মাশরুম চাষ পদ্ধতি : জেনেনিন কিভাবে করবেন মাশরুম এর চাষ
মাশরুম চাষ পদ্ধতি জন্য প্রশিক্ষণ (Training) জরুরি
মাশরুম এর ব্যবসা কিন্তু বর্তমান সময়ে যেকোনো দেশেই প্রচুর জনপ্রিয় এবং লাভদায়ক ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে।
কেননা, আগের তুলনায় বর্তমান সময়ে খাবারে মাশরুম এর ব্যবহার প্রচুর পরিমানেই করছেন।
মাশরুম এর সবজি এমনিতে খেতে অনেকটাই সুস্বাধু, যার জন্য মাশরুম এর জনপ্রিয়তা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
তাই, যদি আপনার কাছে চাষ করার জন্য অধিক জায়গা নেই বা আপনি শহরে বসবাস করছেন এবং ঘরেই চাষ করার কথা ভাবছেন, তাহলে মাশরুম এর চাষ করে প্রচুর লাভবান হতে পারবেন।
কেননা, মাশরুম চাষ করতে আপনাকে বেশি টাকা খরচ করতে হয়না এবং ছোট জায়গাতেই এর চাষ করা সম্ভব।
সঠিক ভাবে মাশরুম উৎপাদন পদ্ধতি জানা থাকলে এই চাষ এবং ব্যবসা করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন, কেননা মাশরুম এর চাহিদা বাজারে অনেক বেশি।
তাই যদি আপনি একজন কৃষক বা আপনি কম টাকা বিনিয়োগ করে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন, তাহলে মাশরুম উৎপাদন এর ব্যবসা শুরু করুন।
তাহলে চলুন, বেশি সময় নষ্ট না করে আমরা নিচে মাশরুম চাষ কিভাবে করে সেই পদ্ধতি সম্পূর্ণ স্পষ্ট করে জেনেনেই।
মাশরুম চাষের ব্যবসা মানে কি ?
আমাদের মধ্যে অনেকেই মাশরুম নামটি শুনলে একরকম বিদেশি খাবার বলে মনে করে থাকি।
মাশরুম কোনোধরনের উদ্ভিদ বা বনস্পতি গাছ নয় যদিও তার আসে পাশের প্রজাতি হিসাবেই ধরা হয়ে থাকে।
অনেক সময় কিছু স্যাঁতসেঁতে ছায়াযুক্ত স্থানে ছাতার আকৃতির সাদা রঙের এক ধরণের ছত্রাক জন্মাতে দেখা যায়।
এগুলোকেই মাশরুম বলা হয়ে থাকে যদিও এইগুলো খাওয়ার যোগ্য হয়না।
খাওয়ার জন্য যেই মাশরুম রয়েছে সেটা আলাদা এবং সেই খাওয়ার মাশরুম চাষ করেই উৎপাদন করতে হয়।
বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে মাশরুমের অনেক চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশি বাজারে এর চাহিদা প্রচুর।
হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চাইনিজ ডিসে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাদ্য তৈরি করার জন্য মাশরুমের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তাই গ্রাহকদের খাওয়ার উপযোগী করে তোলার জন্য এবং গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করার জন্য আলাদা রকমের মাশরুম উৎপাদন করা হয়।
এই মাশরুম উৎপাদন করার ব্যবসাটিকে মাশরুম চাষ বলা হয়।
যেকোনো ব্যক্তি নিজের জমিতে মাশরুম চাষ করে সেগুলোকে বাজারে বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
আর এভাবে মাশরুম চাষ করে বিক্রি করার প্রক্রিয়াটিকেই বলা হয় মাশরুম চাষের ব্যবসা।
মাশরুম কত প্রকারের হয় ?
পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজার প্রজাতির ছত্রাক দেখতে পাওয়া যায় ।
সেগুলোর মধ্যে ৫ প্রজাতির মাশরুম কৃত্রিম খেতির উপযোগী, যেমন ওয়েস্টার, মিল্কি, বাটন, শীতাকে, পেডিস্ট্রও মাশরুম।
তাই যেগুলো ছত্রাক মানুষের খাওয়ার জন্য উপযোগী, বিষাক্ত মুক্ত এবং পুষ্টিকর সেগুলোকে মাশরুমের শ্রেণীতে ধরা হয়ে থাকে।
ভারতীয় জলবায়ু হিসাবে ৩ প্রকারের প্রজাতি অধিক উপযুক্ত মানা হয়ে থাকে এবং সেগুলো হলো ওয়েস্টার মাশরুম, মিল্কি মাশরুম এবং বাটন মাশরুম।
মাশরুম চাষ করার জন্য কতটা জায়গা লাগে ?
এমনিতে চাইলে মাশরুম এর চাষ আপনারা নিজের ঘর থেকেও শুরু করতে পারবেন। এটা একটি অনেক লাভজনক ঘোরোয়া ব্যবসার আইডিয়া।
সাধারণত প্রতি বর্গ মিটারে ১০কিলোগ্রাম মাশরুম চাষ করা যায়।
আপনি যদি ছোটো স্তরে মাশরুমের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে যা আমি ওপরে বললাম আপনি ঘর থেকেই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
ঘরের ছাদে বা ছায়াযুক্ত কোনো খালি ঘরে মাশরুম উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন।
এছাড়া বড় স্তরে এর চাষ শুরু করতে চাইলে আপনার কাছে যদি ৬ বায় ৬ জায়গা থাকে বা ঘরের পাশাপাশি বাইরে জমি থাকলেও ভালো করে মাশরুমের চাষ করতে পারেন।
যদি আপনি খেতে বা ঘরের বাইরে মাশরুমের ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে সেখানে কাঠ এবং ছন বা বাঁশের চালা দিয়ে ঘর তৈরি করে নিতে হবে এবং হাওয়া বাতাস যাতে ঢুকতে না পারে তার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
কারণ সূর্য্যের রশ্মি পড়লে বা বাইরের হাওয়া বাতাস ঢুকলে মাশরুম খারাপ হয়ে যাবে।
কত খরচ হবে এবং কি কি সামগ্রী প্রয়োজন হয় ?
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য ব্যবহার হওয়া পুঁজি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি ব্যবসাটি কোন স্তরে শুরু করবেন।
যদি ছোটো স্তরে মাশরুমের চাষ শুরু করতে চান তাহলে কমপক্ষেও ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে।
আপনি যদি ঘর থেকে এই ব্যবসা শুরু করছেন এবং আপনার ঘর গ্রাম এলাকায় হয় তাহলে এক্ষেত্রে আপনার খরচ কিছুটা কম হবে।
কারণ মাশরুম চাষ করার জন্য ব্যবহার হওয়া বাঁশ, ছন, গমের ভুসি, শুকনো খড়, কাঠ ইত্যাদি সামগ্রী গুলো আপনি নিজের বাড়িতেই পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও আপনি যদি বড়ো স্তরে মাশরুম উৎপাদন শুরু করতে চান তাহলে ১ লাখ থেকে শুরু করে আপনার ক্ষমতা অনুযায়ী নিবেশ করতে পারেন।
মাশরুম চাষ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হওয়া সামগ্রী গুলো হলো –
১. গমের ভুসি
২. মাশরুম স্পন (বীজ)
৩. খড় ভেজানোর জন্য ড্রাম বা মাটির গামলা
৪. ধানের শুকনো খড়
৫. পলিথিন ব্যাগ
৬. মাশরুম কাটার ছুরি
৭. জলের স্প্রে
কম্পোস্ট তৈরি করার পদ্ধতি ?
মাশরুম চাষ করার জন্য প্রথমে কম্পোস্ট খাদ তৈরি করে নেওয়া আবশ্যক।
কেননা এই চাষ সঠিক এবং সফল ভাবে করার জন্য কম্পোস্ট খাদ এর গুরুত্ব অনেকটাই বেশি।
কম্পোস্ট বানানোর জন্য ধানের শুকনো খোল, গমের ভূসি, শস্যের খোল, ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কপোস্ট তৈরি করার জন্য একটি বড় পাত্রে বা ড্রামে ১৫০০ লিটার জলে ১.৫ কিলোগ্রাম ফরমালিন এবং ১৫০ গ্রাম বেভিস্টিন মিলাতে হবে।
এরপর এই মিশ্রনে ১ কুইন্টাল এবং ৫০ কিলোগ্রাম গমের ভূসি, ধানের ভুসি ভিজিয়ে দিয়ে ভালো করে মিলাতে হয়।
তারপর মিশ্রনটিকে কিছু সময় প্লাস্টিকের ত্রিপাল দিয়ে ভালো করে ঢাকা দিয়ে রাখতে হয় যাতে মিশ্রণটি জীবাণুমুক্তু হয়ে থাকে এবং বাইরের হাওয়া বাতাস ঢুকে রাসায়নের গুন কম না করতে পারে।
এগুলো প্রক্রিয়া করার মানে হলো মাশরুম উৎপাদনে কোনো রকম বাধা না দেয় বা মাশরুমে বীজ নষ্ট না করে দেয়।
মাশরুমের বীজ কোথায় পাওয়া যায় ?
এমনিতে মাশরুম এর বীজ গুলোকে Mushroom Spawn বলেও বলা হয়।
আজকাল অনলাইনে বিভিন্ন ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস গুলোতেও মাশরুম এর বীজ কিনতে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া, বীজের দোকান বা বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মাশরুম বীজ কিনে নিতে পারবেন।
প্রত্যেক এক কিলোগ্রামে মাশরুম এর বীজের দাম প্রায় ৮০ থেকে ১০০ টাকা হতে পারে।
মাশরুমের বীজ রোপণ করার প্রক্রিয়া ?
ভূসির মিশ্রণ তৈরি করার পর বীজ লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মাশরুম রোপন করার আগে ভেজানো ভূসি গুলো বাইরের বাতাসে কোনো খোলা জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হয় যাতে ভুসিতে সিক্তভাব না থাকে।
এরপর পলিথিন ব্যাগের ভিতরে প্রথমে ভূসিগুলো ভরতে হয় তারপর মাশরুমের বীজ ভালো করে ছড়াতে হয়।
এবার আবার ছড়ানো বীজের ওপরে কিছু ভূসি দিয়ে দিতে হবে এবং তার ওপরে মাশরুম এর বীজ আবার ছড়াতে হবে।
এই প্রক্রিয়াটি অন্তত ৪ বার করতে হয়।
মাশরুম উৎপাদনের জন্য প্রতি ৩ কিলোগ্রাম ভূসির মিশ্রনে ১০০ গ্রাম বীজ লাগানো যায়।
এরপর পলিথিন ব্যাগে ১৫-২০টি ছিদ্র বানিয়ে দিতে হয় যাতে অতিরিক্ত জল ঝরে পড়ে যেতে পারে।
যেই জাগায় মাশরুম উৎপাদন করতে চাইছেন সেই স্থানে পলিথিন ব্যাগ গুলো রেখে দিতে হয়।
মনে রাখবেন, আপনাকে পলিথিন ব্যাগ গুলো এমন একটি জায়গায় রাখা দরকার যেখানে হাওয়া বাতাস লাগার সুযোগ অনেক কম থাকছে।
যতদিন এই ছত্রাক তৈরি হয়ে কাটার উপযোগি না হয় ভূসার সিক্তভাব বজায় রাখার জন্য জলের স্প্রে করে যেতে হবে।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের মাশরুমের রোপন পদ্ধতি অল্প আলাদা আলাদা প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে।
মাশরুমকে হাওয়া বাতাস থেকে কিভাবে বাচানো যায় ?
মাশরুম উৎপাদন করার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ বিষয়ে ধ্যান রাখা খুবই দরকার।
মাশরুম যেহেতু একধরনের ছত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ তাই এটি উৎপাদন করার স্থানটি ছায়াযুক্ত হওয়া দরকার।
সেই স্থানে যাতে বাইরের কোনো রকম হাওয়া বাতাস সূর্য্যের রশ্মি না ঢুকে সেই দিকে ধ্যান রাখতে হবে।
তাই, মাশরুম উৎপাদনের শুরুর দিকে হাওয়া বাতাস থেকে বাচানোর জন্য ভূসি ভরা পলিথিন ব্যাগ গুলো মাশরুম চাষ করার ঘরে ১৫ -২০ দিনের জন্য বন্দ করে রাখতে হবে।
১৫ দিন পর হাওয়া লেগে থাকলেও কোনো ভয় নেই, তাই ১৫ দিন পরেই ঘরের দরজা খুলুন।
১৫-২০ দিন যাওয়ার পর ঘরটি খুলে দিলে দেখা যাবে ভূসির উপর সাদা রঙের ছত্রাকের জাল ছড়িয়ে রয়েছে।
এই সময় মাশরুম উৎপাদনের স্থানে হাওয়া দেওয়া যায় তাই একটি ফ্যান এর ব্যবস্থা করে রাখা দরকার।
মাশরুম এর ফসল কখন কাটতে হয় ?
এমনিতে মাশরুম এর ফসল সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হতে ৩০ থেকে ৪০ দিনের সময় নেওয়া দেখা যায়।
এই সময়ের মধ্যে ফসল কাটার জন্য তৈরি হয়ে যাবে।
মাশরুম চাষ করে কতটা লাভ করা যাবে ?
এমনিতে ভালো করে মাশরুম উৎপাদন করতে পারলে এবং সঠিক সময়ে ফসল কেটে সেগুলোকে বিক্রি করতে পারলে ২ থেকে ৩ গুন্ লাভ করা সম্ভব।
যদি আপনি অনেক ছোট স্তরে মানে ঘর থেকেই এই কৃষি ব্যবসা শুরু করেছেন, তাহলে কমেও ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আরামে আয় করতে পারবেন।
কিন্তু যদি আপনি এই মাশরুম চাষ ব্যবসা অনেক বড় ভাবে একটি বড় জায়গা নিয়ে করছেন, তাহলে অবশই ৩০ থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
এই ব্যবসাতে লাভ এর পরিমান অনেক বেশি। তবে, এর জন্য আপনাকে সঠিক ভাবে মাশরুম গুলোকে বিক্রি করার কৌশল জানতে হবে।
যত অধিক পরিমানে মাশরুম এর উৎপাদন করতে পারবেন ততটাই অধিক মুনাফা আপনার হবে।
তাই, আপনাকে সব থেকে আগে মাশরুম চাষ পদ্ধতি সঠিক ভাবে জেনে একটি ভালো এবং সঠিক জায়গাতে মাশরুম উৎপাদন করতে জানতে হবে।
তৈরি হওয়া মাশরুম গুলোর মার্কেটিং করুন
যখন প্রত্যেক প্রক্রিয়া গুলো পালন করে মাশরুম চাষ করে অধিক পরিমানে মাশরুম আমাদের কাছে তৈরি হয়ে থাকে, তখন সময় চলে আসে সেগুলোকে বিক্রি করার।
তবে, আপনার কাছে মাশরুম আছে সেটা লোকেরা বা দোকানদার রা নিজে নিজে বুঝতে পারবেননা।
তাই, আপনাকে সঠিক মার্কেটিং এর কৌশল ব্যবহার করে মাশরুম গুলোকে বিক্রি করার চেষ্টা করতে হবে।
এমনিতে শহরে মাশরুম এর চাহিদা অনেক বেশি, তাই শহরে অনেক তাড়াতাড়ি এগুলোকে বিক্রি করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রেও আপনাকে শহরে এসে মার্কেটিং অবশই করতে হবে।
যদি তৈরি হওয়া মাশরুম গুলো ৭ দিনের অধিক সময় আপনার কাছে থাকে তাহলে সেগুলো নষ্ট হতে শুরু হবে।
তাই, আপনাকে জলদি জলদি মাশরুম গুলো বিক্রি করতে হবে।
- আসে পাশের শহর গুলোতে গিয়ে সেখানে থাকা বড় বড় দোকান গুলোর সাথে যোগাযোগ করুন।
- খাবারের হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট ইত্যাদির সাথে যোগাযোগ করুন।
- মার্কেটিং এর জন্য দু-চার জন ছেলে রেখে তাদের মাধ্যমে বিক্রি করাতে পারবেন।
- কোনো বড় খাবারের জিনিসের ডিস্ট্রিবিউটার এর সাথে যোগাযোগ করুন।
- অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচার বা মার্কেটিং করুন।
- মাশরুম বিক্রি করার নিজের ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
মাশরুম চাষ পদ্ধতি জন্য প্রশিক্ষণ (Training) জরুরি
ওপরে বলা মাশরুম এর চাষ পদ্ধতি আমি ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন sources গুলোর থেকে জ্ঞান নিয়ে আপনাদের বলেছি।
তাই, আমার বলা পদ্ধতি ব্যবহার করে মাশরুম চাষ সঠিক ভাবে করা যাবে কি না সেটা আমি বলতে পারছিনা।
তবে, কেবল সাধারণ জ্ঞান এবং কিছুটা আন্দাজ পাওয়ার জন্য আপনারা ওপরের বলা প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করুন।
কেননা, মাশরুম এর চাষ করাটা একটি অনেক জটিল প্রক্রিয়া, এবং এভাবে অনলাইনে আর্টিকেল পড়ে সবটা বুঝা সম্ভব না।
তাই, যদি আপনি মাশরুম এর ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন এবং মাশরুম চাষ নিয়ে আপনার রুচি রয়েছে,
তাহলে দেশের মধ্যে থাকা বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা কৃষির সাথে জড়িত সংগঠন গুলোর সাথে যোগাযোগ করে সঠিক ভাবে মাশরুম চাষ করার পদ্ধতি শিখে ও জেনেনিতে পারবেন।
আমি আবার আপনাদের বলছি, ভালো করে প্রশিক্ষণ না নিয়ে কিন্তু মাশরুম এর চাষ করতে যাবেননা।
এছাড়া, আপনার গ্রামে বা শহরে থাকা কৃষক সহায়তা কেন্দ্র গুলোতে যোগাযোগ করেও সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া, নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী ইত্যাদি সবটার বিষয়ে জেনেনিতে পারবেন।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং শেষে সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, মাশরুম চাষ পদ্ধতি নিয়ে আপনাদের মনে থাকা প্রশ্ন গুলোর উত্তর আমি দিতে পেরেছি।
যদি আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার অবশই করবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।