সফটওয়্যার

ব্যাচ প্রসেসিং সিস্টেম কি? ব্যাচ প্রসেসিং সিস্টেম এর সুবিধা ও অসুবিধা।

যে অপারেটিং সিস্টেম একটির পর আরেকটি প্রোগ্রাম পর্যায়ক্রমে পরিচালনা করে তাকে ব্যাচ প্রসেসিং সিস্টেম বলে। ব্যাচ প্রসেসিং এর বৈশিষ্ট্য হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে এটি শুধু একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করতে পারে। এখানে মাল্টিপ্রোগ্রামিং বা টাইম শেয়ারিং এর সুযোগ নাই। এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো একটি প্রোগ্রাম যখন পরিচালনা করা শুরু করা হয়, তখন সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য প্রোগ্রাম তার কার্যক্রম শুরু করতে পারে না। এ অপারেটিং সিস্টেমে একটি প্রোগ্রাম বা কাজ (জব-১) শেষ হওয়ার পর আরেকটি প্রোগ্রাম বা কাজ (জব-২) শুরু হয়। নিচের চিত্রে এ সিস্টেমের কাজের ধারাবাহিকতা দেখানো হলো-

এখানে জব-১ এর ইনপুট (I), প্রসেসিং (P), এবং শেষে আউটপুট (O)] এর পর জব-২ এর ইনপুট (I) শুরু হয়েছে।

মাইক্রোকম্পিউটারে ব্যবহৃত MS-DOS, CP/M এবং PC-DOS অপারেটিং সিস্টেম হলো ব্যাচ প্রসেসিং-এর উদাহরণ। ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেমের জটিলতা কম এবং এটি অন্যান্য সিস্টেমের মতো অচলাবস্থা বা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে না, এ জাতীয় সিস্টেমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একজনের বেশি ব্যবহারকারী সিস্টেমটি ব্যবহার করতে পারে না। সেজন্য সোর্স প্রোগ্রামকে কোন ডিভাইস ব্যবহার করার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না এবং প্রোগ্রামের মধ্যে সংঘাত ঘটার সম্ভাবনাও কম। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাচ প্রসেসিং সিস্টেম ব্যবহৃত হতো। যেমন- ব্যাংকে সারাদিন ধরে লেনদেন করার পর দিনের শেষে ব্যাচ মোড ব্যবহার করে হিসেব আপডেট করা যায় এবং প্রয়োজনীয় রিপোর্ট তৈরি করা যায়। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম মূলত দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারেই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এসে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ অপারেটিং সিস্টেম মাল্টিপ্রোগ্রামিং-এর দিকেই ঝুঁকে পড়ছে। কেননা বর্তমানে প্রসেসরের দুর্দান্ত গতির ফলে মাল্টিপ্রোগ্রামিং সিস্টেম ব্যবহার অনেক সহজতর হয়েছে।]

ব্যাচ প্রসেসিং সিস্টেম এর সুবিধা

  • প্রোগ্রামের ইনপুট-আউটপুট অপারেশন পরিচালনার জন্য সে সরাসরি ইনপুট কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। এর জন্য তাকে চ্যানেল প্রোগ্রাম অথবা বাফার তৈরি করতে হয় না।
  • পদ্ধতিগতভাবে অনেক সরল।
  • বড় ধরনের কোন কাজ ধারাবাহিকভাবে সরাসরি তত্ত্বাবধান ছাড়া করা সম্ভব।
  • কাজ করার সময় কোন প্রকার বিরতি প্রয়োজন হয় না।

ব্যাচ প্রসেসিং সিস্টেম এর অসুবিধা

  • একটির পর একটি কাজ যেহেতি সমাধান করা হয় তাই তলনামূলকভাবে সময় অনেক বেশি লাগে।
  • বিভিন্ন ডিভাইসকে অনেক সময় অলসভাবে বসে থাকতে হয়।
  • প্রোগ্রামের গুরুত্বকে অগ্রাধিকার না দিয়ে লাইনে থাকা একটির পর অপরটির কাজ প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।
  • ইন্টারএকটিভিটি নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button