ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং কি? কিভাবে ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং করবেন?
ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং কি?
প্রতিমাসে বিশ্বের প্রায় ১ মিলিয়ন মানুষ ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে। সুতরাং, ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং কোন সাধারণ বিষয় নয়। বিশাল সংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য আজ ইন্সটাগ্রাম দ্বিতীয় বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিসেবে পরিচিত।
বর্তমানে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান Instagram Marketing কে কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য ও সেবা বিক্রি করে যাচ্ছে। কিভাবে ব্যবসায়ীরা কিংবা উদ্যোক্তারা ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে, তাদের ব্যবসায়ের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। তারই একটু সম্মুখ ধারণা পাবেন এই লেখাতে।
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং নিয়ে একটি পরিপূর্ণ ধারণা দেওয়া হবে। ব্লগটির শেষে আপনি ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং নিয়ে একটি পরিপূর্ণ গাইডলাইন পাবেন। এই গাইডলাইনকে কাজে লাগিয়ে আপনার ব্যবসায়ের জন্য মার্কেটিং শুরু করে দিতে পারবেন।
ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং কেন করবেন?
সারা বিশ্বব্যাপী ইন্সটাগ্রাম ব্যবসায়ীদের নিকট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানের তরুণ প্রজন্মরা ইন্সটাগ্রামকে, শুধুমাত্র একটি ছবি শেয়ারিং এপ্লিকেশন হিসেবে গণ্য করছে তা কিন্তু নয়। বরং বর্তমানে তরুণ প্রজন্মরা তাদের পছন্দের ব্র্যান্ড এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের খবরা-খবর সম্পর্কে নিজেদের আপডেটেড করে রাখতে ব্যবহার করে থাকে, এই জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে।
ই-মার্কার এর মতে, ইউনাইটেড স্টেটের প্রায় ২৯.৭৩% ভাগ তরুণ প্রজন্মরা ভাবে, যেকোনো কোম্পানির পণ্যকে প্রচার এবং প্রসার করার ক্ষেত্রে ইন্সটাগ্রাম একটি উত্তম মাধ্যম। ইন্সটাগ্রামের রয়েছে অসাধারণ কিছু টুলস, যা কোন ব্রান্ডকে শুধুমাত্র প্রচারের ক্ষেত্রে নয়; বরং কিছু আদর্শ কাস্টমার এনে দিতেও সক্ষম।
ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং
কিভাবে ইন্সটাগ্রামকে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায় তার একটি গাইডলাইন দেয়ার চেষ্টা করবো এখন।
১. অর্ডিয়েন্স টার্গেট
যখনি আপনি কন্টেন্ট পোস্টিংয়ে ও পণ্য প্রচারণার ক্ষেত্রে সময় এবং টাকা ইনভেস্ট করবেন; তখন আপনাকে অবশ্যই নজর দিতে হবে, আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্সের দিকে।
আপনি সার্ভের মাধ্যমে আপনার কাস্টমার যাচাই করতে পারেন এবং এছাড়া,ও আপনি আপনার প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের উপর নজরদারি করে কাস্টমারদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
সার্ভের মাধ্যমে আপনি যে ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন তা হল:
- তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড কি?
- তারা প্রতিদিন কি পরিমাণ সময় ইন্সটাগ্রামে অতিবাহিত করে?
- ঠিক কোন সময়ে বেশি একটিভ থাকে?
- তারা কি ধরণের কন্টেন্ট সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে?
- তারা কি কোন নির্দিষ্ট একাউন্ট কে ফলো করে থাকে?
- কিভাবে তারা তাদের পছন্দের ব্র্যান্ডের সাথে ইন্টারেক্ট করে থাকে?
এই সকল প্রশ্নের মাধ্যমে, আপনি যেমন আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্সকে রিচ করতে পারবেন। ঠিক তেমনি করে, কাস্টমারের মতামতের ভিত্তিতে আপনি আপনার ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে পারবেন।
২. গোল সেট করা
আপনি কিভাবে আপনার ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং ঢেলে সাজাতে চাচ্ছেন? আপনার সঠিক পরিকল্পনায় আপনাকে ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিংয়ে সাফল্য এনে দিবে। আপনি আপনার ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিংকে ব্র্যান্ড গোল এবং কাস্টমার গোল এই দুইভাগে বিভক্ত করতে পারেন।
আপনার লক্ষ্য পরিপূর্ণ করার জন্য স্মার্ট সিস্টেমকে অনুসরণ করুন। আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে। সেই সাথে সঠিক ব্যবস্থাপনা, নির্ধারিত সময় তথা কখন ইন্সটাগ্রামে সময় দিবেন ইত্যাদি নির্ধারিত থাকতে হবে।
ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং
যদি আপনার একটি আর্ট এবং ক্রাফট বিজনেস থাকে, তাহলে যাদের আগ্রহ রয়েছে নতুন নতুন ক্রাফট শেখার এবং কেনার তাদের জন্যই হবে আপনার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট।
মূলত আপনার লক্ষ্য এমন হওয়া উচিত যে:
- সামনের ৯০ দিনে ২০০ এর অধিক পোস্ট এবং ৪০০ এর অধিক স্টোরি শেয়ার করা।
- ইন্সটাগ্রাম এডভার্টাইজিং এবং স্টোরিকে ব্যবহারকে করে ২০০ এর অধিক আদর্শ কাস্টমারকে রিচ করা।
- ইন্সটাগ্রাম ক্রাফট সেক্টরে নিজের একাউন্টকে ফিচারের যোগ্য করে তোলা।
৩. একাউন্ট অপটিমাইজ করা
প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডের উপর, ভিত্তি করে একাউন্ট, অপটিমাইজ করতে হবে। অপটিমাইজ করার উপায়সমূহ নিচে তুলে ধরা হল:
Account Type
আপনি প্রায় ৩ ধরণের একাউন্ট নির্বাচন করতে পারেন Business, Creator, and Private। আপনি যখন, একটি ব্যবসায়িক একাউন্ট খুলতে যাবেন, তখন আপনি (Settings > Account) একাউন্টটি সেটিং অপশনে গিয়ে বিজনেসে ক্লিক করলে বিজনেস অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে।
Profile Photo
আপনার পছন্দমতো লোগো এবং ছবি একাউন্টে যুক্ত করে দিবেন। আপনি যে ধরণের ছবি দিতে চান না কেন, তা হবে আপনার ব্র্যান্ডের পরিচায়ক। তাই এমন একটি ছবি নির্বাচন করবেন, যা আপনার ব্র্যান্ডের পরিচয়কে সবার সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়।
Bio
আপনার পণ্যসমূহ, প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সর্বোচ্চ তথ্যাদি প্রকাশ করবেন। ব্যবসায়ের ধরণ, পণ্য সম্পর্কে তথ্য, আপনার লক্ষ্য, আপনার পছন্দ, হ্যাশট্যাগ, আপনার দ্বিতীয় আইডি ইত্যাদি। আপনি Creative হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চান তাহলে, আপনার আইডির শেষে বাটন যুক্ত করতে ভুলবেন না।
Website
আপনার প্রোফাইলে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দিতে ভুলবেন না। ইউটিউব চ্যানেল বা ই -স্টোর এর সকল তথ্যাদি এড করে দিবেন।
Privacy Setting
আপনি যখন কোন ব্যবসায়িক উদ্দেশকে কেন্দ্র করে পোস্ট শেয়ার করবেন, আপনার একাউন্ট পাবলিক করে দিবেন। তার জন্য setting > privacy > account privacy > turn of private account button এ ক্লিক করতে হবে।
Comment setting
ফিচারের সাহায্যে আপনি খারাপ কমেন্ট গুলোকে সরিয়ে দিতে পারেন। তার জন্য আপনার go setting >privacy >filter এ গিয়ে hide offensive commnet এ ক্লিক করতে হবে।
৪. কটেন্ট তৈরি করা
ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ভালো কোয়ালিটির কন্টেন্ট নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনি আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্স সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনাকে অবশ্যই আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্স কি ধরণের কন্টেন্ট পছন্দ করে থাকে, তার উপর নজর দিতে হবে।
নিচের তিন ধরণের উপায়, ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করবে:
প্রতিযোগী অনুসন্ধান: আপনার প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান তাদের কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ে কি ধরণের কন্টেন্ট বেছে নিচ্ছে এবং কেমন ধরণের কন্টেন্ট গ্রাহকরা পছন্দ করছে সেই সম্পর্কে নজরদারই বৃদ্ধি করুন। এর মাধ্যমে নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে পাবেন।
নতুন কন্টেন্ট জেনারেট করা: আপনার পণ্য ব্যবহারকারী যদি কিছু পোস্ট করে হ্যাশট্যাগ প্রদান করে থাকে তাহলে, আপনি খুব সহজে আপনার কন্টেন্টের মাধ্যমে আইডিয়া জেনারেট করার সুযোগ পাবেন।
ইমপ্লয়দের মাধ্যমে কন্টেন্ট জেনারেট করা: প্রতিটি মানুষ বিচিত্র। তাদের পরিকল্পনা বিচিত্র। আপনি যদি আপনার প্রতিষ্ঠানে সবাইকে কন্টেন্ট নির্বাচন করতে বলেন তাহলে, অনেক নতুন নতুন ভিন্নধর্মী কন্টেন্ট আপনি নির্বাচন করতে পারবেন।
কাজের উপর ভিত্তি করে কন্টেন্ট ধরন নির্বাচন: ইন্সটাগ্রাম বর্তমানে সৃষ্টিশীল মানুষদের পছন্দের ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা পেজ অনুসরণ করে, হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে। তাই, আপনাকেও কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে ভালো এবং সঠিক পোস্ট করার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। ইন্সট্রাগ্রামে সবচেয়ে বেশি এঙ্গেজমেন্ট পোস্ট হল:
ইন্সটাগ্রামে-ভাইরাল-হওয়ার-উপায়
- মোটিভেশনাল উক্তি।
- ব্যবহারকারীকে উদ্দেশ্য করে কন্টেন্ট।
- bts গল্প নিয়ে পোস্ট।
- পণ্যের ভিডিও।
- ইনফ্লুয়েন্সারদের পোস্ট পুনরায় পেইজে দেয়া।
- ভিডিও টিউটোরিয়াল।
- ইনফোগ্রাফিক পোস্ট।
ইন্সটাগ্রাম পোস্ট করার উপায়
আপনার কন্টেন্টকে প্রচার করার ক্ষেত্রে ইন্সটাগ্রাম ৪ টি উপায় অবলম্বন করে থাকে। তা হল
- ইন্সটাগ্রাম ফিড।
- ইন্সটাগ্রাম টিভি।
- ইন্সটাগ্রাম স্টোরি।
- ইন্সটাগ্রাম লাইভ।
এই প্লাটফর্মে জনপ্রিয়তার উপর ভিত্তি করে আপনার মার্কেটিং পরিকল্পনার ক্ষেত্রে উপরোক্ত চারটি বিষয় অনুসরণ করা একান্ত কর্তব্য।
৫. নিয়মিত পোস্ট করা
আপনার যদি সত্যিকার অর্থে ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং এবং অধিক সংখ্যক গ্রাহককে নিজের দিকে আকর্ষণ করানোর ইচ্ছা থাকে। তাহলে, ইন্সটাগ্রামে নিয়মিত পোস্ট করে এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে হবে। নিয়মিত পোস্ট করে যেতে হবে।
কখন কি পরিমাণ পোস্ট করতে হবে
আপনি যদি আদর্শ কাস্টমার তৈরি করতে চান, আপনাকে কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি করার প্রতি দৃষ্টিপাত করতে হবে।
ইন্সটাগ্রামে প্রতিদিন কি পরিমাণ পোস্ট করতে হবে?
১-৩ টি
ইন্সটাগ্রামে প্রতিদিন কি পরিমাণ স্টোরি শেয়ার করতে হবে?
১-৭ টি।
ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করার জন্য উত্তম দিন কবে?
বৃহস্পতিবার।
ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করার সময় কখন?
সকাল ৪.oo টা থেকে সকাল -৬.০০টা।
সকাল ৮.০০ টা থেকে সকাল ১০.০০ টা।
দুপুর ১২.০০ টা থেকে দুপুর ২.০০ টা।
রাত ৮.০০ টা থেকে রাত ১০.০০টা।
আপনার গ্রাহকদের এক্টিভিটি দেখে ইন্সটাগ্রামের পোস্ট করার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করা শ্রেয়। আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্টের মাধ্যমে আপনি তা জানতে পারবেন। Setting > insight এ ক্লিক করলে আপনি তা জানতে পারবেন।
৬. ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ার বৃদ্ধি করা
এখানে কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার টার্গেট কাস্টমারকে রিচ করে ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে পারবেন
যথোপযুক্ত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা
হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে আপনার খুব দ্রুত পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। তাই আপনার একাউন্টের ধরণের উপর নির্ভর করে আপনি পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন। যখন কেউ কোন হ্যাশট্যাগ দিয়ে সার্চ করে তখন যেন আপনার পোস্ট দেখতে পায়।
জনপ্রিয় Instagram Hash-Tag খোঁজার কিছু ওয়েবসাইট
ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে কোলাবোরেশব করা
যখন কোন কাস্টমারের পছন্দের কোন ইনফ্লোয়েন্সার আপনার পণ্য নিয়ে কথা বলবে, পোস্ট করবে তখন আপনার অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার বৃদ্ধি পাবে এবং অনেক বেশি রিচ করবে।
ইন্সটাগ্রাম বিজ্ঞাপন
ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ইন্সটাগ্রাম বিজ্ঞাপন একটি পেইড মাধ্যম। অর্থাৎ, আপনি টাকা দিয়ে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাবেন। যখন আপনার অনেক দ্রুত অনেক বেশি ফলোয়ারের প্রয়োজন হবে কিংবা অর্গানিক মার্কেটিং কাজ করবে না, তখন আপনি পেইড মার্কেটিংয়ের দিকে ধাবিত হওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
আরও কয়েকটি উপায়
- অন্যদের পোস্টে লাইক, রিপ্লাই, শেয়ার করা।
- ইন্সট্রাগ্রাম পুল, চ্যালেঞ্জ, স্টিকার আদান প্রদানের মাধ্যমে এঙ্গেজমেন্ট ধরে রাখতে পারবেন।
- ইন্সট্রাগ্রাম পোস্ট অন্য সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা।
- প্রতিটি কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়া।
- গ্রাহকের কিছু প্রশ্ন, পোল শেয়ার আদান প্রদান।
- ছবি থেকে ভিডিও কনটেন্ট বেশি সংখ্যক লোকের কাছে পৌঁছাতে পারে। তাই, চেষ্টা করবেন ভিডিও প্রচার করার।
- বুক মার্ক তৈরি করা।
উপসংহার
সর্বশেষ বলতে চাই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ধরন আলাদা। তাই, উপরোক্ত উপায়সমুহ থেকে কোন ধরণের ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং স্ট্রাটেজি আপনার জন্য ভালো, তা খুঁজে বের করা আপনার দায়িত্ব।