Technology

স্মার্ট ওয়াচ মানে কি এবং স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা গুলো কি কি ?

স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা গুলো কি কি ?

করোনা মহামারির বিশ্বজুড়ে প্রকোপের পর মানুষের স্বাস্থ্যসচেতনতা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ প্রতি মুহূর্তে নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হতে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে প্রযুক্তির উপর। আর এই প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, স্মার্টফোনের পর যে আবিষ্কার মানুষের রোজকার জীবনে জায়গা করে নিয়েছে তা হল স্মার্ট ওয়াচ।

আর আজকের এই আর্টিকেলে আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন, স্মার্ট ওয়াচ মানে কি এবং একটি স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহারের সুবিধা গুলো কি কি ?

চলুন প্রথমেই জানা যাক, স্মার্ট ওয়াচ বলতে কি বুঝায় সেই বিষয়ে।

স্মার্ট ওয়াচ কি ? (What is a smart watch in Bangla)

স্মার্ট ওয়াচ হলো একটি উন্নতমানের ছোট গণকযন্ত্র বা মিনি কম্পিউটার ডিভাইস যা দেখতে হাতঘড়ি বা রিস্ট ওয়াচের মতো।

যেকোনো সাধারণ ঘড়ির মতো দেখতে হলেও, এই স্মার্ট ওয়াচ সময় দেখানো ছাড়াও নানা রকম কাজ করতে পারে।

আর এইখানেই এই অত্যাধুনিক ঘড়িগুলো আর পাঁচটি ঘড়ির চেয়ে আলাদা।

প্রতিটি স্মার্ট ঘড়িতে থাকে স্মার্ট কম্পিউটিং সিস্টেম।

এই সিস্টেমের ফলে এই ডিভাইস গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য গ্রহণ, বিশ্লেষণ, এবং ফলাফল জানিয়ে থাকে।

ইন্টারনেট মাধ্যমের সাহায্যে যে যেকোনো স্মার্ট ওয়াচ আপনার সুবিধামত আপনাকে সময় দেখায় কিংবা আপনার জন্যে গান চালিয়ে দেয়।

একটি ডিজিটাল স্মার্ট ঘড়ি আপনার সাহায্যার্থে আপনি থার্মোমিটার, ক্যালকুলেটর, এমনকি কম্পাসের মতোও ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজন শুধুমাএ ইন্টারনেট ব্যবস্থার।

এই যন্ত্রগুলো খুব সহজেই আপনার স্মার্টফোন বা এন্ড্রয়েড ফোনের সাথে সংযুক্ত হয়ে যায় Bluetooth-এর মাধ্যমে।

ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর এই স্মার্ট ওয়াচ থেকেই আপনি ইনকামিং কল, মেসেজ ও নানা খুঁটিনাটি তথ্য ফোনের দিকে না তাকিয়েই জানতে পারবেন।

এই স্মার্ট হাতঘড়ি গুলো দেখতে খুবই স্টাইলিশ এবং বিভিন্ন রকম রং ও সাইজেও পাওয়া যায়।

সবচেয়ে বড় কথা হল এই ঘড়িগুলোর প্রায় সকল মডেলেরই বেশ কতগুলি সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট (features) থাকে, সেগুলো হল-

  • স্বয়ংক্রিয়ভাবে সময় দেখানো ও সময় পরিবর্তন করা।
  • খুব সহজেই ব্যবহাকারীদের সময় দেখানো।
  • অ্যালার্ম সেট করা
  • অ্যালার্ম বেজে বন্ধ হয়ে গেলে তার সম্বন্ধে তথ্য তৈরী করা।
  • ব্যবহারকারীর অবস্থানের সঠিক তথ্য লিপিবদ্ধ করা (জিপিএস ট্র্যাকিং).

তাই, একজন ব্যবহারকারী হিসেবে, আপনি ধরে নিতেই পারেন সাধারণ ঘড়ির থেকে এই স্মার্ট ওয়াচের সুবিধা নিতান্তই অনেক বেশি।

স্মার্ট ওয়াচ এর ইতিহাস – (History of smartwatch)

বিংশ শতাব্দী থেকে কম্পিউটার যন্ত্রের মাপ ছোট হতে হতে এসেছে ক্যালকুলেটর ওয়াচ, এবং নানান ধরণের পরিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে এখনকার যুগের স্মার্ট ওয়াচ।

1999 সালে Casio দ্বারা Easy Rec নামক এক ধরণের ঘড়ি চালু করেছিল।

এই ঘড়িটার মূল বৈশিষ্ট্য ছিল যে, এটি 30 সেকেন্ডের অডিও মেমো রেকর্ড করতে পারতো।

এছাড়া, প্রথম স্মার্ট ওয়াচ হিসেবে ২০০৪ সালে আবিষ্কৃত Microsoft SPOT (Smart Personal Object Technology) উল্লেখের দাবী রাখে।

এরপর স্মার্টফোনের ব্যাপক উন্নতির সাথে সাথে সারা বিশ্বে বেড়ে যায় স্মার্ট ওয়াচেরও  চাহিদা।

২০১০ সাল থেকে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক ভাবে মার্কেটে আসে এই স্মার্টঘড়ি গুলো।

ডিসাইন ও স্ক্রিনের পার্থক্যে এই ঘড়ি গুলো বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে।

তবে এখনকার বেশিরভাগ স্মার্ট ঘড়িতে touchscreen থাকে।

অর্থাৎ, আপনি যেমন আপনার স্মার্টফোনের স্ক্রিনের উপরই আঙ্গুল বুলিয়ে ব্যবহার করেন ঠিক তেমনই আপনি আপনার এই ঘড়ি ব্যবহার করতে পারবেন।

এই যন্ত্র গুলোর অনেক সময় মূল্যের ভিত্তিতে সাদা-কালো কিংবা কালারড স্ক্রিন হয়।

এছাড়াও, এখনকার মডেল গুলো একসাথে অনেক গুলো এপ্লিকেশন চালাতে পারে এবং পাশাপাশি গান, বা রেডিও-ও চালাতে পারে।

স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা গুলো কি কি ?

এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে মানুষের দ্রুততম জীবনের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমে ক্রমে বাড়ানো হচ্ছে স্মার্ট ওয়াচের সুবিধার লিস্ট।

নেক্সট মার্কেট ইনসাইটস এর গবেষণা অনুযায়ী, স্মার্ট ঘড়ির বিশাল সম্ভাবনা দেখছেন তাঁরা।

তাঁদের প্রত্যাশা অনুযায়ী, স্মার্ট ওয়াচের বিক্রয় 2014 সালে অপেক্ষাকৃত ১৪ মিলিয়ন থেকে ২০২০সালের শেষের পর্যন্ত ৩৭৩ মিলিয়ন হয়ে যাওয়ার কথা।

Statista-এর গণনা অনুযায়ী, 2023 সালের মধ্যে 130 মিলিয়নেরও বেশি স্মার্টওয়াচ বিশ্বব্যাপী বিক্রি হতে পারে।

এইবারে আসুন, আমরা জেনে নেই  স্মার্ট ওয়াচের সুবিধা গুলো।

সময়-সম্পর্কিত (Time-related) সুবিধা

যতই হোক, স্মার্ট ওয়াচ নিঃসন্দেহে একটা ঘড়িই বটে, যার প্রাথমিক কাজ সময় দেখানো।

তাহলেও, এখনকার এই মডেল গুলি সময় দেখানো ছাড়াও, অ্যালার্ম, স্টপওয়াচ এবং টাইমারেরও কাজ করে থাকে।

এই ফীচার গুলো ব্যবকারীদের তাদের শারীরিক কার্যক্রমের উপর নজর রাখতে সাহায্য করে।

তবে, সব মডেল গুলোতে স্পিকার লাগানো থাকে না।

সেক্ষেত্রে, এই ঘড়ি গুলো ভাইব্রেশনের মাধ্যমে ব্যবহাকারীকে সঠিক সময়ের জানান দেয়।

সতর্কতা এবং বিজ্ঞপ্তির (Alerts & Notifications) সুবিধা

একটি রিস্ট ওয়াচে আপনি আপনার মোবাইলের যাবতীয় তথ্য দেখতে পাচ্ছেন শুধুমাএ আপনার কব্জি ঘুরিয়ে।

এর থেকে আর বেশি সুবিধার আর কি হতে পারে, যখন আপনি একটি ভীড় বাসে দাঁড়িয়ে।

বেশিরভাগ এই ঘড়ি গুলোতে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া, এপ্লিকেশন নোটিফিকেশন, মেসেজ দেখতে পাবেন।

যে ডিভাইস বা স্মার্টফোনের সাথে সংযোগ করা হয়, সেই ডিভাইসের সমস্ত নোটিফিকেশন ব্যবহারকারীরা তাদের ঘড়িতেই পেয়ে যান।

স্বাস্থ্য- এবং সুস্থতা-সম্পর্কিত (Health and wellness) সুবিধা

যেকোনো স্মার্ট ওয়াচের সবথেকে জনপ্রিয় ফীচার হল Health and wellness বা স্বাস্থ্য- এবং সুস্থতা-সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করাটা।

বিশেষত, এই করোনার সময় আমাদের অক্সিজেন লেভেল একদম নজরে নজরে রাখতে হচ্ছে।

তাই এই সময়ের মডেল গুলিতে নতুন SPO2 মিটার সেন্সর যুক্ত করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের জন্যে এই ঘড়ি গুলোতে রয়েছে নানান রকম ফিটনেস ট্র্যাকার এবং সেন্সর।  যেমন-

পেডোমিটার 

এই সেন্সর আপনার নিয়মিত হাঁটার ব্যাপারে রেকর্ড রাখে। বেশিরভাগ সময়, আপনার steps বা পদক্ষেপের হিসেব রাখে।

তার সাথে থাকে ক্যালোরি মিটার, সেই মিটার থেকে আপনি আপনার প্রতিদিনের ব্যয়িত ক্যালোরির ব্যাপারে জানতে পারবেন।

এছাড়া আপনি আপনার ওজনের হিসেবও রাখতে পারবেন।

এমনকি, কিছু কিছু মডেল আপনার ডায়েট প্ল্যান বা ক্যালোরি ইনটেকের ব্যাপারেও তথ্য নথিভুক্ত করে থাকে।

হার্ট-রেট মনিটর 

দৌড়োতে যাওয়া থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত এখন যেকোনো স্মার্ট ওয়াচ আপনার হৃদস্পন্দন ২৪ ঘন্টা মনিটর করতে পারে।

এই ফীচারটি সবথেকে উপযোগী হল এথলেটদের এবং যাঁরা হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছেন।

ফিজিক্যাল এক্টিভিটি ট্র্যাকার 

বহু মানুষ স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করেন তাঁদের ফিটনেস ধরে রাখার জন্যে।

অনেক স্মার্ট ঘড়ির মডেলে বিভিন্ন রকমের স্পোর্টস মোড থাকে, যেমন দৌড়ানো, সুইমিং, ওয়াকিং, যোগা ইত্যাদি।

আপনি যে ধরণের শরীরচর্চা করবেন আপনার ঘড়ি সেই অনুযায়ী আপনার ব্যয়িত ক্যালোরি এবং সময়ের হিসেব দেবে।

ব্লাড প্রেসার মনিটর 

নিজের রক্তের চাপ যাতে সারাক্ষন পর্যবেক্ষণে রাখতে পারেন তাই এখনকার মডেল গুলোতে ব্লাড প্রেসার মনিটর রয়েছে।

আপনি আপনার সমস্ত রক্তচাপের চার্ট আপনার স্মার্টফোনের এপলিকেশনে পেয়েও যাবেন।

স্লীপ মনিটর 

অনেক স্মার্ট ঘড়িতেই এই ফীচারটি রয়েছে। এই মনিটরটি ব্যবহাকারীর ঘুমের সময়, মান আর গভীরতা যাচাই করে থাকে।

কল/মেসেজিং-এর সুবিধা

প্রায় সব স্মার্ট ওয়াচ মডেলই ব্যবহারকারীদের ফোন ধরতে এবং ফোন করতে সাহায্য করে।

স্মার্টফোনের সাথে সংযুক্ত করলেই এই ঘড়ি হ্যান্ডস-ফ্রি কল করার সুবিধে দিয়ে থাকে।

এছাড়া, কিছু কিছু নতুন মডেলে আলাদা সিম পোর্ট থাকে।

তাই, তাতে আপনি সিম কার্ড ভরে নিয়ে কোনোরকম স্মার্টফোন ছাড়াই কথা বলতে পারবেন।

ন্যাভিগেশনের সুবিধা

এই গুগল স্যাটেলাইটের যুগে প্রায় সমস্ত ডিভাইসেই ইনবিল্ট ন্যাভিগেশন থাকে।

এই স্মার্ট ঘড়িও তার ব্যতিক্রম নয়।

নেভিগেশনের সুবিধা থাকলে পথেঘটে চলতে গেলে আপনাকে বারবার স্মার্টফোন ঘেঁটে রাস্তা খুঁজে বার করতে হবে না।

অনেক ঘড়িতে ভাইব্রেশন সেন্সর রয়েছে যেগুলো আপনাকে ভাইব্রেশনের মাধ্যমে দিক নির্দেশ দেবে।

ফোন বা চাবি খুঁজে পাওয়ার সুবিধা

আমরা প্রায়ই তাড়াহুড়োর সময় ফোন বা চাবি হারিয়ে ফেলি।

তাই, স্মার্ট ওয়াচ গুলিতে “find my phone” ফীচার দেওয়া থাকে, যাতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দ্রুত ভাবে আপনার ফোনটি খুঁজে পান।

যেই ঘড়িতে আপনি “find my phone” ক্লিক করেন, ঠিক তখনই আপনার ফোনটি পুরো ভলিউমে বাজতে শুরু করে।

কিছু কিছু স্মার্ট ওয়াচে বিশেষ “কী ফাইন্ডার” এপ্লিকেশন সংযুক্ত করা আছে।

এই এপ্লিকেশনটি ইনস্টল করলে আপনি আপনার চাবিও খুঁজে পেয়ে যাবেন।

গান চালানোর সুবিধা

আজকালকার স্মার্ট ওয়াচ ফোন ছাড়াই গান চালাতে সক্ষম।

ব্যবহারকারীরা স্মার্ট ঘড়ির সাথে একটি ফোনের সংযোগ স্থাপন করে সেই ফোনের গানের ক্যাটালগ থেকে গান বাজাতে পারে।

নতুন মডেল গুলি এখন ব্যবহারকারীদের ফোন ছাড়াই সরাসরি ঘড়ি থেকেই সঙ্গীত বাজাতে অনুমতি দিয়ে থাকে।

সেলুলার বা ওয়াইফাই সংযোগের মাধ্যমে ফোনের প্রয়োজন ছাড়াই স্মার্টওয়াচে গান ডাউনলোড করা ও শোনা যায়।

স্মার্ট ওয়াচের প্রকারভেদ

বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, মার্কেটে প্রধানত দুই ধরণের স্মার্ট ঘড়ি দেখতে পাওয়া যায়।

প্রথম ভাগটিতে ধরা হয়, সাধারণ-ক্ষেত্রে ব্যবহৃত স্মার্ট ঘড়ি এবং দ্বিতীয় ভাগটিতে পড়ে নির্দিষ্ট-ব্যবহারিক স্মার্ট ঘড়ি।

সাধারণ-ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ঘড়িগুলো তৈরি করা হয়েছে সেই সব মানুষদের জন্যে যারা একেবারেই স্মার্টফোন-নির্ভর।

এই ধরণের মডেল গুলো আপনার ফোনের জন্য একটি সহায়ক ডিভাইস হিসাবে কাজ করে।

যেমন, Google-powered wear devices এবং Apple Watch।

এছাড়াও আছে Samsung-এর মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম Tizen-এর Galaxy Series-এর স্মার্ট ঘড়ি।

এইবার আসি দ্বিতীয় ভাগটিতে, অর্থাৎ নির্দিষ্ট-ব্যবহারিক স্মার্ট ঘড়ি মডেলগুলোতে।

এই গুলো সাধারণত পেশাগত ভিত্তিতে বিভক্ত হয়।

এখানে ব্যবহারকারী প্রয়োজন অনুসারে সাধারণ মডেল গুলোর থেকে শক্তিশালী ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহার করতে পারেন।

যারা হাইকিং, ডাইভিং কিংবা নানান রকম এডভেঞ্চার স্পোর্টসের সাথে যুক্ত তারা এই ধরণের ঘড়ি ব্যবহার করে থাকেন।

অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী স্মার্ট ওয়াচ নির্বাচন প্রয়োজনীয়

স্মার্ট ঘড়ির মডেল গুলো বাছার সময় এগুলো কোন প্ল্যাটফর্মে চলে তা দেখে নিন।

বেশিরভাগ স্মার্টওয়াচ প্রস্তুতকারক তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আবার অন্য প্রচুর ব্র্যান্ড গুলো Android Wear-এর মতো মূলধারার অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে।

প্রত্যেক অপারেটিং সিস্টেম গুলোর নিজস্ব সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।

অনেক নির্মাতারাই রয়েছেন যাঁরা গুগলের একটি জনপ্রিয় OS Android Wear ব্যবহার করেন।

এই Android Wear আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন দুইয়ের সাথেই কাজ করে।

আবার Watch OS  হলো Apple কোম্পানির তৈরী একটি নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম, যা শুধুমাত্র তাদের Apple Watch-এর জন্যই তৈরী করা হয়েছে।

সুতরাং, Apple Watch এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সাথে কাজ করে না।

Garmin এবং FitBit-এর মতো প্রস্তুতকারকরা তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে এবং সব স্মার্টফোনেই সেগুলো ব্যবহার্য।

তাই আপনার ফোনের মডেলের উপর নির্ভর করেই স্মার্ট ঘড়ি নির্বাচন করা উচিত।

কেন নেবেন স্মার্ট ওয়াচ ?

  1. একটি স্মার্টফোনে মানে সারা দুনিয়ার খবর হাতের মুঠোয়। আস্তে আস্তে স্মার্টফোনে ব্যবহার অনেক সময়েই নেশার কারণ হয়ে ওঠে। যার ফলে, আপনার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে একটা স্মার্ট ঘড়ি আপনাকে আপনার ফোনের সাথে সংযুক্ত রাখবে অথচ মোবাইলের নেশা থেকেও দূরে রাখবে।
  2. স্মার্ট ওয়াচ নিজেই স্বয়ং সম্পূর্ণ অর্থাৎ এই একটি যন্ত্র আপনার শরীরের খেয়াল রাখা থেকে শুরু করে বাইরের জগতের সাথে যোগাযোগ সমস্ত কিছুর ক্ষেত্রেই আপনার সহায়তা করে।
  3. আপনি যেখানেই ঘুরতে যান, এই স্মার্ট ওয়াচ সাথে থাকলে পথঘাট চেনা আপনার কাছে অনেক সহজ হয়ে যাবে। ড্রাইভিং, সাইক্লিং তথা হাঁটার সময় আপনি নিশ্চিন্তে এবং বিপদমুক্ত মনে থাকতে পারবেন।
  4. অনেক আপগ্রেডেড মডেলে ইমার্জেন্সি কল ও ফল ডিটেকশন (fall detection) ফাঙ্কশন থাকে, যাতে আপনি কোথাও বিপদে পড়লে আপনার আপনজন যাতে সাথে সাথে খবর পান।

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে, আশা করছি স্মার্ট ঘড়ি কি ? এবং একটি স্মার্ট ওয়াচ এর সুবিধা গুলো আপনারা সম্পূর্ণ ভালো করে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

স্মার্টওয়াচ (smartwatch) নিয়ে লিখা আমাদের এই আর্টিকেল যদি আমাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি শেয়ার অবশই করবেন।

এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানিয়ে দিবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button