Uncategorized

৬৪-বিট সফটওয়্যার মানে কি? এটি কতোটা প্রয়োজনীয়?

৬৪-বিট সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

আপনি যদি, ৩২-বিট এবং ৬৪-বিট অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে শুনে থাকেন—তবে অবশ্যই, ৬৪-বিট সফটওয়্যার বা ৩২-বিট সফটওয়্যার সম্পর্কেও শুনে থাকবেন। এক কথায় বলতে গেলে, ৬৪-বিট সফটওয়্যার মানে হলো; যে সফটওয়্যার গুলোকে রান করানোর জন্য অবশ্যই আপনার অপারেটিং সিস্টেম ৬৪-বিটের হতে হবে। কোন সফটওয়্যার কোম্পানি সেই সফটওয়্যারটিকে ৬৪-বিট নাম দেওয়ার কারণ হচ্ছে, ঐ সফটওয়্যারটিকে ৬৪-বিট অপারেটিং সিস্টেমের জন্য বিশেষ ভাবে প্রোগ্রাম করা হয়েছে, এবং সফটওয়্যারটি ৬৪-বিট সিস্টেমের সকল সুবিধা গুলোকে গ্রহন করতে পারবে। এই আর্টিকেলে ৬৪-বিট সফটওয়্যারের কিছু রিয়াল লাইফ সুবিধা নিয়ে আলোচনা করবো এবং ৩২-বিট সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন কিনা সেই বিষয়ের উপরও আলোচনা করবো। তো চলুন শুরু করা যাক…

৬৪-বিট সফটওয়্যার

৬৪-বিট সফটওয়্যার সম্পর্কে জানার আগে, প্রথমে ৬৪-বিট কম্পিউটিং সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জানা প্রয়োজনীয়। এবার যদি আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং আপনার সফটওয়্যার দুটোই ৬৪-বিট হয়, তবে আপনি ৬৪-বিটের আসল সুবিধা গুলো পেতে পারবেন। হ্যাঁ, যখনই দেখবেন কোন সফটওয়্যারের জন্য ৬৪-বিট ভার্সন রয়েছে, আপনার সেটাই ইন্সটল করা উত্তম হবে। ৬৪-বিটের সফটওয়্যার গুলো আপনার সিস্টেমে অনেক ফাস্ট কাজ করবে, কারণ সেটা আপনার সিস্টেমের সাথে মানানসই করে বিশেষ ভাবে লেখা হয়েছে। অনেকে দেখা যায়, ৩২-বিট সফটওয়্যারের সাইজ কম হয় দেখে সেটাই ডাউনলোড করে। দেখুন, যদিও একটি সফটওয়্যার ৩২-বিটে হোক কিংবা ৬৪-বিটে হোক, সেটা মুটামুটি একই কাজ করে। কিন্তু ৩২-বিটের চাইতে ৬৪-বিট সফটওয়্যার গুলো অনেক ফাস্ট কাজ করবে আপনার সিস্টেমে।

সফটওয়্যার ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই দেখে নেবেন সেখানে ৬৪-বিট কথাটি লেখা রয়েছে কিনা। যদি ৬৪-বিট সফটওয়্যার হয়, তবে সেখানে ৬৪-বিট অথবা এক্স৬৪ কথাটি উল্লেখ্য করা থাকবে। যদি সফটওয়্যারটিতে কিছুই না লেখা থাকে, তো অবশ্যই সেটা ৩২-বিট হবে হয়তো। আবার এক্স৮৬ লেখা দেখে জেনো ভাববেন না, সেটা ৮৬-বিট! —এক্স৮৬ লেখা উল্লেখ্য করা থাকলে, সেটি অবশ্যই ৩২-বিট সফটওয়্যার। যেকোনো সফটওয়্যার অবশ্যই সেটার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করুণ, আর যদি কোন সফটওয়্যার ৩২-বিট প্রদান না করে তাহলে আপনি আর সেটাকে ইউজই করবেন না, এমনটা নয়। এই দুই টাইপের সফটওয়্যারই ইন্সটল এবং আনইন্সটল করার প্রসেস একেবারেই একই।

৬৪-বিট সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

দেখুন, আপনার ৬৪-বিট অপারেটিং সিস্টেমে আপনি যখন ৬৪-বিট সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন, তখনই কেবল আপনার কম্পিউটিং এ সামঞ্জস্যতা দেখা যাবে। আপনার অপারেটিং সিস্টেম সেটাকে ঠিকঠাক মতো সমর্থন করবে। যদিও ৬৪-বিট অপারেটিং সিস্টেম গুলোতে ৩২-বিট সফটওয়্যারও আরামে সমর্থন করে, এই জন্যই উইন্ডোজ কম্পিউটারে দেখবেন, এই x86 নামের ফোল্ডার থাকে, সকল ৩২-বিটের সফটওয়্যার গুলো ইন্সটল হওয়ার পরে সেই ফোল্ডারে গিয়ে বাসা বাঁধে। কিন্তু ৬৪-বিট এবং ৩২-বিট দুইটি আলাদা আর্কিটেকচার, তাই ৬৪-বিট অপারেটিং সিস্টেমে ৩২-বিট সফটওয়্যার চালানোর সময় অপারেটিং সিস্টেম একটি সামঞ্জস্যতার লেয়ার রান করায়। এই লেয়ার অপারেটিং সিস্টেমে অসামঞ্জস্য সফটওয়্যার গুলোকে সামঞ্জস্যতার আয়োতায় নিয়ে আসে।

কম্পিউটিং সিস্টেমের সামঞ্জস্যতার লেয়ারে একটি ট্র্যান্সলেসন লাইব্রেরি থাকে। ৩২-বিট সফটওয়্যারের অসামঞ্জস্য বাইনারি কল গুলোকে এই ট্র্যান্সলেসন লাইব্রেরি সিস্টেমের বোধগম্য করার জন্য অনুবাদ করে, যাতে সফটওয়্যার গুলো ৬৪-বিটের উপরও কাজ করতে পারে।

তাছাড়া ৩২-বিট সফটওয়্যার গুলো মাত্র ২জিবি র‍্যাম সংরক্ষিত করতে পারে। ধরুন, আপনি ৩২-বিটের ফটোশপ ব্যবহার করছেন, কিন্তু আপনার সিস্টেমে ৩২জিবি র‍্যাম লাগানো রয়েছে। কোনই লাভ নেই, ঐ সফটওয়্যার ২জিবির উপর র‍্যাম ইউজই করতে পারবে না। কিন্তু ৬৪-বিট অপারেটিং সিস্টেমে ৬৪-বিট সফটওয়্যার এর ক্ষেত্রে র‍্যাম ইউজের কোন লিমিটেসন নেই। এজন্য দেখে থাকবেন, অ্যাডোব সফটওয়্যার গুলোর যেগুলো অনেক বেশি র‍্যাম পিপাসু হয় (প্রিমিয়ার, আফটার ইফেক্ট), সেগুলোর ৩২-বিট ভার্সন পাওয়া যায় না। তবে হ্যাঁ, ৩২-বিটের সফটওয়্যার গুলো ৬৪-বিট অপারেটিং সিস্টেমে চলতে পারলেও, উল্টাভাবে ৩২-বিট অপারেটিং সিস্টেমে কিন্তু ৬৪-বিট সফটওয়্যার চলতে পারে না।


তো আপনার কম্পিউটারটি যদি ৬৪-বিটের একটি শক্তিশালী কম্পিউটার হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই ৬৪-বিট সফটওয়্যার ইউজ করা প্রয়োজনীয়। অনেকে মনে করে, ৬৪-বিট সফটওয়্যার গুলো কম্পিউটারে ইন্সটল করলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়, সেটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনি ৬৪-বিট প্রসেসর এবং ৬৪-বিট অপারেটিং সিস্টেমের তখনই সকল সুবিধা উঠাতে পারবেন, যখন এতে ব্যবহার করা সফটওয়্যারও ৬৪-বিটের হবে। আশা করি, বিষয়টি আপনাকে ভালোভাবে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। তো আপনার কম্পিউটার কোন আর্কিটেকচারের উপর চলে, এবং আপনি কোন আর্কিটেকচারের সফটওয়্যার বেশি ব্যবহার করেন?—নিচে আমাদের কমেন্ট করে জানান। সাথে ৬৪-বিটের আরো কোন সুবিধা আপনার জানা থাকলে, অবশ্যই নিচে কমেন্টে উল্লেখ্য করুণ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button