এমনিতে অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের ডেটার ওপর নজরদারি এবং তার সাথে কাটাছেঁড়ার অভিযোগে – প্রায়ই বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন নিজের Play Store প্ল্যাটফর্ম থেকে রিমুভ করে Google (গুগল)। কিন্তু যদি শোনা যায় যে টেক জায়ান্টটি নিজেই ইউজারদের ডেটা ট্র্যাক করছে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই অনেকে বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বলার ভাষা পাবেন না! কিন্তু অবাক লাগার মত হলেও, Google কর্তৃক ইউজার ডেটা ট্র্যাক হওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি সত্যি। আসলে Facebook, Amazon, Apple এবং অন্যান্য নামী প্রযুক্তি সংস্থাগুলি প্রয়োজনমত তাদের ইউজারদের ডেটা সংগ্রহ করে; তবে এদের চেয়েও Google সর্বাধিক বেশি পরিমাণে এই কাজ করে থাকে বলে দাবি করা হচ্ছে। একটি নতুন সমীক্ষা অনুযায়ী, Google, ইউজারদের থেকে প্রায় ৩৯ ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য ট্র্যাক করে। সেক্ষেত্রে এতদিন Google-এর এই ডেটা ট্র্যাকিংয়ের ঘটনাটি খালি চোখে ধরা না পড়লেও (মানে সাধারণভাবে বোঝা না গেলেও), খুব শীঘ্রই এমন একটি অ্যাপ আমাদের হাতের মুঠোয় আসতে পারে যা Google প্রতিবার ডেটা সংগ্রহ করলেই ইউজারদের সতর্ক করবে।
Google ডেটা সংগ্রহ করলেই ইউজাররা শুনতে পাবেন শব্দ
সম্প্রতি বার্ট হুবার্ট (Bert Hubert) নামে একজন ডেভেলপার একটি নতুন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছেন, যা ইউজারদের তাদের ডেটা ট্র্যাক করার সময় সতর্ক করতে সক্ষম। এই বিষয়ে একটি টুইট করে হুবার্ট বলেছেন যে – তিনি খুব সাধারণ একটি টুল তৈরি করেছেন যা গুগল প্রতিবার ডিভাইস থেকে ডেটা সংগ্রহ করার সময় একটি শব্দ করবে। ফলে খুব সহজেই ইউজাররা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। 9to5Google-এর মতে, ‘গুগল-টেলার’ (Googleteller) নামের এই অ্যাপ গুগল প্রদত্ত আইপি (IP) অ্যাড্রেসগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করবে। এক্ষেত্রে কোনো ইউজারের সিস্টেম এই ধরণের আইপি অ্যাড্রেসগুলির কোনো একটির সাথে সংযুক্ত থাকলেই, তার ডেটা সংস্থার সাথে শেয়ার হচ্ছে কিনা তা জানান দেবে।
তবে মুশকিল হল যে, কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কম্পিউটার ইউজারের ডেটা গুগলকে পাঠালে তবেই অ্যাপটি কাজ করবে। সোজা কথায় বললে, এই অ্যাপ স্মার্টফোনে তো কাজ করবেই না তাছাড়াও সাধারণ উইন্ডোজ কম্পিউটারে এর সুবিধা উপলব্ধ নয়। কারণ এটিকে লিনাক্স (Linux)-এর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
এই সমস্ত সংস্থাও সংগ্রহ করে ইউজার ডেটা
সম্প্রতি StockApps.com দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে যে, Google, Facebook, Amazon, Apple, Twitter এবং অন্যান্য টেক কোম্পানিগুলি ইউজারদের থেকে সর্বাধিক পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ করে৷ তথ্য সংগ্রহের ওপরই নির্ভর করে সংস্থাগুলির পুরো ব্যবসায়িক মডেল। তবে এদের মধ্যে Apple-ই একমাত্র সংস্থা যা বাকিদের মত বিজ্ঞাপন ভিত্তিক আয়ের জন্য নয়, বরঞ্চ ইউজারদের অ্যাকাউন্ট মেইনটেইন করার জন্য শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ করে।