Computer

ল্যাপটপ কি ? ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায়

ল্যাপটপ কি । ল্যাপটপ কাকে বলে ?

আপনি কি কখনো ল্যাপটপ এর ব্যবহার করেছেন ? যদি হে, তাহলে কিছুটা হলেও ল্যাপটপ এর বিষয়ে জ্ঞান আপনার রয়েছে।

তবে, যদি আপনি কখনো ল্যাপটপ ব্যবহার করেননি তাহলেও আপনাকে চিন্তা করতে হবেনা, কেননা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে, ল্যাপটপ বলতে কি বুঝায়, বিষয়টা আপনারা সম্পূর্ণ স্পষ্ট ভাবে বুঝে নিতে পারবেন।

প্রায় কিছু বছর আগে পর্যন্ত, ঘরে ঘরে এবং প্রায় প্রত্যেক দপ্তরে  ব্যবহার করা হতো desktop computer (PC).

কিন্তু তীব্র গতিতে ঘটা প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে আজ desktop computer গুলোর জায়গা দখল করেছে laptop গুলো।

একটি Desktop computer pc যেই কাজ গুলো করতে পারে সেই প্রত্যেকটি কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে একটি ল্যাপটপের।

তাই, এখনের প্রজন্মের জন্য একটি laptop PC হলো তাদের সেরা চয়েস।

এছাড়া, একটি desktop PC র তুলনায় একটি laptop computer এর সুবিধে গুলো কিন্তু প্রচুর রয়েছে, আর এটাই কারণ যার জন্যে এদের চাহিদা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

চলুন, এখন প্রথমে নিচে সরাসরি জেনেনেই, একটি ল্যাপটপ বলতে কি বুঝায়

ল্যাপটপ কি । ল্যাপটপ কাকে বলে ? ( What is laptop in Bengali)

সোজা এবং সরল ভাবে বললে, ল্যাপটপ হলো একটি ছোট এবং পোর্টেবল পার্সোনাল কম্পিউটার যেটা মূলত দুটো ভাবে বিভাজিত হয়ে থাকে। তবে, এই ভাগ দুটো একটি কব্জার মাধ্যমে পরস্পরে সংযুক্ত হয়ে থাকে।

ওপরের ভাগে থাকছে কম্পিউটার স্ক্রিন যেখানে ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে গুলো দেখানোর কাজ হয়ে থাকে। এবং নিচের ভাগে থাকছে, কীবোর্ড, টাচ প্যাড, motherboard এবং অন্যান্য প্রত্যেক জরুরি উপকরণ এবং হার্ডওয়্যার গুলো।

ল্যাপটপের ডিজাইন একটি ফ্লিপ মোবাইলের মতোই, তবে মোবাইলের তুলনায় এর আকার অনেকটাই বড়। এছাড়া, একটি ল্যাপটপের ডিসাইন Clamshell Form Factor এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।

Laptop এর টেক্সচার, আকার এবং বহনযোগ্যতার (portability) কারণে এদেরকে notebook computer বা notebook device ইত্যাদি নাম গুলো দিয়েও জানা যায়।

বর্তমান সময়ে, একটি ল্যাপটপ প্রচুর advanced features এবং hardware এর সাথে বাজারে উপলব্ধ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে প্রচুর জটিল কাজ গুলো সহজে করা সম্ভব।

যেমন, high graphic gaming, advanced video editing, programing ইত্যাদি প্রচুর কাজ গুলো ল্যাপটপের মাধ্যমে করা সম্ভব।

বর্তমান সময়ে ল্যাপটপ গুলোর স্ক্রিন এলসিডি/এলইডি ডিসপ্লে হিসেবে উপলব্ধ রয়েছে যেখানে Thin-Screen এর technology ব্যবহার করা হয়।

একটি desktop computer এর মতোই একটি laptop computer এর মধ্যে প্রত্যেকটি প্রয়োজনীয় input এবং output device গুলোর উপস্থিতি রয়েছে।

একটি সাধারণ এবং সামান্য ল্যাপটপ এর মধ্যে display screen, mini speaker, hard-disk, keyboard, processor, RAM, touch pad ইত্যাদি প্রত্যেক জরুরি features এবং functions গুলো থাকছে।

তবে, বর্তমানে দ্রুত গতিতে হওয়া প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে, আজকের ল্যাপটপ গুলোতে webcam, microphone, touch screen এর মতো advanced features গুলো সংযুক্ত করা হয়েছে।

তাহলে আশা করছি, ল্যাপটপ কাকে বলে (what is a laptop), বিষয়টা ভালো করে বুঝতেই পেরেছেন।

ল্যাপটপের ইতিহাস – History of laptop

1968 সালে, Alan Kay দ্বারা Xerox PARC এর মধ্যে একটি ব্যক্তিগত Portable Information Manipulator এর কল্পনা করা হয়েছিল। এর পর এটাকে 1972 সালে তিনি তার গবেষণা পত্রে Dynabook নামে বর্ণিত করেন। এর পর অনেক তাড়াতাড়ি ল্যাপটপের নির্মাণের বিচার শুরু করা হলো।

1980 সালে প্রথম notebook computer বিকশিত করা হয় এবং 1983 সালের পর প্রচুর অন্যান্য features এবং technology এই laptop এর মধ্যে যোগ করা হলো।

এই portable computer গুলোর battery life অধিক বৃদ্ধি করার জন্যে কিছু কিছু CPU গুলো যেমন, Intel i386SL এর ডিজাইন এর মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন করা হয় যেখানে power management features এর ব্যবহার হতো।

1988 সালে, স্ক্রিন এর ডিসপ্লে সাইজ (640×480) VGA Resolution বাড়ানোর ওপরে কাজ করা হলো। এবং এর পর 1991 সালে ল্যাপটপে color screen feature যোগ করা হয়।

আর সময়ের সাথে সাথে প্রচুর উন্নয়নের ফলে আজ আধুনিক রূপে ল্যাপটপ আমাদের সামনে রয়েছে।

ল্যাপটপ এর বিভিন্ন প্রকার গুলো – Types of laptop

  1. Traditional Laptop
  2. Notebook
  3. Convertible or Hybrid
  4. Desktop Replacement
  5. Rugged Laptop
  6. Business Laptop

ল্যাপটপের বিভিন্ন অংশ – Part of a laptop

  1. Display
  2. CPU
  3. GPU
  4. Memory
  5. Internal Storage
  6. Removable Media Drive
  7. Input/Output Ports
  8. Expansions Cards
  9. Battery and Power Supply
  10. Cooling Fan
  11. Accessories

একটি ল্যাপটপের বাইরের ভাগে থাকা অংশ গুলো

  1. Camera
  2. Display
  3. Charging Port
  4. Ethernet Port
  5. HDMI Port
  6. USB Port
  7. Audio Jack
  8. Mousepad
  9. Keypad
  10. Other Port
  11. DVD/CD Writer
  12. USB Port
  13. Indicator Lights
  14. SD Card Port

ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায় ?

একটি ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায় বিষয়টি নিয়ে ভাবার তেমন কিছুই নেই, কেননা যখন কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে, তখন ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কম্পিউটারের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকছেনা।

সুতরাং, আপনি একটি desktop কম্পিউটারের মাধ্যমে যেই কাজ গুলো করে থাকেন, সেই প্রত্যেকটি কাজ ল্যাপটপের মাধ্যমে করতে পারবেন।

যেমন,

  • হাই গ্রাফিক্স গেম খেলা,
  • ভিডিও ও অন্যান্য এডিটিং,
  • মাল্টিমিডিয়া,
  • প্রোগ্রামিং,
  • ডাটা প্রসেসিং,
  • ডেভেলপমেন্ট এর কাজ,
  • ইন্টারনেট এর ব্যবহার,
  • শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহার,
  • মনোজ্ঞ এর ক্ষেত্রে (সিনেমা দেখা, গান শোনা ইত্যাদি).

এছাড়া, সেই প্রত্যেকটি কাজ আপনারা ল্যাপটপের মাধ্যমে করতে পারবেন যেগুলো যেকোনো ডেস্কটপ কম্পিউটার করতে পারে।

একটি ল্যাপটপের লাভ এবং সুবিধা গুলো

বর্তমান সময়ে একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার এর তুলনায় একটি ল্যাপটপ পিসি প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করা হয়। এর মূল কারণ হলো, ল্যাপটপ আকারে ছোট হয় এবং আপনি একে নিজের সাথে যেকোনো জায়গাতে নিয়ে যেতে পারবেন ও ব্যবহার করতে পারবেন।

একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার একটি জায়গাতে রাখার পর আপনি সেটাকে সেখানেই রেখে ব্যবহার করতে হবে। তবে, ল্যাপটপের ক্ষেত্রে আপনি তাকে নিজে সাথে বিদেশে নিয়ে গিয়েও ব্যবহার করতে পারবেন।

পোর্টেবিলিটি ছাড়াও ল্যাপটপের লাভ এবং সুবিধা প্রচুর রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে চলুন নিচে আমরা জেনেনেই।

১. ছোট আকার

আপনারা প্রত্যেকেই হয়তো জানেন যে, একটি ল্যাপটপের আকার অনেক ছোট থাকে। আর তাই, এই ডিভাইস রাখার জন্যে অনেক কম জায়গার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর তাই, একটি ছোট টেবিলে বা বিছানায় রেখে আরামে নিজের কাজ করতে পারবেন।

২. একটি স্থানান্তরযোগ্য ডিভাইস

ল্যাপটপের এই লাভের জন্যেই একে সর্বাধিক পরিমানে পছন্দ করা হয় এবং এই কারণেই একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার এর তুলনায় এর চাহিদা প্রচুর বেশি।

আপনি নিজের ল্যাপটপ টিকে হাতে উঠিয়ে বা ব্যাগে ভরিয়ে যেকোনো জায়গাতে নিয়ে গিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। কেননা, ল্যাপটপ গুলোর ওজন ৩ কেজির থেকেও কম হয়ে থাকে।

তাই, দপ্তর, ঘর, স্কুল, বাস, ট্রেন, পার্ক, হোটেল ইত্যাদি যেকোনো জায়গার থেকেই ল্যাপটপের ব্যবহার করা সম্ভব।

৩. বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই

অবশই, ল্যাপটপের এই লাভ বা সুবিধার গুরুত্ব যথেষ্ট রয়েছে। ল্যাপটপের power এর জন্যে ব্যবহার করা হয় chargeable battery গুলোর।

তাই, একবার ভালো করে ল্যাপটপ চার্জ করার পর আপনি আরামে প্রায় ৫ থেকে ৭ ঘন্টা সময় পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছাড়া ব্যাটারির মাধ্যমে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারবেন।

৪. ইনপুট-আউটপুট ডিভাইস

একটি ল্যাপটপের মধ্যে built-in কীবোর্ড এবং মাউস থাকে।

মানে, আপনার আলাদা করে কীবোর্ড বা মাউস লাগাতে হবেনা বা সাথে করে নিয়ে যেতে হবেনা।

অবশই, আপনি চাইলে USB port এর মাধ্যমে সংযুক্ত করে আলাদা ভাবে keyboard এবং mouse ব্যবহার করতে পারবেন, তবে সেটা সম্পূর্ণ অপশনাল।

এছাড়া, কিছু অন্যান্য জরুরি হার্ডওয়্যার গুলো যেমন, speaker, WIFI, DVD writer, storage disc ইত্যাদি ল্যাপটপে আগের থেকেই সংযুক্ত থাকে।

তাই, আপনাকে ল্যাপটপের মধ্যে আলাদা করে কোনো উপকরণ, পার্টস বা হার্ডওয়্যার লাগানোর প্রয়োজন হয়না।

৫. কোন শব্দ নেই

ল্যাপটপ থেকে কোনো ধরণের আওয়াজ আপনি পাবেননা, তবে ডেস্কটপ কম্পিউটার গুলোর থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন রকমের আওয়াজ গুলো বের হয়ে থাকে।

ল্যাপটপ অনেক শান্ত ভাবে নিজের কাজ করে থাকে যার ফলে আপনিও শান্তিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

৬. বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়

একটি ডেস্কট কম্পিউটারের তুলনায় ল্যাপটপ অনেক কম বিদ্যুতের ব্যবহার করে থাকে আর তাই এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব। সাধারণ একটি ল্যাপটপ 10 থেকে 20W এর মধ্যেই কাজ করে থাকে, তাই বুঝতেই পারছেন কতটা কম বিদ্যুতের ব্যবহার হবে।

তবে, একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার 100 থেকে 800W এর মধ্যে কাজ করে থাকে যেটা তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই বেশি।

তাই, যেখানে অনেকগুলো কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেখানে ল্যাপটপের ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিল এর সাশ্রয় করা সম্ভব।

৭. অল ইন ওয়ান ডিভাইস

একটি ল্যাপটপ কে আমরা all in one device বলে বলতে পারি, কারণ এখানে জরুরি প্রত্যেক অংগ গুলো একসাথেই লাগানো থাকছে যেগুলো একটি কম্পিউটারের ক্ষেত্রে জরুরি।

তাই, এই একটি ডিভাইস আপনার কাছে থাকলেই আলাদা করে আপনার সাথে কিছু রাখতে হবেনা।

ল্যাপটপের অসুবিধা গুলো

যেই জিনিসের সুবিধা আছে সেই জিনিসের অসুবিধা কিছুটা হলেও রয়েছে। তাই চলুন, নিচে আমরা ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ অসুবিধা নিচে জেনেনেই।

১. ব্যয়বহুল মূল্য

একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের তুলনায় একটি ল্যাপটপের দাম প্রচুর অধিক হয়ে থাকে। তাই, প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে একটি ল্যাপটপ কেনাটা সহজ বেপার না।

২. মেরামত করাটাও খুব ব্যয়বহুল

ডেস্কটপ কম্পিউটার খারাপ হলে অনেক সময় নিজেই খুলে ঠিক ঠাক করা সম্ভব, এছাড়া অন্যকে দিয়ে ঠিক করলেও সেটাতে তেমন খরচ হয়ে থাকেনা।

কিন্তু একটি ল্যাপটপ খারাপ হলে সেটাকে মেরামত করানোর ক্ষেত্রে প্রচুর টাকা খরচ হয়ে থাকে। এছাড়া, ডেস্কটপ কম্পিউটার এর তুলনায় ল্যাপটপের পার্টস গুলোর দাম অধিক বেশি হয়ে থাকে।

 ৩. অনেক তাড়াতাড়ি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা

যিহেতু ল্যাপটপ পোর্টেবল এবং আকারে ছোট হওয়ার কারণে এটাকে যেকোনো জায়গাতেই নিয়ে গিয়ে ব্যবহার করা হয়, তাই অনেক তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এক্ষেত্রে থেকে থাকে।

এছাড়া, ল্যাপটপ হলো একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যার জন্যে এর ওপরে কোনো ধরণের তরল পদার্থ পড়লে সাথে সাথে নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা থাকে।

এটাই কারণ যার জন্য একটি ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় আপনাকে প্রচুর সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি।

৪. আপগ্রেড

একটি ল্যাপটপের মধ্যে যেগুলো হার্ডওয়্যার রয়েছে সেগুলোকে খুব সহজে আপগ্রেড করাটা সম্ভব না। একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে এই কাজ অনেক সোজা এবং জেকেও এই কাজ করতে পারে।

এমনিতে, একটি ল্যাপটপে RAM, storage ইত্যাদি এই ধরণের hardware গুলো upgrade করা যাবে যদিও এই কাজ এতটা সোজা না।

অবশই পড়ুন: 

 

আজকে আমরা কি শিখলাম,

তাহলে বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকলে মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম, “ল্যাপটপ কি (about laptop in Bengali)” এবং একটি ল্যাপটপের লাভ, সুবিধা এবং অসুবিধা গুলোর বিষয়ে।

আশা করছি, ল্যাপটপ বলতে কি বুঝায় এবং এর সাথে জড়িত অন্যান্য জরুরি বিষয় গুলো আপনারা ভালো করে বুঝতেই পেরেছেন।

আমাদের আজকের আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন। এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button