হোম ইন্টারনেট Vs বিজনেস ইন্টারনেট : এদের মধ্যে পার্থক্য কি?
হোম ইন্টারনেট Vs বিজনেস ইন্টারনেট
প্রত্যেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে, আপনিও এই মুহূর্তে ব্যবহার করছেন, তাই এই পেজটি লোড করা সম্ভব হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য অবশ্যই আইএসপি থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নেওয়ার প্রয়োজন পরে। তবে যখনই কথা আসে ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে — অবশ্যই আপনার আইএসপি বিভিন্ন ইন্টারনেট প্ল্যান/প্যাকেজ প্রদান করে থাকে। আর প্রত্যেকটা প্ল্যান কিন্তু একই রকমের হয় না, আপনি এটাও জানেন, হোম ইন্টারনেট (Home Internet) বা রেসিডেন্সিয়াল ইন্টারনেট (Residential Internet) প্ল্যান গুলো আলাদা হয় এবং বিজনেস ইন্টারনেট (Business Internet) প্ল্যান গুলো আলাদা হয়ে থাকে।
অবশ্যই বেশিরভাগ রিডার এখানে হোম ইন্টারনেট প্ল্যান ইউজ করেন, কিন্তু খেয়াল করে দেখাবেন বিজনেস ইন্টারনেট প্ল্যান গুলোর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে — অনেক সময় সেইম স্পীডের জন্যও বিজনেস প্ল্যানে বেশি পে করতে হয়। কিন্তু কেন? বিজনেস প্ল্যানে কি আলাদা ব্যাপার গুলো রয়েছে, সেগুলোতে কি সত্যিই কোন যায় আসে? — এই আর্টিকেলটিতে এই টপিক গুলোর উপরই বিস্তারিত আলোচনা করবো!
হোম ইন্টারনেট Vs বিজনেস ইন্টারনেট
হোম ইন্টারনেট প্ল্যান এবং বিজনেস ইন্টারনেট প্ল্যানের মধ্যে কিছু তুলনা মূলক পার্থক্য রয়েছে। তবে এই পার্থক্য গুলো আপনার উপকারে আসবে নাকি একদমই কাজের নয় সেটা নির্ভর করে আপনি কোন টাইপের ইউজার তার উপরে। কী-ফিচার পার্থক্য গুলো নিচে প্যারাগ্রাফ আকারে বর্ণনা করার চেষ্টা করলাম!
দাম
হোম ইন্টারনেট বনাম বিজনেস ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে যেটা সবচাইতে বড় পার্থক্য, মানে অ্যাটলিস্ট যেটা চোখে দেখা যায় — সেটা হচ্ছে দাম। বিজনেস ইন্টারনেট প্ল্যানের দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু কেন? এতো দামী হওয়ার পেছনের রহস্য কি?
রহস্যটা হচ্ছে সার্ভিসের ক্ষেত্রে, সার্ভিসে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রে। আপনি যদি হোম প্ল্যান ইউজ করেন আর হঠাৎ যদি ইন্টারনেট ডাউন থাকে আর আপনার আইএসপি যদি অত্যন্ত মহান টাইপের হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে হতে পারে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বা ২-১ দিনের মধ্যে কোন ক্রিটিক্যাল প্রবলেম ঠিক করে দেবে। কিন্তু অনেক আইএসপি লাগাতার রিপোর্ট করার পরেও কোন পদক্ষেপ নেয় না। সপ্তাহের পর সপ্তাহ চলে যায় তাও অনেক সময় আপনার স্পীড ইস্যু ঠিক করা হয় না।
আর এটা অনেকেই জানেন, অনেক আইএসপি কখনোই তাদের অ্যাড অনুসারে ইন্টারনেট স্পীড প্রদান করে না। আপনি কিনেছেন ১৫ মেগাবিট/সেকেন্ড স্পীডের হোম প্ল্যান, কিন্তু আপনি হয়তো পান ~৫-১০ মেগাবিট/সেকেন্ড স্পীড। কখনো ঠিক স্পীড পান আবার কখনো একেবারেই যা ইচ্ছা তা হয়ে যেতে পারে স্পীডের অবস্থা। আর সত্যি বলতে এখানে আপনার করার ও কিছু নেই। তাদের প্ল্যানে লেখা থাকে “UPTO 15Mbps” — এর মানে আপনি সর্বচ্চ ১৫ মেগাবিট/সেকেন্ড পর্যন্ত গতি পেতে পাবেন, এটা নিশ্চিত পাবেনই এমন গ্যারেন্টি কিন্তু দেওয়া নেই।
এসএলএ – সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট
কিন্তু বিজনেস ইন্টারনেট প্ল্যানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সম্পূর্ণই আলাদা, বিজনেস প্ল্যানের ক্ষেত্রে আইএসপিরা এসএলএ (SLA) – সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট (Service Level Agreements) প্রদান করে থাকে। যদি কোন আইএসপি এসএলএ প্রদান না করে সেক্ষেত্রে অবশ্যই তারা ট্র্যু বিজনেস প্ল্যান প্রদান করছে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কি এই সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট? ওয়েল, এটি একটি চুক্তি পত্র যেখানে আইএসপিকে তাদের সার্ভিসের উপরে নিশ্চয়তা প্রদান করার জন্য জোর প্রয়োগ করানো হয়। মানে এখানে “UpTo Speed” এই টার্মটি কাজ করে না। তাদের অবশ্যই তাদের স্পীডকে গ্যারেন্টি দিতে হবে। তারা যদি প্যাকেজে উল্লেখ্য করে ১৫ মেগাবিট/সেকেন্ড, তাহলে তাদের ১৫ মেগাবিট/সেকেন্ডই স্পীড দিতে হবে।
যদি তারা তাদের প্যাকেজ অনুসারে সার্ভিস প্রদান না করে, আপনি আইনত অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন। আপনি টাকা জরিমানা করতে পারবেন, আপনি প্ল্যানটির দাম কমিয়ে নিতে পারবেন, বা আপনি ফুল রিফান্ড চাইতে পাবেন। কেননা এটা আপনার বিজনেস, আর বিজনেসে ডাউন টাইম মানেই অর্থ লস। যদি কোন কারণে আপনার বিজনেস প্ল্যানের ইন্টারনেট ডাউন থাকে, আর সেটা যদি আপনার আইএসপির দোষ হয়, সেক্ষেত্রে আপনার আইএসপির গ্যারেন্টি দেওয়া সময় রয়েছে এর মধ্যেই তাদের কানেকশন ফিক্স করতে হবে।
তো বুঝতেই পারছেন, কেন বিজনেস প্ল্যানের দাম বেশি হয়, কেননা এখানে আপনাকে সিরিয়াস সার্ভিস প্রদান করার এগ্রিমেন্ট প্রদান করা হয়। হোম ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে যদি আপনার ইন্টারনেট ডাউন থাকে, খুব বেশি হলে আপনি অনলাইন ভিডিও স্ট্রিম করতে পারবেন না, বা ওয়্যারবিডি থেকে আর্টিকেল গুলো পড়তে পারবেন না। কিন্তু বিজনেস এর ক্ষেত্রে হয়তো আপনি সার্ভার রান করছেন, আপনার বিজনেস ইমেইল সেন্ড করতে হতে পারে বা আপনার কাস্টমার রয়েছে যারা আপনার অনলাইন সার্ভিস ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে প্রত্যেক মিনিটের ডাউন টাইমের জন্য আপনাকে অর্থ লস গুনতে হবে।
তাছাড়া বিজনেস ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে আপনি হয়তো হিউজ ডাটা ব্যাকআপ করার কাজে লাগিয়েছেন এবং অনেক কম্পিউটারে একসাথে ইন্টারনেট কানেকশন অ্যাক্টিভ রয়েছে। আপনার অবশ্যই স্টাবল স্পীড প্রয়োজনীয়, অবশ্যই স্পীড কমা যাবে না, তাইতো আপনি নির্দিষ্ট প্ল্যান পারচেজ করেছেন, কেননা ঐ স্পীডই দরকার আপনার।
স্পীড প্রাধান্য
স্পীড প্রাধান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। হোম ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে একে তো “আপটু” টার্মে স্পীড প্রদান করা হয় এবং দ্বিতীয়ত ডাউনলোড এবং আপলোড স্পীডের ক্ষেত্রে অনেক তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন- পূর্বে আমার হোম ইন্টারনেটের ডাউনলোড স্পীড ১০ মেগাবিট/সেকেন্ড কিন্তু আপলোড স্পীড ৩ মেগাবিটের মতো। আপনি যদি মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইউজ করেন সেক্ষেত্রে এই পার্থক্য আরো বিশাল হতে পারে। আমি রবিতে দেখেছি ডাউনলোড স্পীড ২০-৪০ মেগাবিট/সেকেন্ডের মধ্যে থাকে, কিন্তু আপলোড স্পীড ৫-১০ মেগাবিট/সেকেন্ডের উপর উঠে না।
অনেক আইএসপির মতে হোম ইন্টারনেট ইউজাররা আপলোড করার চাইতে বেশি ডাউনলোড করে, তাই এরা স্পীডের এরকম পার্থক্য তৈরি করে। যদিও আজকের হোম ইউজারদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খাটে না। বর্তমানে হোম ইউজাররা ইউটিউব ভিডিও আপলোড করে, নিজের পার্সোনাল ফাইল গুলো ক্লাউড ব্যাকআপ করে, গেমিং করে — ইত্যাদি ক্ষেত্রে গ্রেট আপলোড স্পীড প্রয়োজনীয় হয়।
যাই হোক, বিজনেস প্ল্যানের ক্ষেত্রে আপলোড/ডাউনলোড স্পীড সমান হয়ে থাকে। যদি একটি বিজনেস প্ল্যান ৩০ মেগাবিটের হয়ে থাকে, সেখানে অবশ্যই ডাউনলোড/আপলোড স্পীড উভয়ই ৩০ মেগাবিট/সেকেন্ড হবে। কেননা বিজনেস মানেই তৈরি করা, ডাটা জেনারেট করা। অনেক ফাইল ব্যাকআপ সার্ভারে লাগাতার আপলোড করতে হয়। তো বুঝতেই পারছেন, বিজনেস ইন্টারনেটে সেইম আপলোড/ডাউনলোড হওয়াটা কতোটা জরুরী।
তবে এটা মানতেই হবে অনেক আইএসপি বর্তমানে ভালো ডাউনলোড/আপলোড স্পীড রেশিও প্রদান করে থাকে। আমার বর্তমান আইএসপি ডাউনলোড এবং আপলোড স্পীড ~৩০ মেগাবিটের মতো প্রদান করে। যেটা সত্যিই ইম্প্রেসিভ! তবে সবাই যে এরকম সার্ভিস প্রদান করবে এতে কিন্তু কোন নিশ্চয়তা নেই। তাছাড়া বিজনেস প্ল্যানে ব্যান্ডউইথ থ্রটলিং দেওয়া হয় না, যেখানে হোম ইন্টারনেটে প্রায়ই এটা করা হয়।
স্ট্যাটিক আইপি/ডাইন্যামিক আইপি
আমি রিসেন্টলিই এই স্ট্যাটিক আইপি ও ডাইন্যামিক আইপি নিয়ে বড় করে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করেছিলাম। হোম ইন্টারনেট প্ল্যানের সাথে বিশেষ করে ডাইন্যামিক আইপি অ্যাড্রেস প্রদান করা হয়, যেটা ইন্টারনেট কানেক্ট/ডিস্কানেক্ট করলে বা নির্দিষ্ট সময় পরপর পরিবর্তন হয়ে যায়।
বিজনেস প্ল্যানের ক্ষেত্রে আপনি স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস পাবেন, না হলেও আপনি সেটা রাখার অপশন পাবেন। স্ট্যাটিক আইপি হচ্ছে যে আইপি পরিবর্তন হয় না। আর বিজনেসের ক্ষেত্রে স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস থাকার অনেক সুবিধা হয়েছে, যদিও এই আর্টিকেলে আমি সকল সুবিধা গুলো বর্ণনা করেছি — আপনি হয়তো সার্ভার রান করছেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট বা রিমোটভাবে যে কেউকে হয়তো সার্ভার আক্সেস করতে হতে পারে, সেক্ষেত্রে আইপি অ্যাড্রেস চেঞ্জ হয়ে গেলে ঝামেলা। তাছাড়া বিজনেসে আপনার স্ট্যাটিক আইপি অ্যাড্রেস থাকলে আপনি চেনা আইপি গুলো নেটওয়ার্কে হোয়াইটলিস্ট করতে পারবেন, ফলে শুধু আপনার চেনা আইপি থেকেই আপনার সার্ভার আক্সেস হবে।
শেয়ার্ড/ডেডিকেটেড কানেকশন
আরেকটি বড় পার্থক্য হচ্ছে শেয়ার্ড ও ডেডিকেটেড কানেকশন। হোম বা রেসিডেন্ট ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে সর্বদায় শেয়ার্ড কানেকশন প্রদান করা হয়। আপনার প্রতিবেশিদের সাথে আপনার ব্যান্ডউইথ শেয়ার্ড হয়ে থাকে, এই জন্যই সন্ধায় স্পীড ডাউন থাকে আর রাত বাড়লে স্পীড বেড়ে যায়, কেননা প্রতিবেশীরা তখন ইন্টারনেট ইউজ করে না।
আপনার এলাকাতে হয়তো একটি লাইন থেকে ২০/৩০টা বাড়িতে কানেকশন দেওয়া হয়, এবং প্রত্যেকের সাথে ব্যান্ডউইথ শেয়ার করা থাকে। কোন ইউজার কতো ব্যান্ডউইথ ইউজ করতে পারে এর একটি অনুমান করে আইএসপি একটি ক্যালকুলেশন তৈরি করে এবং সেই রেশিও অনুসরণ করে তারা প্রত্যেক বাড়িতে লাইন প্রদান করে।
কিন্তু বিজনেস প্ল্যানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আবার আলাদা হয়ে দাড়ায়। অবশ্যই আপনাকে ডিডিকেটেড লাইন প্রোভাইড করা হয়, ফলে আপনার কানেকশন স্পীড সর্বদা একই থাকে, কেননা সেটা অন্য কেউ আর ইউজ করছে না। আইএসপি থেকে সরাসরি আপনার পর্যন্ত লাইন কানেক্টেড থাকে। যদি শেয়ার্ড লাইন থেকেও আপনাকে কানেকশন দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে সকল হোম ইন্টারনেট ইউজারদের কানেকশন স্লো হয়ে যাবে কিন্তু আপনি সেই স্পীডই পাবেন যেটা কিনেছেন।
কাস্টমার সার্ভিস
আরো একটি বড় পার্থক্য হচ্ছে কাস্টমার সার্ভিস! — হোম ইন্টারনেট কানেকশনের ক্ষেত্রে কাস্টমার সার্ভিস যা ইচ্ছা তা হয়ে থাকে। আমি জানি আমার নতুন করে বর্ণনা করার দরকার নেই, আপনি নিজেও জানেন কতোটা মারাত্মক ফালতু হয়ে থাকে বিভিন্ন আইএসপিদের কাস্টমার সাপোর্ট। যদি আপনার আইএসপির সাপোর্ট অনেক ভালো হয়ে থাকে অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনি ভাগ্যবান, না হলে তো কল লাইন কানেক্ট হতেই বছর লেগে যায়।
সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ সাপোর্ট এজেন্ট জানেই না আপনি কি সমস্যার কথা বুঝাতে চাইছেন, তাদের সামনে স্ক্রিপ্ট পরে থাকে আর সেটা দেখেই তারা অলয়েজ কথা বলে। কথায় কথায়, “স্যার আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত আপনার সমস্যাটির জন্য!” — এমন ব্যবহার যেন বিনয়ের অবতার, কিন্তু আসল সমস্যা সমাধানের বেলায় কিছুই নয়। এরা শুধুই শেখানো বুলি উচ্চারণ করে থাকে। তারপরে আপনাকে কিছু ট্রাবলশুটিং করতে বলবে যেগুলো আপনি আগেই করে ফেলেছেন, তারপরে দুঃখিত বলে ফোন রেখে দেবে না হলে উপরের টিমের কাছে কমপ্লেইন রাখছে বলে আপনাকে পেঁচাবে।
বিজনেস প্ল্যানে আপনার এগ্রিমেন্টের উপর নির্ভর করে সাপোর্টে হয়তো রিয়াল গীক থাকে, যারা সত্যিই জানেন আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন। বিজনেস প্ল্যানে আপনার জন্য ডেডিকেটেড সাপোর্ট থাকতে পারে। কেননা আপনি যেহেতু বিজনেস প্ল্যান রান করছেন সেক্ষেত্রে আপনার চাহিদা এবং অসুবিধা আরো কমপ্লেক্স হতে পারে, তাই অবশ্যই একজন উপযুক্ত সাপোর্ট এজেন্ট ছাড়া কিছুই বুঝতে পারবে না।
তো আশা করছি এতক্ষণে হোম ইন্টারনেট প্ল্যান এবং বিজনেস ইন্টারনেট প্ল্যানের মধ্যের পার্থক্য গুলো বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। আপনি যদি ডেডিকেটেড ইন্টারনেট ইউজার হয়ে থাকেন, মানে বাড়িতেই অনেক ব্যান্ডউইথ ইউজ করেন অনেক ডাউনলোড/আপলোড করেন সেক্ষেত্রে বাড়িতেই বিজনেস প্ল্যান নিতে পারেন, যদিও এতে টাকা খরচ অনেক হবে কিন্তু আপনি এখন জানেন আপনার কোনটা প্রয়োজনীয়!