
বর্তমান সময়ে খুবই প্রয়োজনীয় দরকারী জিনিস হলো মেমোরি কার্ড। মোবাইল, ক্যামেরা ও অন্যান্য গ্যাজেটে ব্যবহারের জন্য এই মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা হয়। যেখানে যেকোন ছবি অডিও ভিডিও সহ ফাইল ডকুমেন্ট সংরক্ষন করা যায়। এই মেমোরি কেনার আগে কি কি বিষয় জেনে কিনতে পারি এ নিয়ে আজ আলোচনা করব।
নকল মেমোরি কার্ড হতে সাবধান
পৃথিবীতে যেটার প্রয়োজন যত বেশি তার নকল পন্যও খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে। তাই মেমোরি কেনার আগে সবচেয়ে আগে নকল পন্য কিনা দেখে কিনবেন। নামীদামি কোম্পানীর মেমোরি কার্ড কেনার চেষ্টা করবেন, কোন ননব্র্যান্ড নকল কোম্পানীর মেমোরি কার্ড কিনলে আপনার টাকা সময় ও ডকুমেন্ট সব কিছুতেই আপনার লস হতে পারে। তাই মেমোরি কেনার আগে অবশ্যই ব্র্যান্ড কোম্পানী দেখে মেমোরি কার্ড কিনবেন।
কোন ধরনের আকৃতির মেমোরি কার্ড কিনব
বাজারে কয়েক ধরনেরই মেমোরি কার্ড কিনতে পাওয়া যায়, তার মধ্যে থেকে আপনার কি ধরনের আকৃতির মেমোরি প্রয়োজন সেটি দেখে কিনবেন।মোবাইলের জন্য ছোট আকৃতির মেমোরিটি প্রয়োজন হবে আবার ডিজিটাল ক্যামেরাতে কিছুটা বড় সাইজের মেমোরি প্রয়োজন হয়। আপনি যখনই যেকোন প্রয়োজনীয় ডিভাইসের জন্য মেমোরি কিনবেন সে ডিভাইস অনুযায়ী মেমোরি কিনলে হয়রানী হতে হবে না।তাছাড়াও এই মেমোরির জন্য এডাপ্টারও পাওয়া যায়। এই এডাপ্টার এর মাধ্যমে বিভিন্ন সাইজের মেমোরি কার্ড বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসের সাথে সংযোগ করা যায়।
কি ধরনের ধারণ ক্ষমতার মেমোরি কার্ড কিনব
প্রত্যেক ডিভাইসের আলাদা আলাদা মেমোরি কার্ড এর ধারণ ক্ষমতা থাকে। যেমন অনেক মোবাইলে ১৬ জিবি এর উপরে ব্যবহার করা যায় না, সে মোবাইলে ৩২ জিবি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না বা সাপোর্ট করবে না।
মেমোরি কার্ডের গতি দেখে কিনুন
আমরা বাজারে যে ধরনের মেমোরি কার্ডই দেখি না কেন, এদের প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা নিজস্ব গতি রয়েছে। এই গতিকে বলা হয় স্পিড ক্লাস। এই স্পিড ক্লাসের উপর নির্ভর করে ডাটা ট্রান্সফার কত গতিতে হবে। স্পিড ক্লাস ১০:১০ এর হয় তাহলে ডাটা ট্রান্সফার তাড়াতাড়ি হয় বা ভিডিও শ্যুট ভাল হয় এবং এই ক্লাসের মেমোরি গুলো ভাল হয়ে থাকে। আবার এটাও মাথায় রাখতে হবে আপনার ডিভাইস যদি স্লো হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে মেমোরির স্পিড ক্লাস কোন কাজে আসবে না।