রসায়ন বিজ্ঞান
খনিজ পদার্থ কত প্রকার ও কি কি? খনিজ পদার্থের ব্যবহার।
মৌল ও যৌগ বিবেচনায় খনিজ পদার্থ দুই প্রকার। যথা– (১) মৌলিক খনিজ ও (২) যৌগিক খনিজ।
মৌলিক খনিজ : স্বর্ণ, হীরা, গন্ধক ইত্যাদি পদার্থকে প্রকৃতিতে মৌলিক পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায়। এ জন্য এগুলো মৌলিক খনিজ।
যৌগিক খনিজ : গ্যালেনা (PbS), বক্সাইট (Al2O3.2H2O) ইত্যাদি প্রকৃতিতে যৌগ হিসেবে পাওয়া যায়। এ জন্য এগুলো যৌগ খনিজ।
ভৌত অবস্থা বিবেচনায় খনিজ তিন প্রকার। যথা– (১) কঠিন খনিজ, (২) তরল খনিজ ও (৩) গ্যাসীয় খনিজ।
কঠিন খনিজ : কঠিন অবস্থায় পাওয়া যায়। যেমন, ম্যাগনেটাইট, বক্সাইট, সালফার বা গন্ধক ইত্যাদি।
তরল খনিজ : মার্কারি বা পারদ, পেট্রোলিয়াম।
গ্যাসীয় খনিজ : প্রাকৃতিক গ্যাস।
খনিজ পদার্থের ব্যবহার।
খনিজ পদার্থের ব্যবহার নিম্নরূপঃ
- ম্যাগনেটাইট লোহা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
- চুনাপাথর ঘরবাড়ি, সিমেন্ট, সোডা গ্লাস, লোহা ও স্টিল উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মাটি এসিডিক হলে চুনাপাথর ব্যবহার করে মাটিকে প্রশমিত করা হয়।
- কাচ, সিরিচ কাগজ, রেডিও, ঘড়ি তৈরিতে কোয়ার্টজ ব্যবহৃত হয়।
- গহনা ও ধাতব মুদ্রা তৈরিতে সিলভার বা রূপা ব্যবহার করা হয়।
- বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে বিদ্যুৎ নিরোধক হিসেবে মাইকা ব্যবহার করা হয়।
- সিমেন্ট ও প্লাস্টার অব প্যারিস তৈরির কাঁচামাল তৈরিতে জিপসাম ব্যবহৃত হয়।
- সালফার ও নানা রকম ধাতু তৈরিতে ধাতব পাইরাইটস ব্যবহৃত হয়।
- গহনা তৈরিতে সোনা ও হীরা ব্যবহার করা হয়।
- জ্বালানি হিসেবে রান্নার কাজে এবং গাড়ি ও শিল্পকারখানায় গ্যাস, কয়লা, পেট্রোল ব্যবহার করা হয়।