মার্কেটিং এর জনক কে ? মার্কেটিং এর ইতিহাস কি ? আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা এই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।
আদিম মানুষের আদান-প্রদান প্রথাকেই কিন্তু ব্যবসায়িক প্রবৃত্তির সূচনা বলে গণ্য করা হয়ে থাকে।
তবে, বিগত ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ব্যবসা-বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বিকশিত হয়েছে।
বিবর্তনের বিভিন্ন ধাপে মানুষের জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে অগ্রগতির কারণে তাদের জীবনযাপন এবং কাজের পদ্ধতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।
এই বিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে মার্কেটিং জগতও কিন্তু অকল্পনীয়ভাবে বিকশিত হয়েছে।
সাধারণ পর্যায়ে, ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যে, মানব সভ্যতার শুরু থেকে ১৯ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটা সরল বাণিজ্যের রূপ সমাজে টিকে ছিল।
সেই বাণিজ্য কেবলমাত্র স্থানীয় বিনিময়প্রথা অর্থনীতির উপরই নির্ভরশীল ছিল।
মূলত, ১৮৬০ ও ১৯২০ দশকের মধ্যেকার সময়ে পণ্য উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধির উপর ব্যাপকভাবে নজর দেওয়া হয়েছিল।
এই যুগে, সাধারণভাবে পণ্য উৎপাদন করাই ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান শর্ত।
পরবর্তীতে, ১৯২০ থেকে ১৯৪০-এর দশকে শুরু হয় বিক্রয় যুগের। আর, এই যুগ থেকেই আধুনিক মার্কেটিং-এর সূচনা হয় বলে তাত্ত্বিকরা দাবি করেন।
মার্কেটিং আসলে কি ?
সরল ভাষায় বলতে গেলে, মার্কেটিং হল সেই সমস্ত ক্রিয়াকলাপগুলোর সমষ্টি যেগুলোর সাহায্যে কোনো কোম্পানি তার পণ্য বা পরিষেবার প্রচার, বিক্রয় এবং বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
কোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে এই মার্কেটিং করার প্রধান লক্ষ্য থাকে কোনো অফার সম্পর্কে সম্ভাব্য বা বিদ্যমান ক্রেতাদের প্রভাবিত করে বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সেই কোম্পানির নিজস্ব একটি বিশ্বস্ত গ্রাহকদের দল (loyal customer base) বা বেস তৈরি করা।
মার্কেটিং কিভাবে এলো? (মার্কেটিং-এর ইতিহাস):
আসলে, এই মার্কেটিং-এর ইতিহাসে চোখ রাখলে দেখা যায়, যে মানুষের নিজের অজান্তেই মার্কেটিং করা শুরু করে।
যদিও, এই মার্কেটিং কিভাবে শুরু হয়েছিল, সেই নিয়ে নানা ধরণের বিতর্ক থাকলেও, বিভিন্ন ঐতিহাসিকরা মনে করেন, যে এই বিপণনের সূচনা হয় ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রথম দিকে।
ইতিহাস অনুযায়ী, মেসোপটেমিয়ার সমাজগুলো প্রধানত গুণমান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করেছিল।
এই পণ্য উৎপাদনকারীরা তাদের পণ্যগুলোকে একটি বিশেষ স্বাক্ষর চিহ্ন (লোগোর প্রথম রূপ) ব্যবহার করে ক্রেতাদের সংকেত দিতো।
আর, সেই বিশেষ চিহ্ন দেখেই তাদের ক্রেতারা তাদের সেই পণ্যগুলো ক্রয় করতেন।
একইভাবে প্রাচীন রোমান অস্ত্র নির্মাতারা তাদের তৈরী অস্ত্রের উপরেও তাদের বিশেষ চিহ্ন দিয়ে রাখতো তাদের ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে।
ইতিহাস বিশ্লেষণ করে, তাত্ত্বিকরা মার্কেটিং-এর বিবর্তনের ৭টি স্তর বা পর্যায় খুঁজে পেয়েছেন,
সেগুলো হল –
১. সরল বাণিজ্য যুগ (Simple trade era) –
আদিম সভ্যতার বিনিময় প্রথা পেরিয়ে সরল বাণিজ্য যুগের সূচনা হয়।
এই সময়ে চাহিদা অনুযায়ী কেবলমাত্র সীমিত পণ্য তৈরী করা হতো।
আর, পণ্যের চাহিদার ভিত্তিতেই নিয়মিত বাণিজ্য চলতো।
তখনকার যুগে মার্কেটিং-এর সূচনা হয়েছিল চাষিদের জমির সীমা ও গবাদি পশুর মালিকানা নির্ধারণের মাধ্যমে।
২. উৎপাদন যুগ (Production era) –
১৮৪০ থেকে ১৯২০-এর দশক পর্যন্ত সময়টি হল উৎপাদন যুগ।
এই সময়ে উৎপাদন কৌশলগুলোর ব্যাপক ব্যবহারের ফলে ভোগ্যপণ্য সহজলভ্য হয়ে ওঠে।
তখন ব্যবসা চলতো “যদি আপনি এই পণ্যটি তৈরি করেন, তবেই ক্রেতা আসবে”- এই মার্কেটিং তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে।
ওই সময়ে একাধিক বিকল্প উপলব্ধ ছিল বলে বিভিন্ন কোম্পানিরা ব্যাপক উন্নতি লাভ করেছিল।
প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলস্বরূপ, যখন পণ্যের সরবরাহে বিশৃঙ্খলতা দেখা দেয় তখন ক্রেতারা ব্যাপকভাবে সাধারণ ভোগ পণ্যের মজুত করা শুরু করে।
এর ফলে ওই সময়ে পণ্যের উৎপাদন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
৩. বিক্রয় যুগ (Sales era) –
উৎপাদন যুগের ঠিক পরে ভোক্তাদের চাহিদা মিটে গেলে ১৯২০ থেকে ১৯৪০-এর দশক পর্যন্ত চলে বিক্রয় যুগ।
এই সময়টা থেকেই মূলত ব্যবসায়ীদের মধ্যে আধুনিক মার্কেটিং-এর ব্যাপারে একটি ধারণা তৈরী হয়েছিল।
চাহিদা দ্রুত কমে যাওয়ার পরে ও ক্রেতাদের প্রয়োজন মিটে যাওয়ার ফলে, তখনকার ব্যবসায়ীরা আগের মতো সহজে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারছিল না।
আর, উৎপাদন যুগে প্রচুর কোম্পানির উদ্ভব হওয়ায়, বিক্রয়ের যুগে সেই কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাজারে টিকে থাকার তীব্র লড়াই শুরু হয়।
এখন কোম্পানিগুলোকে তাদের পণ্য এবং পরিষেবাগুলো বিক্রির জন্য আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছিল।
তার সাথে সাথে পণ্যগুলোও বাণিজ্যিক কোমোডিটিতে পরিণত হচ্ছিল আর পণ্যটির দাম ভোক্তাদের আকৃষ্ট করার মূল কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।
৪. মার্কেটিং বিভাগের যুগ (Marketing department era) –
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের (১৯৪০-৬০ দশক) অর্থনৈতিক উন্নতি মার্কেটিং বিভাগের যুগের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
এই সময়েই নির্মাতারা বুঝতে পেরেছিলেন যে “সরাসরি বিক্রয়” (hard sell) পদ্ধতিটি ৬০-এর দশকের নতুন প্রজন্মের ক্রেতাদের উপর কাজ করবে না।
বরং, মধ্যবিত্তদের মধ্যে সমৃদ্ধির মাত্রা (affluence level) বৃদ্ধির মানে হল তাদের দর কষাকষি করার ক্ষমতাকে আরও প্রশ্রয় দেওয়া।
এখন থেকে ব্র্যান্ড মালিকরা মার্কেটিং-সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপ, যেমন- বিজ্ঞাপন ও স্পনসরশিপের উপর জোর দিতে থাকে।
আর, বিজ্ঞাপন, বিক্রয়, মূল্য প্রচার ও জনসংযোগের জন্যে তারা স্বাধীন বিভাগ তৈরী করে।
এই নতুন বিভাগগুলো বর্ধিত পণ্যীকরণের (increased commoditization) সাথে লড়াই করছিল, তবে তখন থেকে তাদের লাভের মার্জিন কমতে শুরু করে।
৫. মার্কেটিং কোম্পানির যুগ (Marketing company era) –
১৯৬০ সাল থেকে ৯০-এর দশকের প্রথমে ব্র্যান্ড মালিকরা গ্রাহকদের চাহিদার উপর পণ্য ও পরিষেবা প্রদানের প্রয়োজনীয়তাটা বুঝে গিয়েছিল।
আর, গ্রাহদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য নিমার্ণই মার্কেটিং-এর মূল মন্ত্র হয়ে উঠেছিল।
এই মুহুর্তে ব্র্যান্ড মালিকদের জন্য উৎপাদন ও বিক্রয় দক্ষতা বৃদ্ধিও ছিল একান্ত জরুরি।
এখন আর মার্কেটিং কোনো আলাদা বিভাগ নয় বরং এটি এখন যেকোনো সফল কোম্পানির মূল মাধ্যমে পরিণত হয়েছে।
এখানে সমস্ত কর্মচারী এখন “মার্কেটিং”-এর সাথে জড়িত আর এই নতুন বাজারে ‘গ্রাহকই হল ভগবান’।
৬. সম্পর্ক গঠনের মার্কেটিং যুগ (Relationship marketing era) –
৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে, ইন্টারনেট প্রযুক্তির বিশাল উন্নতি হয়।
তাই, ব্র্যান্ডের মালিকরা তাদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করার জন্য তথ্যের মানের উপর ক্রমবর্ধমানভাবে নির্ভর করতে থাকে।
আর, সেই সূত্রেই তারা গ্রাহক এবং ক্লায়েন্টদের সাথে দীর্ঘমেয়াদী, পারস্পরিক-লাভজনক সম্পর্ক তৈরীর কথা ভাবে।
কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (CRM) এবং ডেটা মাইনিং, মার্কেটারদের কাছে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে।
প্রতিটি গ্রাহকের আচরণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সমস্ত সিস্টেমকে সিঙ্কোনাইজ বা ঐক্যবদ্ধ করা বিভিন্ন ব্র্যান্ড মালিকদের (যেমন- মাইক্রোসফট, ভিসা ও ইত্যাদি) প্রধান কাজে পরিণত হয়।
৭. কোলাবরেশনের যুগ (Collaboration era) –
২০১৪ সাল থেকে এই কোলাবরেশন যুগের সূচনা হয়েছে।
এখন মার্কেটিং-এর মূল লক্ষ্য হল রিয়েল-টাইম যোগাযোগ ও সামাজিক আদান-প্রদানের উপর ভিত্তি করে ক্রেতাদের পণ্য কিনতে আগ্রহী করে তোলা।
আর, এখানে ব্র্যান্ডের মালিকের পরিবর্তে ক্রেতারাই হল প্রধান নিয়ন্ত্রক।
ক্রেতা বা ক্লায়েন্টদের সাথে একটি অর্থপূর্ণ কথোপকথনের মাধ্যমে মার্কেটাররা তাদের অনুমতি এবং বিশ্বাস অর্জন করতে পারলে, তবেই তারা লাভজনক ব্যবসা তৈরি করতে পারবে।
আর, তথ্য বিনিময়, সহযোগিতা এবং নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমেই তৈরি হবে পরবর্তী মার্কেটিং বিবর্তনের ধাপ।
মার্কেটিং এর জনক কে ?
এখন মনে হতেই পারে, যে এই সম্পূর্ণ মার্কেটিং ব্যাপারটা নিয়ে কে খতিয়ে দেখেছেন, আর কিভাবেই বা এই আধুনিক জগতে মার্কেটিং এতটা প্রাসঙ্গিক হল ?
কিংবা, এইসব ভাবনার চিন্তার পিছনে কে বা কাঁরা রয়েছেন?
তবে, সেক্ষেত্রে বলা যায় যে, ফিলিপ কোটলার বিশ্বজুড়ে “আধুনিক মার্কেটিং-এর জনক” হিসাবে খ্যাত।
আসুন, তাহলে জানি যে, তাঁর এই খ্যাতির পিছনে কি কারণ রয়েছে?
কেন ফিলিপ কোটলারকে আধুনিক মার্কেটিং-এর জনক হিসেবে মানা হয় ?
তিনি ১৯৬০-এর দশকে মার্কেটিং-কে একটি শৃঙ্খলায় পরিণত করার প্রস্তাব দেন।
কোটলার বিশ্বাস করতেন যে, মার্কেটিং হল অর্থনীতির একটা অপরিহার্য অংশ আর তিনি লক্ষ্য করেছিলেন, যে চাহিদা শুধুমাত্র মূল্য দ্বারা নয়, বরং, বিজ্ঞাপন, প্রচার, বিক্রয় বাহিনী, সরাসরি মেইল, মিডলম্যান এমনকি বিতরণ চ্যানেলের দ্বারাও প্রভাবিত হয়।
তাঁর এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই আজকের এই মডার্ন মার্কেটিং এতোটা পরিমাণে উন্নতি করতে পেরেছে।
ফিলিপ কোটলার তাঁর নীতিগুলোতে ক্রেতাদের আচরণ, কেন লোকেরা একটি নির্দিষ্ট উপায়ে চিন্তা করে এবং কীভাবে কোম্পানিকে গ্রাহকের কথা শুনতে হবে এবং পণ্যকে সেই অনুযায়ী তৈরী করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ক্রেতার আচরণ, মার্কেটিং ব্যবস্থাপনা, কৌশলগত পরিকল্পনা, নেতৃত্ব প্রদান, ব্যবস্থাপনা, প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ থেকে শুরু করে মনোবিজ্ঞান পর্যন্ত কোটলার সমস্ত কিছু বিষয়গুলোকে যথাযথভাবে তাঁর মার্কেটিং নীতির সাথে যুক্ত করেছেন।
বর্তমানে, যা আধুনিক মার্কেটিং-এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ফিলিপকে প্রায়ই প্রথম সামাজিক মার্কেটিং ওরিয়েন্টেশন বা ধারণার প্রস্তাবকারী হিসেবে ধরা হয়।
এই ধারণা অনুযায়ী, সামাজিক মার্কেটিং এমন অবস্থান গ্রহণ করবে, যে বিপণনকারীদের শুধুমাত্র গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করা ও তাদের যথেষ্ট মূল্য প্রদান করা ছাড়াও বড় সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আর, বিপণন ক্রিয়াকলাপগুলোর সমাজের সার্বিক কল্যাণের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
মার্কেটিং সংস্থাগুলো, যারা সামাজিক মার্কেটিং ধারণাটি গ্রহণ করেছে, তারা মূলত প্রধান স্টেকহোল্ডার গ্রুপগুলোকে চিহ্নিত করে।
যার মধ্যে থাকে- কর্মচারী, গ্রাহক, স্থানীয় সম্প্রদায়, বৃহত্তর জনসাধারণ, ও সরকার।
আর, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের উপর তাদের কার্যকলাপের প্রভাব নির্ভর করে।
তারা সুনিশ্চিত করে, যে বিপণন ক্রিয়াকলাপগুলো যেন পরিবেশ ও বৃহত্তর সমাজের জন্য বিপজ্জনক না হয়।
পরবর্তীকালে, এই সামাজিক মার্কেটিং-ই একটি সাস্টেইনিং মার্কেটিং-এ পরিণত হয়েছে।
আজকে আমাদের মার্কেটিং-এর জনক কে ও মার্কেটিং-এর ইতিহাস নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল।
লেখাটি পছন্দ হলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আমাদের শেষ কথা,,
তাহলে বন্ধুরা, মার্কেটিং এর জনক কে এবং মার্কেটিং এর ইতিহাস এবং মার্কেটিং এর সাথে জড়িত অন্যান্য বিষয় নিয়ে লিখা আমাদের আজকের আর্টিকেল এখানেই শেষ হলো।
আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অবশই কিছু নতুন শিখতে ও জানতে পেরেছেন।
আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে অবশই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
এছাড়া, আমাদের আজকের আর্টিকেল যদি আপনাদের সত্যি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশই আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।