Computer

কম্পিউটারের ইতিহাস- The History of Computer Part 02

কম্পিউটার ইতিহাস সিরিজের প্রথম পার্টটি পড়ে আসুন। প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

মনিটর। Monitor:

এটাকে কেউ বলে মনিটর’, কেউ বলে স্ক্রিন’। কী বাের্ডে আমরা যখন যা লিখছি, সঙ্গে সঙ্গে তা মনিটরে বা স্ক্রিনে প্রদর্শিত হচ্ছে। আমাদের কাজের ফলাফল আমরা মনিটর থেকেই জানতে পারছিআবার কম্পিউটারের কোনাে বার্তা থাকলে তাও মনিটর থেকেই অতি সহজে জেনে নিচ্ছিআমাদের সাথে কম্পিউটারের যােগাযােগের জন্য মনিটর গুরুত্বপূর্ণ। মনিটর প্রথম দিকে ছিল একরঙা। এখনকার মনিটরগুলাে রঙিন। তাতে টেক্সট ও গ্রাফিকস বিভিন্ন রঙে প্রদর্শন করা হয়মনিটর বিভিন্ন ধরনের হয়। ডেস্কটপ কম্পিউটারে মূলত সি.আর.টি মনিটর ব্যবহৃত হলেও ল্যাপটপে এল.সি.ডি ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়সিআরটি মনিটরের প্রধান অংশ হচ্ছে সিআরটি বা ক্যাথােডরে টিউবএকে পিকচার টিউবও বলে । টেলিভিশনেও এই পিকচার টিউবটি ব্যবহৃত হয়। এর সামনের দিকে কাঁচের ওপর থাকে ফসফরের আবরণ সিআরটির কাঁচের পেছনে 

থাকে একটি ইলেক্ট্রনিক গান। এই গান থেকে ক্রমান্বয়ে ইলেক্ট্রন নির্গত হয়ে ফসফরে আঘাত করতে থাকে। তার ফলে ফসফর জ্বলে ওঠে। বেশি পরমাণ ইলেক্ট্রন আঘাত করলে আলাের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়। এভাবে ইমেজ বা ছবি পর্দায় দৃশ্যমান হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা ১৪ বা ১৫ ইঞ্চি মনিটর ব্যবহার করি । তবে মনিটর তার চেয়ে ছােটও আছে, বড়ও আছে। বড় আকৃতির মনিটরের দাম কমতে থাকায় সেগুলাের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ১৭ ইঞ্চি মনিটরের দামও তেমন একটা বেশি নয়এব ২১ ইঞ্চি মনিটরের দাম একটু বেশি। সাধারণ টেক্সট প্রসেসিংয়ের জন্য ১৪ বা ১৫ ইঞ্চি যথেষ্ট হলেও ডিটিপি’র বা গ্রাফিকসের কাজ করার জন্য বড় মনিটর থাকলে সুবিধা। 

এল সি ডি LCD

এল,সি,ডি হচ্ছে “লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে’র সংক্ষিপ্ত রূপ। এতে ব্যবহৃত হয় তরল ফটিক। এ স্ফটিকের অণুগুলাে বিদ্যুতের প্রতি সংবেদনশীল। বিদ্যুৎ সংকেত অনুযায়ী ওগুলাে সক্রিয় হয়। মনিটরে পেছনটাকে আলােকিত করা হয় (ব্যাকলাইটিং)। সাধারণ অবস্থায় এ আলাে ফটিককে গলিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না। বিদ্যুৎ চালিত হলে স্ফটিকগুলাের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়। তখন সেগুলাের ভেতর দিয়ে আলাে গলে যেতে পারে। সে অবস্থায় পর্দায় দৃশ্য দেখা যায়। 

fototal Printer আমরা যে কাজ করি সেগুলাে দেকার জন্য ছাপতে হয়। কম্পিউটারে ছাপার কাজটি করে প্রিন্টার। প্রিন্টার অনেক রকমের। কোনাে কোনােটির ছাপা ঝকঝকে ।

 Laser Printer • লেজার প্রিন্টার 

ছাপাখানার ছাপা বই যেমন দেখতে সে রকমই। আবার কোনাে কোনােটি তার চাইতে ভিন্ন, মান ততটা উন্নত নয়একানও। কোনাে প্রিন্টার দিয়ে রঙিন কালিতেও ছাপা যায়। ছাপার পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রিন্টারকে দু ভাগে করা যায়। যেমন : ইমপ্যাক্ট এবং নন- ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার । ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার অনেকটা টাইপরাইটারের ন্যায়। ওগুলােতে লেখা তৈরি হয় প্রিন্ট হুইল বা প্রিন্ট হেড দিয়ে। সেই হুইল বা হেড গিয়ে ফিতার ওপর আঘাত করে। সেই ফিতায় কার্বন লাগানাে থাকে। সেই কার্বন থেকে কাগজের উপর লেখা ছাপা হয়। ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার সে ধরনের একটি প্রিন্টার। নন-ইমপ্যাক্ট প্রিন্টারকে কাগজের উপর আঘাত করতে হয় না । লেজার বা বাবল জেট প্রিন্টার সে ধরনের প্রিন্টার। 

কম্পিউটারের বাইনারি পদ্ধতি

বাইনারি পদ্ধতি। Binary System:

তৎকালীন মেমােপটেমিয়ার ব্যাবলনীয় ব্যবসায়ীরা যেমন আঙ্গুলে গােণা থেকে দশ সংখ্যা ভিত্তিক গণনা সৃষ্টি করেছিল, ঠিক তেমনি আধুনিক ইলেকট্রনিক বর্তনীর খােলা-বন্ধ সুইচ থেকে দুই সংখ্যা ভিত্তিক গণিত কম্পিউটার শিল্পের জন্য গড়ে উঠেছে। বাইনারি পদ্ধতি কম্পিউটারে যেসব কারণে ব্যবহার করা হয় তা হলাে : ১. কম্পিউটারে তথ্য সঞ্চয় করার যন্ত্রাংশগুলাে বাইনারি প্রকৃতি ২. দুটো মাত্র বিকল্পের উপর ভিত্তি করে গড়া যন্ত্রাংশের নির্ভরযােগ্যতা অনেক বেশি এবং ৩, বাইনারি গণিত জটিল বিদ্যুত্বর্তনী ছাড়াই বাস্তবায়িত করা যায়। কম্পিউটারে বাইনারি প্রকৃতির যন্ত্রাংশের একটা সহজ উদাহরণ হলাে তার স্মৃতি (মেমােরি)। তথ্য সঞ্চয়ের জন্যে আজকাল প্রধানত ব্যবহার করা হয় ম্যাগনেটিক কোর। চৌম্বক-মর্মকে বিদ্যুৎ পাঠিয়ে চুম্বকায়িত করা হয় বা হয় না।

সুতরাং চৌম্বক-মর্মটি বাইনারি প্রকৃতির। একইভাবে একটি ইলেকট্রিক রিলে (বাহক) বা সুইচ হয় খােলা থাকে বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্যে, নয় তা বন্ধ থাকে; সুতরাং এটাও বাইনারি প্রকৃতির। প্রশ্ন উঠতে পারে বাইনারি পদ্ধতিতে আমরা যে দুটো সংকেত শূন্য এবং এক ব্যবহার করি তা দিয়ে কি গণিতের সব কাজ করা সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তর হলাে যে, তা অবশ্যই সম্ভব আর তার মৌলিক কারণ হলাে ইলেকট্রিক পদ্ধতির দ্রুত গতি। কম্পিউটার ‘খােলা এবং বন্ধ’ এ দুই বিকল্পের মধ্যে আসা-যাওয়া করে প্রায় আললাকের গতিতে আর তাই ওই একই গতিতে চলে আমাদের গণনার কাজ। যেহেতু শুধু দুটো অবস্থায় উপর ভিত্তি করে গড়া তাই এসব যন্ত্র তৈরি করাও সহজ। মৌলিক সংকেত সংখ্যা যত কম, যন্ত্রাংশের আচরণও তত নির্ভরযােগ্য। কম্পিউটারের আভ্যন্তরীণ কাজ যদিও বাইনারি যন্ত্রাংশ দিয়ে করা হয় তবু তথ্য আদান-প্রদান আমরা দশমিক পদ্ধতিতেই করি। কেননা তাতেই আমরা ছােটবেলা থেকে অভ্যস্ত। এ জন্যই কম্পিউটারের ভিতরে ওই অনুবাদের কাজটি পূর্বসঞ্চিত নির্দেশনের মাধ্যমে ইলেকট্রিক বর্তনীয় সাহায্যে করা হয়। এ দুই পদ্ধতির মূল কথাটি এখানে সংক্ষেপে বলা যায়। আমরা সকলেই জানি যে, দশমিক পদ্ধতি স্থানভিত্তিক। কোনাে রাশিতে একটি সংখ্যার অবস্থান তার মান নির্দেশ করে। ডান দিক থেকে হিসেব করে আমরা অবস্থানের মান ঠিক করে নিয়েছি একক, দশক, শতক, হাজার ইত্যাদি সংখ্যায়। সুতরাং ২৩৪ রাশির ২ সংখ্যাটি শতক মানের, ৩ সংখ্যাটি দশক মানের এবং ৪ সংখ্যাটি একক মানের। অতএব আমরা লিখতে পারি, ২৩৪=২x১০০+৩x১০+৪x১। শূন্যের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলে এভাবে লেখা কষ্টকর। তাই যে কয়টা শূন্য আছে সেই সংখ্যা ১০-এর উপরে লিখে রাশিটি এভাবে প্রকাশ করা যায়, ২৩৪=২x১০+৩x১০+৪x১০ এখানে ১০-এর উপরে শূন্য থাকলে আমরা তাকে ধরে নিই। যে কোনাে রাশিকে এভাবে প্রকাশ করাই হলাে

দশমিক পদ্ধতির মূল ভিত্তি। এ পদ্ধতিতে ১০-এর বিভিন্ন ঘাত দিয় আমরা সংখ্যার অবস্থানের মান নির্দেশ করি। যেমন ১০-এর ৩ ঘাত হলাে হাজার, ২ ঘাত হলাে শতক ইত্যাদি। দশমিক পদ্ধতিতে ভগ্নাংশের জন্যেও একই ব্যাপার করা হয়। যেমন কোনাে বস্তুর চারভাগের একভাগকে আমরা ভগ্নাংশে লিখি ১/৪ । কিন্তু দশমিক ভগ্নাংশে ঐ একই সংখ্যাকে লেখা হবে ০.২৫! এ রাশির অর্থ হলাে একশ ভাগের ২৫ ভাগ যা আসলে চার ভাগের এক ভাগই। দশমিক ভগ্নাংশে দশমিক চিহ্নের পরে অবস্থানের মান দশের বিভিন্ন ঘাতে কমে যায়। যেমন : ০.২=২x১০-১ ০.২=২x১০- + 5x১০-২ ইত্যাদি সুতরাং ১২.৩৪ এই দশমিক ভগ্নাংশের রাশিটি এভাবে প্রকাশ করা যায়, ১২.৩৪ = ১x১০১+২X১০ +৩x১০-১+৪ X ১০-২ বাইনারি পদ্ধতিতেও ঠিক একই করা হয়। কিন্তু এখন ১০ সংখ্যার জায়গায় ২ ব্যবহার করা হবে। কেননা এ পদ্ধতিতে মৌলিক সংখ্যা হলাে দুটো ০ এবং ১। উদাহরণস্বরূপ আমরা একটা বাইনারি সংখ্যা ১০১১.১১ নিতে পারি । এই রাশির তাৎপর্য হলাে, ১০১১.১১=১x২৩+০x২২+১x২১+১২+১x২-১+১x২-২ কিন্তু দশমিক পদ্ধতিতে ২৩=৮,২=৪,২১=২,২০=১ 

২-১=১২ =০.৫, ২-২=৪ = ০.২৫ সুতরাং আমাদের বাইনারি রাশিটিকে ভাষান্তর করে পাই, ১০১১.১১=১X ৮+০x৪+১২+১১+১x০.৫+১x০.২৫=৮+২+১+০.৫+০.২৫=১১.৭৫ বাইনারি পদ্ধতিতে ১০১১.১১ রাশির দশমিক পদ্ধতিতে মান হলাে ১১.৭৫। নিচের সারণীতে কতগুলাে ছােট সংখ্যার ভাষান্তর দেখানাে হলাে : সারণী বাইনারি দশমিক বাইনারি দশমিক 

০ 

০ 

০ 

৫ 

১০০ ১১০ ১০০০ ১০১০ 

 ১০১ 

১১১ , ১০০১ 

বাইনারি পদ্ধতিতে যােগ করার নিয়ম নিচের সারণীতে দেখাতে হলাে । 

সারণী 

০ 

১ 

১ ১ ১০ (শূন্য এবং হাতে ১) লক্ষ্য করা দরকার যে ১ এবং ১ যােগ করে হয় শূন্য এবং হাতে ১। এভাবে দুটো বাইনারি সংখ্যার যােগ নিচে দেখানাে হলাে : বাইনারি দশমিক ১০১ ১১১ ১১০০ এখানেও লক্ষ করা দরকার যে আমরা বাইনারি যােগ ১+১+১ সমান ১১ লিখেছি কেননা ১+১ সমান ১০ এবং ১০+০১ সমান ১১। একইভাবে বিয়ােগ, গুণ, ভাগ করা যায়, কিন্তু এসব নিয়ম এখানে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। 

বাইনারি সংখ্যার একটি বিশেষ নাম আছে শূন্য এবং এক। ওই সংখ্যা দুটোর প্রত্যেকটিকে বলে বিট । ইংরেজি বাইনারি’ শব্দের অক্ষরটি নিয়ে করা হয়েছে ‘বিট’। বিট হলাে তথ্যের মৌলিক একক। কম্পিউটারে যে মৌলিক যুক্তিভিত্তিক দুটো বিকল্প পথের কথা বলা হয়েছে তারই রূপ দেওয়া হয় বিটের মাধ্যমে। অবশ্য কম্পিউটারের অভ্যন্তরে দশমিক সংখ্যাকে সরাসরি বাইনারি সংখ্যা হিসেবে প্রকাশ করা হয় না। তথ্য আর কর্মসূচির নির্দেশমালা দেওয়ার জন্যে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাকে বলে ‘কোড’ বা সংকেত-লিপি। সংখ্যাকে রূপায়ন করার জন্যে যে পদ্ধতি বহুল ব্যবহৃত তাকে বলে বাইনারি কোডেড ডেসিমাল বা বিসিডি। উদাহরণস্বরূপ দশমিক সংখ্যা ২৯.৩ নেয়া যায়। যেহেতু দশমিক পদ্ধতির ২,৯ এবং ৩ বাইনারি পদ্ধতিতে বিসিডি পদ্ধতিতে লেখা হয় ০০ ১০ ১০০ ১ ০০ ১১। এখানে চারটি করে সংখ্যা দিয়ে বাইনারি দৈর্ঘ্য আগেই ঠিক করে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক এবং প্রকৌশলী কাজে বাইনারি’ শব্দের একটা সুনির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য থাকা দরকার। কম্পিউটারে সঞ্চয়ী যন্ত্রাংশগুলাে এমনভাবে তৈরি যে তাদের মধ্যে ২৪, ৩২ অথবা ৬৪টি বিট থাকতে পারে। যেমন আইবিএম-এম সিস্টেম ৪৩৩১ কম্পিউটারে শব্দ-দৈর্ঘ্য হলাে ৩২ বিট। কম্পিউটারে তথ্যের মৌলিক একককে বলে বাইট । চারটি বাইট নিয়ে একট শব্দ যার মধ্যে পরপর ৩২টি বিট থাকে। কম্পিউটারের সংখ্যা-ভিত্তিক তথ্য দেওয়া হয় সাধারণত : ১. বাইনারি কোডেড ডেসিমাল, ২. নির্দিষ্ট বিন্দু, অথবা ৩, ভাসমান বিন্দু পদ্ধতিতে। প্রথমে পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। এখানে কোনাে দশমিক বিন্দু থাকে না। তাই দশমিক পূর্ণ সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যা হিসেবে প্রকাশ করতে হয়। বেশির ভাগ কম্পিউটারে একট নির্দিষ্ট শব্দ-দৈর্ঘ্য ব্যবহার করা হয়। যেহেতু কম্পিউটারে একই গণনার বিভিন্ন অংশ সমান্তরালভাবে করা সম্ভব, তাই নির্দিষ্ট বিন্দু গণিতে খুব দ্রুত কাজ করা যায়। যেসব কম্পিউটারে শব্দ-দৈর্ঘ ৩২-বিটের সেগুলােতে ২৩১ থেকে ২৩২ ১ পর্যন্ত যে কোনাে সংখ্যা ব্যবহার করা যায়। ওই দুই সীমানার বাইরে গেলে কম্পিউটার বলে দেবে যে মাত্রাতিরিক্ত সংখ্যার উদ্ভব হয়েছে। কিন্তু অনেক কাজে এর চেয়ে বড় সংখ্যা নিয়ে কাজ করতে হয়। তা ছাড়া পূর্ণ সংখ্যা এই নিয়ে কাজ করলে ভগ্নাংশের জন্য উপযােগী সংকেতের প্রয়ােজন হয়। এ অসুবিধা দূর করার জন্যে ভামনা-বিন্দুর সংখ্যা পদ্ধতি আমরা ব্যবহার করে থাকি। তৃতীয় পদ্ধতিতে ২৯.৩ সংখ্যাটিকে লেখা হয় + ০.২৯৩x১০২। কম্পিউটারে শব্দ-দৈর্ঘ্য যদি দশ হয় তবে এ সংখ্যাটি + ২৯৩০০+০২ অর্থাৎ দশমিক চিহ্ন আর যােগ চিহ্ন সহ মােট দশ ঘর নেওয়া হয়। শেষের দুটি সংখ্যা ০২ হলাে আমাদের নির্দিষ্ট রাশির সূচক অর্থাৎ ১০-এর ঘাত। এই সূচকটি-৯৯ থেকে + ৯৯ পর্যন্ত হতে পারে। লক্ষ্য করা দরকার যে দশমিক-বিন্দু প্রথম  তাৎপর্যপূর্ণ সংখ্যার (অর্থাৎ ২-এর) ঠিক বামে আছে এটা আগে থেকেই স্থির করে নেওয়া হয় এবং সব রাশি এভাবেই প্রকাশ করতে গিয়ে প্রয়ােজনমতাে সূচক সংখ্যা দুটি পরিবর্তন করে নিতে হয়। বাইনারি পদ্ধতিতে যােগ বিয়ােগ গুণ-ভাগের পাটিগণিত ছাড়াও বীজগণিতের কাজ করা যায়। এ বীজগণিতের নাম সাংকেতিক যুক্তিশাস্ত্র যার আবিষ্কর্তা জর্জ বুল। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী শ্যানেন সাংকেতিক বীজগণিতের বহুমুখী উপযােগিতা প্রমাণ করেন। এবং তারপরে তা আরও উন্নত করে। কম্পিউটারে ব্যবহারযােগ্য করা হয়েছে। বাইনারি বীজগণিতের পরবর্তী রাশির মান হলাে দুটো। এ বীজগণিতের অনেক নিয়ম আছে যার মধ্যে প্রধান হলাে : ‘এবং’ অথবা না’। ইংরেজিতে ‘এ’, ‘অর’ এবং নট। এগুলির সংজ্ঞা এ রকম : ১. এবং এটা একটা সাংকেতিক কাজ, যার অর্থ হলাে—যদি ক একটা বক্তব্য আর খ দ্বিতীয় আর একটা বক্তব্য হয় তবে “ক এবং খ” সত্য হবে যদি দুটো বক্তব্যই সত্যি হয় আর মিথ্যা হবে যদি দুটো বক্তব্যই মিথ্যা হয়। এবং কাজ বাস্তবায়ন করা যায় বৈদ্যুমিক রিলে বা সুইচ দিয়ে। এবং কাজটা লেখা হয় এভাবে, গ=ক, ধ। অর্থাৎ ফোটা সাংকেতিক এবং কাজ বােঝায়। “এবং কাজের যন্ত্রকে “এন্ডগেট” বা “এবং দ্বার” বলা হয়। ২. অথবা, এটাও একটা যৌক্তিক কাজ যার অর্থ হলাে- ক একটি বক্তব্য আর খ দ্বিতীয় একটি বক্তব্য হয় তবে ‘ক অথবা খ” সত্য হবে যদি অন্তত একটি বক্তব্য সত্য হয় আর মিথ্যা হবে যদি উভয় বক্তব্য মিথ্যা হয়। “অথবা কাজকে গ= ক+ খ এভাবে লেখা হয় কেননা যােগের চিহ্ন এ বীজগণিতে অথবা অর্থ বহন করে। ৩, না : এটিও একটি যৌক্তিক কাজ যা দিয়ে বলা হয় যদি ক একটি বক্তব্য তাহলে “ক-না” একথা সত্য হয় যখন ক মিথ্যা আর মিথ্যা হয় যখন ক সত্য। না কাজকে বিপরীত কাজও বলা হয়ে থাকে। 

মাল্টিমিডিয়া

কম্পিউটারের এগিয়ে চলা ইনেটলের অতি ক্ষুদ্র দ্রুততর ট্রানজিস্টর সম্প্রতি ইন্টেল করপােরেশন ঘােষণা দিয়েছে যে, তারা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই অতি ক্ষুদ্রাকৃতির দ্রুতগতের ট্রানজিস্টার তৈরি করবে। আর এ ঘােষণাকে বাস্তবায়ন করার জন্য তারা বেশ এগিয়ে গেছে। ইন্টেল জাপানের বাণিজ্য সম্মেলনে অত্যন্ত ক্ষুদ্র ও দ্রুত গতিসম্পন্ন ট্রানজিস্টর প্রদর্শন করেছে। তাদের প্রদর্শিত এই ট্রানজিস্টরের দৈর্ঘ্য মাত্র ২০ ন্যানােমিটার । আর এক ন্যানােমিটার হচ্ছে ১ মিটারের ১০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ। কাজেই বোঝা যাচ্ছে কতটুকু ক্ষুদ্রাকৃতির এই ট্রানজিস্টরটি। ইন্টেলের বিশেষজ্ঞ গবেষকরা জানিয়েছেন, তাদের প্রদর্শিত নতুন এই ট্রানজিস্টরটি বর্তমানে প্রচলিত ট্রানজিস্টরের চেয়ে ৩০% ছােট। আর গতিতেও এটি ২৫% এগিয়ে এখনকার প্রচলিত ট্রানজিস্টরগুলাের চাইতে। ইন্টেল আশা করছে এই ট্রানজিস্টরটি চিপকে বৈপ্লবিক উন্নতিপর্বে নিয়ে যাবে। কেননা ট্রানজিস্টর হচ্ছে চিপের মূল উপাদান।

জাপানের ‘সিকো এসইয়ার্ড কোং-এর এক কর্মকর্তা টোকিওয়ে তাদের অফিসে নতুন ক্ষুদ্রাকৃতির একটি মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার দেখিয়েছেন এই মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ারের ৪ ধরনের কার্যকারিতা রয়েছে। এ যন্ত্রের সাহায্যে টিভি দেখা যাবে, এফএম ব্যান্ডে রেডিও শােনা যাবে, ডিজিটাল ইমেজ দেখা যাবে ও ডিজিটাল অডিও শােনা যাবে। এ মাল্টিমিডিয়া জাপানে ৪১৬ মার্কিন ডলারে বিক্রি হচ্ছে। 

ভাষা শিক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট

আমাদের এই বিচিত্র সমগ্র বিশ্বে রয়েছে শত শত রকমের ভাষা। পৃথিবীর একেক দেশের ভাষা একেক রকম। পৃথিবীর এক প্রান্তের লােকের ভাষা অন্য প্রান্তের লােকদের কাছে দুর্বোধ্য। আবার এমনও দেশ আছে যেখানে একই সঙ্গে কয়েক ধরনের ভাষা প্রচলিত যেমন : ভারত বা পাপুয়া নিউ গিনি। এসব দেশের এক অঞ্চলের লােকের অন্য অঞ্চলের লােকদের ভাষা বুঝতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। আর ভাষার এই বিভিন্ন পর্যটকদের জন্য একটি বড় রকমের সমস্যা। আর পর্যটকদের ভাষা না জানার কারণে বিদেশে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ভাষা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান এখন পাওয়া যাবে ভাষা শিক্ষা সংক্রান্ত নামক ওয়েব সাইটে । ভাষাসংক্রান্ত চমত্তার, কার্যকরী এই সাইটটিতে ৬০টিরও  অধিক ভাষা নিয়ে বিস্তারিত আলােচনা রয়েছেএ আলােচনায় স্থান পেয়েছে প্রতিটি ভাষার শব্দসম্ভার, প্রয়ােজনীয় বাক্য এবং এসব বাক্যের যথাযথ অনুবাদক্যাটালগ ও হাইওয়াইআনের মতাে ভাষাও রয়েছে ওয়েব সাইটের আলােচনার মধ্যেযেসব শব্দ ও বাক্য দেওয়া হয়েছে সেগুলাে ইচ্ছে করলে যেন ওয়েব সাইটিটি থেকে শুনতে পাওয়া যায়, সে ব্যবস্থাও রয়েছে এই ওয়েব সাইটটিতে। যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিচিত্র রকমের সব ভাষা জানতে, শিখতে আগ্রহী তাদের জন্য এই ওয়েব সাইটটি একটি আদর্শ ওয়েব সাইটকারণ প্রতিটি ভাষার শব্দ ভার ও অতিপ্রচলিত বাক্যগুলাে এই ওয়েব সাইট থেকে একই সঙ্গে জানতে এবং উচ্চারণ শুনতে পারা যায়। এ কথায় ভাষা শিক্ষক ওয়েব সাইট বলা যায় এ ওয়েব সাইটিকে। এ ওয়েব সাইটটি অতি প্রয়ােজনীয় । 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button