একটা সময় ছিল যখন বিজ্ঞান প্রযুক্তি এতটা কমপ্লেক্স ছিল না। আমাদের বাসার টেলিভিশনে গুটিকয়েক চ্যানেলের ভেতর দিতে বিনোদন এর একটি ব্যাপক সময় পার করা হতো। যোগাযোগ করা হত চিঠির মাধ্যমে, পোস্টঅফিস থেকে স্ট্যাম্প কিনে এনে কাগজ খামের ভেতর মুড়ে ফেলে স্ট্যাপ লাগিয়ে গন্তব্যের জন্য ডাকবাক্সে ফেলা হত। তারপর আসলে টেলিফোন সেট তারযুক্ত ভয়েস যোগাযোগ ব্যবস্হা। অফিস আদালত থেকে শুরু করে বাসায় মানুষ একটি টেলিফোন সংযোগ নিত। তারপরেই আসল মোবাইল ফোন, তবে তা দিয়ে কেবল ভয়েস কলই করা যেত।
এটা বেশি দিন না ১৫ বছর আগের কথা। প্রযুক্তি ছিল খুবই সাধারন। তবে ২০০৫ সালের পর থেকে উচ্চ ব্যান্ডউইথ ( ব্যান্ডউইথ কি ) সম্পন্ন সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, কম্পিউটার, পরববর্তীতে স্মার্টফোনসহ অন্যান্য প্রযুক্তি পৃথিবীটাকে যেনো বদলে দিয়েছে। তবে একটা কথা মানতে হবে,তা হল আমাদের এতসব আধুনিক-অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যাই বলি না কেন এর মূলে রয়েছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের ব্যাপক বিস্তৃতি ও সুবিধার কারনে সবকিছুই এখন অনলাইন। আমরা সবাই এখন অনলাইন নির্ভর। টেলিভিশন চ্যানেল থেকে শুরু করে, হাসপাতাল,অফিস আদালত সকল প্রতিষ্ঠান এখন ইন্টারনেট তথা অনলাইন নির্ভর। ব্যাক্তিগত জীবনেও আমরা কম অনলাইন নির্ভর নয় ।
যাই হোক,আজকের আর্টিকেলটি আমরা ইন্টারনেটের ওপর কিভাবে নির্ভরশীল তা নিয়ে নয়, ইন্টারনেট আসলে কিসের শক্তিতে এত অসাধারন ও কার্যবহুল তা নিয়ে। বন্ধুরা আমরা জানি পদে পদে ইন্টারনেটের ব্যবহার, একসময় বাসায় কেবল লাইনের সংযোগ নিয়ে টিভি দেখতে হতো, এন্টেনা লাগাতে হতো, এখন কিন্তু আমরা ইন্টারনেটের জোড়ে নানা অ্যাপস ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সরাসরি টেলিভিশন এর লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারি।
ব্যাংকে তো বর্তমানে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফারিং টাকা আদানপ্রদান এর মূখ্য মাধ্যম, আমরা ডেবিট ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে যেকোনো জায়গা থেকে ব্যাংক এর টাকা তুলতে পারি। এই ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার ও ট্রানজিকশন এর জন্য দরকার হয় ইন্টারনেট তথা ইন্টারনেট সার্ভার। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কিন্তু আমাদেরকে এক জেলা থেকে আরেক জেলা ঘুরতে হয় না ; ঘরে বসে ইন্টারনেটের জোড়েই আমরা ওয়েবসাইটে ফর্ম ফিলাপ করতে পারি। আসলে ইন্টারনেটে এগুলো কিভাবে হয়? প্রশ্ন কিন্তু থাকেই। ইন্টারনেট যে একটা সংযোগ একটা নেটওয়ার্ক সে বিষয়ে আমরা পূর্বে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত জেনেছি, তবে দারুন এই নেটওয়ার্কে এতসব প্রয়োজনীয় কাজ পসিবল তথা সম্ভব কিভাবে? জ্বি বন্ধুরা, আজ আমরা জানব এই ইন্টারনেটের ইঞ্জিন সম্পর্কে, ইন্টারনেটের এই ব্যাপক কার্যশীলতায় মূখ্য ভূমিকা পালন করছে যে জিনিসটি, তা সম্পর্কে আমরা জানব বিস্তারিত।
এই আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সমূহ
ডাটা সেন্টার ও এর ব্যবহার
ইন্টারনেটে আমরা যে সার্ভিসই ব্যবহার করিনা কেন,তা সাধারনত পরিচালিত হয় একটি কেন্দ্রীয় অবস্হান থেকে,আর এই কেন্দ্রীয় অবস্হানটির নাম ডাটা সেন্টার । ধরুন অনলাইনে ইউটিউবে কোনো ভিডিও দেখবেন,তো প্লে বোতাম চাপ দিলেন-তখন সেই কমান্ডটি আমাদের লোকাল আইএসপি থেকে ইন্টারন্যাশনাল আইএসপি (আইএসপি কি) এর মধ্য দিয়ে চলে গেল গুগলের ডাটা সেন্টারে, সেখান থেকে সেই রিকুয়েস্ট প্রোসেস হয়ে ভিডিওটির ডিজিটাল ডাটা আবার একই ভাবে আমাদের ডিভাইসে চলে আসে, এতে আমরা ভিডিওটি দেখতে সক্ষম হই – এটি ঘটে মাত্র মিলিসেকেন্ডের মধ্যে।
আসলে এটাই প্রযুক্তির সার্থকতা যে, ডাটা সেন্টার ও ডিভাইসের মধ্যে এই ডাটা অাদান-প্রদান ঘটে একদম মিলিসেকেন্ডের মধ্যে। যা সম্ভব করেছে একটি নেটওয়ার্ক ,তার নামই হল ইন্টারনেট। আজ কথা বলব কেবল এই ডাটা সেন্টার নিয়ে। আর এই ডাটা সেন্টারই হল ইন্টারনেটের ইঞ্জিন, এই ডাটা সেন্টারই হল ইন্টারনেটের প্রান এবং মূল চালক। ডাটা সেন্টার নেই তো ইন্টারনেট নেই।
আমরা গুগলের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করি ইউটিউব, জিমেইল,গুগল সার্চ এসবের জন্য কাজ করছে গুগলের ডাটা সেন্টার। আবার মাইক্রোসফটের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করছি এজন্য কাজ করছে মাইক্রোসফটের ডাটা সেন্টার। বিশ্ববিদ্যালয় এর ভর্তি ফর্ম তাদের ওয়েবসাইটের পূরন করে সাবমিট করছেন, এখানেও সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটা সেন্টার কাজ করছে। আবার বাংলাদেশে যতগুলো ব্যাংক রয়েছে তাদের সবার ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার ও ট্রানজিকশন এর জন্য ছোট-বড় নিজস্ব ডাটা সেন্টার রয়েছে । বাংলাদেশ সরকার এর যত গুলো গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট রয়েছে ,তা সরকার এর নিজস্ব ডাটা সেন্টার এর অপর চলে ।
ডাটা সেন্টার এর কাজ
ডাটা সেন্টার হল একটা ইনফাস্ট্রাকচার বা পরিকাঠামো। এই পরিকাঠামোটি গঠিত শক্তিসালী কম্পিউটার তথা সার্ভার এর সমষ্ঠি নিয়ে। এখানে অনেকগুলো সার্ভার নেটওয়ার্ক থেকে পাওয়া ডাটা গ্রহন করে, তা প্রোসেস করে, কন্ট্রোল করে তা আবার গ্রাহক পর্যায়ে পাঠিয়ে দেয়,মাঝখানে এই পাঠানোর কাজ আবার ডাটা গ্রহন করে নিয়ে আসার কাজ করে ইন্টারনেট। ডাটা সেন্টারগুলি এই একই কাজই দিনরাত সবসময় করে থাকে। ডাটা সেন্টার এর চিত্র হয় সাধারনত এইরকম- বিশাল একটা রুমে বা বিল্ডিং এ যেহেতু অনেকগুলো সার্ভার থাকে, তাই এগুলো বড় বড় রেফ্রিজারেটর আকৃতির র্যাকে উপরনিচ সাজানো থাকে। এখানে প্রত্যেকটি সার্ভার একই নেটওয়ার্কের সাথে পরস্পর যুক্ত থাকে। সার্ভারগুলো খুবই উচ্চ স্পেসিফিকেশন সম্পন্ন হয়। এসব ডাটা সেন্টারে একেকটি সার্ভার সমন্বিত ভাবে সকল কাজ হ্যান্ডেল করে, গ্রাহক পর্যায় থেকে ডাটা সংগ্রহ তা প্রোসেস করে একটি বোধগম্য ডাটা হয়ে গ্রাহক পর্যায়ে পৌছে দেয়া, সব দায়িত্ব ডাটা সেন্টারের ওপর।
এসব ডাটা সেন্টারের একক বলতে পারি সার্ভার। যেমন জীবদেহের একক কোষ, তেমনই ডাটা সেন্টারের একক সার্ভার। এসব ডাটা সেন্টারের একেকটি সার্ভার তাদের কোম্পানির ইনস্টল করে দেয়া বিশেষায়িত সফটওয়্যার এর ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। দেখা যায় যে, অনেক সময় তিনটি-চারটি র্যাকের প্রায় ৪০-৫০ সার্ভার একসাথে মিলে একি সফটওয়্যার বা অলগরিদম এর ওপর ভিত্তি করে কাজ করছে। ধরলাম গুগলের কথা, আপনি গুগলে নানা কারনেই সার্চ বা অনুসন্ধান করেন, দেখা যাচ্ছে যে, গুগলে ব্যবহারকারীদের নানা সার্চকে প্রোসেস ও ফল প্রদানের জন্য একসাথে কাজ করছে প্রায় ১০০০ সার্ভার। আবার জিমেইলের মেইল ব্যবস্হা নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছে একইসাথে সমন্বিতভাবে ১৫০০ সার্ভার। আপনি একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন, সেই ওয়েবসাইটের ভিতরকার সকল ছোটখাট টুলস বা বড় টুলস, সেই ওয়েবসাইটের ডিজাইন,দর্শক যে ওয়েবসাইট ভিজিট করছে সে জন্য ব্যান্ডউইথ খরচ সবই নিয়ন্ত্রিত হয় ডাটা সেন্টার থেকে। এসব ডাটা সেন্টারের সার্ভারকে খুবই জটিল জটিল অলগরিদমে প্রোগ্রাম করা, এসব অলগরিদম এখন আবার অন্য পর্যায়ে চলে গিয়েছে। অগমেন্টেট রিয়েলিটির ব্যবহার এসব অলগরিদমে প্রবেশ করার ফলে, ডাটা সেন্টারের সার্ভারগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে অনলাইনের নানা সেবাগ্রহনকারীকে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা দিচ্ছে। যাই হোক,এটা কেবল মনে রাখুন সার্ভারগুলো চলে অলগরিদম এর ওপর। যেমনঃ গুগল সার্চের জন্য গুগল স্পেশাল গুগল সার্চ অলগরিদম ব্যবহার করে যা আর কেউ জানে না।
আধুনিক ডাটা সেন্টারগুলোতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তা হল ক্লাউড কম্পিউটিং সিস্টেম (ক্লাউড কম্পিউটিং কি) । এখানে কোনো ডাটা কোনো সিঙ্গেল মেশিন তথা সার্ভারে জমা থাকে না। এখানে ডাটাগুলো সমস্ত ডাটা সেন্টার এর স্টোরেজ এর কোনো এক জায়গায় থাকে। আর তাই এখানে ডাটা সেন্টারে একটি সার্ভার নষ্ট হলেও ব্যবহারকারীদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয় না। তবে যদি ডাটা কেবল একটি পিসিক্যাল সার্ভারের স্টোরেজ ড্রাইভে জমা থাকত, তবে নিশ্চয়ই এখানে সার্ভারটি নষ্ট হলে ডাটা হারানোর ভয় থাকত।
এখন বিভিন্ন কোম্পানির ওপর নির্ভর করে তারা তাদের ডাটা সেন্টার দিয়ে আসলে কি করবে। কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের ডাটা সেন্টার নিয়ে মূলত ওয়েব হোস্টিং, ভার্চুয়াল সার্ভার তথা ভিপিএস বিক্রির কাজ করতে চায় এবং তারা তাদের ডাটা সেন্টারকে এবং সার্ভারের অলগরিদম বা সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেমগুলিকে সেইভাবে সাজায়। উদাহরন হিসেবে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ওয়েনসার্ভারে জায়গা দরকার আর সেজন্য ওয়েবহোস্টিং বা ভিপিএস (ভার্চুয়াল ওয়েব সার্ভার) নিবেন, এজন্য আপনি বেছে নিলেন ব্লুহোস্ট কোম্পানিকে। তখন ব্লুহোস্ট তাদের ডাটা সেন্টার থেকে আপনাকে আপনার চাহিদামত জায়গা দিবে, যার জন্য তারা আপনার থেকে টাকা নেবে। আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলি, যেসব কোম্পানি ওয়েবহেস্টিং তথা ওয়েব সার্ভিস জনিত কাজ করে তাদের ডাটা সেন্টার অনেক বড় হয়। যেমন এনডিউরেন্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এর অধীনে ব্লুহোস্ট,হোস্টগেটর,বিগরক,রিসেলার ক্লাব এর মত বড় বড় কোম্পানি রয়েছে। এখানে এনডিউরেন্স লিমিটেড এর মালিকানাধীন একাধিক ডাটা সেন্টারের ওপর ভিত্তি করে এসব বড় বড় ওয়েব হোস্টিং, ওয়েব সার্ভিস প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। তাই আপনার যদি ওয়েবসাইট থেকে থাকে তবে আপনিও টাকা দিয়ে ডাটা সেন্টারের প্রত্যক্ষ ব্যবহার করছেন।
ডাটা সেন্টারের রক্ষনাবেক্ষন
একটি ডাটা সেন্টারের সবগুলো কম্পিউটার আবার যুক্ত থাকে একটি প্রধান কম্পিউটার এর সাথে। এখান থেকে কর্মীরা বা সার্ভার ইঞ্জিনিয়াররা দেখেন যে, সবগুলো সার্ভার ঠিকঠাকভাবে চলছে কিনা। প্রতিটি ডাটা সেন্টারে সার্ভারগুলো এমনভাবে যুক্ত থাকে যে, এখানে কোন একটি সার্ভারের সমস্যা হলে বাকিগুলোর কিছু হয়না। মূল কম্পিউটারে যখন এমন কিছু ধরা পরে, তখন একজন ইঞ্জিনিয়ার সেখানে সার্ভারটির কাছে গিয়ে, সেই সার্ভারের সাথে ডিসপ্লে ও প্রয়োজনীয় যন্ত্র লাগিয়ে দেখেন সার্ভারটির কি সমস্যা, চিহ্নিত করে, ঠিক করেন না হলে পরে ফেলে দেন। আর এসব ইঞ্জিনিয়ারদের বলা হয় ইন্টারনেটের ডাক্তার।
গুগল, ফেসবুক এর মত ডাটা সেন্টারে যেখানে ব্যবহারকারীর অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য জমা থাকে। এক্ষেত্রে ডাটা সেন্টার ইঞ্জিনিয়ারদের খুবই সুরক্ষা অবলম্বন করতে হয়। এসব ডাটার ব্যাকআপ এর জন্যও সাধারনত ডাটা সেন্টারে আলাদা সার্ভার রাখা হয়। আবার কোনো কারনে যদি কোনো চলমান সার্ভারের হার্ডড্রাইভে বা এসএসডি ড্রাইভে সামান্যতম সমস্যাও পরিলক্ষিত হয়, তবে সে হার্ডড্রাইভের ডাটা অন্য ভালো হার্ডড্রাইভে রিস্টোর করে নতুন হার্ডড্রাইভ সেটাপ করা হয়। গুগলের মত কোম্পানিতে পুরাতন বা নষ্ট স্টোরেজ ড্রাইভগুলোকে নষ্ট করে ফেলা হয়, যেনো কেউ কোন ব্যবহারকারীর সামান্যতম ডাটাও চুরি করতে না পারে। ফেসবুক এর ডাটা সেন্টারের ক্ষেত্রেও তাই।
এসব ডাটা সেন্টারকে কিন্তু আবার ২৪ ঘন্টা এবং সপ্তাহের ৭ দিনই চালু রাখতে হয়। আর এতে করে প্রচুর পরিমানে বিদ্যুত খরচ হয়। আমেরিকায় গুগলের ডাটা সেন্টারের জন্য সম্পূর্ণ নিজস্ব পাওয়ারস্টেশন ব্যবহার করা হয়,যা থেকে এখানে সবসময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত দেয়া হয়, আবার ব্যাকআপ বিদ্যুত এর ব্যবস্হাও রাখতে হয়। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে গুগলের সারাবিশ্বে ১৩ টি বড় বড় ডাটা সেন্টার রয়েছে এবং যাকে পাওয়ার দিতে সবমিলে দিনে পাওয়ারস্টেশন বা প্লান্টগুলো থেকে ২০০ টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হয়। পাওয়ার এর চিন্তা তো গেলো, এবার আসি ঠান্ডা রাখার ব্যাপারে। এতগুলো উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সার্ভার গরম হবে নিশ্চয়ই! এদের তো ফেলে রাখা যাবে না। তাই বড় বড় সব ডাটা সেন্টারে কুলিং এর জন্য ব্যাপক ব্যাবস্হা থাকে। কিছু ডাটা সেন্টার হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, আবার গুগলের মত বড় বড় ডাটা সেন্টারে থাকে মাকড়াসার জালের মত ওয়াটার কুলিং সিস্টেম, ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব কুলিং সিস্টেমের জন্যও কিন্তু অনেক পাওয়ার খরচ হয়। আর এর বিকল্পের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে মাইক্রোসফট সমুদ্রেরর পানির নিচে ছোট ছোট ডাটা সেন্টার বসিয়েছে, যা এখনও পরীক্ষামূলকভাবে রয়েছে। সমুদ্রের পানির নিচে থাকার কারনে কুলিং খরচ কমে যায়, ভবিষ্যতে তাদের ব্যাপক পরিসরে এটি নিয়ে আসার ইচ্ছা রয়েছে।
পরিশেষে
ডাটা সেন্টার হল ইন্টানেটের একেকটি নির্দিষ্ঠ স্টেশন। যেসব স্টেশন থেকে আমাদের কাছে ডাটা সার্ভ করা হয়। এখানে একেকটি ডাটাকে বিভিন্ন রূপ প্রদান করা হয়, ডাটাকে প্রোসেস করা হয়, কন্ট্রোল করা হয়, একটা নেটওয়ার্কেরর ভেতর দিয়ে নানা জায়গায় পরিবহন করানো হয়। আশা করি ডাটা সেন্টার জিনিসটা কি তা সম্পর্কে ভালো একটা ধারনা পেয়েছেন। ডাটা সেন্টার যে ইন্টারনেটের প্রান তাও বুঝে গিয়েছেন নিশ্চয়ই। তো নিচে মতামত জানাতে ভুলবেন না। ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।