আপনারা হয়তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি personal computer (PC) এর বিষয়ে শুনে থাকেন।
কিন্তু, যারা কম্পিউটার নিয়ে ঘাটাঘাটি করেই থাকেন তারা অবশই কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রকার গুলোর বিষয়ে জানেন।
এবং digital computer হলো কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রকার গুলোর মধ্যেই একটি।
ডিজিটাল কম্পিউটার কি ? কাকে বলে – (What is digital computer)
Digital computer হলো এমন একটি কম্পিউটার মেশিন যেটা যেকোনো ধরণের information গুলোকে process করতে সাহায্য করে থাকে।
এই ডিভাইস গুলো এতটাই দ্রুত কাজ করে থাকে যে সেকেন্ডের থেকেও কম সময়ের মধ্যে আউটপুট প্রদান করতে পারে।
ডিজিটাল কম্পিউটার গুলো যেকোনো ধরণের গণনা (calculations) এবং logical operations গুলো করার ক্ষেত্রে binary number system এর ব্যবহার করে থাকে।
এই ধরণের কম্পিউটার data গুলোকে input হিসেবে গ্রহণ করার পর সেগুলোকে binary numbers এর মধ্যে পরিবর্তিত (convert) করে ফেলে।
মানে প্রত্যেকটি ডাটা ডিজিট (digit) হিসেবে, মানে 0 এবং 1 হিসেবে কনভার্ট করে সেগুলোকে প্রসেস করা হয়।
কারণ কম্পিউটার গুলো কেবল digits (0’s and 1’s) গুলোকেই বুঝতে পারে।
আর তাই, ইংরেজি ভাষাতে আমাদের দেওয়া ইনপুট বা ডাটা গুলোকে এই কম্পিউটার binary language হিসেবে convert করে থাকে।
আর এভাবেই, ডিজিটাল কম্পিউটার এবং আমাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
Digital device গুলোর উদাহরণ কিছু হলো, Personal computers (PC), Desktops, Laptops, Smartphones ইত্যাদি।
ডিজিটাল কম্পিউটার বলতে কি বুঝায়, বিষয়টা হয়তো বুঝতেই পেরেছেন।
ডিজিটাল কম্পিউটার এর প্রক্রিয়া
মূলত ৩ টি মূল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল কম্পিউটার কাজ করে থাকে।
- Input
- Processing
- Output
চলুন বিষয় গুলো বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
Input
যখন user দ্বারা যেকোনো data বা information গুলোকে device এর মধ্যে প্রেরণ করা হয় তখন সেই প্রক্রিয়াকে input বলা হয়। কম্পিউটারে input প্রদান করার ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইস গুলোকে ব্যবহার করে থাকি।
Processing
User দ্বারা প্রেরণ করা input data গুলোকে কম্পিউটার নিজের বাইনারি ভাষাতে কনভার্ট করে সেগুলোকে কিছু defined sequence এর মাধ্যমে process করে।
Output
একবার processing সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর, প্রদান করা ইনপুট ডাটার হিসেবে ইউসারকে output ডিসপ্লে করে দেওয়া হয়।
ডিজিটাল কম্পিউটার কত প্রকার এবং কি কি ?
Digital computer গুলো হলো এমন কিছু device যেগুলোকে প্রয়োজন হিসেবে output পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রোগ্রাম করতে হয়।
বিভিন্ন ধরণের data গুলোকে store, process এবং generate করার ক্ষেত্রে এখানে electronic technology ব্যবহার করা হয়।
বিভিন্ন আকার (size) এবং প্রকার (types) ওপরে ভিক্তি করে এই digital computer গুলোকে ৪ টি আলাদা আলাদা ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়।
- Microcomputer
- Minicomputer
- Mainframe computer
- Supercomputer
চলুন প্রত্যেক ডিজিটাল কম্পিউটার এর প্রকার গুলোর বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
Microcomputers
মাইক্রো কম্পিউটার গুলো এমনিতে তেমন দামি (expensive) হয়না।
দৈনন্দিন জীবনের মূলত সাধারণ কাজ গুলোকে করার ক্ষেত্রে আমরা এই ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি।
যেমন, Modern desktop computers, video game consoles, laptops, tablet PCs ইত্যাদি।
এটা এমন একটি কম্পিউটার যেখানে এর central processing unit (CPU) হিসেবে একটি microprocessor দেওয়া থাকবে।
Minicomputer
মিনি কম্পিউটার গুলোর দাম এতটা কম হয়না এবং তেমন বেশিও হয়না।
এই ধরণের কম্পিউটার গুলোতে একটি বা একাধিক processors সংযুক্ত থাকতে পারে।
মিনি কম্পিউটার গুলো multiprocessing সাপোর্ট করে থাকে যেখানে একাধিক processors গুলো একি কম্পিউটার মেমরিটি শেয়ার করে কোনো টাস্ক সম্পূর্ণ করে।
এই কম্পিউটার গুলোকে মূলত, transaction processing, data management, file handling ইত্যাদি এই ধরণের কাজে ব্যবহার করা হয়।
Mainframe computer
Mainframe কম্পিউটার গুলোর আকার অনেক বড় এবং অনেক ভারী সংখ্যায় ডাটা (data) গুলোকে store এবং process করার ক্ষেত্রে এদের ব্যবহার করা হয়।
বড় বড় organization গুলোর দ্বারা এই ধরণের কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করা হয় যেখানে অনেক জটিল applications গুলো ব্যবহার করা হয়।
মূলত অনেক ভারী সংখ্যায় data processing এবং calculations গুলোকে করার ক্ষেত্রে এই ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
Supercomputer
সুপার কম্পিউটার কি, এই বিষয়ে আমি আগেই আপনাদের বিস্তারিত ভাবে বলেছি।
Supercomputer গুলো হলো অনেক দামি (expensive) কম্পিউটার যেগুলোকে কম্পিউটারের মধ্যে সব থেকে ফাস্ট (fastest computers) হিসেবে ধরা হয়।
এই কম্পিউটার গুলোতে হাজার হাজার processors সংযুক্ত থাকে যেগুলোর মাধ্যমে প্রত্যেক সেকেন্ডের মধ্যে trillions of calculations করা সম্ভব।
তাই, এই সুপার কম্পিউটার গুলোকে সব থেকে দ্রুত কম্পিউটার বলা হয়।
Supercomputer গুলোকেও আবার ৩ টি আলাদা ভাগে ভাগ করা যেতে পারে যেমন, Analog, Digital এবং Hybrid Computers.
বড় বড় organizations গুলোর দ্বারা supercomputers গুলোকে ব্যবহার করা হয়।
ডিজিটাল কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য (Features)
- Good memory – এই ধরণের কম্পিউটার গুলোতে অনেক ভারী সংখ্যায় ডাটা গুলোকে স্টোর করা সম্ভব।
- Flexible – এই কম্পিউটার গুলো অনেক সহজেই কোনো human interface ছাড়া multi-tasking করতে পারে।
- Automatic – একবার চালু করার পর এই device গুলো সম্পূর্ণ automatic ভাবে কাজ করতে থাকে।
- Speed – Digital computer গুলো অনেক দ্রুত ভাবে কাজ করে থাকে এবং সমস্ত অপারেশন গুলোকে ভালো speed এর সাথে সম্পূর্ণ করে।
- Accurate – সম্পূর্ণ নির্ভুল ভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল কম্পিউটার গুলোর প্রচুর নাম রয়েছে।
ডিজিটাল কম্পিউটারের উপাদান – Components of a digital computer
একটি ডিজিটাল কম্পিউটারের মধ্যে নিচে দেওয়া এগুলো বেসিক উপাদান রয়েছে –
- Input Device
- CPU
- Output Device
চলুন এগুলোর বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য জেনেনেই।
Input device
আমরা আমাদের কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরণের input device গুলো ব্যবহার করে থাকি যেমন, mouse, keyboard, scanner ইত্যাদি।
User থেকে data এবং information গুলো গ্রহণ করে, ডাটা গুলোকে binary ভাষাতে convert করার ক্ষেত্রে input device সাহায্য করে থাকে।
কম্পিউটার আমাদের (user) দেওয়া নির্দেশ গুলোকে ইনপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে গ্রহণ করে থাকে।
CPU
Central processing unit (CPU) হলো কম্পিউটারের এমন একটি অংশ যেটা সম্পূর্ণ কম্পিউটার সিস্টেম টিকেই নিয়ন্ত্রণ করে।
CPU হলো একটি কম্পিউটারের brain এর মতো।
যখন আমরা input device (keyboard, mouse etc.) গুলোর মাধ্যমে ডাটা গুলোকে প্রেরণ করে থাকি বা কম্পিউটারে ইনপুট প্রদান করি, তখন সেগুলো CPU (central processing unit) দ্বারা process করা হয়।
Output device
CPU এর দ্বারা প্রত্যেক গণনা গুলো সম্পন্ন হয়ে ডাটা প্রসেস হওয়ার পর সমাধান গুলোকে output device গুলোতে প্রেরণ করে।
যেমন, monitor একটি output device যেখানে আমরা CPU এর দ্বারা প্রদান করা সমাধান ও আউটপুট গুলোকে দেখে নিতে পারি।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি ডিজিটাল কম্পিউটারের বিষয়ে সবটা ভালো করে বুঝতেই পেরেছেন।
About digital computer in Bengali নিয়ে লিখা আমাদের আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে,
তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানাবেন।