পরিবেশ কাকে বলে ? (What is environment in Bengali), পরিবেশের প্রকারভেদ, পরিবেশের উপাদান কত প্রকার ও কি কি ? এই প্রত্যেক বিষয়ে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল আলোচনা করতে চলেছি।
পৃথিবী যেমন আমাদের বাসস্থান, ঠিক সেরকমই এই বাসস্থান স্থানগত কারণে, ভৌগোলিক কারণে, কিংবা নানা জানা-অজানা কারণে আলাদা হয়ে থাকে। আর, এই বাসস্থান গুলোর থাকে নির্দিষ্ট এক ধরণের সাধারণ পরিবেশ।
আর, আজকে আমাদের আলোচনার মুখ্য বিষয় হল কি এই পরিবেশ, পরিবেশ মানে কি এবং পরিবেশের উপাদানগুলো কি কি ?
চলুন, একে একে প্রত্যেকটি বিষয়ে আমরা জেনেনেই।
Post Content
পরিবেশ কাকে বলে ?
এক কথায় বলতে গেলে, আমাদের চারপাশে থাকা যেকোনো কিছুই হল আমাদের পরিবেশ।
আবার পরিবেশের সংজ্ঞা অনুযায়ী, এটি হল সমস্ত জীবিত এবং নির্জীব উপাদান এবং তাদের প্রভাবের সমষ্টি, যা মানব জীবনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে।
যদিও, সমস্ত জীবন্ত বা জৈব উপাদান যেমন – প্রাণী, গাছপালা, বন, মৎস্য এবং পাখি, অজীব বা অজৈব উপাদান গুলি সহ জল, ভূমি, সূর্যালোক, শিলা এবং বায়ুও এই পরিবেশেরই অন্তর্গত নানা উপাদান হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।
পরিবেশ মানে কি ? (What Does Environment Mean)
পরিবেশ বা এনভায়রনমেন্ট শব্দটি এসেছে প্রাচীন ফরাসী শব্দ ‘এনভাইওনার’ বা ‘envioner’ থেকে। যার অর্থ হলো, ঘিরে থাকা।
অর্থাৎ, পরিবেশ বলতে বোঝানো যেতে পারে, যে এটি একটি পরিস্থিতি বা পারিপার্শ্বিকতার সমষ্টি, যেখানে মানুষ, প্রাণী এবং উদ্ভিদের মতো জীবন্ত প্রাণীরা বাস করে বা বেঁচে থাকে এবং তাদের কেন্দ্র করে থাকে নানা ধরণের নির্জীব বস্তুর অস্তিত্ব।
পরিবেশের বৈশিষ্ট্য:
১. মানুষ এবং তাদের পরিবেশ সহ সমস্ত জীবই পারস্পরিক প্রতিক্রিয়াশীল, একে অপরকে উপর বিভিন্ন উপায়ে নানাভাবে নির্ভরশীল।
২. জীবনধারণের জন্যে সব স্তরের জীব পৃথিবীর ভৌত উপাদান যেমন পৃথিবী, বায়ু, জল ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। এই উপাদান গুলো জীবজগতের জীবনযাত্রাকে সমর্থন করে এবং প্রভাবিত করে।
৩. পরিবেশ পৃথিবীর ভৌত উপাদান গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে আর মানুষ পরিবেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে।
৪. একটি পরিবেশে থাকে দৈহিক, জৈবিক এবং সাংস্কৃতিক উপাদান গুলির পরস্পর প্রতিক্রিয়ামূলক ব্যবস্থা, যা বিভিন্ন উপায়ে পৃথকভাবে এবং যৌথভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত কিংবা নির্ভরশীল।
পরিবেশের উপাদান গুলো কত প্রকার ও কি কি ? (Components Of Environment)
এতক্ষণে আমরা জেনেছি যে, এই পরিবেশ আসলে নানা ধরণের উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত।
পরিবেশ বিজ্ঞানের মত অনুযায়ী, পরিবেশে মোট চার ধরণের উপাদান রয়েছে, সেগুলো হল –
১. লিথোস্ফিয়ার বা ভূ-ত্বক:
লিথোস্ফিয়ার শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ লিথো ও স্ফিয়ার থেকে, যেখানে লিথো শব্দের অর্থ হল পাথর বা শিলা আর স্ফিয়ার শব্দের অর্থ হল গোলক।
সুতরাং, লিথোস্ফিয়ার হল পৃথিবীর বাইরের শিলা দিয়ে তৈরী অংশ যাকে আমরা পৃথিবীর ভূত্বক নামে চিনি।
আর পৃথিবীর ভূ-ত্বক থেকে পৃথিবীর অন্তর্নিহিত শীতল, ঘন এবং মোটামুটি উপরের আবরণের অনমনীয় অংশও কিন্তু এই লিথফিয়ারের অঙ্গ।
এই স্তরের বিস্তৃতি পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭০ থেকে ১০০ কিমি পর্যন্ত। আর, লিথোস্ফিয়ারের প্রধান উপাদান হল পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেট।
স্পষ্ট অর্থে বলতে গেলে লিথোস্ফিয়ার হল আমাদের পৃথিবীর মাটি ও তার অভ্যন্তরীণ স্তরের সমষ্টি।
এই মাটির গঠন-প্রকৃতি ভৌগোলিক অঞ্চলভেদে অন্য রকম হয়।
আর, মাটির রাসায়নিক পদার্থের উপর নির্ভর করে কোনো অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যও অন্যরকম হয়।
২. হাইড্রোস্ফিয়ার বা জলমন্ডল:
আমরা জানি যে, পৃথিবীর ৯৬.৫৬% অংশ জুড়ে রয়েছে সামুদ্রিক (মহাসাগর, সমুদ্র) জলাশয়।
অর্থাৎ, দেখতে গেলে পৃথিবীর ২৯% স্থল ও বাকি ৭১% জলে নিমজ্জিত।
যেখানে স্বাদু বা পেয় জলের পরিমাণ মাত্র ৩%।
সারা পৃথিবীতে রয়েছে মাত্র ১.৬৯% ভূগর্ভস্থ জল ও ১.৭৪% হিমবাহ গলিত জল।
আর, পেয় জলের মাত্র ০.৩% জলই মানুষ নদী-নালা, নানা প্রাকৃতিক জলাধার থেকে সংগ্রহ করতে সক্ষম।
৩. এটমোস্ফিয়ার বা বায়ুমণ্ডল:
এই এটমোস্ফিয়ার হল পৃথিবীকে ঘিরে থাকা অদৃশ্য গ্যাসীয় স্তর।
এই বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন রয়েছে, যা জীবিত প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্যে একান্ত জরুরি।
এই স্তর মূলত ৭৮.০৮% নাইট্রোজেন, ২০.৯৫% অক্সিজেন,ও সামান্য মাত্রায় আর্গন,কার্বন ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং অন্যান্য নোবেল গ্যাস দিয়ে তৈরী।
বায়ুমণ্ডলে মাত্র ০ থেকে ৩% জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি রয়েছে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে একাধিক স্তর রয়েছে যেগুলোর নিজস্ব ও নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে উঠতে থাকা এই স্তরগুলো হল ট্রপোস্ফিয়ার, স্ট্রাটোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার, থার্মোস্ফিয়ার এবং এক্সোস্ফিয়ার।
১. >> বায়ুমণ্ডলের সবথেকে নিচুতে থাকা স্তর হল ট্রপোস্ফিয়ার। এটি সমুদ্রপৃথ থেকে প্রায় 33,000 ফুট পর্যন্ত উপস্থিত থাকে।
২. >> ট্রপোস্ফিয়ারের উপরের স্তরটি হল স্ট্রাটোস্ফিয়ার। এর বিস্তৃতি ট্রপোস্ফিয়ার থেকে ৫০ কিমি উপরে।
এই স্তরে থাকা প্রচুর পরিমাণ ওজোন গ্যাসের অণুগুলি, যা সূর্যের উচ্চ-শক্তির অতিবেগুনী (UV) রশ্মি শোষণ করে তা তাপে রূপান্তরিত করে।
৩. >> স্ট্রাটোস্ফিয়ারের উপরে থাকে মেসোস্ফিয়ার। আমাদের গ্রহের উপর থেকে প্রায় ৮৫ কিমি উচ্চতায় এই স্তর বিরাজ করে।
বেশির ভাগ উল্কাপিন্ড পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে পৌঁছলেই এই স্তরেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
৪. >> এরপর থাকে মেসোস্ফিয়ারের উপরে অত্যন্ত বিরল বায়ুর স্তর যা হল থার্মোস্ফিয়ার। এই স্তর সূর্য থেকে আসা উচ্চ শক্তির এক্স-রে এবং অতিবেগুনী রশ্মির বিকিরণ শোষণ করে নেয়।
থার্মোস্ফিয়ারের বাইরের আস্তরণের তাপমাত্রা ৫০০ থেকে ২০০০-ডিগ্রি সেলসিয়াসের আসে-পাশে থাকে। থার্মোস্ফিয়ার পৃথিবী থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ কিমির মধ্যে বিস্তৃত।
৫. >> এক্সস্ফিয়ার পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ থেকে ১০,০০০ কিমি উচ্চতার মধ্যে অবস্থান করে। এই স্তরে, পৃথিবীর সমস্ত স্যাটেলাইট চলাফেরা করে।
৪. বায়োস্ফিয়ার বা জীবমন্ডল:
বায়োস্ফিয়ার শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ভূতত্ত্ববিদ এডওয়ার্ড স্যুস।
জীবমণ্ডল বলতে আমরা পৃথিবীর সেই সমস্ত অঞ্চলকে বুঝি যেখানে জীবনের অস্তিত্ব রয়েছে।
ইকো-সিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র অনুযায়ী, মাটি, বাতাস, জল বা জমির মতো ভৌত উপাদানগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা যেকোনো জীববৈচিত্র্যই এই জীবমন্ডলের অন্তর্গত।
জীবমণ্ডল আসলে হল সমস্ত জীবন্ত বস্তু, বায়োমাস বা বায়োটার সমষ্টি।
এই মন্ডলের বিস্তৃতি মেরু অঞ্চল থেকে শুরু করে বিষুবরেখা পর্যন্ত হতে পারে।
মূলত, এই প্রতিটি অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতির বৈচিত্রের উপর নির্ভর করেই সেখানকার নির্দিষ্ট জীবমন্ডল গড়ে ওঠে।
পরিবেশের বিভিন্ন প্রকারগুলো কি কি ? (Types Of Environment)
বিভিন্ন ধরণের উপাদানের উপর ভিত্তি করে পরিবেশ বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে।
আমরা প্রধানত পরিবেশকে প্রাকৃতিক ও মনুষ্য-সৃষ্ট পরিবেশ এই দুই ভাগে ভাগ করে থাকি।
এর মধ্যে প্রকৃতির তৈরী পরিবেশগুলো হল –
১. ভৌত পরিবেশ:
ভৌত পরিবেশ প্রধানত কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় উপাদান নিয়ে তৈরী।
এই তিনটি উপাদান মূলত উপস্থিত থাকে যথাক্রমে লিথোস্ফিয়ার, হাইড্রোস্ফিয়ার এবং বায়ুমণ্ডলে।
স্থানগত বা ভৌগোলিক পরিবর্তনের ভিত্তিতে সেগুলো উপকূলীয় পরিবেশ, মালভূমির পরিবেশ, পাহাড়ের পরিবেশ, হ্রদের পরিবেশ, নদীর পরিবেশ, সামুদ্রিক পরিবেশ এবং আরও অন্যান্য পরিবেশ হতে পারে।
২. জীবন্ত বা জৈবিক পরিবেশ
জৈবিক পরিবেশ হল গাছপালা, প্রাণী, জীব-জন্তু, আণুবীক্ষণিক জীব নিয়ে গঠিত পরিবেশ।
আর, এই জৈব পরিবেশ সাধারণ দুই ধরনের হতে পারে, তথা উদ্ভিদজগত এবং প্রাণীজগত।
৩. জৈব-ভৌতিক পরিবেশ:
এই বায়ো-ফিজিক্যাল বা জৈব-ভৌতিক পরিবেশ জীবন সৃষ্টি ও জীবন যাপনের ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য পরিবেশ।
এই পরিবেশের মধ্যে রয়েছে ভূমি, বায়ু, জল, গাছপালা এবং প্রাণী, নানা জৈব স্তর এবং সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ যা জীবনধারণের মৌলিক চাহিদাগুলো পূর্ণ করে।
যার সাহায্যে মানবসমাজ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ পায়।
তাই, একটি পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ মানুষের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
যেমন – একটি মৌলিক স্তরে পরিষ্কার বাতাস এবং ভাল-মানের পানীয় জল মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়।
এর পর, মনুষ্য-সৃষ্ট পরিবেশ গুলোর মধ্যে, উল্লেখযোগ্য তিনটি ভাগ হল –
১. সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ:
সামাজিক পরিবেশের মধ্যে মানুষ বাস করে তাদের নিজস্ব সামাজিক সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক বিন্যাসের ভিত্তিতে।
এদের সামাজিক চাহিদা ও সংস্কৃতি মিলে গেলেই এরা সঙ্গবন্ধ গোষ্ঠী হিসেবে কাজ করে ও যোগাযোগ রাখে।
এছাড়াও, সামাজিক পরিবেশ গড়ে ওঠে শিল্প, পেশাগত কাঠামো, শ্রম বাজার, অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া, ধন-সম্পদ, মানবিক এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ও আরও অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
মূলত, এই পরিবেশে থাকে একই ধরণের সরকার-জাতি সম্পর্ক, সামাজিক বৈষম্য, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, শিল্পকলা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠা ও অনুশীলন, এবং স্থান এবং সম্প্রদায় সম্পর্কে বিশ্বাস।
২. অর্থনৈতিক পরিবেশ:
একটা অর্থনৈতিক পরিবেশ সেই দলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ও অর্থনীতির প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।
এই অর্থনৈতিক পরিবেশে থেকে মানুষ অর্থ রোজগার করে থাকে জীবন নির্ধারণের তাগিদে।
এই অর্থনৈতিক অবস্থা মানুষের জীবনযাত্রা, শিক্ষা ও শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
সেই কারণেই নিম্ন আয়ের মানুষের উচ্চমানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার অধিকার নেই।
৩. মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশ:
প্রতিটা মানুষের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থাকে, তেমনই মানুষ সমাজবদ্ধ জীব হয়ে একই চিন্তাধারার, ভৌগোলিক অবস্থান, ভাষার মানুষদের নিয়ে একটা সমাজ বা পরিবেশ গঠন করে।
যেখানে একদল মানুষের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাভাবনা ও তাদের চাহিদা একে অপরের সাথে মিলে যায়।
তাই, এই পরিবেশ আমাদের একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বুঝতে সাহায্য করে।
কিছু মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশ মানুষের কাছে উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে আবার সেই একই পরিবেশ অন্যের কাছে বিরক্তিকরও হতে পারে।
মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশ প্রায়শই সাংগঠনিক প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়।
খুব সাধারণ উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে,
কোনো একটি বিদ্যালয়ের পরিবেশ একদল বিদ্যার্থীর কাছে পছন্দের আবার অন্যদল বিদ্যার্থীর কাছে অপছন্দের হতেই পারে।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে, আমাদের পরিবেশ নিয়ে আজকের এই লেখাটি এখানেই শেষ হল।
পরিবেশ কাকে বলে (What is environment in Bengali), পরিবেশের উপাদান গুলো কি কি ? এবং পরিবেশের প্রকারভেদ গুলো নিয়ে লিখা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
এছাড়া, আমাদের আজকের আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে সেটাও কমেন্টের মাধ্যমে অবশই জানিয়ে দিতে পারবেন।