কিছুদিন আগেই আমরা মাউস কী এবং কত প্রকার এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। তাই সেই বিষয়ে জেনেনিতে চাইলে আমাদের মাউস নিয়ে লিখা আর্টিকেল আপনারা পড়তে পারবেন।
Keyboard হলো এমন একটি hardware device যেটা একটি computer ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অনেক জরুরি।
একটি কীবোর্ড ব্যবহার না করে বা কীবোর্ড এর অবিহনে আমরা কম্পিউটারকে সঠিক এবং সুবিধাজনক ভাবে নির্দেশ গুলো দিতে পারবোনা।
আর, কম্পিউটার যদি সঠিক ভাবে user এর দ্বারা দেওয়া নির্দেশ গুলো বুঝতে না পারে, তাহলে কম্পিউটার থেকে আউটপুট বা সমাধান পাওয়াটা সম্ভব না।
তাই, একটি কম্পিউটার ডিভাইস এর ক্ষেত্রে কীবোর্ড এর ব্যবহার অনেকটা জরুরি।
চলুন, এখন আমরা নিচে সরাসরি কীবোর্ড মানে কি বা কীবোর্ড কাকে বলে, এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
কীবোর্ড কি ? (What Is Keyboard in Bangla)
যদি সোজা এবং সরল ভাবে বলা হয়, তাহলে কীবোর্ড হলো একটি ইনপুট ডিভাইস (peripheral input device) যেটার মাধ্যমে একটি কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস গুলোতে ডাটা (Text or Number) গুলো প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
একটি কীবোর্ড এর মধ্যে বিভিন্ন আলাদা আলাদা keys এবং buttons থেকে থাকে যেগুলো মূলত electronic switches হিসেবে কাজ করে থাকে।
কেননা, এই electronic switches গুলোতে যখন নিজের হাতের আঙুলের সাথে প্রেস (press) করা হয়, তখন যেই বাটন গুলোতে আপনি প্রেস করবেন সেটার সাথে জড়িত ডাটা গুলো কম্পিউটার গ্রহণ করে থাকে।
তাই সরাসরি বললে এভাবেও বলা যেতে পারে যে,
একটি কীবোর্ড (keyboard) হলো peripheral device যেটার মাধ্যমে একজন ইউসার যেকোনো কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির (electronic machinery) মধ্যে text, numbers বা data গুলোকে প্রেরণ বা ইনপুট (input) করে থাকেন।
ওপরে ছবিতে দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে, একটি কীবোর্ড এর মধ্যে বিভিন্ন বর্ণমালা এবং সংখ্যা গুলো ছাড়াও বিভিন্ন অন্যান্য বাটন (buttons) গুলো রয়েছে যেগুলোর কিছু বিশেষ কাজ থাকছে।
কিছু কিছু keyboards গুলো একটি device এর মধ্যে সরাসরি সংযুক্ত করে দেওয়া হয়, উদাহরণ স্বরূপে আমরা ল্যাপটপ এর কীবোর্ড কথা বলতে পারি।
তবে, এরকম প্রচুর device গুলো রয়েছে যেগুলোর ক্ষেত্রে একটি কীবোর্ড আলাদা ভাবে USB বা Bluetooth এর মাধ্যমে সংযুক্ত (connect) করে ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ স্বরূপে, আমরা একটি personal desktop computer এর কথা বলতে পারি।
তাহলে আশা করছি বন্ধুরা, কীবোর্ড বলতে কি বুঝায় বা একটি কম্পিউটারের কীবোর্ড কাকে বলে বিষয়টা আপনারা সম্পূর্ণ স্পষ্ট করে বুঝতে পেরেছেন।
কীবোর্ড লেআউট – Types of Keyboard Layouts
একটি কম্পিউটার কীবোর্ড এর keys বা buttons গুলোর বিশেষ জমাট বাঁধাকেই কীবোর্ড লেআউট বলা হয়। Keyboard layout এর দ্বারা একটি keyboard এর বাটন, আকার এবং প্রকার নির্ধারিত করা হয়।
বর্তমান সময়ে, বিভিন্ন আলাদা আলাদা layouts এর সাথে keyboards গুলো উপলব্ধ রয়েছে। বিশ্বের আলাদা আলাদা দেশে তাদের নিজের লিপি এবং ভাষা হিসেবে keyboard layout বিকশিত করেছেন।
আমরা এই প্রত্যেক keyboard layouts গুলোকে মূলত দুটো মূল ভাবে বিভাজিত করতে পারি।
- QWERTY Keyboard Layout
- Non-QWERTY Keyboard Layout
- AZERTY Keyboard
- DVORAK Keyboard
চলুন, প্রত্যেকটি keyboard layout এর বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
১. QWERTY Keyboard Layout
যদি আপনারা নিজের keyboard এর কেবল Letter Keys গুলোকে দেখে থাকেন, এবং ওপরের বাম দিক থেকে পড়া শুরু করে থাকেন, তাহলে দেখবেন, Q – W – E – R – T – Y থেকে keys গুলো শুরু হচ্ছে।
এই ধরেন layout বা format এর সাথে থাকা keyboard গুলোকে QWERTY keyboard layout বলেও বলা হয়।
এটা বিশ্বজুড়ে সব থেকে অধিক প্রচলিত এবং অধিক ব্যবহার হওয়া কীবোর্ড লেআউট। আধুনিক কম্পিউটার কীবোর্ড গুলোর ক্ষেত্রে এই লাউট ব্যবহূত হয়ে থাকে।
QWERTY Layout এর ওপরে ভিক্তি করে কিছু অন্যান্য কীবোর্ড লেআউট গুলো রয়েছে,
- QWERTY
- QWERTZ
- AZERTY
- QZERTY
২. Non-QWERTY Keyboard Layout
যেই কীবোর্ড গুলোতে keys গুলোকে QWERTY Layout এর সাথে রাখা হয়না, সেই প্রত্যেক কীবোর্ড লেআউট গুলোকেই Non-QWERTY keyboard layout বলা যেতে পারে।
কিছু Non-QWERTY Keyboard Layouts এর উদাহরণ গুলো হলো,
- Dvork
- Colemak
- Workman
৩. AZERTY Keyboard
AZERTY কীবোর্ড হলো QWERTY কীবোর্ড এর ফরাসি সংস্করণ (French version). AZERTY কীবোর্ড এর মধ্যে Q এবং W নামের keys গুলোকে A এবং Z নামের keys এর সাথে অদলবদল (interchange) করা হয়েছে।
৪. DVORAK Keyboard
DVORAK কীবোর্ড মূলত একটি কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস যেটাকে ১৯৩০ এর দশকে টাইপিং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য এবং টাইপিং এর সাথে জড়িত ত্রুটি (error) গুলোকে কমানোর ক্ষেত্রে ডিজাইন করা হয়েছিল।
কীবোর্ড এর প্রত্যেক বাটন এর বিষয়ে – Keyboard Keys Name and Use
সত্যি বলতে QWERTY layout এখন পর্যন্ত সব থেকে অধিক প্রচলিত এবং বিশ্বজুড়ে সহজে গ্রহণ করে নেওয়া জনপ্রিয় একটি কিবোর্ড লেআউট।
আর এই আর্টিকেলের মধ্যেও আমরা এই ধরণের কীবোর্ড এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
চলুন, এখন আমরা নিচে দেখেনেই, একটি keyboard এর মধ্যে মোট কয়টি বাটন (keys) থেকে থাকে এবং প্রত্যেক বাটন গুলোর নাম, প্রকার এবং ব্যবহার নিয়ে নিচে অধিক জেনেনেই।
একটি সামান্য কীবোর্ড এর মধ্যে মূলত 104 Keys থেকে থাকে। তবে, keys / button এর সংখ্যা Keyboard Manufactures এবং Operating System এর ওপরেও অনেকটুকু নির্ভর করে থাকে।
তাই, আমরা বলতে পারি যে একটি QWERTY keyboard এর মধ্যে মোটামোটি 100 Keys (±) থাকে।
Keyboard এর মধ্যে থাকা প্রত্যেক keys গুলোর কিছু বিশেষ কাজ থাকে আর এই কাজ গুলোর ওপরে নির্ভর করেই এগুলোকে নিম্ন শ্রেণীভুক্ত করা হয়েছে।
কীবোর্ড এর বিভিন্ন keys গুলোকে এভাবে নিম্নরূপ বর্ণনা করা হলো –
- Function Keys
- Typing Keys
- Control Keys
- Navigation Keys
- Indicator Lights
- Numeric Keypad
চলুন, প্রত্যেক শ্রেণীর বাটন গুলোর বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
১. Function Keys
একটি কীবোর্ড এর মধ্যে সব থেকে ওপরের দিকে দেখা যায় এই function keys গুলোকে।
এই button / keys গুলোকে keyboard এর মধ্যে F1 থেকে F12 মধ্যে লিখা হয়।
কোনো বিশেষ ধরণের কাজ গুলোকে করার ক্ষেত্রে এই function keys গুলোকে ব্যবহার করা হয়।
প্রত্যেক আলাদা আলাদা program গুলোর ক্ষেত্রে এই function keys গুলোর আলাদা আলাদা কাজ থেকে থাকে।
২. Typing keys
একটি কীবোর্ড এর মধ্যে সব থেকে অধিক পরিমানে ব্যবহার হয়ে থাকে এই typing keys গুলোর।
যদি এই টাইপিং বাটন / কি গুলোর কথা বলা হয়, তাহলে এখানে alphabet এবং numbers দুধরণের keys গুলোই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আর একসাথে এই দুধরণের keys গুলোকে Alphanumeric keys বলে বলা হয়।
এছাড়া, typing keys গুলোর মধ্যে symbols এবং punctuation marks keys গুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যখন নতুন করে কোনো ব্যক্তি কম্পিউটার টাইপিং শিখে থাকেন, তখন তাকেও মূলত এই Alphanumeric keys গুলোর প্রশিক্ষণ (training) দেওয়া হয়।
৩. Control Keys
একটি সামান্য কীবোর্ড এর মধ্যে Ctrl key, Alt key, Window key, Esc key এর ব্যবহার Control keys হিসেবে করা হয়। এছাড়া, Menu key, Scroll key, Pause Break key, PrtScr key ইত্যাদি keys গুলোকেও control keys এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কিছু বিশেষ ধরণের অপারেশন গুলোকে করার ক্ষেত্রে এই ধরণের control keys গুলোকে ব্যবহার করা হয়।
৪. Navigation Keys
Navigation keys এর মধ্যে Arrow keys, Home, End, Insert, Page Up, Delete, Page Down ইত্যাদি keys গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর ব্যবহার বিভিন্ন document, webpage বা program গুলোতে এদিকসেদিক যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
৫. Indicator Lights
কীবোর্ড এর মধ্যে ৩ রকমের indicator lights থাকতে পারে। সেগুলো হলো, Num Lock, Scroll Lock এবং Caps Lock.
যখন কীবোর্ড এর মধ্যে থাকা প্রথম light টি জ্বলতে থাকবে তখন এটার মানে হলো Numeric Keypad চালু (active) রয়েছে। সেভাবেই, এই light বন্ধ থাকা মানে, Numeric Keypad বন্ধ হয়ে আছে।
দ্বিতীয় লাইট, letters এর Uppercase এবং Lowercase এর সাথে জড়িত থাকছে।
যখন এই লাইট বন্ধ হয়ে রয়েছে, এর মানে হলো letter গুলো lowercase এর সাথে active হয়ে রয়েছে। এবং যখন লাইট জ্বলতে থাকবে এর মানে হবে letter গুলো uppercase এর সাথে একটিভ হয়ে রয়েছে।
তৃতীয় light টি Scroll Lock এর নামের সাথে জানাজায়। এর দ্বারা Scroll Lock এর বিষয়ে সংকেত পাওয়া যায়।
৬. Numeric Keypad
এই ধরণের keys গুলোকে Calculator keys বলেও বলা যেতে পারে। কারণ, একটি numeric keypad এর মধ্যে প্রায় একটি calculator এর সমান keys গুলো থেকে থাকে। এই ধরণের keys গুলোর ব্যবহার number লিখার জন্য করা হয়।
কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি – (Types of keyboard in Bengali)
আমরা ওপরেই জানলাম যে, keyboard এর layout এর ওপরে নজর দিলে কীবোর্ড এর মূলত ৩ টি প্রকার (QWERTY, AZERTY, DVORAK) আমরা পেয়ে থাকি। তবে, এই ৩ প্রকারের কীবোর্ড গুলোতেও বিভিন্ন পরিবর্তন গুলো সময়ে সময়ে করা হয়েছে।
আর এভাবেই, বিভিন্ন আলাদা আলাদা রকমের কীবোর্ড গুলোর নির্মাণ হয়ে চলেছে। কিছু মুখ্য কীবোর্ড গুলোর প্রকার নিচে উল্লেখ করা হয়েছে।
- Flexible Keyboard
- Mechanical Keyboard
- Membrane Keyboard
- Ergonomic Keyboard
- Gaming Keyboard
- Wireless Keyboard
- Multimedia Keyboard
- Handheld Keyboard
- Vertical Keyboard
- Virtual Keyboard
- Projection Keyboard
চলুন নিচে প্রত্যেকটি কীবোর্ড গুলোর বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জেনেনেই।
১. Flexible Keyboard
এই ধরণের কীবোর্ড গুলোর আকার প্রচুর নমনীয় (flexible) হয়ে থাকে। কারণ, সিলিকন এর মতো অনেক নরম পদার্থ দিয়ে এই কীবোর্ড গুলোকে তৈরি করা হয়।
এই ধরণের কীবোর্ড গুলোকে আমরা সহজে ছোট আকারে ভাঁজ করে নিতে পারি।
Flexible keyboard গুলো সাংঘাতিক portable, তাই নিজের পকেটে বা ব্যাগে ভরিয়ে যেকোনো জায়গাতে এদের নিয়ে যেতে পারবেন।
ছোট কম্পিউটার ইউসার এবং ট্যাবলেট ইউসার দ্বারা এই ধরণের কীবোর্ড গুলোর ব্যবহার প্রচুর করা হয়।
২. Mechanical Keyboard
Mechanical keyboard গুলো হলো এমন কিছু computer keyboard যেগুলোর ক্ষেত্রে, প্রতিটি কীর নিচে রয়েছে একটি করে সুইচ।
এমনিতে, একটি সাধারণ keyboard এর ক্ষেত্রে এই সুইচ এর জায়গাতে রাবার ঝিল্লি (rubber membranes) গুলো ব্যবহার করা হয়।
এই ধরণের keyboard গুলোকে spring key switch এর সাথে তৈরি করা হয়। বর্তমান সময়ে এই ধরণের keyboard গুলোর চাহিদা কিন্তু প্রচুর।
তবে, এই কীবোর্ড গুলোর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ সমস্যা রয়েছে, টাইপিং করার সময় কীবোর্ড থেকে প্রচুর শব্দ বের হয়ে থাকে।
৩. Membrane Keyboard
একটি ঝিল্লি (membrane) কীবোর্ড হলো এমন একটি কীবোর্ড যেখানে “keys” গুলো আলাদা আলাদা ভাবে পৃথক হয়ে থাকেনা।
দেখতে গেলে এই কীবোর্ড গুলো একটি Mechanical keyboard এর সম্পূর্ণ আলাদা।
এই ধরণের keyboard গুলো মূলত একটি pressure pads যেখানে একটি flat এবং flexible surface এর মধ্যে outlines এবং symbols গুলো print করা থাকে।
৪. Ergonomic Keyboard
প্রায় অনেক ব্যক্তিরা যারা নিয়মিত কম্পিউটারে টাইপিং এর সাথে জড়িত কাজ গুলো করে থাকেন, দেখাগেছে যে তারা ক্রমাগত চাপের কারণে হাতের কব্জির সমস্যায় ভুক্তভুগি হয়ে থাকেন।
আর তাই, এই ধরণের কীবোর্ড গুলোকে মূলত এই ধরণের সমস্যা গুলোকে নজর রেখে বানানো হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা প্রচুর সুবিধার সাথে কাজ করতে পারেন।
৫. Gaming Keyboard
একটি গেমিং কীবোর্ড তুলনামূলক ভাবে আকারে অনেক ছোট থাকে যেটাকে মূলত গেম খেলার জন্যই তৈরি করা হয়েছে।
আজ অনেক বড় সংখ্যায় লোকেরা কেবল গেমিং এর জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করছেন। আর তাই, এই ধরণের ইউসার দের জন্য কেবল গেমিং প্রয়োজনীয়তা গুলোর ওপরে নজর দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে গেমিং কীবোর্ড গুলো।
একটি standard keyboard এর তুলনায় এই keyboard গুলোতে কম সংখ্যায় keys থেকে থাকে।
৬. Wireless Keyboard
আজকাল প্রায় প্রত্যেকটি জায়গাতেই wireless devices গুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে, আর এখন তো কম্পিউটার মাউস এবং কীবোর্ড গুলোকেও ওয়্যারলেস হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে।
একটি wireless keyboard হলো এমন এক ধরণের কীবোর্ড যেটা ইউসারকে computers, tablets বা laptops এর সাথে radio frequencyর সাহায্যে যোগাযোগ করতে হাহায্য করে থাকে।
যেমন, WiFi, Bluetooth বা infrared technology ব্যবহার করে।
৭. Multimedia Keyboard
একটি multimedia keyboard এর মধ্যে প্রচুর media keys আপনারা পেয়ে যাবেন।
যেমন, e-mail client এবং Web browser সরাসরি চালু করার জন্য shortcut button, audio playback নিয়ন্ত্রণ করার button ইত্যাদি।
মূলত এভাবে বুঝে নিতে পারবেন যে, একটি multimedia keyboard এর মধ্যে আলাদা ভাবে কিছু media-control related keys দেওয়া থাকবে।
৮. Handheld Keyboard
Handheld কীবোর্ড গুলো পেশাদার গেমার দের দ্বারা ব্যবহার করা হয়েছিল যারা নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকতে চাইতেন।
যদি আপনি একজন গেমার বা টাইপিং এর কাজের জন্য কেবল একটি হাত ব্যবহার করার সীমাবদ্ধ আপনার রয়েছে, তাহলে এই ধরণের কীবোর্ড আপনার কাজে আসতে পারে।
৯. Vertical Keyboard
Vertical keyboard গুলো এক নির্দিষ্ট রকমের কীবোর্ড যেটাকে মূলত ব্যবহারকারীর হাতের চাপ দূর করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
এই ধরণের কীবোর্ড গুলো 3D ধারণার ওপরে ভিত্তিক। এই কীবোর্ড গুলো দুটো ভাবে বিভাজিত থাকে।
১০. Virtual Keyboard
Virtual keyboard গুলো মূলত software-powered keyboard হয়ে থাকে। যেভাবে আপনারা একটি standard keyboard এর ব্যবহার করে কম্পিউটারের স্ক্রিনে কিছু লিখতে পারবেন, ঠিক সেভাবেই এই ধরণের ভার্চুয়াল কীবোর্ড গুলোকে ব্যবহার করেও লিখতে পারবেন।
এই কীবোর্ড গুলো মূলত এক ধরণের সফটওয়্যার যেখানে কোনো physical keys থাকছেনা।
১১. Projection Keyboard
Projection কীবোর্ড গুলো মূলত virtual কীবোর্ড এর একটি রূপ বা প্রকার যেটাকে প্রায় যেকোনো জায়গাতেই ব্যবহার করতে পারবেন।
এই ধরণের কীবোর্ড গুলো যেকোনো ফ্ল্যাট এবং হার্ড পৃষ্ঠতলে (surface) কীবোর্ড এর চিত্র প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে লেজার এর ব্যবহার করে থাকে।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা, “কীবোর্ড কি” (about keyboard in Bangla), কীবোর্ড এর কাজ কি, কীবোর্ড কত প্রকার ও কি কি এবং কীবোর্ড নিয়ে প্রচুর অন্যান্য তথ্য গুলো জানতে পারলাম।
আশা করছি, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার অবশই কাজে লাগবে।
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি অবশই সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।
এছাড়া, কীবোর্ড এর বিষয়ে যদি অন্যান্য কোনো প্রশ্ন আপনার মনে থেকে থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।