নেটওয়ার্কিং

টেলিকনফারেন্সিং কি? প্রকার ও সুবিধা-অসুবিধা?

দূরবর্তী অবস্থান থেকে যোগাযোগ করার জন্য টেলিকনফারেন্সিং একটি কার্যকরী উপায়। ব্যবহারকারীরা কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা অন্যান্য ভার্চুয়াল ডিভাইসের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

টেলিকনফারেন্সিং পেশাদার কর্মজীবীদের জন্য বেশ উপকারী যারা দূর থেকে বা পৃথক ভৌগলিক অবস্থানে থেকে কাজ করতে চান। এই আর্টিকেলে, আমরা টেলিকনফারেন্সিং কি? এর বিভিন্ন প্রকার ও সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

টেলিকনফারেন্সিং কি?

টেলিকনফারেন্সিং (Teleconferencing) হল দুই বা ততোধিক অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একটি লাইভ অডিও বা অডিওভিজুয়াল মিটিং। এটি ভিডিও কনফারেন্সিং বা ভার্চুয়াল মিটিং নামেও পরিচিত।

ব্যবহারকারীরা ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার, ট্যাবলেট, এবং স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস ব্যবহার করে টেলিকনফারেন্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।

ইন্টারনেটের অগ্রগতির কারণে টেলিকনফারেন্সিং যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠছে। ব্যবহারকারীরা দুই বা ততোধিক ব্যক্তির সাথে অডিও বা ভিডিও কনফারেন্স-এর মাধ্যমে মিটিং করতে পারে। 

টেলিকনফারেন্সিং এর অন্যতম সুবিধা হল ব্যবহারকারীকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে থাকতে হয় না, পৃথিবীর যেকোন স্থানে বসে টেলিকনফারেন্সে অংশগ্রহণ করা যায়। এছাড়া টেলিকনফারেন্সিংয়ে একসাথে ১০০ জন মানুষ অংশগ্রহণ করতে পারে।

টেলিকনফারেন্সিং এর প্রকারভেদ

১. অডিও টেলিকনফারেন্সিং: অংশগ্রহণকারীরা শুধুমাত্র ভয়েসের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে।

২. ভিডিও টেলিকনফারেন্সিং: এতে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী একে অপরকে লাইভ দেখতে পারে এবং কথা বলতে পারে।

৩. ওয়েব টেলিকনফারেন্সিং: অংশগ্রহণকারীরা প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে নথি এবং অন্যান্য মিডিয়া শেয়ার করতে পারে। এটিকে ভার্চুয়াল মিটিং, ওয়েবিনারও বলা হয়।

টেলিকনফারেন্সিং এর সুবিধা

টেলিকনফারেন্সিংয়ের সম্ভাব্য সুবিধাগুলো নিচে দেওয়া হল।

  • টেলিকনফারেন্সিং দূরবর্তী কর্মীদের পরিবহন খরচ বাঁচায়।
  • কর্মচারীরা যেকোন স্থান থেকে টেলিকনফারেন্সে যোগ দিতে পারেন।
  • গ্রুপ চ্যাট ফাংশন ব্যবহারকারীদের দূরে থাকাকালীন প্রকল্পগুলিতে যোগাযোগ এবং সহযোগিতা করতে সাহার্য্য করে।
  • অংশগ্রহণকারীদের রেকর্ড সংরক্ষণ করা যায়।
  • অ্যাক্সেস কোড বা লিংক থাকায় অননুমোদিত ব্যবহারকারী  মিটিংয়ে যোগদান করতে পারে না।

টেলিকনফারেন্সিং এর অসুবিধা

টেলিকনফারেন্সিং এর অসুবিধাসমূহ নিচে দেওয়া হল।

  • প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব, একজন ব্যক্তিকে টেলিকনফারেন্সিং সুবিধার কার্যকর ব্যবহার থেকে বাধা দিতে পারে।
  • টেলিকনফারেন্সিং-এ, অংশগ্রহণকারীদের বড়ি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং সংস্পর্শ উপেক্ষা করা হয়।
  • লাইভ অনলাইন মিটিং করার সময়ও কার্যকরভাবে সমস্ত গ্রাফিকাল ডেটা সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব।
  • অংশগ্রহণকারীদের প্রায়ই মাল্টিটাস্ক করতে বাধ্য করা হয়।
  • অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা বলা যায় না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button