প্রজনন সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১. প্রজনন কাকে বলে?
উত্তর : যে জটিল প্রক্রিয়ায় জীব তার প্রতিরূপ বা বংশধর সৃষ্টি করে তাকে প্রজনন বলে।
প্রশ্ন-২. প্রজনন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর : প্রজনন প্রধানত দুই প্রকার। যথা– ১. অযৌন ও ২. যৌন।
প্রশ্ন-৩. অঙ্গজ প্রজনন কাকে বলে?
উত্তর : দেহ অঙ্গের মাধ্যমে যে প্রজনন হয় তাকে অঙ্গজ প্রজনন বলে। গাছের মূল, কাণ্ড, পাতা প্রভৃতি অঙ্গের মাধ্যমে অঙ্গজ প্রজনন হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৪. পরাগায়ন বলতে কি বুঝায়?
উত্তর : পরাগায়ন হল পরাগধানী থেকে পরাগরেণুর একই ফুল বা একই প্রজাতির অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া। পরাগায়নকে পরাগ সংযােগও বলা হয়। পরাগায়ন ফুল এবং বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়ার পূর্বশর্ত। পরাগায়ন দুই প্রকার। যথা- স্বপরাগায়ন ও পর পরাগায়ন।
প্রশ্ন-৫. বহিঃনিষেক কি?
উত্তর : যে নিষেক ক্রিয়া প্রাণীদেহের (স্ত্রী প্রজাতির) বাইরে সংঘটিত হয় তাই হলো বহিঃনিষেক। এ ধরনের নিষেক সাধারণত পানিতে বাস করে এমন সব প্রাণীর মধ্যেই হয়ে থাকে। যেমন- বিভিন্ন ধরনের মাছ।
প্রশ্ন-৬. নিষেক এর প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর : নিষেক হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া। নিষেক ক্রিয়ার ফলে নতুন প্রজন্মের সৃষ্টি হয়। নিষেক না ঘটলে নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি হবে না। ফলে প্রকৃতি থেকে জীবকূল এক সময় ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই জীবের বংশধর টিকে রাখার জন্য নিষেকের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন-৭. কৃত্রিম অঙ্গজ প্রজনন কাকে বলে?
উত্তর : যে অঙ্গজ প্রজনন প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম উপায়ে উদ্ভিদের কোন অংশ থেকে নতুন উদ্ভিদ উৎপন্ন করা হয়, তাকে কৃত্রিম অঙ্গজ প্রজনন বলে। যেমন- শাখা কলম, চোখ কলম ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৮. প্রচ্ছন্ন জিন কাকে বলে?
উত্তর : যে জিনের বৈশিষ্ট্য প্রথম বংশধরে প্রকাশ পায় না তবে দ্বিতীয় বংশধরে এক-চতুর্থাংশ জীবে প্রকাশ পায় তাকে প্রচ্ছন্ন জিন বলে।
প্রশ্ন-৯. গর্ভফুল কি?
উত্তর : যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে জরায়ুতে ক্রমবর্ধমান ভ্রূণ এবং মাতৃ জরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাই অমরা বা গর্ভফুল।
প্রশ্ন-১০. স্পোরোফাইট কি?
উত্তর : উদ্ভিদের ডিপ্লয়েড দশাকে বলা হয় স্পোরোফাইট। এ দশাটি উদ্ভিদের গ্যামিটোফাইটিক পর্যায়ের আগ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদে স্পোর বা রেণু সৃষ্টি হয়।
অযৌন প্রজনন উদ্ভিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : কিছু কিছু উদ্ভিদে সরাসরি পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলন অর্থাৎ যৌন পদ্ধতিতে প্রজনন হয় না। এগুলোতে পাতা, রূপান্তরিত কাণ্ড, মূল ইত্যাদির মাধ্যমে মাতৃ উদ্ভিদ থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। এছাড়া কিছু কিছু উদ্ভিদ যেমন— আম, কমলা, লেবু ইত্যাদির ক্ষেত্রে কৃত্রিম পদ্ধতিতে অঙ্গজ প্রজনন করে উন্নত উদ্ভিদ সৃষ্টি করা হয়। যা যৌন প্রজনন দ্বারা সম্ভব হয় না। এজন্য উদ্ভিদের অযৌন প্রজনন গুরুত্বপূর্ণ।