Computer

কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি

কম্পিউটারের প্রকারভেদ গুলো কি কি ?

যদি আপনারা কম্পিউটার কয় প্রকার এই বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জেনেনিতে চাইছেন, তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলে types of computer নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন।

এমনিতে, যখন আমরা কম্পিউটার শব্দটি বলে থাকি, তখন আমরা কেবল personal desktop computer এর বিষয়ে ভাবি।

কিন্তু, কম্পিউটার এর প্রকারভেদ প্রচুর রয়েছে যেগুলোর বিষয়ে অনেকেই জানেননা।

আলাদা আলাদা কম্পিউটারের প্রকার গুলো বিভিন্ন আলাদা আলাদা কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।

আজ, সাধারণ লেখালেখির কাজ হোক বা ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট ছোট-বড় যেকোনো কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমেই করা হয়।

আর বিভিন্ন আলাদা আলাদা কাজ এবং প্রয়োজনীয়তার ওপরে নির্ভর করে বিভিন্ন কম্পিউটার এর প্রকার গুলো ব্যবহার করা হয়।

যদি আপনিও personal computer (PC) ছাড়া অন্যান্য computer এর প্রকার গুলোর বিষয়ে জানেননা,

তাহলে নিচে কম্পিউটার কয় প্রকারের এবং সেগুলো কি কি সে সম্পূর্ণটা জেনেনিন।

কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি ? (Types of computer in Bangla)

যখন আমরা একটি computer এর কথা বলি তখন আমাদের মনে মূলত ঘরে বা দপ্তরে টাকা personal computer (PC) গুলোর ছবি চলে আসে।

অনেকেই আমার laptops বা notebook গুলোর কোথাও ভেবে থাকেন।

তবে, কম্পিউটার শব্দটি বলতে কেবল এই কয়েকটি electronic device বা machine নিয়ে সীমিত থাকছেনা।

বর্তমান সময়ে, প্রায় প্রত্যেক কাজের ক্ষেত্রে আমরা আলাদা আলাদা রকমের computer device গুলোকে ব্যবহার করে থাকি।

আর তাই, একটি কম্পিউটারকে আকার (size), প্রয়োগ (application) এবং উদ্দেশ্যের (purpose) এর ওপরে ভিক্তি করে বিভিন্ন বিভাগে রাখা যেতে পারে।

আমরা নিচে কম্পিউটার কে ৩ টি মূল বিভাগে বিভাজিত করেছি এবং প্রত্যেক ভাগের মধ্যেও আলাদা আলাদা কম্পিউটারের প্রকার গুলো রয়েছে।

কম্পিউটার এর প্রকার গুলো কি কি ? (Different types of computer)

কম্পিউটারের এর প্রকারভেদ নিচে দেওয়া হিসেবে করা যেতে পারে।

১. অনুপ্রয়োগ বা কার্যপ্রণালীর ওপরে ভিক্তি করে কম্পিউটার প্রকার  

  • Analog computer
  • Digital computer
  • Hybrid computer

Analog computer

বন্ধুরা আপনারা যদি কম্পিউটার কোর্স করছেন বা কম্পিউটার নিয়ে ঘাটাঘাটি করে থাকেন, তাহলে অবশই কোনো না কোনো সময় হলেও এনালগ কম্পিউটার (analog computer) নামটি শুনেছেন হয়তো।

Analog computers গুলো একটি অবিচ্ছিন্ন সংকেত (continuous signal) এর ওপরে কাজ করতে পারে।

এটা এমন এক ধরণের কম্পিউটার যেটা ভৌতিক মাত্রা (physical parameters) গুলোকে (তাপমাত্রা, দৈর্ঘ্য, উচ্চতা ইত্যাদি) মেপে তাদের পরিমাপ গুলোকে অংকে প্রকাশ করে থাকে।

তবে, প্রকাশ করা অংকের পরিসংখ্যা গুলো অবিচ্ছিন্ন ও ক্রমাগত ভাবে রূপান্তরিত হতেই থাকে।

এই ধরণের কম্পিউটার গুলো প্রচুর দ্রুত ভাবে তাদের কাজ গুলো করতে পারে।

মূলত, science এবং engineering এর ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে।

এই কম্পিউটার গুলো কেবল অনুমানিত পরিমাপ (approximate value) প্রদান করতে পারে।

উদাহরণ স্বরূপে, thermometer কে একটি এনালগ কম্পিউটার বলা যেতে পারে।

Digital computer

ব্যবসা, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, শিক্ষা, যোগাযোগ, অফিসিয়াল কাজে, ব্যক্তিগত কাজ ইত্যাদি প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই এই ধরণের digital computer গুলোকে ব্যবহার করা হয়।

একটি ডিজিটাল কম্পিউটার তার মধ্যে ইনপুট করা ডাটা (data) এবং প্রোগ্রাম (program) গুলোকে বাইনারিতে (binary) পরিবর্তিত করে সেগুলোকে electronic ফর্মে নিয়ে আসে।

এই কম্পিউটার গুলোতে input এবং output দুটোই বাইনারি (binary) কোড এর রূপে হয়ে থাকে মানে এই ধরণের কম্পিউটার কেবল machine language গুলোকেই বুঝতে ও প্রসেস করতে পারে।

একটি ডিজিটাল কম্পিউটার তথ্য (information) গুলোকে নিজের মধ্যে স্টোর করে রাখতে পারে।

ডিজিটাল কম্পিউটার এর কিছু উদাহরণ হলো, desktop computer, laptop, tablet, smartphone, digital watch ইত্যাদি।

Hybrid computer

Hybrid computer গুলোতে একটি analog computer এবং digital computer দুটোর বৈশিষ্ট্য ও গুন রয়েছে।

অধিক জটিল গণনা গুলোকে করার উদ্দেশ্যে এই হাইব্রিড কম্পিউটার গুলোকে তৈরি করা হয়েছে।

বড় আকারের সংস্থা (large scale organizations) গুলোতে এই ধরণের কম্পিউটার গুলোকে ব্যবহার করা যেতে পারে যৌক্তিক এবং প্রযুক্তিগত (logical and technical) গণনা গুলোকে করার উদ্দেশ্যে।

এই ধরণের কম্পিউটার গুলো দ্রুত গতিতে সঠিক ফলাফল প্রদান করতে সক্ষম।

২. উদ্দেশ্যের ওপরে ভিক্তি করে প্রকারভেদ গুলো  

  • General Purpose Computer
  • Special Purpose Computer

General Purpose Computer

সাধারণ ভাবে আমি বা আপনি ঘরে, দপ্তরে বা স্কুল ইত্যাদিতে যেই কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলোকে জেনারেল পারপাস কম্পিউটার বলা যেতে পারে।

আপনি যে এই আর্টিকেল টি পড়ছেন সেটাও একটি সাধারণ উদ্দেশ্য কম্পিউটার এর মাধ্যমেই পড়ছেন এবং আমিও যেই কম্পিউটারের মাধ্যমে এই আর্টিকেল লিখেছি সেটাও একটি সামান্য উদ্দেশ্য কম্পিউটার।

একটি general purpose computer প্রচুর সাধারণ কাজ গুলোকে সহজেই করতে পারে।

হিসেবে করা, লেখালেখি করা, বিভিন্ন প্রোগ্রাম গুলো চলানো ইত্যাদি এই ধরণের কাজ করে থাকে এই কম্পিউটার গুলো।

Desktop এবং notebook গুলোকে এই general purpose computer এর মধ্যে ধরা হয়।

Special Purpose Computer

নাম শুনেই হয়তো বুঝতে পারছেন যে এই কম্পিউটার গুলোকে কেন তৈরি করা হয়।

হে, special purpose মানে হলো “বিশেষ উদ্দেশ্যে”, আর এই ধরণের কম্পিউটার গুলোকে কোনো বিশেষ ধরণের কাজ করার ক্ষেত্রে বিকশিত করা হয়।

এই কম্পিউটার গুলো প্রায় একি ধরণের কাজ গুলোকে করে থাকে।

উদাহরণ স্বরূপে, পরিবহন নিয়ন্ত্রণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ইত্যাদি এই ধরণের কাজ গুলো করার ক্ষেত্রে এই ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

General Purpose Computer এর তুলনায় এই computer গুলো প্রচুর শক্তিশালী এবং এদের কার্যক্ষমতা অধিক বেশি।

তবে, General Purpose Computer এর মতো এই special purpose computer আলাদা আলাদা ধরণের কাজ করতে পারেনা।

৩. আকারের (size) ওপরে ভিক্তি করে কম্পিউটার প্রকার  

  • Micro Computer
  • Mini computer
  • Mainframe computer
  • Super Computer

Micro Computer

মাইক্রো কম্পিউটার গুলো বর্তমান সময়ে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এদের ব্যবহার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

অন্যান্য প্রত্যেক কম্পিউটার গুলোর তুলনায় এই ধরণের কম্পিউটার গুলো আকারে অনেক ছোট থাকে।

এছাড়া, এই কম্পিউটার গুলো ওজনে অনেক হালকা থাকে।

এই ধরণের কম্পিউটার গুলোকে সাধারণ কার্য গুলোকে করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।

যেমন, মনোরঞ্জন, শিক্ষার ক্ষেত্রে, দপ্তরের বিভিন্ন কাজ করার ক্ষেত্রে ইত্যাদি।

Micro computer গুলোর মধ্যে PCs, Notebooks, Laptops, PDAs (Personal Digital Assistants) ইত্যাদি গুলো হচ্ছে মাইক্রো কম্পিউটার।

Mini computer

Mini computer গুলোকে আবার Mid range Computer বলেও বলা যেতে পারে।

বিভিন্ন ছোট ব্যবসা এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলোর দ্বারা এই ধরণের কম্পিউটার গুলো ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া, file handling, database management, scientific এবং engineering computations ইত্যাদি কাজের জন্যেও এই ধরণের মিনি কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

Minicomputers গুলো গুলোতো multi-users systems যেখানে একাধিক users একসাথে কাজ করতে পারেন।

এই কম্পিউটার গুলোর আকার অনেক ছোট থাকে।

Mainframe computer

একটি Mainframe computer ওপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি কম্পিউটারের তুলনায় প্রচুর শক্তিশালী এবং দ্রুত।

বড় বড় সংস্থা গুলোর দ্বারা এই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরণের কাজের ক্ষেত্রে।

যেমন, জটিল এপ্লিকেশন এবং bulk data processing এর ক্ষেত্রে।

এই mainframe computer গুলো minicomputers, personal computers ইত্যাদির থেকে আকারে দেখতে অনেক বড় এবং এর processing power প্রচুর বেশি।

Super Computer

Super computer গুলো এখন পর্যন্ত তৈরি হওয়া প্রত্যেক ধরণের কম্পিউটার গুলোর তুলনায় সব থেকে অধিক শক্তিশালী এবং দ্রুত কম্পিউটার।

এই ধরণের কম্পিউটার গুলো রাখার জন্য প্রচুর বড় জায়গার প্রয়োজন কারণ এই কম্পিউটারের আকার অনেক বেশি বড়

Supercomputer গুলোকে মূলত বৈজ্ঞানিক গবেষণা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ সমূহ, জলবায়ু গবেষণা ইত্যাদি জটিল কাজ গুলো করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

আধুনিক কম্পিউটার গুলো (Modern Computers)

  • Smartphones
  • Wearables
  • Game Console
  • TVs

Smartphones

বর্তমান সময়ের mobile phone যেগুলোকে আমরা smartphone বলে থাকি সেগুলোর দাড়াও অনেক রকমের কাজ গুলো করা সম্ভব যেগুলো একটি কম্পিউটার দ্বারা করা হয়।

বর্তমান সময়ে আমরা Internet Browsing, Games, Documents, Calculation, media playing ইত্যাদি প্রচুর কাজ গুলো mobile এর মাধ্যমে করে থাকি।

একটি smartphone অবশই যেকোনো অন্য কম্পিউটারের মতোই user থেকে input গ্রহণ করে এবং তারপর সেই ইনপুট এর সাথে জড়িত ডাটা প্রসেস ও গণনা করে ইউসার কে আউটপুট (output) প্রদান করে।

তাই, smartphones এবং tablets গুলোকে একটি কম্পিউটার হিসেবেই ধরা হয়।

Wearables

Wearables মানে হলো একটি small technological device যেটাকে শরীরের কোনো বিশেষ অঙ্গে পড়া হয়।

এই ধরণের device গুলো data সংগ্রহ করে সেগুলোকে স্টোর ও প্রসেস করে ইউসার কে আউটপুট প্রদান করে থাকে।

Smartwatches, Fitness Trackers  ইত্যাদি এই ধরণের wearables computer এর মধ্যে চলে আসছে।

Game Console

Game Console গুলো এক বিশেষ ধরণের ও বিশেষ কাজ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় যেগুলোর মূল কাজ হলো TV তে video games খেলার সুবিধা প্রদান করা।

যেমন, Xbox, Play Stations ইত্যাদি এই ধরণের কিছু জনপ্রিয় game console গুলো রয়েছে।

TVs

বর্তমান সময়ের TV গুলো হয়ে গেছে smart-tv এবং এই স্মার্টটিভি গুলোকেও কম্পিউটারের মধ্যেই ধরা হয়।

কারণ, বর্তমান সময়ে একটি স্মার্টটিভির মধ্যেও প্রায় অনেক ধরণের কাজ গুলো করা সম্ভব যেগুলো আগে কেবল একটি সাধারণ কম্পিউটার দ্বারা করা সম্ভব ছিল।

যেমন, ইন্টারনেট চালানো, এপ্লিকেশন এর ব্যবহার, গেম খেলা, ভিডিও স্ট্রিমিং ইত্যাদি।

তাই, একটি স্মার্টটিভিকে আমরা general purpose computers হিসেবে ধরতেই পারি।

আমাদের শেষ কথা,,

তাহলে বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারের প্রকার গুলোর বিষয়ে জানলাম।

কম্পিউটার কত প্রকার ও কি কি, বিষয়টি নিয়ে লিখা আমাদের আর্টিকেল ভালো লেগে থাকলে আর্টিকেলটি অবশই শেয়ার করবেন।

এছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে আমাকে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানাবেন।

আমার সব সময় এটাই চেষ্টা রয়েছে যাতে আমি আপনাদের কাজের তথ্য দিয়ে থাকতে পারি।

তাই আশা করছি, different types of computer নিয়ে লিখা এই আর্টিকেল আপনাদের কাজে আসবে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button