এয়ার কন্ডিশনার কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
এয়ার কন্ডিশনার কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত ৬৬ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম দিন দেখেছে সিলেটবাসী। চলতি মাসের ১৪ জুলাই, এ বিভাগে ৩৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সিলেট ছাড়াও ঢাকা সহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষও প্রচণ্ড তাপদাহে ভোগান্তির মুখোমুখি হয়েছেন। বাইরের এমন গরম পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে এ সময় মানুষের এয়ার কন্ডিশনারের প্রয়োজনীয়তা বেশ অনুভূত হয়েছে। এয়ার কন্ডিশনার এমন একটি প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লায়েন্স, যা তাপদাহের ফলে যে অস্বস্তির উদ্রেক ঘটে তা দূর করে মানুষকের প্রাণকে জুড়িয়ে দেয়। বাজারে হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রীর অনেক ধরন রয়েছে, তবে বিভিন্ন ধরন থেকে পছন্দসই ও প্রয়োজনীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রী বাছাই করতে মানুষকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। প্রচণ্ড তাপদাহে নিজেদের শীতল রাখতে এয়ার কন্ডিশনার কেনার সময় ক্রেতাদের বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিৎ।
কক্ষের আকার পরিমাপ করা
১ টন, ১.৫ টন ও ২ টনের এয়ার কন্ডিশনারগুলো যথাক্রমে সর্বোচ্চ ১২০ স্কয়ার ফিট, ১৮০ স্কয়ার ফিট ও ২৪০ স্কয়ার ফিট জায়গার জন্য বেশ উপযোগী হবে। তবে, এটি ফ্লোর লেভেল ও রুমের ভেতর কতগুলো জানালা রয়েছে তার ওপর নির্ভর করবে।
ইনভার্টার কিংবা নন-ইনভার্টার
বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাওয়া এয়ার কন্ডিশনারগুলোর প্রাথমিক দু’টি ধরনের মধ্যে রয়েছে ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার ও ফিক্সড স্পিড এয়ার কন্ডিশনার (নন-ইনভার্টার)। ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার কম্প্রেসরের স্পিড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা তাপমাত্রাকে সমন্বয় করে। তবে, একটি ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার নন-ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনারের চেয়ে কিছুটা ব্যয়বহুল। ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারকারীর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
সঠিক জায়গায় এয়ার কন্ডিশনার স্থাপন
রুমের সঠিক জায়গায় এয়ার কন্ডিশনার স্থাপন করে এর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যাবে। একটি স্প্লিট এয়ার কন্ডিশনারের রুমের বাইরে একটি কম্প্রেসার ইউনিট থাকে এবং রুমের ভেতরে এর একটি ইনডোর ইউনিট থাকে। সঠিক বাতাসের প্রবাহ নিশ্চিত করতেই এ দু’টি জিনিসকে এমনভাবে নকশা করা হয়েছে। অন্যদিকে, উইন্ডো এয়ার কন্ডিশনার হলো একটি ছোট ডিভাইস, যা জানালার ওপরে বসাতে বেশ সহায়ক। দক্ষ ও অভিজ্ঞ কারিগর কিংবা এ সেবা প্রদানের জন্য লাইসেন্স সুবিধা রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের দিয়ে এ সামগ্রীটি স্থাপন করতে হবে, যা করে কোন ধরনের ত্রুটি না হয়। সঠিকভাবে এয়ার কন্ডিশনার স্থাপন করলে এটি এয়ার কন্ডিশনারের পারফরমেন্সকে উন্নত করবে।
প্রযুক্তি ও মূল্য
বর্তমান সময়ের এয়ার কন্ডিশনারগুলো অনেক ফাংশন দিয়ে পরিপূর্ণ। তবে, চাহিদানুযায়ী অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এয়ার কন্ডিশনারগুলোই একজন ক্রেতার কেনার উচিৎ। স্বনামধন্য ব্র্যান্ডগুলো অত্যাধুনিক ফিচারে পরিপূর্ণ এয়ার কন্ডিশনার সাশ্রয়ী মূল্যেই ক্রয় করতে পারবেন; অন্যদিকে, সাধারণ মানের ব্র্যান্ডগুলো কম মূল্যে ক্রেতাদের এয়ার কন্ডিশনার কেনার সুবিধা দিচ্ছে।
ওয়্যারেন্টি পলিসি
বাজারের অনেক ব্র্যান্ড এয়ার কন্ডিশনার কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের দীর্ঘমেয়াদী ওয়্যারেন্টি সুবিধা প্রদান করছে। তবে, একটি সর্ম্পূণ নতুন এয়ার কন্ডিশনার কেনার ক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে হবে কিংবা সরাসরি দোকানে যেয়ে কথা বলতে পারেন।
উল্লিখিত তথ্যগুলোর বিবেচনায়, এয়ার কন্ডিশনার কেনার আগে এসি প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ডগুলোর ইতিহাস ও বিক্রয়োত্তর সেবা সম্পর্কে আগে থেকে খোঁজ নিতে হবে। একটি স্বনামধন্য ব্র্যান্ড হিসেবে, স্যামসাং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের এয়ার কন্ডিশনার দেশের বাজারে নিয়ে আসছে। এ ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অনুপাত সহ ইনভার্টার বুস্ট প্রযুক্তি, ডুরাফিন কনডেনসার, ১০ বছরের কম্প্রেসার ওয়্যারেন্টি সুবিধা ও সহজ ফিল্টার প্লাস। একজন ক্রেতা যদি স্যামসাং -এর এয়ার কন্ডিশনার কেনার কথা চিন্তা করেন তবে তাকে হোম ডেলিভারি, এয়ার কন্ডিশনার স্থাপন, ও পরিষ্কারের জন্য কোন চিন্তাই করতে হবে না। স্যামসাংয়ের এসিগুলোর বিক্রয়মূল্য শুরু হয়েছে ৬৮,৯০০ টাকা থেকে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, স্যামসাংয়ের ঈদ অফার (৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক অফার) চলাকালীন সময়েও ক্রেতারা এয়ার কন্ডিশনার কিনতে পারবে। এ অফারটি ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।