ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ এবং চিরহরিৎ উদ্ভিদ বলতে কী বোঝায়?
ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ
সমুদ্র উপকূলবর্তী জোয়ার-ভাটাপূর্ণ এলাকায় যেসব উদ্ভিদ জন্মে সেগুলোই হলো ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ। যেমন– গেওয়া, গরান, সুন্দরী ইত্যাদি।
ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য :
১. এদের মূল মাটির খুব গভীরে প্রবেশ করে না।
২. এরা শ্বাসমূলের সাহায্যে শ্বসন চালায়।
৩. এরা বিশেষ প্রক্রিয়ায় দেহকোষে পানি জমিয়ে রাখে।
চিরহরিৎ উদ্ভিদ
যেসব উদ্ভিদে সারা বছর ধরেই সবুজ পাতা বিরাজ করে সেগুলোকে চিরহরিৎ উদ্ভিদ বলে। শীতপ্রধান অঞ্চলে সুচের মতো সরু পাতাধারী পাইন, ফার, জুনিপার, স্প্রস ইত্যাদি বৃক্ষ এবং কিছু চওড়া পাতাধারী গুল্ম লরেল ইত্যাদি চিরহরিৎ বৃক্ষ। উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে অনেক চওড়া পাতাধারী বৃক্ষ-ম্যাগনোলিয়া, ওক, আম, কাঁঠাল, গাব, বট, নাগেশ্বর ইত্যাদি চিরহরিৎ বৃক্ষ। ক্রান্তীয় অঞ্চলের বেশির ভাগই বৃক্ষ চিরহরিৎ এবং প্রায় সবারই পাতা চওড়া।
আরো পড়ুনঃ-
১। অপুষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে? অপুষ্পক উদ্ভিদ কত প্রকার ও কি কি?
২। নগ্নবীজী উদ্ভিদ কাকে বলে? নগ্নবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য কি কি?
৩। আবৃতবীজী উদ্ভিদ বা অ্যানজিওস্পার্ম কাকে বলে? আবৃতবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য।