সমাজবিজ্ঞান

সামাজিক পরিবর্তন কাকে বলে | সামাজিক পরিবর্তনের উপাদান গুলি কি কি

সামাজিক পরিবর্তন কাকে বলে

আমাদের মনুষ্য সমাজ চিরকালই পরিবর্তনশীল। 

সমাজের সাথে পরিবর্তনের একটা শক্তিশালী অদৃশ্য যোগসূত্র রয়েছে। 

এমনকি, সমাজের যেকোনো অংশের সামান্যতম পরিবর্তনও, সময়ের সাথে-সাথে নিয়ে আসতে পারে ব্যাপক আকৃতির পরিবর্তন।

আর, আজকে আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব, সামাজিক পরিবর্তন কি, এর উপাদান, প্রকার, ও পরিবর্তনের কারণগুলো সম্পর্কে।

চলুন, প্রথমে জানি যে, সামাজিক পরিবর্তন মানে কি ?   

সামাজিক পরিবর্তনের সংজ্ঞা:

সমাজবিজ্ঞানীরা মূলত সামাজিক পরিবর্তনকে মানুষের মধ্যেকার ভাব-বিনিময় ও সম্পর্কের পরিবর্তন হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। 

তাঁদের মতে, এই সামাজিক পরিবর্তন সমাজের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা রাখে। 

আর, এই পরিবর্তনগুলো সময়ের সাথে-সাথে ঘটে চলে ও প্রায়শই সমাজের উপর গভীর ও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়।

এই সামাজিক পরিবর্তন শব্দটি প্রধানত মানব সমাজে সংঘটিত পরিবর্তনকে বোঝায়।

সুতরাং, মানব সমাজে পারপস্পরিক প্রতিক্রিয়া ও সম্পর্কের মধ্যেকার বিন্দুমাত্র পরিবর্তনও স্পষ্টভাবে সামাজিক সম্পর্কিত ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে বাধ্য। 

অর্থাৎ, মানুষের প্রতিক্রিয়া ও আচরণ-সংক্রান্ত মানগুলোর প্রচলিত ও আদর্শগত পরিবর্তন, বা কোনোরকমের কোনো পার্থক্যই সামাজিক রূপান্তরের জন্যে দায়ী।

আর, এই ধরণের ক্রম বিবর্তিত সামাজিক পরিবর্তনের ফলে ঘটে যাওয়া সুপরিচিত উদাহরণগুলোর মধ্যে বিখ্যাত কয়েকটি হল- মহিলাদের অধিকার, নাগরিক অধিকার, ও LBGTQ+ অধিকার দাবীর সামাজিক আন্দোলন ও আরও অন্যান্য। 

 

এই সমস্ত সামাজিক পরিবর্তন আন্দোলনের ফলবশত মানুষের মধ্যেকার সম্পর্ক পরিবর্তিত হয়েছে, প্রতিষ্ঠান পরিবর্তিত হয়েছে ও সর্বাপেক্ষা সাংস্কৃতিক রীতিনীতিরও পরিবর্তন হয়েছে। 

সামাজিক পরিবর্তনের উপাদান গুলি কি কি ?

সামাজিক পরিবর্তনের উপাদান অথবা সামাজিক পরিবর্তনের কারণ হিসেবে, মূলত পাঁচটি বিস্তৃত প্রকারের উৎস বা উপাদানের কথা বলা যেতে পারে;

সেগুলো হল-

১. ভৌতিক পরিবেশগত কারণ:

কিছু ভৌগোলিক পরিবর্তন অনেক সময় অকল্পনীয় সামাজিক পরিবর্তন ঘটায়। 

জলবায়ু, সামাজিক ক্ষয়, ভূমিকম্প, বন্যা, খরা ইত্যাদির মতো দুর্যোগ স্বাভাবিকভাবেই মানুষের সামাজিক জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করার পাশাপাশি সামাজিক পরিবর্তন ঘটায়। 

প্রতিটি মানুষের জীবন তার ভৌগোলিক অবস্থানের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত।

ইতিহাস ঘাঁটলে এমন অনেক বিকশিত মানব সভ্যতাকেও আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে, ধ্বংস পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার কথা জেনেছি।

বিভিন্ন এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্বের তারতম্য, জনসংখ্যার বণ্টন, কৃষি উৎপাদন, উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ, আনন্দ ও কষ্ট- যখন এই ধরণের ভৌত পরিবেশের তারতম্য ঘটে, তখনই সামাজিক পরিবর্তন ঘটতে বাধ্য। 

সভ্যতার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত আমাদের পোশাক, খাদ্য উপাদান, অভ্যাস, বাসস্থানের ডিসাইন সবই ভৌগোলিক অবস্থানের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। 

সাধারণত, ভৌত পরিবেশের পরিবর্তন বহু মানুষের স্থানান্তরের জন্য দায়ী। 

আর, এই পরিবর্তন মানুষের সামাজিক জীবন ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন আনে। 

২. জনসংখ্যা-সংক্রান্ত কারণ:

জনসংখ্যা হল মানুষের প্রধানতম বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি- যা সময়ের সাথে দ্রুত পরিবর্তিত হয়। 

আর, সামাজিক পরিবর্তন হল সময়ের সাথে-সাথে মানুষের আচরণ বা সাংস্কৃতিক নিয়মের বিবর্তন। 

শক্তিশালী যেকোনো সামাজিক পরিবর্তনের আন্দোলনগুলো প্রায়ই জনসংখ্যাগত পরিবর্তন দ্বারা চরমভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে: দারিদ্র্য ও ক্ষুধার অবসান।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব যেকোনো সমাজের ভৌগোলিক সম্প্রসারণ, সামরিক দ্বন্দ্ব, ও সংস্কৃতির মিশ্রণ ঘটাতে পারে। 

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার ঘনত্ব, সমাজের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে উদ্দীপিত করতে পারে। 

এর ফলে, সামাজিক পার্থক্য, শ্রমের বিভাজন, বাণিজ্যিকীকরণ ও নগরায়ণ জাতীয় ব্যাপারগুলোও বৃদ্ধি পেতে পারে। 

সময় ও গতির উপর নির্ভর করে, মাইগ্রেশনের ধরণ ও অর্থনৈতিক উপাদানগুলোর তারতম্যের মতো প্রভাবকগুলো সমাজে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের অগ্রগতি; উর্বরতা, মৃত্যুর হার, নগরায়ন, জন্ম-নিয়ন্ত্রণ, জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের মতো সামাজিক বিষয়গুলোতে প্রত্যক্ষ পরিবর্তন আনতে সক্ষম। 

৩. অর্থনৈতিক কারণ:

অর্থনৈতিক প্রভাবের মধ্যে সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শিল্পায়নের প্রভাব সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী। 

এটি মানব সমাজের জীবনধারা, প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সমস্ত সম্প্রদায়ের জীবনে চরম বিপ্লব ঘটিয়েছে। 

প্রথাগত উৎপাদন ব্যবস্থায়, উৎপাদনের মাত্রা মোটামুটি স্থির থাকতো; যেহেতু মানুষ অভ্যাসগত ও প্রথাগত চাহিদার জন্য প্রস্তুত ছিল। 

কিন্তু, আধুনিক শিল্প ও পুঁজিবাদ উৎপাদন প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নতিকেই উৎসাহিত করে। 

শিল্পায়ন তথা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাবগুলো, আমরা সহজেই ভারতীয় যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ও বর্ণপ্রথার উপর দেখতে পাই। 

সম্প্রতি, ভারতের এলপিজি সংস্কার হল অর্থনৈতিক সংস্কারের একটা ধারণা- যা ভারতীয় অর্থনীতির তিনটি মূল উপাদানের উপর নজর রাখে; যা হল- উদারীকরণ (লিবারালাইজেশন), বেসরকারীকরণ (প্রাইভেটাইজেশন) ও বিশ্বায়ন (গ্লোবালাইজেশান)।

এই সংস্কারগুলো বর্তমানে ভারতীয় অর্থনীতিকে উন্মুক্ত অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করতে যথেষ্ট সক্ষম হয়েছে। 

যা, ভারতের অর্থ-সামাজিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি ঘটিয়েছে।

৪. রাজনৈতিক কারণ:

রাষ্ট্র হল সমাজকে নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ শক্তিশালী সংস্থা। 

সমাজে সামাজিক পরিবর্তন আনতে কোনো নতুন আইন প্রণয়ন, কিংবা পুরানো আইন বাতিলের সমস্ত ক্ষমতাও কিন্তু রাষ্ট্রেরই হাতে থাকে। 

ভারতের মতো দেশ, ঔপনিবেশিকতার সময়ের পর থেকে এখনও পর্যন্ত নানান রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবর্তনের সাক্ষী রয়েছে। 

এছাড়াও, বাল্যবিবাহ, অস্পৃশ্যতা, বিবাহবিচ্ছেদ, বিধবা পুনর্বিবাহ, উত্তরাধিকার ও উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আইন ও অন্যান্য বিষয়গুলো ভারতীয় সমাজের সামাজিক কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন এনেছে।

গত দুই-তিন শতাব্দীতে ভারতের রাজনৈতিক উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবীভাবে, অর্থনৈতিক পরিবর্তনকেও প্রভাবিত করেছে। 

আবার, অর্থনৈতিক পরিবর্তনও রাজনৈতিক পরিবর্তনকে প্রভাবিত করেছে। 

সাম্প্রতিক কালের সরকাররা ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারকে উদ্দীপিত (কখনও কখনও ধীর) করার ক্ষেত্রেও অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

৫. সাংস্কৃতিক কারণ:

আমাদের বিশ্বাস ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের মূল্যবোধ ও সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে একটা প্রত্যক্ষ তথা গভীর যোগাযোগ আছে।  

আর, বিশ্বাস, ধারণা, মূল্যবোধ, ও প্রতিষ্ঠান হল সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান মৌলিক উপাদান। কোনো সন্দেহ নেই যে, সামাজিক পরিবর্তনের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। 

তাই, সংস্কৃতির যেকোনো পরিবর্তন (ধারণা, মূল্যবোধ, বিশ্বাস ইত্যাদি) সমগ্র সমাজ ব্যবস্থায় একটা অনুরূপ পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। সাংস্কৃতিক সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, কোনো আবিষ্কার বা উদ্ভাবন আমাদেরকে যাচাইকৃত জ্ঞান প্রদান করে। 

যা, পরবর্তীতে সামাজিক পরিবর্তনের কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয়। 

যেমন- কোনো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জ্ঞান, রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ের নিয়মবিধি মানুষের আচরণে অনেক পরিবর্তন আনে, যেমন- কোভিড-১৯ এর মাস্ক, টিকা ও সানিটাইজেশনের প্রোটোকল।

আর, সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবর্তনগুলোর ক্ষেত্রে, সারা বিশ্বের অন্যান্য সংস্কৃতির লোকেরাও আমাদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে। 

ডিফিউশন এক গোষ্ঠী থেকে অন্য গোষ্ঠীতে সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ও আচরণগুলোর বিস্তারকে বোঝায়। 

যেমন- আমরা ইদানিং চাইনিজ বা জাপানীজদের মতো চপস্টিক্স দিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যেস করছি। 

যেকোনো সামাজিক ব্যবস্থাই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সৃষ্টি করে। 

 

সামাজিক পরিবর্তন কত প্রকার হতে পারে ?

সমাজ বিজ্ঞানের মতে, সামাজিক পরিবর্তনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। 

যথা- বিবর্তনীয় (এভোলিউশনারী) ও বিপ্লবী (রেভোলিউশনারী) সামাজিক পরিবর্তন।

বিবর্তনীয় সামাজিক পরিবর্তন (Evolutionary Social Change):

বিবর্তনীয় সামাজিক পরিবর্তন বলতে সেই সমস্ত পরিবর্তনগুলোকে বোঝায়, যেগুলো ধীরে ধীরে ও দীর্ঘ সময় ধরে সমাজে ঘটে চলে। 

এই ধরণের সামাজিক পরিবর্তনগুলো সাধারণ চোখে দৃশ্যমান নয়; আর এই পরিবর্তন অতি ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে সংঘটিত হয়। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে শিল্পভিত্তিক সমাজে পরিবর্তন হওয়ার যাত্রাটা সমাজের ইভোলুশনারি পরিবর্তনের মধ্যে পরে। 

তবে, এখনও ভারতের মতো দেশে সম্পূর্ণভাবে শিল্পায়ন সম্ভব হয়ে ওঠেনি, অথচ এখানে শিল্পায়ন অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। 

অর্থাৎ, এটি একটি ইভোলুশনারি সামাজিক পরিবর্তন। 

কিংবা, নারীদের শিক্ষা ও সমান অধিকার নিয়ে যে পরিবর্তন আমরা এখন দেখছি, তার জন্যে অতীত সমাজে নানান বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে বলেই, আমরা আজ এই পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছি। 

একইভাবে, LGBTQ+ সম্প্রদায় দীর্ঘকাল ধরে ট্রান্স ও সমকামীদের অধিকারের জন্য লড়াই করে, সম্প্রতি তাদের আইন পাশ করতে সফল হয়েছে- এই সমস্ত কিছুই কিন্তু বিবর্তনী সামাজিক পরিবর্তনের উদাহরণ।

বিপ্লবী সামাজিক পরিবর্তন (Revolutionary Social Change):

বিপ্লবী সামাজিক পরিবর্তন হল সমাজের গঠন ও প্রকৃতির একটা আকস্মিক পরিবর্তন। 

এই বিপ্লবগুলোকে সাধারণত সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, দর্শন এবং প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুত রূপান্তরিত করা হয়; তবে এটি রাজনৈতিক ব্যবস্থার চেয়েও আরও বেশি কিছু হিসাবে স্বীকৃত হয়ে থাকে। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, নকশাল আন্দোলন, রাশিয়া ও চীনের কমিউনিস্ট বিপ্লব ইত্যাদি রেভোলুশনারি সামাজিক পরিবর্তনের উদাহরণ।

পরিবর্তন- পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিতে পারে। 

বর্তমান সময়ে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সমাজে অকল্পনীয় উন্নয়ন নিয়ে এসেছে। 

কিন্তু, তার পাশাপাশি বিশাল ডিজিটাল বিভাজনও তৈরি করেছে।

তাই, আমাদের উচিত সামাজিক পরিবর্তনকে সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে লক্ষ্য করা ও তা কীভাবে একই সাথে মাইক্রো ও ম্যাক্রো-লেভেলে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে, তা বোঝা। 

পরিবর্তন সবসময়েই অনিবার্য- তাই  এটিকে আটকে রাখা কোনোভাবেই সম্ভবপর নয়। 

আর, এই একবিংশ শতাব্দীতে দ্রুততর জীবনে সামাজিক পরিবর্তন একান্তই কাম্য। 

কারণ, পরিবর্তনই একমাত্র সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও কাঠামোগুলো নিয়ন্ত্রণের সূচক হিসেবে কাজ করে ও সমগ্র সমাজ ও মানুষের উন্নতিতে সাহায্যে করে।

 

আমাদের শেষ কথা,,

আমাদের আজকের সামাজিক পরিবর্তন এর বিষয় নিয়ে লেখা আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হল। 

লেখাটি পছন্দ হলে অবশ্যই তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

এছাড়া, “সামাজিক পরিবর্তন কাকে বলে” আর্টিকেলটির সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে, সেটাও আপনারা অবশই কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button