প্রথমবার দেশের বর্ডারেও মিলবে উন্নত মোবাইল পরিষেবা
প্রথমবার দেশের বর্ডারেও মিলবে উন্নত মোবাইল পরিষেবা
এবার থেকে দেশের আন্তর্জাতিক বর্ডারের নিকটস্থিত বহু শহর, এমনকি গ্রামাঞ্চলেও মিলবে উন্নত টেলিকম পরিষেবা! আজ্ঞে হ্যাঁ, কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ দপ্তর বা DoT -এর সৌজন্যে সম্প্রতি এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। আসলে সদ্য DoT দেশের আন্তর্জাতিক বর্ডার এলাকাগুলিতে মোবাইল নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ছাড়ের মানদণ্ড অনেকটাই শিথিল করেছে। এর ফলে Jio, Vi, Airtel -এর মতো প্রাইভেট টেলকোদের পক্ষে বর্ডার এলাকায় পরিষেবা সম্প্রসারণ অনেক সহজ হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। সবচেয়ে বড় কথা, DoT -এর এই পদক্ষেপ টেলকোদের ব্যবসা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে, যা অস্বীকার করার কোন কারণ নেই।
জেনে রাখা দরকার, বিদ্যমান রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক (ইউনিফায়েড লাইসেন্সের ৮.১ সেকশন) অনুযায়ী টেলিকম অপারেটরেরা আন্তর্জাতিক বর্ডার এলাকা থেকে সুনির্দিষ্ট দূরত্বে মোবাইল টাওয়ার এবং ট্রান্সসিভার বসাতে বাধ্য, যার ফলে এই সমস্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক পরিষেবা বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে। তাছাড়া বর্ডার নিকটবর্তী অঞ্চলে টেলিকম অপারেটরেরা অনেক ক্ষেত্রে এমন প্রযুক্তি বহাল করতে বাধ্য হয় যা পরিষেবা প্রাপ্তির পক্ষে প্রতিকূল। ফলত এধরনের এলাকায় বসবাসকারীরা কখনোই উন্নত নেটওয়ার্ক পরিষেবা ব্যবহারের আস্বাদ পাননা।
ভারতীয় টেলকোদের নেটওয়ার্ক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকার ফলে বর্তমানে দেশের বর্ডার নিকটবর্তী এলাকায় বসবাসকারীরা পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশের থেকে প্রাপ্ত মোবাইল সিগন্যাল ব্যবহারে বাধ্য হন। তবে ডট (DoT) কর্তৃক গৃহীত নতুন পদক্ষেপের ফলে তারাও এবার থেকে এয়ারটেল, জিও প্রভৃতি স্থানীয় টেলকোদের পরিষেবা পেয়ে যাবেন, যা অত্যন্ত আনন্দের কথা।
পরিশেষে উল্লেখ্য, টেলিযোগাযোগ দপ্তরের সাম্প্রতিক সংস্কারের ফলে বর্ডার এলাকার (যথা, এলওসি, এলএসি এবং আখনূর ও পাঠানকোটের মাঝের আন্তর্জাতিক বর্ডার) ১০ কিলোমিটারের মধ্যে বেস স্টেশন তৈরি ছাড়াও সেল সাইট তথা রেডিও ট্রান্সমিটার স্থাপনের জন্য অপারেটরদের, স্থানীয় সেনা বা অপর কোনো কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নিতে হবেনা। জানিয়ে রাখা জরুরি, মেশিন টু মেশিন কানেক্টিভিটির (M2M) ক্ষেত্রেও এই একই কথা প্রযোজ্য।