Business Guide

অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম । কিভাবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করব

অনলাইন বিসনেস এর ক্ষেত্রে SEO অনেক জরুরি 

বন্ধুরা, আজকের এই ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট একটি দারুন যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাই বর্তমানে এই অনলাইন যোগাযোগের মাধমের ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের অনলাইন ব্যবসা (online businesses) গুলোকে চালিয়ে যাচ্ছেন।

আপনারা যদি ভালো করে রিসার্চ করে দেখেছেন, তাহলে অবশই বুঝেছেন যে আজকাল প্রায় প্রত্যেক ব্যবসা গুলো অনলাইনে সক্রিয় হচ্ছে এবং অনেকে হতে চাইছে।

এর কারণ হলো, কিছু দারুন digital marketing কৌশল গুলোকে অনুসরণ করে অনেক সহজেই অনলাইনে পণ্যের প্রচার ও বিক্রি সম্ভব।

তাই, এই অনলাইন বিজনেস গুলোর দ্বারা ইন্টারনেটের সাহায্যে লোকেরা নিজেদের পণ্য (products) গুলোকে অনেক সহজেই বিক্রি করতে পারছেন।

এক্ষেত্রে, আপনিও যদি একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন এবং ইন্টারনেটের সাহায্যে নিজের পণ্য (products) গুলো বিক্রি করতে চাইছেন,

তাহলে অনেক সহজেই নিজের একটি e-commerce ওয়েবসাইট তৈরি করে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।

তবে, যখন আপনি “অনলাইন ব্যবসা কিভাবে করব” বা “অনলাইন বিজনেস কিভাবে করব“, এই ধরণের প্রশ্ন করে থাকেন,

এর মানে, আপনি এখনো হয়তো ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন বিজনেস করার নিয়ম গুলো ভালো করে জানেননাতাই, অনলাইন ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম এবং পদ্ধতি গুলোকে ফলো করে কাজ করতে হবে।

কিভাবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করব ? অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম

বিল গেটস (Bill Gates) দ্বারা একবার বলা হয়েছিল যে, “If your business is not on the internet, then your business will be out of business“.

মানে তিনি বলতে চাইছেন যে, যদি আপনার ব্যবসা ইন্টারনেটে সক্রিয় (active) নেই, তাহলে হয়তো আপনার ব্যবসা ব্যবসার থেকেই বাইরে থাকবে।

উনার বলার তাৎপর্য হলো, একটি ব্যবসা অবশই অনলাইনে সক্রিয় থাকা উচিত, এনাহলে একদিন আপনার ব্যবসার থেকে আসা লাভ সময়ে সময়ে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমান সময়ে প্রায় প্রত্যেক দেশেই, অনলাইন ব্যবসার চাহিদা প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজ লোকেরা ঘরে বসে বসে যেকোনো পণ্য (product) অনলাইনে অর্ডার দিয়ে কিনে নিতে চান।

তাই, এই সুযোগের দিকে নজর দিয়ে যদি আপনিও অনলাইন বিজনেস কিভাবে করব এই বিষয়ে ভাবছেন, তাহলে নিচে দেওয়া নিয়ম গুলো ভালো করে দেখুন।

একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে নিচে দেওয়া প্রত্যেকটি প্রক্রিয়াকে অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।

Product research

আপনি ব্যবসা online করছে বা offline, দুটো ক্ষেত্রেই আপনাকে সর্বপ্রথমে একটি ভালো product খুঁজতে হবে যেটা আপনি বিক্রি করবেন।

দেখুন, বাজারে products প্রচুর রয়েছে এবং প্রচুর ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পণ্য গুলো বিক্রি করছেন।

সেভাবেই, অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রেও প্রচুর e-commerce কোম্পানি গুলো রয়েছে যারা বিভিন্ন পণ্য বা সেবা গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি করছেন।

তাই, অনলাইন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে সব থেকে প্রথম নিয়ম হলো, এমন একটি পণ্য (product) এর ধারণা (idea) খুঁজে বের করা জেতার চাহিদা অনলাইন বাজারে (online market) রয়েছে।

এছাড়া, আপনাকে এমন একটি product নিয়ে অনলাইন ব্যবসা শুরু করা দরকার যেটাক অনলাইনে অনেক কম পাওয়া যাচ্ছে।

মনে রাখবেন, আপনার online business এর success মূলত আপনার বেছে নেওয়া product এর ওপরেই নির্ভরশীল।

তাই, কোন product বা service অনলাইনে ভালো লাভের সাথে এবং অধিক পরিমানে বিক্রি করা যাবে, সঠিক ভাবে রিসার্চ করে সেটার সিদ্ধান্ত নিন।

Market Research

একটি সফল ব্যবসা চলানোর ক্ষেত্রে আপনাকে product এর সাথে সাথে market research অবশই করতে হবে।

যখন আপনি আপনার product সিলেক্ট করে নিবেন, এবার এর পরে আপনাকে এটা দেখতে হবে যে আপনার পণ্যের জন্য সঠিক মার্কেট কোনটা।

মানে, আপনার product কারা অধিক পরিমানে কিনবেন, বাচ্চারা, বয়স্ক লোকেরা, মহিলারা, ব্যবসায়ীরা নাকি অন্য কেও।

এছাড়া, প্রডাক্ট বিক্রি করার জন্য সঠিক জায়গা (location) বা এরিয়া কোনটা হবে সেটাও আপনাকে ভেবে রাখতে হবে।

মনে রাখবেন, আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট জেকেও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক্সেস করতে পারবেন।

তবে, নতুন ব্যবসার মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্যবস্তু গ্রাহক কারা এবং কোন এরিয়া বা জায়গাতে (location) তারা আছেন সেটা ধ্যানে রেখে ব্যবসার প্রচার করাটা লাভজনক।

তবে, মার্কেট রিসার্চ করার ক্ষেত্রে আপনাকে নিচে দেওয়া বিষয় গুলোর বিষয়ে অবশই নজর দিতে হবে।

  1. যেই product/service নিয়ে ব্যবসা করবেন তার চাহিদা মার্কেটে কতটা রয়েছে।
  2. মার্কেটে আপনার প্রতিযোগীরা (competitors) কত পরিমানে রয়েছে। প্রতিযোগী দের সংখ্যা কম না বেশি।
  3. Phone, online survey বা personal visit এর মাধ্যমে customer survey করতে হবে এবং তাদের রুচি বা চাহিদার ওপরে নজর দিতে হবে।
  4. এমন একটি market need যেটাকে এখনো পর্যন্ত পূরণ করা হয়নি সেটা নিয়ে রিসার্চ করুন।

এভাবে সঠিক মার্কেট রিসার্চ করে এবিষয়ে শুরুতেই ভেবে রাখতে হবে এবং সঠিক পরিকল্পনার সাথে এগিয়ে যেতে হবে।

Perfect business plan

একবার পণ্য সিলেক্ট করে তারপর লক্ষ্যবস্তু গ্রাহক এবং মার্কেট এর বিষয়ে তথ্য বের করার কর, এবার আপনাকে করতে হবে ব্যবসার একটি ভালো পরিকল্পনা (planning).

ব্যবসা শুরু করার আগেই, আপনাকে ব্যবসার সাথে জড়িত প্রত্যেকটি প্ল্যানিং গুলো করে রাখতে হবে।

এতে, ব্যবসা কিভাবে পরিচালনা করতে হবে সেটা আপার আগের থেকেই জানা থাকবে আর তাই আপনি কেবল গ্রাহক দের আকর্ষণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অধিক ফোকাস (focus) করতে পারবেন।

উদাহরণ স্বরূপে,

ব্যবসার জন্য products কার থেকে সংগ্রহ করবেন, products এর stock কোথায় রাখবেন, billing এবং accounts এর ক্ষেত্রে কর্মচারী রাখবেন নাকি সবটা আপনি একা করবেন, প্রত্যেকটি product কত টাকা লাভ রেখে বিক্রি করবেন, শুরুতে গ্রাহক দের ডিসকাউন্ট দিবেন কি না ইত্যাদি।

এই প্রত্যেক বিষয়ের সঠিক পরিকল্পনা আগের থেকেই আপনাকে করে রাখতে হবে।

Register business & brand

যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে নিজের ব্যবসাটিকে সম্পূর্ণ আইনানুসারে (legally) নিবন্ধীকরণ (register) করে নিতে হবে।

এক্ষত্রে, আপনার দেশে বা শহরে অনলাইন e-commerce business শুরু করার ক্ষেত্রে কি কি নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো আগে জেনেনিতে হবে।

আপনি সরাসরি একজন ভালো CA এর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন, একজন CA (chartered accountant) আপনাকে এক্ষেত্রে সবটা বুঝিয়ে বলবেন।

যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে মূলত ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স (trade licence), business brand logo registration, IT (income tax) file ইত্যাদি এই জরুরি নিবন্ধীকরণ গুলো মূলত জরুরি।

আপনি আপনার e-commerce ব্যবসাটি কি হিসাবে রেজিস্টার করতে চাইছেন, sole proprietorship, partnership structure, Limited Liability Partnership (LLP) বা একটি Company format হিসেবে, সেটা আগে ভাবুন এবং সেভাবেই রেজিস্টার করুন।

এছাড়া, যিহেতু আপনি একটি অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসা করতে চলেছেন, তাই আপনাকে নিজের ওয়েবসাইটের জন্য একটি ডোমেইন নাম (domain name) অবশই রেজিস্টার করতে হবে।

একটি domain name এর মাধ্যমেই লোকেরা আপনার online e-commerce business এর বিষয়ে জানতে পারবেন ও ওয়েবসাইটটি এক্সেস করতে পারবেন।

তাই, আপনি কোন products গুলো অনলাইনে বিক্রি করবেন সেটার ওপরে নজর দিয়ে একটি রিলেটেড domain name রেজিস্টার করতে হবে।

গুগল এর মধ্যে সার্চ করলেই প্রচুর domain registration company গুলো পাবেন যেখান থেকে একটি ডোমেইন নাম কিনে নিতে পারবেন।

Create e-commerce website

একটি অনলাইন ব্যবসা নিয়ে কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে আপনার একটি e-commerce website তৈরি করতে হবে।

আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই লোকেরা আপনার products গুলোকে দেখতে পারবেন এবং সেগুলোকে সরাসরি অনলাইনে অর্ডার (order) করতে পারবেন।

তবে, একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট আপনি চাইলে নিজে তৈরি করতে পারবেন বা আবার একজন ওয়েব ডেভেলপার (web developer) এর দ্বারা কিছু টাকা দিয়ে তৈরি করাতে পারবেন।

YouTube এর মধ্যে গিয়ে ভিডিওর মাধ্যমে আপনারা সম্পূর্ণ ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার প্রক্রিয়া জেনেনিতে পারবেন।

যদি আপনি একটি professional website তৈরি করতে চাইছেন, তাহলে কিছু টাকা দিয়ে একজন professional web developer দিয়ে এই কাজ করানোর পরামর্শ আমি দিবো।

ওয়েবসাইটের হোস্টিং, ডোমেইন এবং ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ গুলো যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এগুলোতে সময় নষ্ট করে লাভ নেই।

 ওয়েবসাইট তৈরি হওয়ার পর কি করবেন ?

একবার আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে যাওয়ার পর আপনাকে নিচে দেওয়া কাজ গুলো করতে হবে।

  1. আপনাকে নিজের ওয়েবসাইটে products গুলোর photos, details, description ইত্যাদি upload করতে হবে।
  2. প্রত্যেকটি product এর high quality image আপনাকে আপলোড করতে হবে।
  3. About us page তৈরি করে সেখানে নিজের E-commerce business এর বিষয়ে কিছুটা লিখতে হবে যাতে গ্রাহকেরা আপনার ওপরে বিশ্বাস করতে পারেন।
  4. Online card payment, wallet payment এবং cash on delivery, এই ধরণের প্রত্যেকটি payment option রাখতে হবে।
  5. Product review গুলোকে manage করতে হবে এবং ভালো ভালো review গুলোকে product এর নিচে দেখাতে হবে।

অনলাইন বিসনেস এর ক্ষেত্রে SEO অনেক জরুরি

SEO মানে হলো search engine optimization, এবং এর মাধ্যমে আপনারা নিজের ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রচুর targeted customers অনেক সহজেই পেতে থাকবেন।

ইন্টারনেটে যেকোনো product এর বিষয়ে লোকেরা যখনি search করে থাকেন তখন সেই সার্চ মূলত গুগল সার্চ ইঞ্জিন বা অন্যান্য জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুলোর দ্বারা করা হয়।

আর যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের SEO অনেক ভালো করে করবেন, তখন আপনার product এর সাথে জড়িত keywords গুলোর জন্য সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইট প্রথমেই দেখানো হবে।

ফলে, প্রচুর গ্রাহকেরা সার্চ ইঞ্জিন গুলোর মাদ্ধমে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটের বিষয়ে জানতে পারবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসবেন।

এতে, আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রচুর গ্রাহকেরা product order করবেন এবং আপনার বিক্রি বাড়বে।

  1. Google Keyword Planner এর মতো কিছু online tools গুলো ব্যবহার করে জেনেনিতে পারবেন যে গ্রাহকেরা অনলাইনে আপনার product এর সাথে জড়িত কোন বিষয় গুলো, keywords, key terms বা queries সার্চ করছেন।
  2. খুঁজে পাওয়া targeted keywords গুলোকে product page এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন, product description, title, review ইত্যাদিতে।
  3. সার্চ ইঞ্জিন এর মধ্যে ওয়েবসাইটের ভালো র্যাংক (rank) পাওয়ার জন্য on-page SEO এবং off-page SEO দুটোই জরুরি।

Marketing strategy

যেকোনো ব্যবসার সফলতার পেছনে একটি দারুন বিপণন কৌশল (marketing strategy) এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবশই থাকে।

মার্কেটিং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের নতুন ব্যবসা, পণ্য বা সেবার বিষয়ে গ্রাহক দের জানিয়ে দিয়ে পারি।

গ্রাহকেরা আমাদের পণ্য তখনি কিনবেন যখন তারা আমাদের ব্যবসা, ব্র্যান্ড বা প্রডাক্ট এর বিষয়ে ভালো করে জানবেন।

আর তাই, যেকোনো ব্যবসার প্রচার করার ক্ষেত্রে সঠিক মার্কেটিং এর কৌশল অনেকটাই জরুরি।

এমনিতে একটি নির্দিষ্ট physical location এর মধ্যে থাকা ব্যবসার তুলনায় একটি online business এর marketing এর প্রক্রিয়া গুলো কিছুটা আলাদা।

নিজের online e-commerce business এর marketing এর ক্ষেত্রে আপনারা নিচে দেওয়া বিপণন কৌশল (marketing strategy) গুলোর ব্যবহার করুন।

অনলাইন বিপণন কৌশল (online marketing strategy)

  1. Email marketing এর মাধ্যমে গ্রাহক দের ইমেইল পাঠিয়ে নিজের ব্যবসার বিষয়ে জানাতে পারবেন।
  2. Paid advertisement এর মাধ্যমে অনলাইনে নিজের ব্যবসার বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সামান্য টাকা খরচ করে অধিক গ্রাহকের কাছে ব্যবসার প্রচার সম্ভব।
  3. YouTube video marketing এর সাহায্যে আপনি নিজের ব্যবসা বা পণ্যের সাথে জড়িত ভিডিও গুলো বানিয়ে নিজের ব্যবসার প্রচার করুন।
  4. Social media marketing করুন এবং বিভিন্ন social media platform (Facebook, Instagram, Twitter etc.) গুলোতে নিজের ব্যবসার মার্কেটিং করুন।
  5. আপনারা YouTube এর মধ্যে একটি channel বানিয়ে বা social media platform গুলোতে একটি page তৈরি করে তারপর সেখানে brand এবং product এর সাথে জড়িত videos, images, discount ইত্যাদি post করে ব্যবসার প্রচার ফ্রীতে করতে পারবেন।
  6. আপনারা চাইলে, YouTube বা social media platform গুলোতে বিজ্ঞাপন (paid ads) চালিয়ে অনেক তাড়াতাড়ি নিজের ব্যবসার দ্রুত প্রচার / মার্কেটিং করতে পারবেন।

এভাবেই, আপনাকে বিভিন্ন অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়া গুলোর সাথে নিজের নতুন ই-কমার্স ব্যাবশ্যার অনলাইন প্রচার করতে হবে আর এভাবেই ধীরে ধীরে আপনি গ্রাহক পেতে শুরু হবে।

এছাড়া, ডিজিটাল মার্কেটিং এর বাইরেও আপনারা অন্যান্য offline marketing এর সাহায্যে ব্যবসার প্রচার করতে পারবেন।

যেমন, tv, radio, newspaper ইত্যাদিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া, ব্যবসার Brochure এবং leaflets বিলানো, ঘরে ঘরে গিয়ে লোকেদের জানানো ইত্যাদি।

Product delivery & management

একবার যখন আপনার ব্যবসার প্রচার এবং মার্কেটিং ভালো ভাবে হওয়া শুরু হবে, তখন ধীরে ধীরে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি অর্ডার পেতে শুরু করবেন।

এবার, যখন আপনি order পাওয়া শুরু করবেন তখন আপনাকে product delivery নিয়ে ভাবতে হবে।

মনে রাখবেন, গ্রাহকেরা order দেওয়ার সাথে সাথে আপনাকে সেই product গ্রাহকের দিয়ে দেওয়া ঠিকানাতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রোডাক্ট ডেলিভারি করতে অধিক বেশি সময় লাগলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা রাগ হয়ে অর্ডার ক্যানসেল করে দেন।

তাই, যদি আপনি কুরিয়ার (courier) সেবার মাধ্যমে product ডেলিভারি করছেন, তাহলে ২ থেকে ৩ দিন এর মধ্যেই পণ্যের ডেলিভারি করতে হবে।

আর এর জন্য, আপনাকে অর্ডার পাওয়ার সাথে সাথে সেই প্রোডাক্ট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার।

প্রোডাক্ট এর প্যাকিং (packing), billing এবং delivery করার ক্ষেত্রে জরুরি প্রক্রিয়া গুলো করার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে একজন কর্মচারী রাখতে পারেন।

Offers & discount

ব্যবসা নতুন থাকা সময়কালীন আপনাকে সময়ে সময়ে গ্রাহক দের কিছু offers & discounts অবশই দিতে থাকতে হবে।

এতে, আপনি আপনার গ্রাহক দের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ধরে রাখতে পারবেন।

আমার, আপনার বা প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই, যখন আপনার ভালো discount এর সাথে কোনো জিনিস কিনে থাকি তখন যেখান থেকে জিনিসটি কিনেছি সেই জায়গার একটি ভালো স্মৃতি আমাদের হয়ে যায়।

ফলে, আবার offer বা discount পাওয়ার আশা করে আমরা আবার সেই একি দোকান বা ওয়েবসাইটে জিনিস কিনতে চলে যাই।

এছাড়া, যখন আপনার গ্রাহকেরা product এর ওপরে ভালো discount বা offer পাবেন, তখন তারা এবিষয়ে অন্যান্য ব্যক্তিদের অবশই বলবেন।

এভাবে, আপনার গ্রাহকের দ্বারাই আপনার ব্যবসার প্রচার এবং মার্কেটিং হতে থাকবে।

অফার এবং ডিসকাউন্ট এর মাধ্যমে পুরোনো গ্রাহকের সাথে সাথে প্রচুর নতুন গ্রাহকের আকর্ষণ পাবেন।

Product quality

যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে সেই ব্যবসার product হলো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

কারণ, সম্পূর্ণ ব্যবসার প্রক্রিয়া (business process), ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং সবটাই করা হচ্ছে product বিক্রি করার উদ্দেশ্যে।

আর তাই, আপনাকে সব থেকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে আপনার পণ্যের কোয়ালিটির ওপরে।

কারণ, যদি আপনার পণ্যের কোয়ালিটি অনেক ভালো হয়ে থাকে, তাহলে যেই গ্রাহক আপনার প্রোডাক্ট একবার কিনবেন সে বার বার আপনার থেকে প্রোডাক্ট কিনতে আসবেন।

কিন্তু, যদি আপনার পণ্যের কোয়ালিটি খারাপ থাকে, তাহলে আপনি যতই মার্কেটিং এবং প্রচার করুন না কেন, একবার যদি সেই পণ্য কেও কিনে থাকে সে আবার সেটা কিনবেননা।

এছাড়া, খারাপ কোয়ালিটির পণ্য হয়ে থাকলে ব্যবসার ব্র্যান্ড এর খারাপ ছবি তৈরি হয়।

তাই, আপনি লাগলে brand promotion বা marketing কম করুন, কিন্তু আপনার product এর quality ভালো হতে হবে।

প্রোডাক্ট ভালো হলে গ্রাহকের মধ্যে আপনার brand এর ভালো ছবি তৈরি হবে যেটা সফলতার পাওয়ার জন্য অনেক জরুরি।

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা কিভাবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করব ? এবং অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম গুলো জানতে পারলাম।

অনলাইন বিজনেস কিভাবে করব, যদি আপনিও এই প্রশ্নটি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, তাহলে ওপরে নিজের প্রশ্নের উত্তর অবশই পেয়ে গেছেন বলেই আমি আসা করছি।

বন্ধুরা, ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনাকে সর্ব প্রথমে সম্পূর্ণ পরিকল্পনা (planning) গুলো সঠিক ভাবে করে নিতে হবে।

সঠিক পরিকল্পনার সাথে আপনি স্টেপ বাই স্টেপ এগিয়ে যেতে পারবেন।

তাহলে, আমি আসা করছি আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের অনেক কাজে এসেছে।

আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।

এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button