শেয়ার বাজার কি ? কিভাবে কাজ করে শেয়ার মার্কেট
শেয়ার বাজারে শেয়ার কখন কিনতে হয় ?
Share market কে আবার “stock market” বলেও বলা হয়।
যদি আপনি এই শেয়ার বাজার শব্দটি কখনো শুনেননি,
তাহলে “শেয়ার মার্কেট কি (what is stock market)“, বিষয়টা বুঝতে অল্প সময় লাগবে।
লোকেরা কিছুটা বেশি টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সম্ভব উপায় গুলোর খোঁজ করেই থাকেন।
আর, যখন কথা আসছে অনেক কম সময়ের প্রচুর এক্সট্রা (extra) টাকা ইনকাম করার,
তখন অনেকেই শেয়ার বাজার এর কথা চিন্তা করেন।
তবে, শেয়ার মার্কেট বা স্টক মার্কেট কোনো সরাসরি টাকা আয় করার উপায় বা মাধ্যম কখনোই না।
এটা হলো একটি সেরা বিনিয়োগের বিকল্প (investment option), যেখানে টাকা রেখে বা ইনভেস্ট করে প্রচুর লাভ আয় করা যেতে পারে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই, ঘর খরচ এর বাইরের অতিরিক্ত টাকা গুলো সঞ্চয় (save) করে রাখি।
এবং টাকা সঞ্চয় করার ক্ষেত্রে, আমরা bank fixed deposit, recurring deposit, mutual funds ইত্যাদি মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে থাকি।
তবে এই ধরণের বিনিয়োগের বিকল্প গুলোর মাধ্যমে আমরা অধিক returns / interest পেয়ে থাকিনা।
এক্ষেত্রে, শেয়ার মার্কেট হলো এমন একটি বিনিয়োগের বিকল্প যেখানে আপনি টাকা ইনভেস্ট করে অন্যান্য মাধ্যম গুলোর তুলনায় ইনভেস্টমেন্ট এর বিপরীতে অধিক আয় করতে পারবেন।
শেয়ার বাজার থেকে যেভাবে অধিক রিটার্নস পাওয়ার সুযোগ রয়েছে,
ঠিক সেভাবে, আপনার ইনভেস্ট করা টাকা সম্পূর্ণ ভাবে ডুবে যাওয়ার (loss) সম্ভাবনাও এখানে থাকছে।
তাই চলুন, নিচে আমরা “শেয়ার মার্কেট কি ?” (share bazar in Bengali) এবং “শেয়ার মার্কেট কিভাবে কাজ করে” সবটা ভালো করে বুঝে নেই।
শেয়ার বাজার কি ? (what is stock market in Bangla)
সহজ ভাষাতে বললে, “share market” বা “stock market” হলো সেই জায়গা যেখান থেকে shares বা stocks কেনা সম্ভব।
প্রত্যেকটি শেয়ার বা স্টক, মার্কেটের মধ্যে লিস্ট করা বিভিন্ন কোম্পানি গুলির মালিকানা অধিকার যেগুলোকে ইউনিট (unit) হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
মানে, ধরুন আপনি “ABC” নামের একটি কোম্পানির ১০০ টি শেয়ার কিনেছেন।
এখন এর মানে হলো, “আপনি ABC কোম্পানির ১০০ ইউনিট শেয়ার এর মালিক”.
এভাবে, আপনি ABC কোম্পানির একজন shareholder হয়ে দাঁড়াবেন এবং যেকোনো সময় আপনি নিজের ১০০ টি শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন।
যখন আপনি কোনো একটি কোম্পানির শেয়ার কিনবেন, তখন সেটা সেই কোম্পানিতে টাকা ইনভেস্ট (invest) করা বোঝাবে।
আর যিহেতু আপনি কোম্পানিটিতে টাকা ইনভেস্ট করেছেন,
তাই, ভবিষ্যতে যদি কোম্পানিটির ভালো উন্নতি হয়ে থাকে, তাহলে একজন ইনভেস্টর হিসেবে আপনিও কোম্পানির থেকে লাভ পাবেন।
ঠিক সেভাবেই, যদি ভবিষ্যতে কোম্পানিটির অবস্থা শোচনীয় বা দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে থাকে,
তাহলে আপনার ইনভেস্ট করা টাকাও ডুবে যাবে।
তাই, শেয়ার বাজার হলো এমন এক ইনভেস্টমেন্ট এর বিকল্প, যেটার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কোম্পানি গুলোর মধ্যে সরাসরি টাকা ইনভেস্ট করতে পারবেন।
এবং, কোম্পানির পারফরম্যান্স এবং উন্নতির ওপরেই আপনার লাভ বা লোকসান নির্ভর করছে।
স্টক বা শেয়ার বাজার হলো একটি এমন এক সমষ্টি বা একত্রীকরণ যেখান থেকে বিভিন্ন buyers এবং sellers রা বিভিন্ন কোম্পানির stocks/shares কিনতে এবং বিক্রি করতে পারেন।
এটা এমন একটি জায়গা যেখানে লোকেরা হয়তো অনেক টাকা কামিয়ে নিচ্ছেন বা হয়তো নিজের অনেক টাকার লোকসান করছেন।
যখন কোনো কোম্পানির শেয়ার আপনি কিনবেন, তখন সেই কোম্পানির আপনিও এক অংশীদার হয়ে দাঁড়াবেন।
আপনি যত টুকু টাকা কোম্পানিটির ওপরে ইনভেস্ট করবেন, সেই হিসেবে কিছু শতাংশের (%) মালিক আপনিও হয়ে যাবেন।
যেভাবে শেয়ার বাজার থেকে টাকা আয় করাটা অনেক সহজ,
ঠিক সেভাবেই, এখানে নিজের সম্পূর্ণ টাকা হারিয়ে ফেলাটাও কিন্তু অনেক সহজ।
তাহলে আশা করছি, শেয়ার বাজার বলতে কি বুঝায় (about share market in Bengali) বিষয়টা আপনারা বুঝতেই পেরেছেন।
শেয়ার বাজার কি, বিষয়টা বুঝে নেওয়ার পর চলুন এখন শেয়ার মার্কেটের সাথে জড়িত অন্যান্য বিষয় গুলো জেনেনেই।
শেয়ার মার্কেট কিভাবে কাজ করে ?
Stock exchange হলো সেই জায়গাটি যেখানে stocks/shares গুলোকে কেনাবেচা করা হয়।
বিভিন্ন stockbrokers এবং traders রা এখানে স্টক গুলোকে কিনেন এবং বিক্রি করেন।
প্রায় প্রত্যেক বড় দেশের একটি stock exchange রয়েছে যেখান থেকে শেয়ার কেনাবেচা করা সম্ভব।
যেমন ভারতের স্টক এক্সচেঞ্জ এর নাম হলো “National Stock Exchange of India“.
বাংলাদেশ এর স্টক এক্সচেঞ্জ এর নাম, “Dhaka Stock Exchange” এবং “Chittagong Stock Exchange“.
এভাবে, প্রায় প্রত্যেক বড় দেশের নিজের একটি স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে।
যেই কোম্পানি গুলো নিজের শেয়ার বিক্রি (ট্রেড) করতে চাইছেন,
সেই প্রত্যেককেই প্রথমে “stock exchange” এর সাথে নিজেকে রেজিস্টার করতে হবে।
India তে, কোম্পানি গুলোকে stock exchange এর সাথে সাথে SEBIর (Securities and Exchange Board of India) নিয়ম কানুন গুলো মেনে নিজেকে রেজিস্টার করতে হবে।
SEBIর কাজ হলো প্রত্যেকটি কোম্পানির ওপরে নজর রাখা এবং সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা।
কোম্পানি গুলো আইনানুসারে কাজ করছে কি না সেই বিষয়ে নজর রাখে SEBI.
Primary market এবং secondary market কি ?
Stock exchange এর দুটো মূল ভাগ রয়েছে।
একটি হলো প্রাইমারি মার্কেট যেখানে প্রথম বারের জন্যে স্টকস/সিকিউরিটিজ (securities) গুলোকে তৈরি করা হয়।
Primary market এর মধ্যে, কোম্পানি গুলো প্রথম বারের জন্যে তাদের কোম্পানির stocks এবং bonds গুলোকে পাবলিক (public) এর কাছে অফার করে থাকে।
এবং এই নতুন কোম্পানির নতুন স্টক/শেয়ার গুলোকে initial public offering (IPO) এর দ্বারা প্রাইমারি মার্কেটে ছাড়া হয়।
IPOর মাধ্যমে একটি কোম্পানি তার শেয়ার/স্টক গুলোকে প্রথম বারের জন্যে লিস্ট করতে পারে।
Secondary market হলো সেই মার্কেট যেখানে সেই stocks/shares গুলোকে বিভিন্ন investors এর দ্বারা বেচাকেনা (ট্রেড) করা হয়।
Equity shares, bonds, preference shares, treasury bills, debentures ইত্যাদি এই ধরণের মূল প্রোডাক্টস আপনারা সেকেন্ডারি মার্কেটে পাবেন।
স্টক মার্কেট কিভাবে কাজ করে ? (স্টেপ বাই স্টেপ)
চলুন, নিচে আমরা স্টেপ বাই স্টেপ জেনেনেই যে, “কিভাবে কাজ করে শেয়ার মার্কেট ?”
- IPO এর মাধ্যমে একটি কোম্পানি primary মার্কেটে প্রথম বারের জন্যে লিস্ট হয়ে থাকে।
- সেই কোম্পানির শেয়ার তারপর সেকেন্ডারি মার্কেটে ছাড়া বা প্রচার করা হয়।
- এবার, জারি করা নতুন কোম্পানির শেয়ার/স্টকস গুলোকে সেকেন্ডারি মার্কেটের মধ্যে বেচাকেনা (trade) করা সম্ভব।
- Stock exchange এর সাথে registered বিভিন্ন stock brokers / brokerage firms এর দ্বারা যেকোনো ব্যক্তি বিভিন্ন কোম্পানির shares গুলোকে কিনতে ও বিক্রি করতে পারেন।
- Share/stocks কেনাবেচা করার ক্ষেত্রে আপনার জন্য Demat account এবং trading account তৈরি করানো হবে।
- আপনার হয়ে আপনার stock broker স্টক কেনাবেচা করার প্রক্রিয়া গুলোকে সম্পন্ন করে থাকে।
- আজকে আপনি যতটুকু টাকা দিয়ে যেকোনো কোম্পানির একটি শেয়ার/স্টক কিনেছেন, কিছু সময় পরেই হয়তো সেই শেয়ার এর দাম কম-বেশি হতে পারে।
- তাই, কম টাকায় শেয়ার কিনে বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারলে আপনার লাভ।
শেয়ার / স্টক এর দাম কম-বেশি কেন হতে থাকে ?
শেয়ার মার্কেট কাজ করে ডিমান্ড এবং সাপ্লাই (demand & supply) এর ওপরে।
বাজারের চাপের ওপরেই stock এর price নির্ভর করে থাকে।
যখন একটি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির তুলনায় অধিক লোকেরা কিনে নিতে চাইবেন, সেক্ষেত্রে তখন সেই স্টক এর চাহিদা (demand) বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্টক এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তার দাম বৃদ্ধি পায়।
ঠিক সেভাবেই, যখন সেই কোম্পানির শেয়ার ক্রয় (purchase) করার তুলনায় অধিক লোকেরা বিক্রি করছেন,
এক্ষেত্রে, এর মানে হলো সেই স্টক এর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ (supply) বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর যেখানে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বা সাপ্লাই বেশি থাকছে সেখানে সেই প্রোডাক্ট এর দাম অবশই কমে আসবে।
এখন লোকেরা কখন কোনো কোম্পানির শেয়ার অধিক কিনে নিতে চাইবেন বা অধিক বিক্রি করতে চাইবেন,
সেটা বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে নির্ভর করে থাকে।
Shares/stocks এর ডিমান্ড এবং সাপ্লাই কিসের ওপরে নির্ভর ?
শেয়ার মাজারে যেকোনো স্টক/শেয়ার এর দাম কম-বেশি হওয়ার মূল কারণ হলো, “demand & supply“.
যেকোনো কোম্পানির শেয়ার এর চাহিদা বা ক্রয় (purchase) যখন বেশি থাকছে তখন তার দাম অধিক বেড়ে যাবে।
এভাবেই, শেয়ার এর বিক্রি বেশি হওয়া মানে চাহিদা কম থাকা এবং মার্কেটে তার সরবরাহ (supply) অধিক হওয়া।
ফলে, সেই শেয়ার এর দাম কমে আসতে থাকবে।
কিন্তু শেয়ার এর চাহিদা এবং সরবরাহ অন্যান্য কোন বিষয় গুলোর ওপরে নির্ভর করে থাকে।
কেন অধিক লোকেরা একি কোম্পানির অধিক শেয়ার কিনে থাকেন বা কেন লোকেরা একি কোম্পানির শেয়ার অধিক পরিমানে বিক্রি করে থাকেন।
এই প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে নির্ভর করে থাকে।
Company share issues
শেয়ার তখন জারি করা হয় যখন কোম্পানি নতুন শেয়ার গুলোকে পাবলিক এর কাছে বিমুক্ত করে থাকে।
মানে, যখন সাধারণ লোকেদের কাছে শেয়ার কেনার জন্যে সেগুলোকে লিস্ট করানো হয়।
আর, প্রায় প্রত্যেক কোম্পানির দ্বারা একটি সীমিত পরিমানের শেয়ার প্রচার করানো হয়।
এতে, যদি অধিক লোকেরা সেই কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে রাজি হয়ে থাকে,
তাহলে সেই শেয়ার এর চাহিদা (demand) বৃদ্ধি পাবে তবে সরবরাহ (supply) কম থাকবে।
এতে, শেয়ার এর দাম বৃদ্ধি পাবে এবং কোম্পানির লাভ হবে।
Share buyback
এটা হলো সেই প্রক্রিয়াটি যেখানে একটি কোম্পানি তার নিজের শেয়ার অধিক পরিমানে কিনে থাকেন যাতে মার্কেটে তার কোম্পানির শেয়ার এর সরবরাহ (supply) কম থাকে।
Share buyback এর মাধ্যমে company তার নিজের শেয়ার কিনে নিয়ে মার্কেট থেকে মোট শেয়ার এর পরিমান কমিয়ে নেয়।
এতে, শেয়ার এর দাম বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং কোম্পানিটি প্রত্যেক শেয়ার (earning per share) এর থেকে অধিক ইনকাম করতে পারে।
Sellers
Sellers মানেই হলো বিনিয়োগকারীরা (investors) যারা শেয়ার গুলোকে কোনো না কোনো সময় কিনে রেখেছিলেন।
আর এই বিনিয়োগকারীরাই অধিক পরিমানের শেয়ার / স্টক মার্কেটের মধ্যে ছাড়েন যখন তারা শেয়ার গুলোকে বিক্রি করে থাকেন।
যখন অধিক পরিমানের বিনিয়োগকারীরা একি শেয়ার বিক্রি করে থাকেন, তখন সেই শেয়ার এর সরবরাহ (supply) বৃদ্ধি পায়।
এর ফলে, শেয়ার বাজারে স্টক এর দাম কমে আসবে।
সাধারণে, বিনিয়োগকারীরা যেকোনো শেয়ার কেবল লাভ (profit) আয় করার উদ্দেশ্যে বিক্রি করে থাকেন।
এছাড়া, তখনো শেয়ার বিক্রি করে থাকেন যখন তাদের শেয়ার এর দাম মূল্য (value) প্রচুর পরিমানে কমে যায়।
Other reasons
কোম্পানির সাথে জড়িত বিভিন্ন খবর (news) গুলো কিন্তু মার্কেটে তার শেয়ার এর demand এবং supply এর ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে।
যেমন, company earnings report, new product launch, missed targets, death ইত্যাদি এই ধরণের বিষয় গুলো share এর demand এবং supply এর ওপরে প্রভাব ফেলে থাকে।
তাছাড়া, বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় গুলোর ফলেও কোম্পানির পক্ষ্যে ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে আর যার ফলে বাজারে তার চাহিদা কমে আসতে পারে।
শেয়ার বাজারে শেয়ার কখন কিনতে হয় ?
শেয়ার বাজার কি, এই বিষয়ে আপনার কিছুটা হলেও আইডিয়া অবশই হয়ে গেছে হয়তো।
এখন, স্টক মার্কেটের মধ্যে বিনিয়োগ (invest) করার আগে আপনাকে শেয়ার বাজারের সাধারণ জ্ঞান নিয়ে নিতে হবে।
আপনি YouTube এর মধ্যে বিভিন্ন ভিডিও গুলো দেখে শেয়ার মার্কেট এর বিষয়ে অনেকটা জেনেনিতে পারবেন।
শেয়ার কখন কিনবেন, এই প্রশ্নের উত্তর এমনিতে অনেক হতে পারে।
- তখন কিনবেন যখন কোনো কোম্পানির share এর দাম অনেক কম থাকবে এবং ভবিষ্যতে সেই দাম বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
- যেই কোম্পানির শেয়ার কেনার কথা ভাবছেন সেই কোম্পানির background ভালো করে দেখে শেয়ার কিনতে হয়।
- এমনিতে দেখা যায় যে, মাসের শেষে শেয়ার এর দাম বাড়তে থাকে এবং মধ্যের সময়ে কমে দাম কমে আসে। তাই, শেয়ার কেনার সবথেকে ভালো সময় আমার হিসেবে মাসের মধ্যের সময়ে।
- কোম্পানির সাথে জড়িত বিভিন্ন খারাপ খবর গুলো কোম্পানি প্রায় সপ্তাহের শেষ দিন (শুক্রবারে) প্রচার করে থাকে। তাই, কোম্পানির সেই খারাপ খবরটি মার্কেটে প্রতিফলিত হতে হতে সোমবার হয়ে যায়। এক্ষেত্রে, সোমবারে সেই কোম্পানির শেয়ার এর দাম কিছুটা কম থাকার সম্ভাবনা থাকছে। তাই, আমি আপনাদের সোমবারে শেয়ার কেনার পরামর্শ দিবো।
- কিরকম ধরণের কোম্পানি গুলোতে ইনভেস্ট করবেন সেটা আগেই ভাবাটা জরুরি।
- শেয়ার মার্কেটে কখন কোন কোম্পানির শেয়ার এর দাম বাড়লো বা কোমল সেটার ওপরে নজর রাখুন। এবিষয়ে কিছুদিন নজর রাখার পর, আপনার কিছুটা হলেও আইডিয়া হয়ে যাবে।
- শেয়ার বাজারে রিস্ক প্রচুর, কখন কোন কোম্পানির শেয়ার একেবারে কমে যাবে সেটা কেও বলতে পারবেনা। তাই, আপনি যখন আর্থিক ভাবে সম্পূর্ণ সবল থাকবেন বা এক্সট্রা টাকা আপনার হাতে রয়েছে কেবল তখন এই মার্কেটে টাকা বিনিয়োগ করুন।
ভারতে শেয়ার মার্কেটে টাকা ইনভেস্ট কিভাবে করবেন ?
আগেকার সময়ে শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করাটা বা শেয়ার কেনাটা অনেক ঝামেলার বিষয় ছিল।
তবে এখনের সময়ে আপনারা online বা offline যেকোনো মাধ্যমে অনেক সহজেই share trading করতে পারবেন।
শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কেনার জন্যে সবচেয়ে প্রথমে আপনার একটি Demat account এর প্রয়োজন হবে।
Bank account এর মধ্যে যেভাবে আমরা আমাদের টাকা রাখি, ঠিক সেভাবেই ডিম্যাট একাউন্ট এর মধ্যে আমরা আমাদের কিনে নেওয়া শেয়ার গুলকে রাখি।
যদি আপনি শেয়ার মার্কেটে টাকা ইনভেস্ট করার কথা ভাবছেন, তাহলে এই Demat account অনেক জরুরি।
Online এবং offline অনেক stock-broker রয়েছে যাদের সাহায্যে আপনারা এই ডিম্যাট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
- Share trading করে আপনার যা লাভ হবে সেই লাভের পরিমান আপনার ডিম্যাট একাউন্ট এর মধ্যে জমা হবে।
- আপনার demat একাউন্ট এর সাথে bank account অবশই সংযুক্ত থাকবে।
- এতে, আপনি আপনার লাভ এর টাকা বা স্টক বিক্রি করে পাওয়া টাকা সরাসরি নিজের ব্যাংকে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
- Demat account তৈরি করার জন্য আপনার কাছে “address proof”, “ID proof”, “TAX ID (PAN card)”, “bank cancelled cheque”, “income proof” ইত্যাদি ডকুমেন্ট লাগতে পারে।
ভারতে মূলত দুটি stock exchange রয়েছে, “Bombay stock exchange” এবং “National stock exchange“.
এখানেই shares গুলোর trading (কেনাবেচা) করা হয়।
Stock-brokers গুলো এই stock exchange এর সদস্য এবং তাই এদের মাধ্যমেই আমরা মার্কেটে ট্রেডিং করতে পারি।
আমরা সরাসরি stock market এর মধ্যে গিয়ে শেয়ার কিনতে পারবোনা।
তাই সোজা ভাবে বললে, যদি আপনি শেয়ার বাজারে টাকা ইনভেস্ট করতে চাইছেন,
তাহলে সর্বপ্রথমে কোনো stock broker এর সাথে যোগাযোগ করুন।
জরুরি প্রত্যেক documents গুলো দিয়ে নিজের একটি demat account তৈরি করুন।
এবার আপনি নিজে নিজে বা ব্রোকার এর সাহায্যে শেয়ার কিনতে ও বিক্রি করতে পারবেন।
বলে রাখি, বর্তমানে এরকম অনেক online platform রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে অনেক সহজে নিজের demat account অনলাইনে তৈরি করতে পারবেন।
তবে সেগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে আমি বেশি কিছু বলতে পারছিনা এবং সেটা আপনাকে নিজেই যাচাই করতে হবে।
আপনি, Groww প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে ডিম্যাট / ট্রেডিং একাউন্ট তৈরি করে শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন।
শেয়ার মার্কেটের সাথে জড়িত জরুরি কিছু শব্দ গুলো
এখন আমরা শেয়ার বাজারের সাথে জড়িত কিছু জরুরি শব্দ গুলোর বিষয়ে জানবো।
Share/stock
শেয়ার এর মানে হলো ভাগ বা অংশীদার। যখন শেয়ার বাজারের মাধ্যমে আমরা কোনো কোম্পানির কিছু ভাগ ইউনিট হিসেবে কিনি তখন সেই ভাগ টিকেই শেয়ার / স্টক বলা হয়।
Stock exchange
Stock exchange বা securities exchange হলো সেই জায়গা বা সেবা যেখান থেকে stockbrokers এবং traders রা বিভিন্ন financial securities যেমন shares of stock, bonds ইত্যাদির ট্রেডিং (বেচাকেনা) করে থাকেন।
IPO
“Initial Public Offering (IPO)”, হল সেই প্রক্রিয়াটি যেখানে একটি কোম্পানির শেয়ার প্রথম বারের জন্যে প্রাইমারি মার্কেটে লঞ্চ বা প্রচার করা হয়।
Demat account
ডিম্যাট একাউন্ট হলো সেই একাউন্ট যেটা শেয়ার ট্রেডিং করার ক্ষেত্রে অনেক জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে, আপনার shares বা অন্যান্য financial securities (shares, bonds, government securities, Mutual Funds, Insurance) গুলোকে ইলেক্ট্রনিক ফরম্যাটে স্টোর করে রাখা হয়।
Face value
যেই দাম নিয়ে যেকোনো কোম্পানির শেয়ার প্রথম বারের জন্যে স্টক মার্কেটে লিস্ট করা হয় সেই দাম টিকেই শেয়ার এর face value বলা হয়।
Close price
প্রত্যেক দিন শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং করার একটি সীমিত সময় থাকে।
উদাহরণ স্বরূপে ধরুন সকাল ৯ থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত শেয়ার মার্কেটে ট্রেডিং করা যাবে।
এক্ষেত্রে, ট্রেডিং এর সময় শেষ হওয়ার পাশাপাশি যেই শেষ দামে স্টক ট্রেড করা হয়, সেটাই হলো ক্লোসিং প্রাইস।
আমাদের্স শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা শেয়ার মার্কেট (share market) নিয়ে সবটা ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন।
শেয়ার বাজার বলতে কি বুঝায় (what is share market in Bengali), বিষয়টা বুঝতে একটু কষ্ট হতে পারে,
তবে, ভালো করে মন দিয়ে এর সাথে জড়িত বিষয় গুলো বুঝার চেষ্টা করুন।
বর্তমান সময়ে যদি আপনার কাছে কিছু সাধারণ documents গুলো রয়েছে,
তাহলে অনেক সহজেই একটি ডিম্যাট একাউন্ট বানিয়ে শেয়ার কিনতে পারবেন।
শেয়ার বাজার কাকে বলে, বিষয়টা নিয়ে যদি কোনো প্রশ্ন আপনার মনে রয়েছে,
তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
তাছাড়া, আমাদের আজকের আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লাগে,
তাহলে আর্টিকেলটি অবশই শেয়ার করবেন।