ক্লোরিন (Chlorine) কি? ক্লোরিনের বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার।
ক্লোরিন কি? (What is Chlorine in Bengali/Bangla?)
ক্লোরিন একটি রাসায়নিক মৌল যার প্রতীক Cl এবং পারমাণবিক সংখ্যা ১৭। পর্যায় সারণিতে এর অবস্থান হ্যালোজেন পরমাণু ফ্লোরিন আর ব্রোমিনের মাঝে, এবং বৈশিষ্ট্যেও ক্লোরিন এদের মাঝামাঝি।
ক্লোরিন হ্যালোজেন সমূহের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম মৌল। এটি পর্যায় সারণির গ্রুপ-১৭ এ অবস্থিত। ক্লোরিন একটি বিষাক্ত এবং ক্ষয়কারক মৌল। এটি একটি সবুজাভ হলুদ বর্ণের গ্যাস যা চোখ এবং শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে।
পারমাণবিক সংখ্যাঃ 17
পারমাণবিক ওজনঃ 35.446 থেকে 35.457
গলনাঙ্কঃ −103°C (3153°F)
স্ফুটনাঙ্কঃ −34°C (−29°F)
ঘনত্বঃ (1atm, 0°C or 32°F) 3.214 গ্রাম/লিটার
(0.429 আউন্স/গ্যালন)
জারণ অবস্থাঃ −1, +1, +3, +5, +7
ইলেকট্রন বিন্যাসঃ 1s22s22p63s23p5
ক্লোরিন একটি খুবই শক্তিশালী জারক পদার্থ। রাসায়নিক মৌলসমূহের মাঝে সবচেয়ে বেশি ইলেক্ট্রন আসক্তি সম্পন্ন মৌল হল ক্লোরিন। এছাড়াও এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ তড়িত ঋণাত্বকতা সম্পন্ন মৌল।
প্রকৃতিতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় এমন যৌগের মধ্যে ক্লোরিনের অবস্থান ২১তম। সমুদ্রের পানিতে পাওয়া ক্লোরিনই মূলত মাটিতে জমা হয়। ক্লোরিনের সবচেয়ে পরিচিত পদার্থ হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। আমরা খাবার লবণ হিসেবে যে লবণ প্রতিনিয়ত খাই সেটিই হচ্ছে সোডিয়াম ক্লোরাইড। ক্লোরিন একটি উচ্চ সক্রিয় মৌল হওয়ায় প্রকৃতিতে প্রচুর পরিমাণে এটি আয়নিক ক্লোরাইড যৌগ রূপে পাওয়া যায়, যার একটি হলো খাদ্য লবণ। হ্যালোজেন হিসেবে ফ্লোরিনের পরে প্রকৃতিতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ক্লোরিনই পাওয়া যায়।
১৮০৯ সালে রসায়নবিদগণ ক্লোরিন গ্যাসকে একটি মৌলিক পদার্থ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। ১৮১০ সালে Sir Humphry Davy গ্যাসটির নাম প্রদান করেন “ক্লোরিন”, যার অর্থ দাঁড়ায় গাড় সবুজ। গ্যাসটির রঙ সবুজাভ হওয়ায় এরূপ নামকরণ করা হয়।