আর্টিকেল

রুথ কে ছিলেন? রুথের পরিচয়।

রুথ হলেন একজন মোয়াবী (মোয়াবীয়া) কন্যা। তাঁর স্বামী ছিলেন কিলিয়োন। এলিমেলেখ (ইলিমেলক) ছিলেন তাঁর শ্বশুর এবং নয়েমী ছিলেন শাশুড়ি। মোয়াব দেশে ছিল তাঁর বসবাস। বিয়ের কিছুদিন পর হঠাৎ করে রুথের স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পর রুথ বাবার বাড়ি ফিরে না গিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে থেকেছিলেন।

পারিবারিক জীবনে রুথের বিশ্বস্ততা

পারিবারিক জীবনে রুথের বিশ্বস্ততার যে পরিচয় পাই তা নিচে বর্ণনা করা হলো–

১. নিজের স্বামী ও শাশুড়ির প্রতি রুথের ছিল গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা।

২. তিনি নিজের সবকিছু ছেড়ে শাশুড়ির দায়িত্ব পালন করেছেন।

৩. তিনি শাশুড়ির বাধ্য ছিলেন। শাশুড়ি তাঁকে যা করতে বলেছেন তিনি তাই করেছেন।

৪. বংশ রক্ষা করতে শাশুড়ির ইচ্ছায় তিনি বোয়াজকে বিয়ে করেছেন।

৫. রুথ কষ্টের সাথে পারিবারিক সকল দায়িত্ব পালন করেছেন।

৬. নিজের সুখের চেয়ে তিনি পারিবারিক দায়িত্ব পালনে গুরুত্ব দিয়েছেন।

ঈশ্বরের প্রতি রুথের অটল বিশ্বাস ও বিশ্বস্ততা

ঈশ্বরের প্রতি রুথের ছিল অটল বিশ্বাস। তাঁর স্বামী মারা গেলেও নিজের সুখের জন্য তিনি ঈশ্বরকে ত্যাগ করেননি। বরং তিনি তাঁর শাশুড়িকে বলেছেন “তোমার ঈশ্বরই হবেন আমার ঈশ্বর।” এতে ঈশ্বরের প্রতি তাঁর অটল বিশ্বাস প্রকাশ পায়। জীবনের কোনো দুঃখ কষ্টই ঈশ্বরের প্রতি তাঁর বিশ্বাসকে টলাতে পারেনি। ঈশ্বরের ওপর গভীর বিশ্বাস ছিল বলেই তিনি নিজের দেশ, ধর্ম, আত্মীয়স্বজন সবকিছুই ত্যাগ করতে পেরেছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ–

রুথ শব্দের অর্থ কি?

উত্তর : রুথ শব্দের অর্থ হলো সঙ্গী বা বন্ধু।

রুথ কোন দেশের নারী ছিলেন?

উত্তর : রুথ মোয়াব দেশের নারী ছিলেন।

রুথের স্বামীর নাম কি?

উত্তর : রুথের স্বামীর নাম কিলিয়োন।

স্বামীর মৃত্যুর পর রুথ কী করেছিলেন?

উত্তর : স্বামীর মৃত্যুর পর রুথ বাবার বাড়ি ফিরে না গিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে থেকেছিলেন।

রুথ ও জেসের মধ্যে সম্পর্ক কী?

উত্তর : ঠাকুরমা ও নাতি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button