গুলোর বিষয়ে।

আশা করছি, আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের অবশই পছন্দ হয়েছে।

অহংকার নিয়ে লিখা আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।

এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button