Computer

নেটওয়ার্ক ডিভাইস কি? প্রকার এবং উদাহরণ

নেটওয়ার্ক ডিভাইস কি?

যে হার্ডওয়্যার ডিভাইসগুলো কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফ্যাক্স মেশিন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোকে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়, তাকে নেটওয়ার্ক ডিভাইস বলে। 

অর্থাৎ কম্পিউটারে নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য যেসকল যন্ত্রাংশ একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে, সেসকল যন্ত্রাংশকে নেটওয়ার্ক ডিভাইস বলে।

এই ডিভাইসগুলো একই বা ভিন্ন নেটওয়ার্কে দ্রুত, নিরাপদ এবং সঠিক উপায়ে ডেটা স্থানান্তর করে। নেটওয়ার্কিং ডিভাইস সমূহের উদ্দেশ্য হল একটি নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের মধ্যে মসৃণ যোগাযোগ সক্ষম করা।

নেটওয়ার্ক ডিভাইসের উদাহরণ হল সুইচ, হাব, রাউটার, গেটওয়ে, মডেম, রিপিটার এবং অ্যাক্সেস পয়েন্ট ইত্যাদি।

নেটওয়ার্ক ডিভাইসের প্রকার

  • হাব (Hub)
  • সুইচ (Switch)
  • রাউটার (Router)
  • ব্রিজ (Bridge)
  • গেটওয়ে (Gateway)
  • মডেম (Modem)
  • রিপিটার (Repeater)
  • এক্সেস পয়েন্ট (Access Point)
  • ল্যান কার্ড

১. হাব 

যে ডিভাইসের সাহায্যে নেটওয়ার্কের কম্পিউটারসমূহ পরস্পরের সাথে কেন্দ্রীয়ভাবে যুক্ত থাকে তাকে হাব বলে। হাবের মধ্যে অনেক পোর্ট থাকে। একটি হাবে কতগুলো ডিভাইস যুক্ত করা যাবে তা হাবের পোর্টের সংখ্যার উপর নির্ভর করে। অধিকাংশ হাব ৪ পোর্ট, ৮ পোর্ট এবং ১৬ পোর্ট বিশিষ্ট হয়ে থাকে।

একটি হাব ডিজিটাল এবং এনালগ উভয় ডেটার সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি ইনকামিং ডেটা ডিজিটাল ফর্ম্যাটে হয়, হাবকে অবশ্যই প্যাকেট হিসাবে এটি পাস করতে হবে। যাইহোক, যদি ইনকামিং ডেটা অ্যানালগ হয়, তাহলে হাব এটিকে সংকেত আকারে পাস করে।

২. সুইচ

সুইচ হলো বহু পোর্টবিশিষ্ট একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস যার সাহায্যে নেটওয়ার্কের কম্পিউটারসমূহ পরস্পরের সাথে কেন্দ্রীয়ভাবে যুক্ত থাকে। একটি সুইচে কতোগুলো ডিভাইস যুক্ত করা যাবে তা সুইচের পোর্ট সংখ্যার উপর নির্ভর করে। সুইচে পোর্টের সংখ্যা ৮, ১৬,২৪ থেকে ৪৮ পর্যন্ত হতে পারে।

৩. রাউটার

যে নেটওয়ার্ক ডিভাইসটি একই প্রোটোকল বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে তাকে রাউটার বলে। একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে রাউটার একাধিক নেটওয়ার্ককে পরস্পর সংযুক্ত করে।

৪. ব্রিজ

একাধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক গঠনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের ডিভাইসকে ব্রিজ বলে। ব্রিজ একাধিক ছোট নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক তৈরি করে।

৫. মডেম

এটি মডুলেশন ও ডি-মডুলেশন পদ্ধতিতে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে টেলিফোন লাইনের সাহায্যে তথ্য আদান-প্রদান করে।

৬. রিপিটার

দূরত্ব বেশি হলে ক্যাবলে প্রবাহিত সিগন্যাল দূর্বল হয়ে পড়ে। এজন্য প্রবাহিত সিগন্যালকে পুনরায় শক্তিশালী এবং আরো অধিক দূরত্বে অতিক্রম করার জন্য যে ডিভাইস ব্যবহৃত তাকে রিপিটার বলে।

৭. গেটওয়ে

ভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে (LAN,MAN,WAN) সংযুক্ত করে WAN তৈরি করার প্রক্রিয়াকে গেটওয়ে বলে। এটির ফলে ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বাধার সম্ভাবনা কমে যায়। এটি ভিন্ন প্রোটোকল বিশিষ্ট নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করতে পারে।

৮. নেটওয়ার্ক এডাপ্টার বা ল্যান কার্ড

NIC এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Network interface Card। কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কভুক্ত করার জন্য যে প্লাগ-ইন কার্ড ব্যবহার করা হয় সেটিকে নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বা ল্যান কার্ড বা নেটওয়ার্ক এডাপ্টার বলে। নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ডেটা পাঠাতে বা গ্রহণ করতে এই ল্যান কার্ড প্রয়োজন হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button