স্যোশাল মিডিয়ার অপকারীতা এবং ক্ষতিকর প্রভাব গুলো
স্যোশাল মিডিয়ার বিস্তারিত
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার অপকারীতা, কুপ্রভাব এবং ক্ষতিকর প্রভাব গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি (Disadvantages of social media in Bangla)।
বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া নতুন পিরীদের জীবনে এক মহত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে তাই সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া জীবন ধারণ করা কল্পনাই করা যায়না।
কেবল নতুন পিরীদের জন্যই নয়, তবে বর্তমানে বাচ্চা থেকে বয়স্ক প্রত্যেকের জীবনেই সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার এক অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
এমনিতে, সোশ্যাল মিডিয়ার লাভ এবং সুবিধা অনেক আছে যদিও এর ক্ষতিকারক প্রভাব বা কুফল অবশ্যই রয়েছে।
এর ফলে মানুষ বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মূখীন হচ্ছে যেমন মনে হতাশার জন্ম নেওয়া, একাগ্রতার অভাব, ডিপ্রেশন এবং চিন্তা বেরে যাওয়া, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা ইত্যাদি আরো নানান ধরণের সমস্যা।
তাই, আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবো আমাদের জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব গুলো কি কি।
সোশ্যাল মিডিয়ার অপকারিতা, কুপ্রভাব বা ক্ষতিকর প্রভাব
এমনিতে অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করার লাভ প্রচুর রয়েছে।
আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নতুন নতুন বন্ধু বান্ধব ঘরে বসে বসে বানিয়ে নিচ্ছি, বিশ্বজুড়ে যেকোনো জায়গার লোকেদের সাথে text, voice বা video chatting এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার সুবিধা পাচ্ছি।
এছাড়া, জনপ্রিয় online social media platform যেমন, Facebook, Twitter, Instagram, YouTube ইত্যাদি গুলোর ব্যবহার করে লোকেরা আজ প্রচুর পরিমানে অনলাইন ইনকাম করতে পারছেন।
তবে, বর্তমান সময়ে ব্যবসা (business) এবং অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোর ভূমিকা প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ।
এমনিতে যেই জিনিসের লাভ এবং সুবিধা থাকছে সেই একি জিনিসের অসুবিধা এবং ক্ষতিকর প্রভাব কিছু অবশই থাকতে পারে।
আর যদি সোশ্যাল মিডিয়ার কথা বলা হয়, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব কিন্তু প্রচুর রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে নিচে আমরা আলোচনা করবো।
Disadvantages of social media in Bangla
চলুন, এবার আমরা সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ার অপকারিতা (disadvantages) গুলো এক এক করে জেনেনেই।
১. একাগ্রতার উপর প্রভাব
আজকাল ছাত্র ছাত্রীরা দিনের বেশিরভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটিয়ে থাকে।
তাই পড়াশুনা করার সময় ছাত্র ছাত্রীদের বেশিরভাগ ধ্যান মোবাইল ফোনের দিকে থাকা দেখা যায়।
উদাহরণস্বরূপ,, যেমন ওয়াটসাপ, ফেসবুকে মেসেজ আসা, বিভিন্ন রকমের সোশ্যাল মিডিয়া এপস গুলোর থেকে থেকে নোটিফিকেশন ইত্যাদি আসলে তৎক্ষণাৎ দেখা এবং উত্তর দেওয়া।
তাই আজকাল ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে একাগ্রতার অভাব দেখা দিচ্ছে, এর ফলে ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
ভালো ফলাফল করার জন্য একাগ্রতা থাকা খুবই প্রয়োজন আর একাগ্রতার অভাব হলে কোনো কিছুতেই সফল হওয়া সম্ভব হয়না।
সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে একাগ্রতার অভাব দেখা দিচ্ছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
কেবল ছাত্রছাত্রী দের ক্ষেত্রেই নয়, দপ্তরে কাজ করা বেশিরভাগ লোকেরাই আজকাল অফিসের কাজে মন না দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চ্যাটিং করা বা এমনি স্ক্রল করতে থাকা দেখা যায়।
এক্ষেত্রে, তাদের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে আর এটা তাদের ভবিষ্যতের সফলতার জন্য প্রচুর ক্ষতিকারক একটি বিষয়।
২. স্মৃতিশক্তিতে প্রভাব ফেলা
আজকের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যাধিক ব্যাবহারের ফলে স্মৃতিশক্তিতে এর বিশেষ ভাবে প্রভাব পরে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে যে সকল ব্যক্তিরা দিনের বেশিরভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটিয়ে থাকে তাদের স্মৃতিশক্তি অন্যদের তুলনায় কিছু পরিমানে হলেও কমে আসা দেখা যাচ্ছে।
আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে যেমন বিশ্রাম দরকার ঠিক তেমনি আমাদের মস্তিষ্কেও বিশ্রাম দরকার।
কারণ অবসর সময়ে আমাদের মস্তিস্ক দরকারী তথ্য সংরক্ষণ করার কার্য প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে থাকে এবং গুরুত্বহীন তথ্য মস্তিষ্ক থেকে মুছে ফেলতে সাহায্য করে থাকে।
কিন্তু আজকাল বেশিরভাগ মানুষই অবসর সময়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকার ফলে মস্তিস্ক ভালো করে বিশ্রাম করার সময় পায়না এবং এর ফলে স্মৃতিশক্তিতে এর খারাপ প্রভাব পড়া দেখা যায়।
৩. মানসিক চিন্তা এবং ডিপ্র্রেশন বেড়ে যায়
সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা দিন দিন আসছে ফলে মানুষকে অত্যাধিক চিন্তা এবং ডিপ্রেশনের সম্মূখীন হতে হচ্ছে।
আমি বলছিনা যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলেই এই মানসিক রোগ গুলো হবেই।
তবে, রাত জেগে জেগে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করার ফলে আমাদের মস্তিস্ক অধিক কম বিশ্রাম পেয়ে থাকে আর তাই দিনে দিনে দুর্বল হয়ে পরে যার ফলে এই সব মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আজকাল লোকেরা ফেস-টু-ফেস কথা বলার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ফলে মানুষ অনেক অচেনা বন্ধু বানিয়ে ফেলে যাদের মধ্যে কিছু বন্ধু ভালো হয়ে থাকে এবং কিছু খারাপ ও হয়ে থাকে।
এই রকম বন্ধুত্বের সম্পর্কে বিস্বাসের অভাব থাকার ফলে যতোটা জলদি বন্ধুত্ব হয়ে থাকে ঠিক ততোটাই জলদি এই রকম বন্ধুত্ত্ব ভেঙ্গেও যায়।
তাই, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হওয়া এরকম বন্ধুত্ব পরে গিয়ে যুবক যুবতীদের মনে হতাশা জন্ম দিয়ে থাকে যার ফলে মানসিক চিন্তা এবং ডিপ্রেশনের হওয়া দেখা গেছে।
৪. ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অভাব
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করা প্রত্যেকের ক্ষেত্রে যেনো একরকম নেশা হয়ে দাড়িয়েছে।
আজকাল যুবক যুবতী, মহিলা বা পুরুষ সকল ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করতে দেখা যায়।
উদাহরণস্বরুপ কোথাও ঘুড়তে যাওয়ার ছবি, সে কি খাবার কাচ্ছেন সেই খাবারের ছবি বা নতুন জিনিস কেনার পর সেই জিনিষের ছবি ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে থাকেন লাইক এবং কমেন্ট পাওয়ার জন্য।
এছাড়া লোকেদের এক ধরণের আজব নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছোট থেকে বড় যেকোনো বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেদের জানানো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভালো আসার জন্য যুবক যুবতিরা অনেকরকম এপস ব্যবহার করে থাকে যাতে ছবিতে বেশি লাইক এবং কমেন্ট পাওয়া যায়।
ছোট-বড় যেকোনো বিষয়ে জানানো, নিজের ছবি, ভিডিও ইত্যাদি অজানা অচেনা লোকেদের কাছে শেয়ার করাটা নিজের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার (privacy) ওপরে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক অজানা অপরিচিত ব্যক্তি আপনার friend-list এর মধ্যে থাকেন যাদের সাথে আপনি ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত থাকেননা।
এদের মধ্যে অনেক খারাপ ব্যক্তিও থাকে যারা অন্যদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নানা রকমের খারাপ কাজ করে থাকে।
৫. ঘুম না আসা
রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না আসার প্রধান কারণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার অধিকতম ব্যবহার অবশই হতে পারে।
আমরা সকলেই জানি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
কিন্তু আজকাল নানান রকমের এপস, ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে ব্যস্ত থাকার ফলে আমরা নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা ভুলে গিয়ে থাকি এবং এর পরিণত স্বরূপ আমাদের স্বাস্থ্যের অবণতি ঘটে থাকে ফলে নানা রকমের শারীরিক এবং মানুষিক সমস্যা সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
আজকাল বেশিরভাগ লোকেরাই অনেক রাত্র পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকার ফলে স্মার্ট ফোনের স্ক্রিনে থাকা নীল রঙের ক্ষতিকারক রশ্মি আমাদের চোখে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলার সাথে সাথে ঘুমের ক্ষতিও করে থাকে।
তাই রাত জেগে জেগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে এবং মানুষিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়ে থাকে।
৬. ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি (Addiction)
বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ দিনের বেশিরভাগ সময় ফেসবুক, টুইটার, ইন্সট্রাগ্রাম ইত্যাদিতে ফটো, সোশিয়াল মেসেজ, ভিডিও ইত্যাদি পোস্ট করে থাকে।
ইউটুব ,ইন্সট্রাগ্রাম, ফেসবুক ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইট ব্যবহারের ফলে আমরা অনেক রকমের খবর পেয়ে থাকি এবং এর মাধ্যমে অনেক নতুন নতুন জিনিস শিখতেও পারা যায়।
কিন্তু অতিমাত্রায় সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের ফলে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে ইন্টারনেটের প্রতি দিন দিন আসক্তি বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
এর ফলে মস্তিষ্কে বিভিন্ন রকমের নকরাত্মক বিচার আসতে শুরু হয় এবং মানসিক স্বাস্থ্যে এর খারাপ প্রভাব পরে থাকে।
এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ার অধিক ব্যবহরের ফলে চিরচিরা স্বভাব, ঘুম না আসা, চিন্তা, ছোটো ছোটো কথায় রেগে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যার সম্মূখীন হতে হচ্ছে।
এবং এগুলো হওয়ার মুখ্য কারণ হচ্ছে দিনের বেশীরভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটানো যার ফলে না চাইতেও ইন্টারনেটের প্ৰতি আসক্তি হয়ে পড়তে দেখা যায়।
৭. দৈনিক গতিবিধির কমি
বর্তমান সময়ে যুবক যুবতীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অধিক সময় কাটানোর ফলে তাদের খাওয়া দাওয়া, কাজ এবং ঘুমানোর কোনো সঠিক সময় থাকেনা।
তাদের সময় অনলাইন ছবি পোস্ট করা, স্টেটাস দেখা, ওয়াটসাপে চেটিং করা ইত্যাদিতে চলে যায় ফলে এদের দৈনিক গতি বিধিতে কমি আসতে দেখা যায়।
যেই সময়টুকু শারীরিক চর্চা করে বিভিন্ন ধরণের মানসিক কৌশল বাড়ানোর কার্য করে সময়গুলো ব্যবহার করা দরকার সেই সময়গুলো আজকাল যুবক যুবতীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন সক্রিয় থেকে কাটিয়ে দিচ্ছে।
এর ফলে যুবক যুবতীদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে বাধা আসতে শুরু হয়।
যেমন সকালে ঘুম থেকে জলদি উঠতে না পারা, অলস হয়ে পড়া, ছোটো ছোটো কথায় রেগে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে দেখা যায়।
৮. মুখোমুখি যোগাযোগ দক্ষতা হ্রাস
অবশই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা প্রত্যেক দিন নতুন নতুন বন্ধু বানাতে পারছি আর সেটাও বিশ্বজুড়ে যেকোনো জায়গার থেকে যেকোনো জায়গায় বন্ধু-বান্ধব অনলাইনে বানানো সম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে, ডিজিটালি বা অনলাইনে বন্ধু বানানো এবং কথা বলা এবং ব্যক্তির সাথে মুখোমুখি কথোপকথন করার মধ্যে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে।
যখন আপনি অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কথা বলছেন তখন আপনার চিন্তাধারা এবং ব্যক্তির প্রতি থাকা বিচার আলাদা থাকবে।
এবং যখন আপনি সরাসরি মুখোমুখি কথোপকথন করছেন, তখন আপনার ব্যক্তির প্রতি থাকা বিচার আলাদা থাকবে।
আর মনে রাখবেন, ব্যক্তির সাথে মুখোমুখি হয়ে কথোপকথন করার ফলে আপনার যোগাযোগ দক্ষতা (communication skills) অধিক ভালো হতে থাকবে যেটা আপনার ভবিষ্যতে প্রচুর কাজে আসবে।
কিন্তু, আজকাল আমরা বন্ধুবান্ধব এর সাথে মুখোমুখি কথা বলার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অধিক বেশি কথা বলে থাকি যার ফলে আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা (communication skills) দিনে দিনে হ্রাস পেতে থাকে।
এতে পরে গিয়ে লোকেদের সাথে মুখোমুখি হয়ে কথা বলতে লজ্জা ভাব বা শংকোজ ভাব অধিক হয়ে যাওয়া দেখা দিতে পারে
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু ক্ষতিকর প্রভাব অসুবিধা, অপকারিতা বা কুপ্রভাব (disadvantages of social media in Bangla) গুলো নিয়ে কথা বললাম।
যেকোনো জিনিস এর ব্যবহার যখন অতিরিক্ত পরিমানে বা সীমাহীন ভাবে করা হয় তখন সেই জিনিসের ফলে প্রচুর অসুবিধা বা ক্ষতি হওয়া অবশই দেখা দিতে পারে।
সেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার অধিক বা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেও আপনার জীবনে এর ক্ষতিকর প্রভাব বা কুপ্রভাব গুলো দেখা দেওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
তাই, সোশ্যাল মিডিয়া অবশই ব্যবহার করুন, কেননা এর প্রচুর লাভ অবশই রয়েছে।
কিন্তু, একটি সীমিত পরিমানে এর ব্যবহার করাটা জরুরি যাতে আপনার জীবনের অন্যান্য জরুরি এবং অধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো করার ক্ষেত্রে কোনো ধরণের অসুবিধা এর জন্য না হয়ে থাকে।